সকল অনিষ্ঠের মূল কারণ দূর্বলতা।।এইটা ভাবা যে আমরা দূর্বল,অতি দূর্বল। আমাদের এখন আবশ্যক উপনিষদের সেই শাশ্বত বাণী স্মরণ করা,”অভীঃ”-ভয়শুন্য হও।।এখন আবশ্যক ক্ষত্রিয়তেজ ও ব্রহ্মজ্ঞান।।
শূরগ্রামঃ সর্ববীরঃ সহাবাঞ্জেতা পবস্ব সনিতা ধনানি।তিগ্মায়ুধঃ ক্ষিপ্রধন্বা সমৎ স্বষাঢ়ঃ সাহ্বান পৃতনাসু শত্রুন।। (ঋগ্বেদ, ৯/৯০/৩)
যিনি শৌর্য্য বীর্য্যাদি ক্ষাত্রগুণযুক্ত,সহন শক্তি সম্পন্ন বিজয়শালী,ধনের যোগ্য বিভাজক,ভীষণ শস্ত্রাস্ত্রধারী,ধনুর্বিদ্যা বিশারদ, যুদ্ধে শত্রুদলন কারী এবং বৈরীর প্রতিদ্বন্দ্বী তাহাকে সর্বতোভাবে বীর বলা যায়।হে প্রভো,এই সব গুণ দ্বারা আমাকে পবিত্র কর।
উপনিষদ বলছে,”হে মানব,তেজসী হও, দূর্বলতা পরিত্যাগ কর।।তুমি আত্মা,তরবারি তোমাকে ছেদন করতে পারেনা,অগ্নি তোমাকে দগ্ধ করতে পারেনা,বায়ু শুষ্ক করতে পারে না,তুমি শক্তিমান,তুমি চৈতন্যসরূপ,অজ ও অব্যয়।।তোমার না জন্ম হয়েছে না মৃত্যু হবে।।“ইহাই প্রকৃত তেজ ও সাহস।।
“ন বিভেতি রণাদ্ যো বৈ সংগ্রামেহপ্যপরাঙ্মুখঃ।
ধর্মযুদ্ধে মৃতো বাপি তেন লোকত্রয়ং জিতম্।।“মহানির্বানতন্ত্র ৮/৬৭
যিনি ধর্ম যুদ্ধে ভয় পান না,যিনি সংগ্রামে অপরাঙ্মুখ ,যিনি ধর্ম যুদ্ধে মৃত হন,তিনি ত্রিভুবন জয় করেন।যদি স্বপরিবার,স্বধর্ম,স্বদেশের জন্য গৃহস্থের মৃত্যু হয়-তাহলে যোগিগণ ধ্যানের দ্বারা যে পদ লাভ করেন,তিনিও সেপদ লাভ করে থাকেন।
গীতাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মহাবীর অর্জুনকে সকল দূর্বলতা ও ভয় পরিত্যাগের কথা বলেছেন।।ভয় থেকেই সমস্ত পাপের সৃষ্টি।।
অসৌ যস্তাম্রো অরুণঃ
উত বভ্রুঃ সুমঙ্গলঃ।
যে চৈনং রুদ্রা অভিতো দিক্ষু শ্রিতাঃ
সহস্রশোহবৈষাং হেড ঈমহে।।(শুক্লযজুর্বেদ সংহিতা, ষোড়শ অধ্যায়, মন্ত্র ৬)
মঙ্গলময় ঐ আদিত্যরুপী ভগবান রুদ্র কখনও তাম্রবর্ণ, কখনও রক্তবর্ণ,কখনও পিঙ্গলবর্ণ। তাঁকে আশ্রয় করে দিকে চারিদিকে রুদ্রগণ বা কিরণরাজি বিরাজিত। এই রুদ্রদেবের ক্রোধাগ্নিকে আমরা সহস্ত্রপ্রকার প্রণাম করি।।
হর হর মহাদেব,ওঁ নমঃশিবায়।।।।।।।।।
written by: Shuvo Veer Chowdhury
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন