বৈদিক দর্শন অনুযায়ী বিবাহ প্রধানত ১০ ধরনের-
১) ব্রহ্ম বিবাহঃ সবচেয়ে পবিত্র ও প্রসিদ্ধ বিবাহ। এই বিবাহে কন্যার পিতা সৎ, চরিত্রবান, বুদ্ধিমান, বিদ্বান পাত্রকে আমন্ত্রন জানান, সালঙ্কারা কন্যাদান ও দক্ষিনার মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হয়।
২) দৈব বিবাহঃ এই বিবাহ পদ্ধতিতে পিতা নিরালঙ্কারা কন্যাকে যজ্ঞের অগ্নির সম্মুখে কোন সাধুসন্ন্যাসীকে দান করে।যদিও এটি প্রসংসনিও, কিন্তু এটি ব্রহ্ম বিবাহ অপেক্ষা নিম্ন।
৩) অর্শ বিবাহঃ বিভিন্ন ধর্মিয় আচার রীতি ( যজ্ঞ) করার উদ্দেশে পিতা কন্যার বিবাহ দেন গাভি ও ষাঁড়ের বিনিময়ে।
৪) প্রজাপত্য বিবাহঃ যখন পাত্র, কন্যার পানিপ্রার্থি হয়, তখম কন্যার পিতা এই শর্তে বিবাহে সম্মতি দেন যে “ তোমরা সর্বদা ধর্ম, কর্ম ও কর্তব্যের পথে চলবে।“
৫) অসুর বিবাহঃ কন্যার পিতাকে পন/যৌতুক প্রদান করে পাত্র যদি বিবাহ করে তাকে অসুর বিবাহ বলে।
৬) গন্ধর্ব বিবাহঃ কন্যার সম্মতিতে বিবাহের পুর্বে সহবাস করাকে গন্ধর্ব বিবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি অতি নিম্ন প্রকার বিবাহ, কারন এখানে কামতৃপ্তি মুখ্য বিষয় থাকে।
৭) রাক্ষস বিবাহঃ আত্মীয় পরিজন দের মারধর করে, ক্রন্দনরতা কন্যাকে জোরপুর্বক অপহরন করে যে বিবাহ করা হয়।
৮) পৈশাচ বিবাহঃ ঘুমন্ত, অচেতন, মানসিক ভাবে অসুস্থ কন্যাকে ধর্ষন করলে।
৯) অনুলোম বিবাহঃ উচ্চবর্নের পুরুষ যদি নিম্নবর্নের নারী বিবাহ করে।
১০) প্রতিলোম বিবাহঃ নিম্নবর্নের পুরুষ যদি উচ্চবর্নের নারী বিবাহ করে।
৯ ও ১০ এর বংশধর অনুলোম প্রতিলোম প্রজাতি বিবেচিত হয়।
প্রকৃত অর্থে ধর্ম অনুযায়ী অনুলোম প্রতিলোম বিবাহ স্বীকৃত নয়, যদিও সকল সন্তানই ভগবানের সৃষ্টি। শুক্রাচার্যের একনিষ্ঠ শিষ্য ছিলেন সূত। তার মা ছিল ক্ষত্রিয়, পিতা ব্রাহ্মন। সূত গীতা, পুরান সহ নানা গ্রন্থবিশারদ ছিলেন, কিন্তু নিজের অনুলোম জন্মহেতু নিজেকে শূদ্র বলে পরিচয় দিতেন।
অন্যান্য প্রকারভেদ-
* সমন্ধম বিবাহঃ ভারতের কেরালায় মাতৃতান্ত্রিক সমাজে এই রকম বিবাহ দেখা যায়।
* সয়ম্ভর বিবাহঃ কন্যা নিজের পছন্দ অনুযায়ী বর নির্বাচন করে থাকে।
* পনবিবাহঃ কোন প্রতিযগিতা আয়জনের মাধ্যমে বিজয়ী পাত্রকে বর হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
* প্রেম বিবাহঃ পাত্র পাত্রির প্রেমের পরিনতি হিসেবে যে বিবাহ হয়ে থাকে।
* সেবা বিবাহঃ কোন কোন উপজাতিতে এরকম নিয়ম আছে যে, পাত্র যদি বিবাহের খরচ উঠাতে অসমর্থ হয়, তবে তাকে কন্যার গৃহে কাজ করে অর্থ উপার্জন করে কন্যার পানিপ্রার্থনা করতে হয়।
* বিনিময় বিবাহঃ পাত্র/পাত্রি যদি অসচ্ছল/পঙ্গু হয়, তবে তার /ভাইবোনের সাথে পাত্রী/পাত্রের ভাইবোনের বিবাহ প্রথা কে বিনিময় বিবাহ বলে।
তবে সকল বিবাহের মধ্যে ব্রহ্ম বিবাহ সর্বতকৃষ্ট।
• courtesy : www.hindujagruti.org & sulaksana susmita
১) ব্রহ্ম বিবাহঃ সবচেয়ে পবিত্র ও প্রসিদ্ধ বিবাহ। এই বিবাহে কন্যার পিতা সৎ, চরিত্রবান, বুদ্ধিমান, বিদ্বান পাত্রকে আমন্ত্রন জানান, সালঙ্কারা কন্যাদান ও দক্ষিনার মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হয়।
২) দৈব বিবাহঃ এই বিবাহ পদ্ধতিতে পিতা নিরালঙ্কারা কন্যাকে যজ্ঞের অগ্নির সম্মুখে কোন সাধুসন্ন্যাসীকে দান করে।যদিও এটি প্রসংসনিও, কিন্তু এটি ব্রহ্ম বিবাহ অপেক্ষা নিম্ন।
৩) অর্শ বিবাহঃ বিভিন্ন ধর্মিয় আচার রীতি ( যজ্ঞ) করার উদ্দেশে পিতা কন্যার বিবাহ দেন গাভি ও ষাঁড়ের বিনিময়ে।
৪) প্রজাপত্য বিবাহঃ যখন পাত্র, কন্যার পানিপ্রার্থি হয়, তখম কন্যার পিতা এই শর্তে বিবাহে সম্মতি দেন যে “ তোমরা সর্বদা ধর্ম, কর্ম ও কর্তব্যের পথে চলবে।“
৫) অসুর বিবাহঃ কন্যার পিতাকে পন/যৌতুক প্রদান করে পাত্র যদি বিবাহ করে তাকে অসুর বিবাহ বলে।
৬) গন্ধর্ব বিবাহঃ কন্যার সম্মতিতে বিবাহের পুর্বে সহবাস করাকে গন্ধর্ব বিবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি অতি নিম্ন প্রকার বিবাহ, কারন এখানে কামতৃপ্তি মুখ্য বিষয় থাকে।
৭) রাক্ষস বিবাহঃ আত্মীয় পরিজন দের মারধর করে, ক্রন্দনরতা কন্যাকে জোরপুর্বক অপহরন করে যে বিবাহ করা হয়।
৮) পৈশাচ বিবাহঃ ঘুমন্ত, অচেতন, মানসিক ভাবে অসুস্থ কন্যাকে ধর্ষন করলে।
৯) অনুলোম বিবাহঃ উচ্চবর্নের পুরুষ যদি নিম্নবর্নের নারী বিবাহ করে।
১০) প্রতিলোম বিবাহঃ নিম্নবর্নের পুরুষ যদি উচ্চবর্নের নারী বিবাহ করে।
৯ ও ১০ এর বংশধর অনুলোম প্রতিলোম প্রজাতি বিবেচিত হয়।
প্রকৃত অর্থে ধর্ম অনুযায়ী অনুলোম প্রতিলোম বিবাহ স্বীকৃত নয়, যদিও সকল সন্তানই ভগবানের সৃষ্টি। শুক্রাচার্যের একনিষ্ঠ শিষ্য ছিলেন সূত। তার মা ছিল ক্ষত্রিয়, পিতা ব্রাহ্মন। সূত গীতা, পুরান সহ নানা গ্রন্থবিশারদ ছিলেন, কিন্তু নিজের অনুলোম জন্মহেতু নিজেকে শূদ্র বলে পরিচয় দিতেন।
অন্যান্য প্রকারভেদ-
* সমন্ধম বিবাহঃ ভারতের কেরালায় মাতৃতান্ত্রিক সমাজে এই রকম বিবাহ দেখা যায়।
* সয়ম্ভর বিবাহঃ কন্যা নিজের পছন্দ অনুযায়ী বর নির্বাচন করে থাকে।
* পনবিবাহঃ কোন প্রতিযগিতা আয়জনের মাধ্যমে বিজয়ী পাত্রকে বর হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
* প্রেম বিবাহঃ পাত্র পাত্রির প্রেমের পরিনতি হিসেবে যে বিবাহ হয়ে থাকে।
* সেবা বিবাহঃ কোন কোন উপজাতিতে এরকম নিয়ম আছে যে, পাত্র যদি বিবাহের খরচ উঠাতে অসমর্থ হয়, তবে তাকে কন্যার গৃহে কাজ করে অর্থ উপার্জন করে কন্যার পানিপ্রার্থনা করতে হয়।
* বিনিময় বিবাহঃ পাত্র/পাত্রি যদি অসচ্ছল/পঙ্গু হয়, তবে তার /ভাইবোনের সাথে পাত্রী/পাত্রের ভাইবোনের বিবাহ প্রথা কে বিনিময় বিবাহ বলে।
তবে সকল বিবাহের মধ্যে ব্রহ্ম বিবাহ সর্বতকৃষ্ট।
• courtesy : www.hindujagruti.org & sulaksana susmita
1 Comments:
ভাল পোস্ট । অনেক ধন্যবাদ। আমি লেখাটি কপি করতে চাইছি। পারছি না কেন?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন