জীবের প্রকৃত বন্ধু বা সুহৃদ হচ্ছেন পরমেশ্বর ভগবান । আজ থেকে ৫০০০ বছরের কিছু পূর্বে পরমেশ্বর ভগবান শ্রী কৃষ্ণ রূপে এই মর্ত্যধামে ভৌম বৃন্দাবনে লীলাবিলাস করেছেন । যা কখন ও কল্পিত গল্পকথা বা আজগুবি ইতিহাস নয় ; পক্ষান্তরে তা বাস্তব সত্য । কিন্তু কাল্পনিক মিথ্যা, আবাস্ততব কাহিনি পরে দেখেশুনে আমাদের দশা এমনি হয়েছে যে , যথার্থ বাস্তব কেও গল্প বলে মনে হয়। এতি নিতান্ত অল্প বুদ্ধি ও অজ্ঞাতরেই বহিঃপ্রকাশ । আজও ভগবানের লীলাক্ষেত্রগুলি রয়েছে । উত্তর প্রদেশের মথুরা জেলার শ্রীধাম বৃন্দাবনে তার পরম সাক্ষীরূপে বিরাজমান যমুনা নদী সহ লীলাস্থলী ।আর রয়েছে সাক্ষাৎ ভগবৎ রূপী শ্রীগোবর্ধন । কালের প্রভাবে স্থানগুলির নাম ও বৈচিত্র্যথতা কিছুতা হ্রাস পেলে ো এখন ও বহু স্থান ভগবানের লীলার স্মৃতি বহন করে রেখেছে ।
এই গোবর্ধনকে বলা হয় গিরিরাজ । সমস্থ গিরি বা পর্বতের রাজা ।অভিন্ন ভগবৎ কলেবর গিরিরাজ সতত আনন্দ ও ভক্তি বর্ধন করেন । রাধাভাবে ভাবিত গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু তাই কখনও গোবর্ধন পদস্পর্শ করেননি । তাঁর আনুগামী ষড় গোস্বামীরা সেই নিয়ম পালন্ম করে এত দিন গোবর্ধন পরিক্রমা করতেন । কখনও গোবর্ধন এর উপর বিছরন করতেন না। শ্রীল সনাতন গোস্বামীপাদ এমনকি বৃদ্দাবস্থায় ও রোজ গোবর্ধন পরিক্রমা করতেন । তাঁর কষ্ট দেখে শ্রী কৃষ্ণ স্বয়ং তাঁর পদচিহ্নযুক্ত এক্তি শীলাখণ্ড অর্পণ করে সনাতন গোস্বামী কে তা পরিক্রমা করতে বলেন । বৃন্দাবনে শ্রী শ্রী রাধা দামোদর মন্দিরে এখনও সেটি সংরক্ষিত আছে।
গোবর্ধন কথাটি গাভী গোবৎসদের পালন পশনের দ্যোতক । ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রিয়তমা রাধিকার মনরথ পুরনের জন্য নিত্য গোলোকে তাঁর হৃদয় থেকে গোবোবর্ধন প্রকট করেন । ভগবান যমুনার তীরে নিকুঞ্জ পার্শ্বে রাসভুমীতে তাকে স্থাপন করেন । ক্ষণকালের মধ্যে গোবর্ধন পর্বত উর্ধে, নিম্নে, পার্শে নানাভাবে অপুর্ব সোভাসহ বিস্তার লাভ করে ।
এই ভৌম লীলা প্রকাশের জন্য গোবর্ধন ভারতের পশ্চিম প্রদেশ শাল্মলীদিপে দ্রোনাচলের পুত্র রূপে আবির্ভুত হন । গোবর্ধনের জম্ম কালে দেবতারা পুষ্পবর্শন করেন । একবার মহামুনি পুলস্ত্য তীর্থ করতে এসে দ্রোনাচলের আতিত্ব স্বীকার করলেন । সেখানে সান্ত সৌম্য অপূর্ব সুন্দর গোবর্ধন কে দেখে তিনি মুগ্ধ হন । তিনি গোবর্ধন কে সাথে করে কাশীতে নিয়ে যেতে মনশ্ত করে দ্রোনাচলের কছে তা ব্যক্ত করেন।
গোবর্ধন বলল – হে মুনিবর আপনি এত দূরে কিভাবে নিয়ে যাবেন। পুলস্ত্য বলল , তুমি আমার হস্থে অবস্থান কর আমি যোগবলে নিয়ে যাব ।
গোবর্ধন বলল, হে মুনি পথের মধে আমা কে আর কোঁথাও নামাবেন না, তা হলে আর আমি স্থান ত্যাগ করব না ।
মুনিও বলল তোমাকে কোথাও নামাব না বলে প্রতিজ্ঞা করে। তখন অস্রুপুর্ন লচন মহাবলে গোবর্ধন পিতা দ্রোনচলকে কে নমস্কার করে যাত্রা শুরু করলেন । এক প্রর্যায়ে তারা ব্রজমণ্ডলে পৌছলেন ।
ব্রজমণ্ডলের রূপ দেখে গোবর্ধন চিন্তা করল ভগবান শ্রী কৃষ্ণ এখানে অবতীর্ণ হবেন গোপো গোপী সখাসহ একানে লীলাবিলাস করবেন ।এতএব আমি এই স্থান ছেরে অন্য কোথাও যাব না । এইরুপ চিন্থা করে গোবর্ধন এত ভারি হতে লাগল যে মুনি তাকে নামতে বাধ্য হল । মুনি শৌচাদি স্নান করে এসে পুনরায় গোবর্ধন কে যেতে বললে গোবর্ধন যেতে প্রতিজ্ঞার কথা মনে করিয়ে দেয় । মুনি তেজ বলে অনেক চেষ্টা করেও গোবর্ধন কে সরাতে না পেরে অভিশাপ দিয়ে বলেন যে , হে গোবর্ধন তুমি ছলনা করে আমার মনের অভিলাশ পুরন করলে না । অতএব এখন থেকে তুমি প্রতিদিন ক্ষয় প্রাপ্ত হবে। এই বলে পুলস্ত্য মুনি কাশী চলে গেলেন । গিরিবরধন প্রতিদিন এক তিল করে ক্ষীণ হতে লাগল ।বর্তমানে দেখা যায় কোথাও আতি ক্ষীণ রূপে অবস্থান করছে । তবে যতদিন ভাগীরথী গঙ্গা ও গোবর্ধন ভুতলে অবস্থান করবে ততদিন বদ্ধজীব কলির প্রভাব হতে মুক্ত হয়ে ভগদ্ভক্তির লাভের সুযোগ পাবে । গোবর্ধনের উৎপত্তি তথা মহিমা শ্রবন মাত্রই জীব হ্রিদয়ে ভগদ্ভক্তির সঞ্ছার হয় গোবর্ধন পরিক্রমার ফলে ভগবদ্ভাম ও কৃষ্ণ প্রেম প্রাপ্তি হয় ।
উৎস : অমৃতের সন্ধানে ( নির্মল চৈতন্য দাস )
এই গোবর্ধনকে বলা হয় গিরিরাজ । সমস্থ গিরি বা পর্বতের রাজা ।অভিন্ন ভগবৎ কলেবর গিরিরাজ সতত আনন্দ ও ভক্তি বর্ধন করেন । রাধাভাবে ভাবিত গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু তাই কখনও গোবর্ধন পদস্পর্শ করেননি । তাঁর আনুগামী ষড় গোস্বামীরা সেই নিয়ম পালন্ম করে এত দিন গোবর্ধন পরিক্রমা করতেন । কখনও গোবর্ধন এর উপর বিছরন করতেন না। শ্রীল সনাতন গোস্বামীপাদ এমনকি বৃদ্দাবস্থায় ও রোজ গোবর্ধন পরিক্রমা করতেন । তাঁর কষ্ট দেখে শ্রী কৃষ্ণ স্বয়ং তাঁর পদচিহ্নযুক্ত এক্তি শীলাখণ্ড অর্পণ করে সনাতন গোস্বামী কে তা পরিক্রমা করতে বলেন । বৃন্দাবনে শ্রী শ্রী রাধা দামোদর মন্দিরে এখনও সেটি সংরক্ষিত আছে।
গোবর্ধন কথাটি গাভী গোবৎসদের পালন পশনের দ্যোতক । ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রিয়তমা রাধিকার মনরথ পুরনের জন্য নিত্য গোলোকে তাঁর হৃদয় থেকে গোবোবর্ধন প্রকট করেন । ভগবান যমুনার তীরে নিকুঞ্জ পার্শ্বে রাসভুমীতে তাকে স্থাপন করেন । ক্ষণকালের মধ্যে গোবর্ধন পর্বত উর্ধে, নিম্নে, পার্শে নানাভাবে অপুর্ব সোভাসহ বিস্তার লাভ করে ।
এই ভৌম লীলা প্রকাশের জন্য গোবর্ধন ভারতের পশ্চিম প্রদেশ শাল্মলীদিপে দ্রোনাচলের পুত্র রূপে আবির্ভুত হন । গোবর্ধনের জম্ম কালে দেবতারা পুষ্পবর্শন করেন । একবার মহামুনি পুলস্ত্য তীর্থ করতে এসে দ্রোনাচলের আতিত্ব স্বীকার করলেন । সেখানে সান্ত সৌম্য অপূর্ব সুন্দর গোবর্ধন কে দেখে তিনি মুগ্ধ হন । তিনি গোবর্ধন কে সাথে করে কাশীতে নিয়ে যেতে মনশ্ত করে দ্রোনাচলের কছে তা ব্যক্ত করেন।
গোবর্ধন বলল – হে মুনিবর আপনি এত দূরে কিভাবে নিয়ে যাবেন। পুলস্ত্য বলল , তুমি আমার হস্থে অবস্থান কর আমি যোগবলে নিয়ে যাব ।
গোবর্ধন বলল, হে মুনি পথের মধে আমা কে আর কোঁথাও নামাবেন না, তা হলে আর আমি স্থান ত্যাগ করব না ।
মুনিও বলল তোমাকে কোথাও নামাব না বলে প্রতিজ্ঞা করে। তখন অস্রুপুর্ন লচন মহাবলে গোবর্ধন পিতা দ্রোনচলকে কে নমস্কার করে যাত্রা শুরু করলেন । এক প্রর্যায়ে তারা ব্রজমণ্ডলে পৌছলেন ।
ব্রজমণ্ডলের রূপ দেখে গোবর্ধন চিন্তা করল ভগবান শ্রী কৃষ্ণ এখানে অবতীর্ণ হবেন গোপো গোপী সখাসহ একানে লীলাবিলাস করবেন ।এতএব আমি এই স্থান ছেরে অন্য কোথাও যাব না । এইরুপ চিন্থা করে গোবর্ধন এত ভারি হতে লাগল যে মুনি তাকে নামতে বাধ্য হল । মুনি শৌচাদি স্নান করে এসে পুনরায় গোবর্ধন কে যেতে বললে গোবর্ধন যেতে প্রতিজ্ঞার কথা মনে করিয়ে দেয় । মুনি তেজ বলে অনেক চেষ্টা করেও গোবর্ধন কে সরাতে না পেরে অভিশাপ দিয়ে বলেন যে , হে গোবর্ধন তুমি ছলনা করে আমার মনের অভিলাশ পুরন করলে না । অতএব এখন থেকে তুমি প্রতিদিন ক্ষয় প্রাপ্ত হবে। এই বলে পুলস্ত্য মুনি কাশী চলে গেলেন । গিরিবরধন প্রতিদিন এক তিল করে ক্ষীণ হতে লাগল ।বর্তমানে দেখা যায় কোথাও আতি ক্ষীণ রূপে অবস্থান করছে । তবে যতদিন ভাগীরথী গঙ্গা ও গোবর্ধন ভুতলে অবস্থান করবে ততদিন বদ্ধজীব কলির প্রভাব হতে মুক্ত হয়ে ভগদ্ভক্তির লাভের সুযোগ পাবে । গোবর্ধনের উৎপত্তি তথা মহিমা শ্রবন মাত্রই জীব হ্রিদয়ে ভগদ্ভক্তির সঞ্ছার হয় গোবর্ধন পরিক্রমার ফলে ভগবদ্ভাম ও কৃষ্ণ প্রেম প্রাপ্তি হয় ।
উৎস : অমৃতের সন্ধানে ( নির্মল চৈতন্য দাস )
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন