অবশ্যই করতেন।মহাত্মা শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন তাঁর জীবনাচরণে আর্যত্বের মূর্ত প্রতীক আর তাই তিনি পবিত্র বেদ নির্দেশিত নিয়মে প্রতিদিন সান্ধ্য প্রার্থনা(সন্ধিকালীন সময়ের অর্থাৎ ভোরে ও সন্ধ্যায় যে প্রার্থনা যা বেদে নির্দেশিত) করতেন।মহাভারত অনুযায়ী তিনি প্রতিদিন ব্রাহ্ম মুহূর্তে শয্যা ত্যাগ করতেন এবং উপাসনা ও গায়ত্রী মন্ত্র জপ করতেন।এমনকি জীবনের সবচেয়ে বিপদের,দুঃখের মুহূর্তেও তিনি কখনো বৈদিক উপাসনার কথা ভুলেননি।
মহাভারত এর উদ্যোগ পর্বের একাদশ অধ্যায়ে,হস্তিনাপুরগমন পর্বাধ্যায়ে দেখা যায় শ্রীকৃষ্ণ যুদ্ধ থামানোর উদ্দেশ্যে কৌরবদের সাথে দেখা করতে হস্তিনাপুর যাচ্ছিলেন।পথিমধ্যে সন্ধ্যা হয়ে গেলে তিনি রথ থামান এবং পথেই সান্ধ্যউপাসনা করেন।
দ্রোণপর্বে যেদিন অভিমন্যু মারা যান সেদিন কৌরব শিবিরে শোকের মাতম।সেদিন ও তিনি সন্ধ্যা হওয়া মাত্রই অর্জুনকে প্রার্থনা করতে ডাকেন এবং দুজন একসাথে প্রার্থনা সম্পন্ন করেন।এছাড়া মহাভারতে পাওয়া যায় শ্রীকৃষ্ণ যেকোন স্থানে যাত্রাকালে বা যেকোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করার আগে যজ্ঞ,অগ্নিহোত্র করে নিতেন।গীতাতেও তিনি অর্জুনের কাছে ওঁ জপ এর কথা বলে গেছেন।
আজ আমরা,এই মহাত্মার উত্তরসুরীরা তাঁর সেই পথচলা অনুসরন করছি কি?
1 Comments:
নমো নারায়ণায়।
লেখাটা বোধ করি একটু ঠিক করে নিতে হবে।-
দ্রোণ পর্বে যেদিন অভিমন্যু মারা যান, সেদিন 'পাণ্ডব' শিবিরে শোকের ছায়া ছিল, 'কৌরব' শিবিরে নয়।
ধন্যবাদ। নমো নারায়ণায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন