হিন্দু ধর্ম এতো প্রাচীন যে এর ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক থাকা স্বাভাবিক। তবে, মানব সভ্যতার উদ্ভব ও বিকাশের ধারক ও বাহক যে সনাতন ধর্ম এই কথা আমাদের স্বীকার করতেই হবে। কালস্রোতে হিন্দু রাজা-মহারাজা রাই একসময় এই ভারতবর্ষ শাসন করতো। কিন্তু, দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, ধর্মাচরন, ব্রাহ্মণ্যবাদ এবং অন্যান্য স্বার্থসিদ্ধির মোহে এদের মধ্য কোন ঐক্য ছিল
না। বরং বিবাদ ও কলহ প্রায় লেগেই থাকতো। আরাম আয়েশ ও ভোগ বিলাসের নিমিত্তে ব্রাহ্মণ ও বণিক শ্রেণিকে খুশি রাখতে গিয়ে তারা প্রজাদের সুখ দুঃখের কোন খবর রাখতো না।
চেঙ্গিসখান, কুবলাইখান ও হালাকুখানের বাহিনী যে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাতেও তাদের কোন বোধোদয় ঘটে নি। আর, এরপর তো পশ্চিমা দেশের মোগলরা এসে ক্ষমতাই কেড়ে নিয়ে গেল। একসময় আসলো সেন রাজাদের শাসন কাল। সেই সেন রাজাদের একজন বল্লালসেনই এই দেশে বর্তমান বর্ণভেদের বিষাক্তবীজ বপন করেছিলো। যার পরবর্তী বংশ ধর লক্ষনসেনের ভূমিকা বড়ই লজ্জাকর। এই বর্ণভেদ আজও আমাদেরকে দুর্বল করে রেখেছে। সেন রাজারা বাঙালি ছিল না। তবুও, বর্ণভেদ প্রথা চাপিয়ে দিয়ে বাঙ্গালীদের শাসন করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। এ তো গেল আমাদের পূর্ব পুরুষদের কথা।
আর, আজ আমরা অনেক চেষ্টা করছি হিন্দুদের মধ্য ধর্মীয় সচেতনতা বাড়ানোর জন্য। ফলে, হিন্দু ধর্মের প্রচার বা প্রসার কিছুটা হলেও এই বর্ণভেদ আমাদের রক্তে মিশে থাকার জন্য আমরা দুর্বলই থেকে যাচ্ছি। বর্ণভেদের পাশাপাশি আছে, তথাকতিত বিজ্ঞানবাদীদের অসীম যুক্তি। পৌরাণিক যুগে সমুদ্র মন্থনের সময় অমৃতের পাশাপাশি বিষও উঠেছিলো।
আজ বিজ্ঞানের বদৌলতে সুখ সাচ্ছন্দের পাশাপাশি যে বিষটি আমাদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে তা হল- ঈশ্বরে অবিশ্বাস। ঈশ্বরের বিরুদ্ধে আমাদের কত যুক্তি, কত জিজ্ঞাসা, কত প্রশ্ন; আজ আমরা বিষের জ্বালায় ছটফট করছি। মারাত্মক বিষ- “ঈশ্বর সত্ত্বায় অবিশ্বাস”। যারা ঈশ্বর মানেন না তাদের কত যুক্তি!! যদি বলা হয়, হরিদাস ঠাকুর দিনে ৩ লক্ষ বার কৃষ্ণ নাম করতো- এই কথা শুনে আজ আমরা ক্যালকুলেটর নিয়ে বসে যাই। এটা কিভাবে সম্ভব!! অথচ, আমরা দেখছি না এই কথাটার পিছনে ভগবানের প্রতি ভক্তের কতটুকু ভালোবাসা লুকিয়ে আছে। সত্যিই, আমরা অনেক যুক্তিবাদী।
আজ ধর্ম সম্পর্কে একটা পোস্ট দিলেই সমস্ত তথাকতিত বিজ্ঞানবাদীরা ছুটে আসে তাদের হাজারো যুক্তির থালা নিয়ে। বিজ্ঞানের আলোয় তারা এতটাই আলোকিত যে, মহাভারত, রামায়ন কে পর্যন্ত অস্বীকার করে। ফেসবুক এ বসে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ ঘোষণা, কোথায় ঈশ্বর?? comment এর পর comment, comment এর পর comment করেও তাদের বোঝানো যায় না যে, “ঈশ্বরকে দেখতে হলে চর্মচক্ষু নয়, জ্ঞানচক্ষু প্রয়োজন।”
অতীতের পূর্বপুরুষ ও বর্তমানের এই সব বর্ণবাদী ও বিজ্ঞানবাদী পুরুষদের জন্য আজ আমরা এক পা এগোচ্ছি তো দুই পা পিছিয়ে যাচ্ছি। তবুও, আশায় বুক বেঁধে থাকি একদিন সকল কুয়াশা ও অন্ধকার দূর হয়ে প্রকৃত সনাতন ধর্মের প্রতিষ্ঠা হবেই, হবে।
জয় সনাতন ধর্মের জয়।।
লিখেছেন জয় রায়
চেঙ্গিসখান, কুবলাইখান ও হালাকুখানের বাহিনী যে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাতেও তাদের কোন বোধোদয় ঘটে নি। আর, এরপর তো পশ্চিমা দেশের মোগলরা এসে ক্ষমতাই কেড়ে নিয়ে গেল। একসময় আসলো সেন রাজাদের শাসন কাল। সেই সেন রাজাদের একজন বল্লালসেনই এই দেশে বর্তমান বর্ণভেদের বিষাক্তবীজ বপন করেছিলো। যার পরবর্তী বংশ ধর লক্ষনসেনের ভূমিকা বড়ই লজ্জাকর। এই বর্ণভেদ আজও আমাদেরকে দুর্বল করে রেখেছে। সেন রাজারা বাঙালি ছিল না। তবুও, বর্ণভেদ প্রথা চাপিয়ে দিয়ে বাঙ্গালীদের শাসন করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। এ তো গেল আমাদের পূর্ব পুরুষদের কথা।
আর, আজ আমরা অনেক চেষ্টা করছি হিন্দুদের মধ্য ধর্মীয় সচেতনতা বাড়ানোর জন্য। ফলে, হিন্দু ধর্মের প্রচার বা প্রসার কিছুটা হলেও এই বর্ণভেদ আমাদের রক্তে মিশে থাকার জন্য আমরা দুর্বলই থেকে যাচ্ছি। বর্ণভেদের পাশাপাশি আছে, তথাকতিত বিজ্ঞানবাদীদের অসীম যুক্তি। পৌরাণিক যুগে সমুদ্র মন্থনের সময় অমৃতের পাশাপাশি বিষও উঠেছিলো।
আজ বিজ্ঞানের বদৌলতে সুখ সাচ্ছন্দের পাশাপাশি যে বিষটি আমাদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে তা হল- ঈশ্বরে অবিশ্বাস। ঈশ্বরের বিরুদ্ধে আমাদের কত যুক্তি, কত জিজ্ঞাসা, কত প্রশ্ন; আজ আমরা বিষের জ্বালায় ছটফট করছি। মারাত্মক বিষ- “ঈশ্বর সত্ত্বায় অবিশ্বাস”। যারা ঈশ্বর মানেন না তাদের কত যুক্তি!! যদি বলা হয়, হরিদাস ঠাকুর দিনে ৩ লক্ষ বার কৃষ্ণ নাম করতো- এই কথা শুনে আজ আমরা ক্যালকুলেটর নিয়ে বসে যাই। এটা কিভাবে সম্ভব!! অথচ, আমরা দেখছি না এই কথাটার পিছনে ভগবানের প্রতি ভক্তের কতটুকু ভালোবাসা লুকিয়ে আছে। সত্যিই, আমরা অনেক যুক্তিবাদী।
আজ ধর্ম সম্পর্কে একটা পোস্ট দিলেই সমস্ত তথাকতিত বিজ্ঞানবাদীরা ছুটে আসে তাদের হাজারো যুক্তির থালা নিয়ে। বিজ্ঞানের আলোয় তারা এতটাই আলোকিত যে, মহাভারত, রামায়ন কে পর্যন্ত অস্বীকার করে। ফেসবুক এ বসে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ ঘোষণা, কোথায় ঈশ্বর?? comment এর পর comment, comment এর পর comment করেও তাদের বোঝানো যায় না যে, “ঈশ্বরকে দেখতে হলে চর্মচক্ষু নয়, জ্ঞানচক্ষু প্রয়োজন।”
অতীতের পূর্বপুরুষ ও বর্তমানের এই সব বর্ণবাদী ও বিজ্ঞানবাদী পুরুষদের জন্য আজ আমরা এক পা এগোচ্ছি তো দুই পা পিছিয়ে যাচ্ছি। তবুও, আশায় বুক বেঁধে থাকি একদিন সকল কুয়াশা ও অন্ধকার দূর হয়ে প্রকৃত সনাতন ধর্মের প্রতিষ্ঠা হবেই, হবে।
জয় সনাতন ধর্মের জয়।।
লিখেছেন জয় রায়
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন