জগন্নাথ পুরীর আরেক নাম হল ‘শ্রীক্ষেত্র’ । শ্রী শব্দের অর্থ শ্রীদেবী বা লক্ষ্মীদেবী, যিনি ভগবান শ্রীবিষ্ণুর স্বরূপশক্তি । যে ভূমিখন্ড শ্রীশক্তির প্রভাবান্বিত, সেই ক্ষেত্র শ্রীক্ষেত্র নামে প্রসিদ্ধ ।
শ্রীদেবী শ্রীমতি রাধারাণীর অংশপ্রকাশ । যেসব ভক্তগণ মাধুর্যরসাশ্রিত, মাধুর্য রসে যারা ভগবানের আরাধনা করেন, তাদের মতানুসারে এ ক্ষেত্র সর্বোচ্চ স্তরে সেবাভাব প্রকটিত করেছেঃ মাধুর্য এবং ঔদার্য ।
শ্রীক্ষেত্র বা উৎকল ৪ ভাগে বিভক্ত, যা ভগবান বিষ্ণুর শ্রীহস্তধৃত ৪ টি অস্ত্রের দ্যোতক । এ ৪ ক্ষেত্র শঙ্খক্ষেত্র (পুরী শহর), পদ্মক্ষেত্র (কোণার্ক), চক্রক্ষেত্র (ভুবনেশ্বর) এবং গদাক্ষেত্র (যাজপুর) নামে খ্যাত । সমগ্র ক্ষেত্রমন্ডল দশ যোজন পরিধি বিশিষ্ট ।
ঐ দশ যোজন পরিধির মধ্যে অবস্থিত পুরী শঙ্খক্ষেত্র নামে বিদিত, কারণ পুরীর পরিধি শঙ্খের ন্যায় আকার-বিশিষ্ট । পুরীক্ষেত্র পাচ ক্রোশ পরিমাণ আয়তন বিশিষ্ট, এবং মধ্যে তিন ক্রোশ মহাসাগরের নীচে নিমজ্জিত, দুই ক্রোশ স্থলভূমি । পুরীর ভূভাগ স্বর্ণাভ বালুকারাশি দ্বারা আবৃত এবং এক নীলাভ পর্বত বা নীলাচল দ্বারা শোভিত । শ্রীক্ষেত্রের অন্তর্গত চারটি ক্ষেত্রের মধ্যে এ শঙ্খক্ষেত্র অত্যন্ত বিশিষ্ট, কেননা এখানে পরমপুরুষ ভগবান স্বয়ং মহাদধি বা মহাসাগরের তীরে নীল পর্বত, নীলাদ্রির উপরে তার অর্চা-বিগ্রহ স্বরূপে বিরাজ করছেন । ভগবান বলেছেন যে, এ স্থান অতি সংগুপ্ত, এমনকি ব্রহ্মার কাছেও ।
স্কন্দপুরানে লক্ষ্মীদেবী বলেছেন
পঞ্চক্রোশং ইদং ক্ষেত্রং সমুদ্রান্ত ব্যবস্থিতম্ ।
দ্বি ক্রোশং তীর্থ রাজস্য তটভূমৌ সুনির্মলম্ ।।
সুবর্ণবালুকাকীর্ণং নীল পর্বত শোভিতম্ ।
যোহসৌ বিশ্বেশ্বরো দেবঃ সাক্ষান্নারায়ণাত্মকম্ ।।
“এ ক্ষেত্র পঞ্চক্রোশ পরিমিত আয়তন বিশিষ্ট এবং সমুদ্রতীরে অবস্থিত । এই পঞ্চক্রোশের মধ্যে দ্বিক্রোশ পরিমিত স্থলভাগ সমুদ্রতট ভাগে অবস্থিত এবং সুনির্মল, অতি পবিত্র । এ স্থান স্বর্ণবর্ণ বালুকারাশি সমাবৃত এবং নীলপর্বত দ্বারা সুশোভিত । সাক্ষাৎ নারায়ণ এখানে বিশ্বেশ্বর রূপে বিরাজিত রয়েছেন ।”
এই শ্রী মন্দির বা জগন্নাথ মন্দির পাহারা দেওয়ার কাজ শিব ও হনুমানকে দিয়েছিল গত পোষ্টে আমরা কানপাতা হনুমানের কাহিনী বর্ণনা করেছিলাম আজকে আমরা আলোচনা করব বর্গী হনুমানের…
বর্গী হনুমান
জগন্নাথ মন্দিরের পশ্চিম দিকে লোকনাথ রোডে বর্গী হনুমান মন্দির অবস্থিত । পূর্বে বর্গীরা (মহারাষ্ট্রের এক জনজাতি) এই পথ দিয়ে ঘোড়ায় চড়ে যেত, এর ফলে শ্রীমন্দিরে ও পুরীর মানুষদের মধ্যে বিঘ্ন সৃষ্টি হত । এই বর্গীরা হনুমানের ভক্ত, সেজন্য তাদের পুরী প্রবেশ বন্ধ করতে এই অঞ্চলে একটি হনুমান মূর্তি মন্দিরে স্থাপন করা হয় ।
বর্গীরা হনুমান মূর্তি অতিক্রম করে যেতে অনিচ্ছুক ছিল, সেজন্য এইভাবে মহারাষ্ট্রের দুর্ধর্ষ বর্গীদের আক্রমণ থেকে পুরী রক্ষা পেয়েছিল ।
শ্রীদেবী শ্রীমতি রাধারাণীর অংশপ্রকাশ । যেসব ভক্তগণ মাধুর্যরসাশ্রিত, মাধুর্য রসে যারা ভগবানের আরাধনা করেন, তাদের মতানুসারে এ ক্ষেত্র সর্বোচ্চ স্তরে সেবাভাব প্রকটিত করেছেঃ মাধুর্য এবং ঔদার্য ।
শ্রীক্ষেত্র বা উৎকল ৪ ভাগে বিভক্ত, যা ভগবান বিষ্ণুর শ্রীহস্তধৃত ৪ টি অস্ত্রের দ্যোতক । এ ৪ ক্ষেত্র শঙ্খক্ষেত্র (পুরী শহর), পদ্মক্ষেত্র (কোণার্ক), চক্রক্ষেত্র (ভুবনেশ্বর) এবং গদাক্ষেত্র (যাজপুর) নামে খ্যাত । সমগ্র ক্ষেত্রমন্ডল দশ যোজন পরিধি বিশিষ্ট ।
ঐ দশ যোজন পরিধির মধ্যে অবস্থিত পুরী শঙ্খক্ষেত্র নামে বিদিত, কারণ পুরীর পরিধি শঙ্খের ন্যায় আকার-বিশিষ্ট । পুরীক্ষেত্র পাচ ক্রোশ পরিমাণ আয়তন বিশিষ্ট, এবং মধ্যে তিন ক্রোশ মহাসাগরের নীচে নিমজ্জিত, দুই ক্রোশ স্থলভূমি । পুরীর ভূভাগ স্বর্ণাভ বালুকারাশি দ্বারা আবৃত এবং এক নীলাভ পর্বত বা নীলাচল দ্বারা শোভিত । শ্রীক্ষেত্রের অন্তর্গত চারটি ক্ষেত্রের মধ্যে এ শঙ্খক্ষেত্র অত্যন্ত বিশিষ্ট, কেননা এখানে পরমপুরুষ ভগবান স্বয়ং মহাদধি বা মহাসাগরের তীরে নীল পর্বত, নীলাদ্রির উপরে তার অর্চা-বিগ্রহ স্বরূপে বিরাজ করছেন । ভগবান বলেছেন যে, এ স্থান অতি সংগুপ্ত, এমনকি ব্রহ্মার কাছেও ।
স্কন্দপুরানে লক্ষ্মীদেবী বলেছেন
পঞ্চক্রোশং ইদং ক্ষেত্রং সমুদ্রান্ত ব্যবস্থিতম্ ।
দ্বি ক্রোশং তীর্থ রাজস্য তটভূমৌ সুনির্মলম্ ।।
সুবর্ণবালুকাকীর্ণং নীল পর্বত শোভিতম্ ।
যোহসৌ বিশ্বেশ্বরো দেবঃ সাক্ষান্নারায়ণাত্মকম্ ।।
“এ ক্ষেত্র পঞ্চক্রোশ পরিমিত আয়তন বিশিষ্ট এবং সমুদ্রতীরে অবস্থিত । এই পঞ্চক্রোশের মধ্যে দ্বিক্রোশ পরিমিত স্থলভাগ সমুদ্রতট ভাগে অবস্থিত এবং সুনির্মল, অতি পবিত্র । এ স্থান স্বর্ণবর্ণ বালুকারাশি সমাবৃত এবং নীলপর্বত দ্বারা সুশোভিত । সাক্ষাৎ নারায়ণ এখানে বিশ্বেশ্বর রূপে বিরাজিত রয়েছেন ।”
এই শ্রী মন্দির বা জগন্নাথ মন্দির পাহারা দেওয়ার কাজ শিব ও হনুমানকে দিয়েছিল গত পোষ্টে আমরা কানপাতা হনুমানের কাহিনী বর্ণনা করেছিলাম আজকে আমরা আলোচনা করব বর্গী হনুমানের…
বর্গী হনুমান
জগন্নাথ মন্দিরের পশ্চিম দিকে লোকনাথ রোডে বর্গী হনুমান মন্দির অবস্থিত । পূর্বে বর্গীরা (মহারাষ্ট্রের এক জনজাতি) এই পথ দিয়ে ঘোড়ায় চড়ে যেত, এর ফলে শ্রীমন্দিরে ও পুরীর মানুষদের মধ্যে বিঘ্ন সৃষ্টি হত । এই বর্গীরা হনুমানের ভক্ত, সেজন্য তাদের পুরী প্রবেশ বন্ধ করতে এই অঞ্চলে একটি হনুমান মূর্তি মন্দিরে স্থাপন করা হয় ।
বর্গীরা হনুমান মূর্তি অতিক্রম করে যেতে অনিচ্ছুক ছিল, সেজন্য এইভাবে মহারাষ্ট্রের দুর্ধর্ষ বর্গীদের আক্রমণ থেকে পুরী রক্ষা পেয়েছিল ।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন