প্রথমেই আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই "প্রস্থানত্রয়ী" শব্দটির সাথে।প্রস্থানত্রয়ী হল বেদান্ত দর্শনের মূল তিনটি গ্রন্থ-
১)উপনিষদ,এটি হল উপদেশ প্রস্থান।
২)ব্রহ্মসূত্র,যাকে বলা হয় ন্যয় প্রস্থান।
৩)ভগবদগীতা,এটিকে বলা হয় সাধনা প্রস্থান।
বেদান্তের চারটি শাখার ই প্রতিষ্ঠাতাগুরুগণ এই তিনটি গ্রন্থের ভাষ্য রচনা করে গিয়েছেন।তাঁরা হলেন যথাক্রমে-
জগতগুরু আদি শংকরাচার্য,যিনি ৭৮৮ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহন করেন।তিনি অদ্বৈতবেদান্ত শাখার প্রতিষ্ঠাতা।শংকরাচার্যের গীতাভাষ্য হিন্দুধর্মীয় পন্ডিতমহলে অত্যন্ত বিখ্যাত।কথা হল ৭৮৮ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম নেয়া এই মহান সাধক কিভাবে গীতাভাষ্য রচনা করলেন যদি ১৭৫৫ সালের আগে গীতা নামের কোন আলাদা বই ই না থাকে!!!
একইভাবে বিশিষ্টদ্বৈত বেদান্তের প্রতিষ্ঠানা রামানুজাচার্য ১০১৭ সালে জন্মগ্রহন করেন।তিনিও গীতাভাষ্য রচনা করেছিলেন।অর্থাত্ সেই সময়েও গীতা নামে আলাদা গ্রন্থ ছিল এবং খুব বিখ্যাত ই ছিল!
একইভাবে গীতার ভাষ্যকারী দ্বৈতঅদ্বৈত শাখার প্রতিষ্ঠাতা নিম্বাকাচার্য এবং দ্বৈতবেদান্তের প্রতিষ্ঠাতা মধ্বাচার্য যথাক্রমে ত্রয়োদশ শতাব্দী এবং ১১৯৯ সালে জন্মগ্রহন করেন।এছাড়া বিখ্যাত শৈব দার্শনিক অভিনবগুপ্ত দশম শতাব্দীতে, শ্রী শ্রী চৈতন্য ১৪৮৬ সালে এবং ধ্যনেশ্বর ১২৭৫ সালে তামিল ভাষায় গীতাভাষ্য রচনা করেন।এছাড়া প্রখ্যাত আরব পর্যটক আলবেরুনী ১০১৭ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর ভারত সফরকালে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থের মধ্যে গীতার কথাও উল্লেখ করেন।অর্থাত্ এটা পরিস্কার যে পিনাকী বাবুর ১৭৫৫ সালে গীতা উদ্ভবের তত্ত্বটা নিতান্তই হাস্যকর।
গবেষকদের দৃষ্টিতে শ্রীমদভগবদগীতার আলাদা গ্রন্থ রুপে আবির্ভাবের সময়কাল
প্রফেসর Jeaneane Fowler এর মতে গীতার উত্পত্তি খ্রিষ্টপূর্ব ২০০ সালে(২০০B.C),KK Nair এর অনুযায়ী তা ১৫০B.C তে,কাশী নাথ উপাধ্যায় এর মতে খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ সালে এবং Eliot Deustch এর মতে খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ২০০ সালের মধ্যে।প্রকৃতপক্ষে গীতার প্রথম ইংরেজী অনুবাদ করেন চার্লস উইলকিন্স ১৭৯৫ সালে।সেটা গীতার প্রথম ইংরেজী অনুবাদ,প্রথম গীতা নয়।
গীতার একটি বিখ্যাত উক্তি রয়েছে-
"ন হি জ্ঞানেন সদৃশং পবিত্রমিহ বিদ্যতে"
অর্থাত্ জ্ঞানের মত পবিত্র এই সংসারে আর কিছু নেই।তাই পিনাকী বাবুর মত অকালকুষ্মান্ডদের প্রতি আহ্বান,জ্ঞানের পেছনে ছুটুন,সস্তা জনপ্রিয়তার পেছনে নয়।
ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি
#অগ্নিবীর
১)উপনিষদ,এটি হল উপদেশ প্রস্থান।
২)ব্রহ্মসূত্র,যাকে বলা হয় ন্যয় প্রস্থান।
৩)ভগবদগীতা,এটিকে বলা হয় সাধনা প্রস্থান।
বেদান্তের চারটি শাখার ই প্রতিষ্ঠাতাগুরুগণ এই তিনটি গ্রন্থের ভাষ্য রচনা করে গিয়েছেন।তাঁরা হলেন যথাক্রমে-
জগতগুরু আদি শংকরাচার্য,যিনি ৭৮৮ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহন করেন।তিনি অদ্বৈতবেদান্ত শাখার প্রতিষ্ঠাতা।শংকরাচার্যের গীতাভাষ্য হিন্দুধর্মীয় পন্ডিতমহলে অত্যন্ত বিখ্যাত।কথা হল ৭৮৮ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম নেয়া এই মহান সাধক কিভাবে গীতাভাষ্য রচনা করলেন যদি ১৭৫৫ সালের আগে গীতা নামের কোন আলাদা বই ই না থাকে!!!
একইভাবে বিশিষ্টদ্বৈত বেদান্তের প্রতিষ্ঠানা রামানুজাচার্য ১০১৭ সালে জন্মগ্রহন করেন।তিনিও গীতাভাষ্য রচনা করেছিলেন।অর্থাত্ সেই সময়েও গীতা নামে আলাদা গ্রন্থ ছিল এবং খুব বিখ্যাত ই ছিল!
একইভাবে গীতার ভাষ্যকারী দ্বৈতঅদ্বৈত শাখার প্রতিষ্ঠাতা নিম্বাকাচার্য এবং দ্বৈতবেদান্তের প্রতিষ্ঠাতা মধ্বাচার্য যথাক্রমে ত্রয়োদশ শতাব্দী এবং ১১৯৯ সালে জন্মগ্রহন করেন।এছাড়া বিখ্যাত শৈব দার্শনিক অভিনবগুপ্ত দশম শতাব্দীতে, শ্রী শ্রী চৈতন্য ১৪৮৬ সালে এবং ধ্যনেশ্বর ১২৭৫ সালে তামিল ভাষায় গীতাভাষ্য রচনা করেন।এছাড়া প্রখ্যাত আরব পর্যটক আলবেরুনী ১০১৭ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর ভারত সফরকালে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থের মধ্যে গীতার কথাও উল্লেখ করেন।অর্থাত্ এটা পরিস্কার যে পিনাকী বাবুর ১৭৫৫ সালে গীতা উদ্ভবের তত্ত্বটা নিতান্তই হাস্যকর।
গবেষকদের দৃষ্টিতে শ্রীমদভগবদগীতার আলাদা গ্রন্থ রুপে আবির্ভাবের সময়কাল
প্রফেসর Jeaneane Fowler এর মতে গীতার উত্পত্তি খ্রিষ্টপূর্ব ২০০ সালে(২০০B.C),KK Nair এর অনুযায়ী তা ১৫০B.C তে,কাশী নাথ উপাধ্যায় এর মতে খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ সালে এবং Eliot Deustch এর মতে খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ২০০ সালের মধ্যে।প্রকৃতপক্ষে গীতার প্রথম ইংরেজী অনুবাদ করেন চার্লস উইলকিন্স ১৭৯৫ সালে।সেটা গীতার প্রথম ইংরেজী অনুবাদ,প্রথম গীতা নয়।
গীতার একটি বিখ্যাত উক্তি রয়েছে-
"ন হি জ্ঞানেন সদৃশং পবিত্রমিহ বিদ্যতে"
অর্থাত্ জ্ঞানের মত পবিত্র এই সংসারে আর কিছু নেই।তাই পিনাকী বাবুর মত অকালকুষ্মান্ডদের প্রতি আহ্বান,জ্ঞানের পেছনে ছুটুন,সস্তা জনপ্রিয়তার পেছনে নয়।
ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি
#অগ্নিবীর
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন