ধর্ম, সনাতন না বৈদিক - এ বিষয়ে একটু কথা?
বর্তমান সময়ে পৃথিবীর আদিমত ধর্মমত গুলির অন্যতম একটি ধর্মমতকে কখনো হিন্দুধর্ম, সনাতনধর্ম ও বৈদিকধর্ম ইত্যাদি নামে অভিহিত করা হয়। এনিয়ে মাঝে মাঝে অনেক যুবকই বিভ্রান্তিতে পড়ে থাকেন। সঙ্গতঃ কারণেই বিভ্রান্তি এসব যুবকদের মাথায় আসে। এজন্য এলেখাটি লিখতে ইচ্ছে হল। লেখাটি শতভাগ খাটি করার জন্য অতি অল্প লেখায় সূত্র প্রয়োগ করা সম্ভব হয়নি। তথাপি ধয্য ধরে পড়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
বর্তমান সময়ে পৃথিবীর আদিমত ধর্মমত গুলির অন্যতম একটি ধর্মমতকে কখনো হিন্দুধর্ম, সনাতনধর্ম ও বৈদিকধর্ম ইত্যাদি নামে অভিহিত করা হয়। এনিয়ে মাঝে মাঝে অনেক যুবকই বিভ্রান্তিতে পড়ে থাকেন। সঙ্গতঃ কারণেই বিভ্রান্তি এসব যুবকদের মাথায় আসে। এজন্য এলেখাটি লিখতে ইচ্ছে হল। লেখাটি শতভাগ খাটি করার জন্য অতি অল্প লেখায় সূত্র প্রয়োগ করা সম্ভব হয়নি। তথাপি ধয্য ধরে পড়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
আসলে কোনটা ঠিক, হিন্দুধর্ম, সনাতনধর্ম না
বৈদিকধর্ম? না সব গুলোই? এবিষয়ে আমার ধারণা গুলি উপত্থাপন করছি।
বর্তমান হিন্দুধর্মানুসারীদের প্রাচীন ধর্মীয়
গ্রন্থ গুলির মধ্যে ৪টি বেদ, ৫২টি পুরান ও
২৬টি উপপুরান আছে। আছে উপনিষদ। এছাড়াও আধুনিক বিশ্বের উপযোগী
চমৎকার একটি দর্শণ শাস্ত্র আছে যেটি প্রায়
প্রতিটি হিন্দুর ঘরে লাল কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় শোভাপায়। আর সেটি হলো হলো শ্রীশ্রীগীতা।
মূলতঃ শ্রীশ্রী গীতা মহাপুরান গুলোর অন্যতম মহাভারতের অর্ন্তগত শ্রীকৃঞ্ঞ ও অর্জুনের কথোপকথনের উপর ভিত্তি করে
সংকলন করা একটি গ্রন্থ বিশেষ। এটিতে কয়েকটি চরিত্র আছে, যাদের কথোপকথনে
এতোই উচ্চমানের গভীর দর্শণ আছে যে, আধুনিক বিশ্বের মোড়ল ইংল্যান্ডর
রয়্যাল স্কুল-কলেজ সহ ও
বিশ্বের কিছু কিছু
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম দর্শন শাস্ত্র হিসাবে
পাঠ্য হিসাবে অন্তভূক্ত হয়েছে।
এর একটি নিগূঢ়কারণ আছে। কারণটি হল - শ্রীশ্রী গীতা ৭০০টি শ্লোক ১৮টি সন্নিবেশিত
একটি অন্যতম গ্রন্থ, যেটি কোন বিশেষ গোষ্টির
পক্ষে বক্তব্য না রেখে
পৃথিবীর সকল বর্ণের মানুষের কথা বলা হয়েছে। একারণে মূলতঃ ইংল্যান্ডর রয়্যাল স্কুল-কলেজ ও বিশ্বের কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম দর্শনশাস্ত্র হিসাবে শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক ভাবে
পাঠ্য করা হয়েছে। যদি শ্রীগীতার বক্তব্যে সার্বজনীনতা না থাকতো, যদি শুধুমাত্র হিন্দুহিন্দু শব্দটি উল্লেখ করা হতো, তাহলে যত উন্নতমানেরই হোক না কেন, ইংল্যান্ড ও আমেরিকার স্কুল কলেজের পাঠ্য হিসাবে স্থান পেত কি না যথেষ্ট
সন্দেহের কারন আছে।
একজন যুবকের প্রশ্ন ছিলো প্রচলিত ধর্মটি প্রকৃত
অর্থে হিন্দুধর্ম ও
সনাতনধর্ম হবে এবিষয়ে। মজার বিষয় হলো আমরা সবাই সকলেই কম বেশী কখনো হিন্দু, কখনো সনাতন আবার কথনো বৈদিক ধর্মানুসারী নামে নিজেদের পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। তবে
বিস্ময়ের ব্যাপার হলো হিন্দুদের ৪টি বেদ, ৫২টি পুরান, ২৬ উপপুরান, উপনিষদ ও উপনিষদ
গুলির নির্যাস হিসাবে শ্রীগীতায় কখনো (১)
হিন্দুধর্ম, (২) সনাতন ধর্ম (৩) বৈদিকধর্ম - এতিনটি শব্দের একটিও নেই। সঙ্গতঃ কারনে
প্রশ্ন আসে তাহলে আমরা কি?
একটু গভীর গেলে লক্ষ্য করবেন, আমাদের সকল ধর্মশাস্ত্র গুলোতে দুটি শব্দের উপস্থিতি খুব বেশী লক্ষ্য করা যায়। শব্দ গুটি হলো (১) জীব, অন্যটি (২) জড়। আমরা মানুরা জড় নই, জীবের অংশে পড়ি। জীবের জীবনধারনের জন্য নিম্নোল্লিখিত চারটি জিনিষের প্রয়োজন হয় খুব মারাত্বক ভাবে। সেগুলি হলোঃ- (১) খাদ্য(Diet) -যেটি প্রতিদিন পর্যান্ত না পেলে যেকোন জীবের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। (২) বিশ্রাম(Sleep) - এটি সুস্থ থাকার সাথে সম্পৃক্ত, পর্যাপ্ত বিশ্রাম বা ঘুম না হলে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। (৩) ভয়(fear) ও - খাদ্য শৃঙ্খল ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা বা ভয়, অন্যান্যদের হাতে আক্রান্ত হবার ভয় ইত্যাদি ভয় জীবের জীবনাচরের অন্যতম অংশ। (৪) মৈথুন - এটি জীবনে আনন্দ উপভোগ এবং বংশগতি বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত, যেটিকে ইংরেজীতে সেক্স, বিশুদ্ধ বাংলায় কাম বলা হয়।
সুতরাং এচারটি চাহিদা সকল জীবের আছে এবং যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন প্রয়োজন হতে পারে। তবে উপরোক্ত চারটি বিষয় উপভোগকারীদের মধ্যে আরো দশটি আলাদা লক্ষন জীবের আছে, যেগুলি কেবল মানুষই অনায়াসে রপ্ত করতে পারেন বলে মানুষকে অন্য সকল জীব থেকে আলাদা সত্বার অধিকারী ও সভ্য করেছে। ঐদশটি লক্ষন মনুসংহিতা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলি হলো - (১) সহিষ্ঞুতা, (২) ক্ষমা, (৩)দয়া, (৩) চুরি না করা, (৪) শুচিতা, (৫) ইন্দ্রিয় সংযম, (৬) জ্ঞান, (৭) সত্য (৮) ক্রোধহীনতা ইত্যাদি। সুতরাং জীব থেকে মানুষ হতে গেলে অবশ্যই উপরোক্ত দশটি গুন ধারণ করতে হবে, যেগুলি উন্নত প্রশিক্ষনের মাধ্যমেও মানুষ ব্যতিত অন্যকোন জীব বা প্রাণীর পক্ষে ধারণ করা সম্ভব নয়।
এখন আসা যাক, ধর্ম কী? ধারণ করা শব্দ থেকে ধর্ম শব্দটি এসেছে বলে অনেকে মনে করে থাকেন। সুতরাং মানুষ ধারণ করবে মনুষ্যত্ব। আর মনুষ্যত্ব নির্ভর করে মনুসংহিতায় উল্লিখিত উপরোক্ত গুন গুলির উপর। মানুষের মধ্যে যিনি উপরোল্লিখিত গুন গুলি বেশী ধারণ করেন বা যার মধ্যে এগুলোর খুব বেশী বাবে প্রকাশিত হতে দেখা যায়, তাকে সচরাচর ভাল মানুষ, ধার্মিক বলে বিবেচনা করা যায়। আমরা সাধারণতঃ নিজের অজান্তে ঐব্যক্তিকে ধার্মিক ও ধর্ম পালন করছেন বলে মনে করি। তথাপি আমরা পোষাকধারী বা লেবাসধারী কিছু কিছু ব্যক্তিদেরকেও ধার্মিক বলে সম্মান করি। মূলতঃ আমাদের চারপাশের পোষাক বা লেবাসধারী এসব মানুষরা উপরোক্ত গুন গুলি ধারণ করবেন বলে ধারনা থেকে তাদের প্রতি আমাদের সম্মানবোধ গুলি ভিতর থেকে আসে। তবে যদি ঐসব মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্বে গুন বির্বজিত আচরণ আমরা লক্ষ্য করি তাহলে আরো একটি শব্দ ব্যবহার করি। আর তাহলো ধর্মান্ধ। চরম ধর্মান্ধতা হলো, যেখানে মনুষ্যত্বে সংজ্ঞা বিবর্জিত গোষ্টিভিত্তিক চিন্তা থেকে ধারণ করা সংকীর্ণতা ব্যক্তিবা গোষ্টির স্বার্থের প্রয়োজনে ইচ্ছামত ব্যবহার করা যায় এমন একটি অস্ত্র। সুতরাং কথিত ধার্মিক ও প্রকৃত ধার্মিক এর মধ্যে বহু তফাৎ আছে এটি বুদ্ধি ভিত্তিক চিন্তাশীলদের থাকা উচিত।
একটু গভীর গেলে লক্ষ্য করবেন, আমাদের সকল ধর্মশাস্ত্র গুলোতে দুটি শব্দের উপস্থিতি খুব বেশী লক্ষ্য করা যায়। শব্দ গুটি হলো (১) জীব, অন্যটি (২) জড়। আমরা মানুরা জড় নই, জীবের অংশে পড়ি। জীবের জীবনধারনের জন্য নিম্নোল্লিখিত চারটি জিনিষের প্রয়োজন হয় খুব মারাত্বক ভাবে। সেগুলি হলোঃ- (১) খাদ্য(Diet) -যেটি প্রতিদিন পর্যান্ত না পেলে যেকোন জীবের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। (২) বিশ্রাম(Sleep) - এটি সুস্থ থাকার সাথে সম্পৃক্ত, পর্যাপ্ত বিশ্রাম বা ঘুম না হলে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। (৩) ভয়(fear) ও - খাদ্য শৃঙ্খল ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা বা ভয়, অন্যান্যদের হাতে আক্রান্ত হবার ভয় ইত্যাদি ভয় জীবের জীবনাচরের অন্যতম অংশ। (৪) মৈথুন - এটি জীবনে আনন্দ উপভোগ এবং বংশগতি বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত, যেটিকে ইংরেজীতে সেক্স, বিশুদ্ধ বাংলায় কাম বলা হয়।
সুতরাং এচারটি চাহিদা সকল জীবের আছে এবং যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন প্রয়োজন হতে পারে। তবে উপরোক্ত চারটি বিষয় উপভোগকারীদের মধ্যে আরো দশটি আলাদা লক্ষন জীবের আছে, যেগুলি কেবল মানুষই অনায়াসে রপ্ত করতে পারেন বলে মানুষকে অন্য সকল জীব থেকে আলাদা সত্বার অধিকারী ও সভ্য করেছে। ঐদশটি লক্ষন মনুসংহিতা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলি হলো - (১) সহিষ্ঞুতা, (২) ক্ষমা, (৩)দয়া, (৩) চুরি না করা, (৪) শুচিতা, (৫) ইন্দ্রিয় সংযম, (৬) জ্ঞান, (৭) সত্য (৮) ক্রোধহীনতা ইত্যাদি। সুতরাং জীব থেকে মানুষ হতে গেলে অবশ্যই উপরোক্ত দশটি গুন ধারণ করতে হবে, যেগুলি উন্নত প্রশিক্ষনের মাধ্যমেও মানুষ ব্যতিত অন্যকোন জীব বা প্রাণীর পক্ষে ধারণ করা সম্ভব নয়।
এখন আসা যাক, ধর্ম কী? ধারণ করা শব্দ থেকে ধর্ম শব্দটি এসেছে বলে অনেকে মনে করে থাকেন। সুতরাং মানুষ ধারণ করবে মনুষ্যত্ব। আর মনুষ্যত্ব নির্ভর করে মনুসংহিতায় উল্লিখিত উপরোক্ত গুন গুলির উপর। মানুষের মধ্যে যিনি উপরোল্লিখিত গুন গুলি বেশী ধারণ করেন বা যার মধ্যে এগুলোর খুব বেশী বাবে প্রকাশিত হতে দেখা যায়, তাকে সচরাচর ভাল মানুষ, ধার্মিক বলে বিবেচনা করা যায়। আমরা সাধারণতঃ নিজের অজান্তে ঐব্যক্তিকে ধার্মিক ও ধর্ম পালন করছেন বলে মনে করি। তথাপি আমরা পোষাকধারী বা লেবাসধারী কিছু কিছু ব্যক্তিদেরকেও ধার্মিক বলে সম্মান করি। মূলতঃ আমাদের চারপাশের পোষাক বা লেবাসধারী এসব মানুষরা উপরোক্ত গুন গুলি ধারণ করবেন বলে ধারনা থেকে তাদের প্রতি আমাদের সম্মানবোধ গুলি ভিতর থেকে আসে। তবে যদি ঐসব মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্বে গুন বির্বজিত আচরণ আমরা লক্ষ্য করি তাহলে আরো একটি শব্দ ব্যবহার করি। আর তাহলো ধর্মান্ধ। চরম ধর্মান্ধতা হলো, যেখানে মনুষ্যত্বে সংজ্ঞা বিবর্জিত গোষ্টিভিত্তিক চিন্তা থেকে ধারণ করা সংকীর্ণতা ব্যক্তিবা গোষ্টির স্বার্থের প্রয়োজনে ইচ্ছামত ব্যবহার করা যায় এমন একটি অস্ত্র। সুতরাং কথিত ধার্মিক ও প্রকৃত ধার্মিক এর মধ্যে বহু তফাৎ আছে এটি বুদ্ধি ভিত্তিক চিন্তাশীলদের থাকা উচিত।
সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই - এথেকে বুঝা যায়, জীব জগতে মানুষ এক। তথাপি যুগে যুগে বহু নামে বহু মত-পথ ও ধর্মের আগমন ঘটেটে। এগুলোই
মূলতঃ ধর্ম নামে পরিচিতি লাভ করেছে। যা আসলে এগুলো কালে কালে মানুষ্য কর্তৃক সৃষ্ট বিভাজিত বহু মাত্রিক সমাজ
ব্যবস্থার এক এক একটি ক্ষুদ্র কিংবা বৃহৎ গোষ্ঠির পূণাঙ্গ পরিচিত মাত্র।
আমাদের (মানুষের) পূর্বপূরুষ আর্য ঋষিরা তপস্যাররত থাকতো সৃষ্টির কল্যানের
জন্য, যেমনটি আজকের গবেষকরা
গবেষনা করে থাকেন। তবে পার্থক্য হলো আজকের গবেষকরা অর্থ ও যশের জন্য গবেষনা করে থাকেন। আর আমাদের আর্যঋষিরা
নাম যশ অর্থ উপার্জনের জন্য
তপস্যা করতো না। বরং করতো মানব ও জগতের কল্যান কামনায়। আর্যঋষিদের ক্ষমতা ও লোক গ্রহনযোগ্যতা দেখে অনেক হিংসুটে
কুটিল মানুষ ভন্ডঋষি সেজে
নিজের মত মনগড়া মতবাদ ও চমৎকারিত্ব প্রদর্শন করে মানুষকে আকৃষ্ট করেছেন ধর্মের নামে। এভাবে সমাজ বিভাজিত হয়ে বহু মত
বা পথেরে জন্ম নিয়েছে।
এককালে ভারত বর্ষ ছিলো উন্নত দেশ। পৃথিবীর অন্যান্য অংশের মানুষ উপমহাদেশ তথা আজকের ভারতবর্ষের বাইর থেকে আসতো, যেমনটি বর্তমানে এদেশ থেকে ইউরোপ বা আমেরিয়ায় যায়। বিভিন্ন শত্রুদেশ ভারতবর্ষকে আক্রমের জন্য সমুদ্র উপকূল ব্যবহার করতো, সিন্দু অঞ্চল ছিলো সেরমন এটা অঞ্চল। এসব বহিরাগতরা সেময় সময় সিন্ধুর বাসিন্দাদেরকে পরিচিত করাতো সিন্দি, হিন্দি শব্দ ব্যবহার করে, যেটি কালক্রমে হিন্দুতে পরিবর্তিত হয়ে খ্যাতি লাভ করেছে।মূলতঃ এঅঞ্চলের আদি বাসিন্দাদের বুঝাতেই এগুলো ব্যবহার করা হতো। কালক্রমে ঐ সকল শব্দ পরিবর্তিত হয়ে হিন্দু শব্দের সাথে আমরা পরিচিত হই। এরপর একসময় আমরা নিজেরাই নিজেদেরকেপরিচয় করানো জন্য হিন্দু নামে পরিচয় দিতে শুরু করি।
এককালে ভারত বর্ষ ছিলো উন্নত দেশ। পৃথিবীর অন্যান্য অংশের মানুষ উপমহাদেশ তথা আজকের ভারতবর্ষের বাইর থেকে আসতো, যেমনটি বর্তমানে এদেশ থেকে ইউরোপ বা আমেরিয়ায় যায়। বিভিন্ন শত্রুদেশ ভারতবর্ষকে আক্রমের জন্য সমুদ্র উপকূল ব্যবহার করতো, সিন্দু অঞ্চল ছিলো সেরমন এটা অঞ্চল। এসব বহিরাগতরা সেময় সময় সিন্ধুর বাসিন্দাদেরকে পরিচিত করাতো সিন্দি, হিন্দি শব্দ ব্যবহার করে, যেটি কালক্রমে হিন্দুতে পরিবর্তিত হয়ে খ্যাতি লাভ করেছে।মূলতঃ এঅঞ্চলের আদি বাসিন্দাদের বুঝাতেই এগুলো ব্যবহার করা হতো। কালক্রমে ঐ সকল শব্দ পরিবর্তিত হয়ে হিন্দু শব্দের সাথে আমরা পরিচিত হই। এরপর একসময় আমরা নিজেরাই নিজেদেরকেপরিচয় করানো জন্য হিন্দু নামে পরিচয় দিতে শুরু করি।
সনাতন ও বৈদিক? সনাতন শব্দের অর্থ হলো স্বাশত, চিরন্তন, অতিপুরাতন
ইত্যাদি। পূর্বজ অনেক ঋষি পন্ডিতদের মাধ্যমে সৃষ্টির আদি থেকে তিল তিল করে সিভিলাইজ হওয়া মানুষের ধারণ করা
পদ্ধতিকে মূলতঃ সনাতনধর্ম বলা হয়। যেপদ্ধতি গুলি অনন্তকাল অবদি বহমান থাকবে সেগুলিই সনাতন। আর বৈদিকধর্ম ধারণার
ব্যাপারটাও অনেকটা সেরকম। আবার অন্যভাবেও কথাটি দেখা যেতে পারে। তাহলো সম্ভবতঃ পৃথিবীর সবচেয়ে অতি পুরাতন
ধর্মশাস্ত্র, নীতিশাস্ত্র, অর্থশাস্ত্র, চিকিৎসা শাস্ত্র হলো বেদগ্রন্থ গুলি। আর অতি পুরাতন গ্রন্থ বেদানুসারে আমরা পরিচালিত হই বলেই আমাদের
ধর্মাচারের পন্থাগুলিকে
ধর্মকে বৈদিক ধর্ম বলা হয়ে থাকতে পারে।
কৃতজ্ঞতাঃ অরুন মজুমদার
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন