বৃত্তের পরিধিকে এর ব্যস দিয়ে ভাগ করলে তা সকল বৃত্তের ক্ষেত্রেই একটি ধ্রুবসংখ্যা হয় যাকে গ্রীক বর্ণ π দ্বারা সূচিত করা হয়।আমরা একে বলি পাই(Pi) যা একটি অসীম সংখ্যা যার মান ৩.১৪১৫৯... যার আসন্ন মান ৩.১৪১৬।স্কুলজীবনে আমরা সবাই ই এমনটা পড়েছি।কিন্তু কখনো কি আমরা জানতে চেষ্টা করেছি এর পেছনে থাকা মহান এক আর্যবিজ্ঞানীর অবদান?চীনের লু চাও যখন এই অমূলদ সংখ্যাটির ৬৭৮৯০ ঘর পর্যন্ত মুখস্থ করে তা ২৪ ঘন্টা ৪ মিনিটে আবৃত্তি করে গিনেস রেকর্ড করেন তখন আমরা তা দেখে বিস্মিত হই,কিন্তু আরো আশ্চর্য হয় খোদ ইতিহাস নিজেই যখন Pi এর মান সর্বপ্রথম নিখুঁতভাবে বের করেন প্রাচীনভারতের প্রত্যন্ত কুসুমপুরে(বর্তমান পাটালিপুরে) নির্ভৃতে বাস করা এক সাধাসিধে মানুষ!
খ্রিষ্টের জন্মের হাজার খানেক বছর আগে প্রাচীন ভারতের শুল্ব সুত্রে প্রথম পাই এর মান উল্লেখিত হয় ৩.১৬,কাছাকাছি এবং সেই যুগের তুলনায় অসাধারন হলেও এই মানটি সম্পূর্ণ সঠিক ছিলনা।আধুনিক কালে প্রথম ফিবোনাক্কি ১২১০ সালে এর মান নির্নয় করেন ৩.১৪১৮ যাও সম্পূর্ণ সঠিক নয়।আর এর সঠিক মান সর্বপ্রথম ৪৯৯ খ্রিষ্টাব্দে যিনি বের করেন তিনি হলেন মহান আর্যভট্ট।
৪৭৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রাচীন ভারতের কুসুমপুরে জন্ম নেন তিনি আর মাত্র ২৩ বছর বয়সেই ৪৯৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি রচনা করেন তাঁর গণিতবিষয়ক কালজয়ী গ্রন্থ 'আর্যভট্টীয়ম'।
এই গ্রন্থটি চারটি খন্ডে বিভক্ত।প্রথম খন্ডের নাম দশ গীতিকা যাতে রয়েছে ১২টি শ্লোক।দ্বিতীয় অধ্যয়ের নাম 'গণিত পাদ' যাতে রয়েছে গণিত বিষয়ক ৩৩টি শ্লোক।তৃতীয় খন্ডের নাম কালক্রিয়াপদ যাতে সময়ের ভাগ ও বিভাগ নিয়ে আছে ২৫টি শ্লোক।
চতুর্থ খন্ডের নাম গোলপাদ যাতে রয়েছে ত্রিকোনমিতি ও জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কিত ৫০ টি শ্লোক।
আর্যভট্টীয়ম গ্রন্থের দ্বিতীয় অধ্যয় গণিতপাদ এর ১০ নং শ্লোকে আর্যভট্ট বলেছেন,
চতুর্ধিকম শতংসগুণম দ্বাশশিস্তথা সহশ্রাণাম অযুতদ্বযবিশ্কম্ভসযাসন্নো বৃত্তপরিধাহাঃ।
অর্থাত্ ৪কে ১০০ এর সাথে যোগ করে তাকে ৮ দিয়ে গুন করে একে ৬২০০০ এর সাথে যোগ করে সেই বৃত্তের পরিধি পাওয়া যায় যার ব্যস ২০০০০।
এই হিসেবটিকে করলে Pi এর মান পাওয়া যায়-
১০০+৪*৮+৬২০০০/
২০০০০
বা,৮৩২+৬২০০০/২০০০০
বা,৬২৮৩২/২০০০০
বা,৩.১৪১৬!
[তথ্যসূত্র-,Pi unleashed,Arndt,Jorge Henel,Christopher,2006]
খ্রিষ্টের জন্মের হাজার খানেক বছর আগে প্রাচীন ভারতের শুল্ব সুত্রে প্রথম পাই এর মান উল্লেখিত হয় ৩.১৬,কাছাকাছি এবং সেই যুগের তুলনায় অসাধারন হলেও এই মানটি সম্পূর্ণ সঠিক ছিলনা।আধুনিক কালে প্রথম ফিবোনাক্কি ১২১০ সালে এর মান নির্নয় করেন ৩.১৪১৮ যাও সম্পূর্ণ সঠিক নয়।আর এর সঠিক মান সর্বপ্রথম ৪৯৯ খ্রিষ্টাব্দে যিনি বের করেন তিনি হলেন মহান আর্যভট্ট।
৪৭৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রাচীন ভারতের কুসুমপুরে জন্ম নেন তিনি আর মাত্র ২৩ বছর বয়সেই ৪৯৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি রচনা করেন তাঁর গণিতবিষয়ক কালজয়ী গ্রন্থ 'আর্যভট্টীয়ম'।
এই গ্রন্থটি চারটি খন্ডে বিভক্ত।প্রথম খন্ডের নাম দশ গীতিকা যাতে রয়েছে ১২টি শ্লোক।দ্বিতীয় অধ্যয়ের নাম 'গণিত পাদ' যাতে রয়েছে গণিত বিষয়ক ৩৩টি শ্লোক।তৃতীয় খন্ডের নাম কালক্রিয়াপদ যাতে সময়ের ভাগ ও বিভাগ নিয়ে আছে ২৫টি শ্লোক।
চতুর্থ খন্ডের নাম গোলপাদ যাতে রয়েছে ত্রিকোনমিতি ও জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কিত ৫০ টি শ্লোক।
আর্যভট্টীয়ম গ্রন্থের দ্বিতীয় অধ্যয় গণিতপাদ এর ১০ নং শ্লোকে আর্যভট্ট বলেছেন,
চতুর্ধিকম শতংসগুণম দ্বাশশিস্তথা সহশ্রাণাম অযুতদ্বযবিশ্কম্ভসযাসন্নো বৃত্তপরিধাহাঃ।
অর্থাত্ ৪কে ১০০ এর সাথে যোগ করে তাকে ৮ দিয়ে গুন করে একে ৬২০০০ এর সাথে যোগ করে সেই বৃত্তের পরিধি পাওয়া যায় যার ব্যস ২০০০০।
এই হিসেবটিকে করলে Pi এর মান পাওয়া যায়-
১০০+৪*৮+৬২০০০/
২০০০০
বা,৮৩২+৬২০০০/২০০০০
বা,৬২৮৩২/২০০০০
বা,৩.১৪১৬!
[তথ্যসূত্র-,Pi unleashed,Arndt,Jorge Henel,Christopher,2006]
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন