পৃথিবী ও গ্রহসমূহের গতি ও মধ্যাকর্ষন শক্তি
স্যার আইজাক নিউটন ও অন্যান্য অনেক বিজ্ঞানীদের কল্যানে আজ এ তত্ত প্রতিষ্ঠিত যে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহসমূহ সূর্যকে কেন্দ্র করে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘোরে।কিন্তু এরও হাজার হাজার বছর আগে পৃথিবীর প্রাচীনতম এবং পবিত্রতম ধর্মগ্রন্থ বেদ এ সম্পর্কে কি বলেছে তার কিছু নমুনা দেখে নেয়া যাক।
ঋগবেদ ১০.২২.১৪
অহস্ত য়দপদি(য়দ-অপদি)
বরধত খ শচীবির
বেদ্যানাম । সুষমপরি প্রদক্ষিনিত্ বিশ্যব্যে নি সিস্নাথা।।
অনুবাদ-
"পৃথিবীর নেই হস্ত বা পদ,তবুও তা গতিশীল।এর উপর অবস্থিত বস্তুসমূহ ও এটার সাথে গতিশীল।এটি সূর্যের চারদিকে ঘূর্নায়মান।"
এখানে,
অহস্ত-হাতহীন
অপদ-পাহীন
খ-পৃথিবী
বরধত-গতিশীল
শুষুনাম পরি-উপরিস্থিত বস্তুসমূহ।
ঋগবেদ ১০.১৪৯.১
সবিতা যন্ত্রেহ পৃথিবী- মরামদক্ষম্ভলে(পৃথিবীম-অরামদ) সবিতা
দ্যমধত(দ্যম অধ্যত)।
অশ্বমিবাদুক্ষদ( অশ্বম-ইব-অধুক্ষত) ধুনিম অন্তরীক্ষ মতুরতেবাধ
য় সবিতা সমুদ্রম।।
অনুবাদ-
"সূর্য তার পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহসমূহকে তার আকর্ষনশক্তির সাহায্যে বেধে রেখেছে।এটার চারপাশে সেগুলো ঘূর্নায়মান ঠিক যেমন প্রশিক্ষক এর চারপাশে প্রশিক্ষনরত অশ্ব বলগা দিয়ে ঘোরে।"
এখানে,
সবিতা-সূর্য
যন্ত্রেহ-বলগা
পৃথিবীম-পৃথিবী
অরামদ-বেধে রাখা
দ্যম অধ্যত-অন্য গ্রহসকল
অশ্বম-ইব-অধুক্ষত-ঠিক যেন ঘোড়ার মত
ঋগবেদ ৮.১২.২৮
"হে ঈশ্বর,তোমার শক্তিবলে যাতে রয়েছে আকর্ষন এবং গতিরক্ষমতা,তার মাধ্যমে তুমি সারা জগতে রেখেছ ভারসাম্যপূর্ন"
ঋগবেদ ১.৩৫.৯
হিরস্যপানি সবিতা বিকারসভির উভে দ্যবা পৃথিবী অন্তর ইযতে।
অপমিবাম বাধাতে য়েতি
সূর্যম অভি কষ্নেন রাজস ধ্যম য়োতি॥
অনুবাদ-
"সূর্য নিজপথে ঘোরে এবং তা পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহসমূহকে আকর্ষনশক্তি দ্বারা এমন উপায়ে চালিত করে যাতে তাদের একে অপরের সাথে সংঘর্ষ না হয়"
যজুর্বেদ ৩৩.৪৩
"সূর্য ঘুরছে তার নিজ কক্ষপথে সাথে নিয়ে সকল গ্রহকে আকর্ষনশক্তির বলে"
ঋগবেদ ১.১৬৪.১৩
"সূর্য ঘোরে তার নিজ কক্ষপথে এবং এর আকর্ষনশক্তির প্রভাবে অন্যান্য গ্রহসমূহ ও ঘোরে কারন সূর্য তাদের তুলনায় অধিক ভারী(মহাকর্ষ এর উপর ভর-শক্তি সমীকরন এর প্রভাব)
বেদ ও তড়িত্শক্তি
অথর্ববেদ বিভিন্ন প্রায়োগিক বিদ্যার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ তা আমরা সবাই জানি।দেখে নেয়া যাক তড়িত্ শক্তি সম্পর্কে পবিত্র এই জ্ঞানের উত্স কি বলেছে-
অথর্ববেদ ২০/৭/২
"নব য়ো নবতি পুরো বিভেদ
বাহভোত জাসা অহি ছ
বৃত্রাহাভদিত"
অনুবাদ-
বিদ্যুত্ যা এর বাহুর(ইলেকট্রন এবং প্রোটন)সাহায্যে পদার্থকে ৯৯টি শাখায় বিভক্ত করে যেসকল সূর্যালোকে অবস্থান করে।
এখানে আধুনিক বিজ্ঞানীদের কর্তৃক বর্ণিত ৯৯টি কনা যা সকল পরমানুর তড়িত্ ভাঙ্গন এর ফলে সৃষ্ট তা বলা হয়েছে।উল্লেখ্য যে এদের প্রত্যেকটিকে সূর্যকর্তৃক বিকীর্ন অতিবেগুনী রশ্মি তে পাওয়া যায়।
অথর্ববেদ ২০/০৭/৩
"সন ইন্দ্রঃ শিবাঃ য়ক্ষবাদ গোমদববম উরধারেব দোহাতে"
অনুবাদ-এই অসাধারন শক্তি আমাদের বন্ধু হতে পারে যার মাধ্যমে আমরা আমাদের বাড়িঘর আলোময় করে তুলতে পারি,পারি শস্যক্ষেত্রে কাজে লাগাতে।
অথর্ববেদ ২০.৭.৪
"ইন্দ্র নতুবিদন্ধ সুতং সোমাং হর্য পুরুষ্তুতে পিবা বৃহসত্ ততৃপিম"
অনুবাদ-জ্ঞানীদের পরামর্শ অনুসারে আমরা একে কাজে লাগাতে পরি দ্রব্যাদি সংরক্ষনে(রেফ্রিজারেটর) তাদের মাধ্যমে যারা এতে দক্ষ।এটিকে নিরাপদে ব্যবহার করি যাতে এটি বিপদ সৃষ্টি না করে।
অথর্ববেদ ২০.৩.১
"বজ্রিনেম সন্দিনাম সোম্যমমদ ইন্দ্রম রথে বহতা হর্যতাহরি পুরুনাস্ময় সবনানি হর্যাতা ইন্দ্রারা সোমা হারায়ো দধিবীরে"
অনুবাদ-সেই দ্রুত গতিশীল দুই বস্তু(ইলেকট্রন ও প্রোটন) যার আকর্ষন ও বিকর্ষন ক্ষমতা আছে তা বিদ্যুত্ চালনা করে।এটি বজ্রের ন্যয় শক্তিশালী,আমাদের উপকারী।এটি উত্পন্নের জন্য রয়েছে তরল উত্স(বিদ্যুত্ উত্পন্নের তরল জ্বালানী)
অথর্ববেদ ২০.৩.২
"আড়ং কামোয়ো হর্যো দধীনবীরে স্থিরানো হিন্বানোহায়াযো হরি তুরা অর্বধ্বিয়র হরিবিজোড়সামিয়াত ে স অস্য কামাম হরিবন্তমানসে"
অনুবাদ-সেই দুই গতিশীল শক্তি দুই দিকে গতিশীল(ইলেকট্রন ও প্রোটন এর বিপরীত দিকে গতি) যার মাধ্যমে উত্পন্ন শক্তিকে আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি।
এছাড়া বিদ্যুত্ এর আরো বিভিন্ন ব্যবহার রয়েছে -
তৈত্তিরীয় উপনিষদ ৭.৩.২
এ জলবিদ্যুত্
তৈত্তিরীয় উপনিষদ ১.৩.২ এ তাপবিদ্যুত্
ঋগবেদ ১.৩২.১৩ এ মেঘে মেঘে ঘর্ষনের ফলে বিদ্যুত্ উত্পাদনের উল্লেখ
ঋগবেদ ১.৬.৫ এ বায়ুর মাধ্যমেবিদ্যুত্ শক্তি উত্পাদন
ঋগবেদ ১.১৬৮.৮ এ বলা হয়েছে যখন অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়ে তখন নদীতে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয় আর সেই গতিময় জল থেকে বিদ্যুত্ উত্পাদন সম্ভব।
ঋগবেদ ৫.৮৭.১০
এ শব্দ বড় করতে বিদ্যুতের ব্যবহার(মাইক্রো ফোন)
বিদ্যুত্ এর ব্যবহার আরো পাবেন
ঋগবেদ ৫.৫৪.১১
৫.৫২.৬
৩.১.১৪
৫.৮৬.১৩
ধন্যবাদ সকলকে,নমস্কার।(বিঃদ্রঃ পবিত্র অথর্ববেদের অনুবাদ নেয়া হয়েছে শ্রী দেবীচাঁদ এর অনুবাদ থেকে)
- See more at: http://bangalihindupost.blogspot.in/2012/08/blog-post_13.html#sthash.1WaTl1gY.dpuf
স্যার আইজাক নিউটন ও অন্যান্য অনেক বিজ্ঞানীদের কল্যানে আজ এ তত্ত প্রতিষ্ঠিত যে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহসমূহ সূর্যকে কেন্দ্র করে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘোরে।কিন্তু এরও হাজার হাজার বছর আগে পৃথিবীর প্রাচীনতম এবং পবিত্রতম ধর্মগ্রন্থ বেদ এ সম্পর্কে কি বলেছে তার কিছু নমুনা দেখে নেয়া যাক।
ঋগবেদ ১০.২২.১৪
অহস্ত য়দপদি(য়দ-অপদি)
বরধত খ শচীবির
বেদ্যানাম । সুষমপরি প্রদক্ষিনিত্ বিশ্যব্যে নি সিস্নাথা।।
অনুবাদ-
"পৃথিবীর নেই হস্ত বা পদ,তবুও তা গতিশীল।এর উপর অবস্থিত বস্তুসমূহ ও এটার সাথে গতিশীল।এটি সূর্যের চারদিকে ঘূর্নায়মান।"
এখানে,
অহস্ত-হাতহীন
অপদ-পাহীন
খ-পৃথিবী
বরধত-গতিশীল
শুষুনাম পরি-উপরিস্থিত বস্তুসমূহ।
ঋগবেদ ১০.১৪৯.১
সবিতা যন্ত্রেহ পৃথিবী- মরামদক্ষম্ভলে(পৃথিবীম-অরামদ) সবিতা
দ্যমধত(দ্যম অধ্যত)।
অশ্বমিবাদুক্ষদ( অশ্বম-ইব-অধুক্ষত) ধুনিম অন্তরীক্ষ মতুরতেবাধ
য় সবিতা সমুদ্রম।।
অনুবাদ-
"সূর্য তার পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহসমূহকে তার আকর্ষনশক্তির সাহায্যে বেধে রেখেছে।এটার চারপাশে সেগুলো ঘূর্নায়মান ঠিক যেমন প্রশিক্ষক এর চারপাশে প্রশিক্ষনরত অশ্ব বলগা দিয়ে ঘোরে।"
এখানে,
সবিতা-সূর্য
যন্ত্রেহ-বলগা
পৃথিবীম-পৃথিবী
অরামদ-বেধে রাখা
দ্যম অধ্যত-অন্য গ্রহসকল
অশ্বম-ইব-অধুক্ষত-ঠিক যেন ঘোড়ার মত
ঋগবেদ ৮.১২.২৮
"হে ঈশ্বর,তোমার শক্তিবলে যাতে রয়েছে আকর্ষন এবং গতিরক্ষমতা,তার মাধ্যমে তুমি সারা জগতে রেখেছ ভারসাম্যপূর্ন"
ঋগবেদ ১.৩৫.৯
হিরস্যপানি সবিতা বিকারসভির উভে দ্যবা পৃথিবী অন্তর ইযতে।
অপমিবাম বাধাতে য়েতি
সূর্যম অভি কষ্নেন রাজস ধ্যম য়োতি॥
অনুবাদ-
"সূর্য নিজপথে ঘোরে এবং তা পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহসমূহকে আকর্ষনশক্তি দ্বারা এমন উপায়ে চালিত করে যাতে তাদের একে অপরের সাথে সংঘর্ষ না হয়"
যজুর্বেদ ৩৩.৪৩
"সূর্য ঘুরছে তার নিজ কক্ষপথে সাথে নিয়ে সকল গ্রহকে আকর্ষনশক্তির বলে"
ঋগবেদ ১.১৬৪.১৩
"সূর্য ঘোরে তার নিজ কক্ষপথে এবং এর আকর্ষনশক্তির প্রভাবে অন্যান্য গ্রহসমূহ ও ঘোরে কারন সূর্য তাদের তুলনায় অধিক ভারী(মহাকর্ষ এর উপর ভর-শক্তি সমীকরন এর প্রভাব)
বেদ ও তড়িত্শক্তি
অথর্ববেদ বিভিন্ন প্রায়োগিক বিদ্যার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ তা আমরা সবাই জানি।দেখে নেয়া যাক তড়িত্ শক্তি সম্পর্কে পবিত্র এই জ্ঞানের উত্স কি বলেছে-
অথর্ববেদ ২০/৭/২
"নব য়ো নবতি পুরো বিভেদ
বাহভোত জাসা অহি ছ
বৃত্রাহাভদিত"
অনুবাদ-
বিদ্যুত্ যা এর বাহুর(ইলেকট্রন এবং প্রোটন)সাহায্যে পদার্থকে ৯৯টি শাখায় বিভক্ত করে যেসকল সূর্যালোকে অবস্থান করে।
এখানে আধুনিক বিজ্ঞানীদের কর্তৃক বর্ণিত ৯৯টি কনা যা সকল পরমানুর তড়িত্ ভাঙ্গন এর ফলে সৃষ্ট তা বলা হয়েছে।উল্লেখ্য যে এদের প্রত্যেকটিকে সূর্যকর্তৃক বিকীর্ন অতিবেগুনী রশ্মি তে পাওয়া যায়।
অথর্ববেদ ২০/০৭/৩
"সন ইন্দ্রঃ শিবাঃ য়ক্ষবাদ গোমদববম উরধারেব দোহাতে"
অনুবাদ-এই অসাধারন শক্তি আমাদের বন্ধু হতে পারে যার মাধ্যমে আমরা আমাদের বাড়িঘর আলোময় করে তুলতে পারি,পারি শস্যক্ষেত্রে কাজে লাগাতে।
অথর্ববেদ ২০.৭.৪
"ইন্দ্র নতুবিদন্ধ সুতং সোমাং হর্য পুরুষ্তুতে পিবা বৃহসত্ ততৃপিম"
অনুবাদ-জ্ঞানীদের পরামর্শ অনুসারে আমরা একে কাজে লাগাতে পরি দ্রব্যাদি সংরক্ষনে(রেফ্রিজারেটর) তাদের মাধ্যমে যারা এতে দক্ষ।এটিকে নিরাপদে ব্যবহার করি যাতে এটি বিপদ সৃষ্টি না করে।
অথর্ববেদ ২০.৩.১
"বজ্রিনেম সন্দিনাম সোম্যমমদ ইন্দ্রম রথে বহতা হর্যতাহরি পুরুনাস্ময় সবনানি হর্যাতা ইন্দ্রারা সোমা হারায়ো দধিবীরে"
অনুবাদ-সেই দ্রুত গতিশীল দুই বস্তু(ইলেকট্রন ও প্রোটন) যার আকর্ষন ও বিকর্ষন ক্ষমতা আছে তা বিদ্যুত্ চালনা করে।এটি বজ্রের ন্যয় শক্তিশালী,আমাদের উপকারী।এটি উত্পন্নের জন্য রয়েছে তরল উত্স(বিদ্যুত্ উত্পন্নের তরল জ্বালানী)
অথর্ববেদ ২০.৩.২
"আড়ং কামোয়ো হর্যো দধীনবীরে স্থিরানো হিন্বানোহায়াযো হরি তুরা অর্বধ্বিয়র হরিবিজোড়সামিয়াত ে স অস্য কামাম হরিবন্তমানসে"
অনুবাদ-সেই দুই গতিশীল শক্তি দুই দিকে গতিশীল(ইলেকট্রন ও প্রোটন এর বিপরীত দিকে গতি) যার মাধ্যমে উত্পন্ন শক্তিকে আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি।
এছাড়া বিদ্যুত্ এর আরো বিভিন্ন ব্যবহার রয়েছে -
তৈত্তিরীয় উপনিষদ ৭.৩.২
এ জলবিদ্যুত্
তৈত্তিরীয় উপনিষদ ১.৩.২ এ তাপবিদ্যুত্
ঋগবেদ ১.৩২.১৩ এ মেঘে মেঘে ঘর্ষনের ফলে বিদ্যুত্ উত্পাদনের উল্লেখ
ঋগবেদ ১.৬.৫ এ বায়ুর মাধ্যমেবিদ্যুত্ শক্তি উত্পাদন
ঋগবেদ ১.১৬৮.৮ এ বলা হয়েছে যখন অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়ে তখন নদীতে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয় আর সেই গতিময় জল থেকে বিদ্যুত্ উত্পাদন সম্ভব।
ঋগবেদ ৫.৮৭.১০
এ শব্দ বড় করতে বিদ্যুতের ব্যবহার(মাইক্রো ফোন)
বিদ্যুত্ এর ব্যবহার আরো পাবেন
ঋগবেদ ৫.৫৪.১১
৫.৫২.৬
৩.১.১৪
৫.৮৬.১৩
ধন্যবাদ সকলকে,নমস্কার।(বিঃদ্রঃ পবিত্র অথর্ববেদের অনুবাদ নেয়া হয়েছে শ্রী দেবীচাঁদ এর অনুবাদ থেকে)
- See more at: http://bangalihindupost.blogspot.in/2012/08/blog-post_13.html#sthash.1WaTl1gY.dpuf
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন