১২ এপ্রিল ২০১৫

তীর্থস্থান ও মন্দির পরিচিতি পর্ব- ০৩


সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ ধাম:
---------------------------
সুদর্শন চক্র দ্বারা খন্ডনকৃত সতীর ডান হাত পড়ে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ ধামে। গবেষকদের মতে সতীর স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রামের চন্দ্রনাথ ধামের নাম প্রথমে ছিল সতীকুন্ড কালের বিবর্তনে তা সীতাকুন্ড হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।তবে বিষয়টি বির্তকিত। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী(শিব চতুর্দশী) তিথিতে মানুষের মেলা বসে চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩৭ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত সীতাকুন্ড পাহাড়ে। ৩৫০ কিলোমিটারের এক বিশাল অংশের পাহাড় এলাকা ঘিরেই আবর্তিত এ তীর্থক্ষেত্র। এ অংশের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর। পাশাপাশি এখানে দুই পাহাড়ের শীর্ষস্থানে আছে দুটি মন্দিরের অবস্থান। একটি বিরুপাক্ষ মন্দির অন্যটি চন্দ্রনাথ মন্দির। চন্দ্রনাথ মন্দিরটি সমতল ভূমি থেকে ১৩০০ ফুট উচ্চে পাহাড়ের শীর্ষদেশে অবস্থিত।এ মন্দির তথা পাহাড় একে অন্যে মিলেমিশে একাকার হয়ে চন্দ্রনাথ ধাম হিসাবে পরিচিতি লাভ করে । প্রতি বছর শ্রীশ্রী শিবরাত্রি ব্রত উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রধান তীর্থস্থান হিসাবে খ্যাত চন্দ্রনাথ ধামে বসে মানুষের মিলন মেলা।

তীর্থস্থান পবিত্র স্থান। তীর্থের জল, মাটি বাতাস সবই পবিত্র ।তাইতো তীর্থ স্থানে গেলে মন পবিত্র হয়। মনে ধর্ম ভাব জাগে। ধর্মভাব জাগরনে মনের কলুষতা দূর হয়। পাপ কাজ থেকে মনকে সরিয়ে আনা সম্ভব হয়। তীর্থস্থান মানুষের মিলন মেলার স্থান। সেখানে গেলে কোন হিংসা-বিদ্বেষ, উচু নীচু ভেদ বৈষম্য কিংবা জাগতিক লোকসানের চিন্তাবোধ থাকেনা। তীর্থস্থান ভ্রমনের ফলে মনের ময়লা দূর হয়,পূর্ন্য আসে,মন জুড়ায়,অশান্তি দুর হয়।তাইতো কবি বলেছেন-
‘‘তীর্থের মহিমা না করা যায় বর্নন,
করিলে ভ্রমন হয় মনের পবিত্রতায় পূন্য সঞ্চালন’’।

সীতা মন্দির নামে পাহাড়ের পাদদেশে আছে একটি মন্দির। এ মন্দিরটির অবস্থান আকর্ষনীয়। ধর্মীয় গাম্ভীর্যের ভাব আর প্রকৃতির নির্ঝরনী শব্দ দুয়ে মিলে মনোরম দূশ্য মুগ্ধ করে আগন্তুক ভক্তদের। উক্ত মন্দির অভ্যন্তরে আছে চতুর্ভূজা সীতাদেবীর মূর্তি। ত্রিপুরার ইতিহাসের তথ্যানুযায়ী সম্ভুনাথ মন্দিরের প্রথম কাজ হয়েছিল ১৫০১ খ্রিষ্ঠাব্দে ।১৯২০/১৯২৪ সালে এ মন্দিরটি সংস্কার করেন ত্রিপুরার মহারানী রত্নমঞ্জরী। এ ছাড়াও মধ্যবর্তী পাহাড়ে আছে আরও বেশ কয়েকটি মন্দির। স্বয়ম্ভুনাথ, রামকুন্ড, লক্ষনকুন্ড মন্দিরের নাম বিশেষভাবে উল্যেখযোগ্য।উল্লেখিত মন্দির গুলোর মধ্যে এই তিথিতে ভক্ত সমাগম ও পুজার্চনা হয় সম্ভুনাথ মন্দিরে। কেননা সুউচ্চ পাহাড়ে যাদের পক্ষে উঠা সম্ভব হয়না তারাই এ মন্দিরে পুজার্চনা করেন। সম্ভুনাথ মন্দিরটি ষোড়শ শতাব্দিতে ধনমানিক্য বাহাদুর, পরৈকোড়ার জমিদার বৃন্দাবন দেওয়ানের মাতা দুর্গারানী, প্রতাপ চৌধুরী ও মুক্তাগাছার জমিদার বিদ্যাময়ী দেবীর অর্থায়নে নির্মিত। ১৯২৩ সালে বর্ধমান জেলার শিয়ালশোলের রাজা শ্রীযুক্ত প্রমথনাথ মালিয়া শম্ভুনাথ মন্দিরে যাওয়ার ৬৮টি সিড়ি নির্মান করে দেন। চন্দ্রনাথ পাদদেশ থেকে শীর্ষস্থান পর্যন্ত থাক থাক করে বানানো হয়েছে সিঁড়ি। সিঁড়িগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জন বানিয়ে দিয়েছেন। অধিকাংশ সিঁড়ির গায়ে খোদিত আছে উদ্যোক্তার নাম। পাপ খন্ডন অথবা নিকট আত্নীয়দের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে সিঁড়িগুলো। প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়,সিঁড়ি নির্মানের প্রথম উদ্যোগ গ্রহন করেন চব্বিশ পরগনা নিবাসী শ্রীগঙ্গারাম বিশ্বাস।তার বৃদ্ধ মাতা চন্দ্রনাথ দর্শনে এসে পাহাড়ী দূর্গমপথে পৌছুতে পারেননি চন্দ্রনাথ মন্দিরে।এ কারনে বৃদ্ধমাতা ছেলেকে নির্দেশ দেন- সীতাকুন্ড পাহাড়ে সিঁড়ি নির্মান করে দেওয়ার। মাতৃ আজ্ঞা পালন করতে ১২৭০ বঙ্গাব্দে শ্রীগঙ্গারাম বিশ্বাস সীতাকুন্ডের পাহাড়ী পথে ৭৮২টি সিঁড়ি নির্মান করেন। নানা কারনে সিঁড়ি গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হলে ১৩২৯ বঙ্গাব্দে সিঁড়িগুলো সংস্কার করে দেন চব্বিশ পরগনার জমিদার শ্রীসূর্যকান্ত রায় চৌধুরী। এরপর শ্রীগোপাল চন্দ্র সাহা ও মধুসূধন সাহা নামের দুই সহোদর বিরুপাক্ষ মন্দির থেকে চন্দ্রনাথ মন্দির পর্যন্ত প্রায় ১.২৫ কিলোমিটারের পথে সিঁড়ি নির্মান করে দেন। এছাড়াও অন্নদা রঞ্জন বন্দোপাধ্যায় ও বসন্ত কুমারী দেবীর নামে রয়েছে কিছু সিঁড়ি। এ সিঁড়িগুলো নির্মানের ফলে তীর্থযাত্রীরা পৌছাতে পারেন শীর্ষস্থানে। মূল পাহাড়ী চুঁড়ায় অবস্থিত মন্দিরটি চন্দ্রনাথ মন্দির এবং সর্বোচ্চ গিরিশৃঙ্গে অবস্থিত বিরুপাক্ষ মন্দির।পরৈকোড়ার জমিদার নারায়ন লালা এ মন্দিরগুলোর নির্মাতা। তিনি চন্দ্রনাথ মন্দির ও বিরুপাক্ষ মন্দিরের জল সরবরাহের খরচ নির্বাহে ৮০০দ্রোন লাখেরাজ ভূমি দান করেছিলেন। ১৩২৫ সালে মন্দির গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হলে রংপুরের ডিমলার রানী শ্রীমতী বৃন্দারানী চৌধুরানী বহু অর্থ ব্যায় করে মন্দিরগুলোর সংস্কার করে দেন।এ ছাড়াও তিনি ১৩০৪ বঙ্গাব্দে চন্দ্রনাথ ও বিরুপাক্ষ মন্দিরের সিঁড়ি ও লৌহ সেতু নির্মান করে দেন এবং তাঁর স্বামী রাজা শ্রীজানকি বল্লভ সেনের নামে স্মৃতি ফলক দেন। মন্দির নির্মান,সংস্কার ও উন্নয়নে আরও অনেক ব্যাক্তির অবদান রয়েছে। এর মধ্যে ত্রিপুরার রাজা শ্রীগোবিন্দ মানিক্য,সরোয়াতলী গ্রামের জমিদার শ্রীরাম সুন্দর সেন এবং ময়মনসিংহের জমিদার রাজেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরী অন্যতম।

বর্তমানে মন্দিরগুলো হারিয়েছে পূর্বশ্রী।তাই, সংস্কার করা জরুরী।





অ্যাঙ্কর ওয়াট:
--------------

পৃথিবীর বড় বড় মন্দিরগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে 'অ্যাঙ্কর ওয়াট' মন্দির।
এটি একটি বিষ্ণু মন্দির। চতুর্দিকে পরিখা বিশিষ্ট অ্যাঙ্কর ওয়াট আজও জগতের অন্যতম ধর্মস্থান বলে স্বীকৃত। উত্তর-পশ্চিম কম্বোডিয়ার অ্যাঙ্কর শহরে বিখ্যাত এ মন্দিরটি অবস্থিত। দ্বাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে কম্বোডিয়ার খেমার হিন্দু রাজা দ্বিতীয় জয়বর্মণ এ মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। রাজা সূর্যবর্মণ ১১১৩ থেকে ১১৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করে ছিলেন। অ্যাঙ্কর ওয়াটের অবস্থান কম্বোডিয়ার উত্তরে। সিয়াম রিয়াপে। অ্যাঙ্কর প্রদেশের রাজধানী সিয়াম রিয়াপ। অ্যাঙ্কর ছিল প্রাচীন খেমার সাম্রাজ্যের রাজধানী। কম্বোডিয়ার অধিবাসীরা প্রধানত খেমার। নবম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে খেমার সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছিল। খেমার সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল অ্যাঙ্কর। অ্যাঙ্কর শব্দটি সংস্কৃত নগর শব্দ থেকে উদ্ভূত। সংস্কৃত শব্দের পেছনে অবশ্য কারণ রয়েছে। বাণিজ্য ও অন্যান্য সূত্রে ভারতীয় বৈদিক ধর্ম কম্বোডিয়া অবধি ছড়িয়ে পড়েছিল। খেমার জনগণও সাদরে সেই ধর্ম গ্রহণ করেছিল। আর সেটিই ছিল স্বাভাবিক। কেননা, এর আগে কম্বুজদেশায় (কম্বোডিয়ার পুরনো নাম) জনগণ ছিল সর্বপ্রাণবাদী।অর্থাৎ তারা ধহরসরংস এ বিশ্বাসী ছিল।অপরদিকে ভারতীয় বৈদিক ধর্মটি বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে বহু ঈশ্বরবাদী হলেও এর মূলে রয়েছে একেশ্বরবাদ। দীর্ঘকাল ধরে কোনো মানবসংস্কৃতিই সর্বপ্রাণবাদী হয়ে থাকতে পারে না। মানবসংস্কৃতি সব সময়ই একেশ্বরবাদী ধ্যানধারণা গ্রহণ করে। মানবচেতনার বিকাশের জন্যই এমনটা ঘটে বলে মনে হয়। কম্বোডিয়াতেও তাই-ই হয়েছিল। সেখান থেকেই কম্বোডিয়ায় বিষ্ণু ধর্মের উত্থান। আর ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে খেমার রাজা এই বিখ্যাত মন্দিরটি নির্মাণ করেন। 'অ্যাঙ্কর ওয়াট' মন্দিরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১১৫০ মিটার ১৭০০ গজ এবং প্রস্থ প্রায় ১৪০০ মিটার। জলাভূমির উপর দিয়ে নির্মিত একটি সুন্দর রাস্তা পশ্চিম দিক থেকে মন্দিরে এসে মিশেছে। প্রথম দিকে এ মন্দিরটিতে ৯টি গম্বুজ ছিল। কিন্তু বর্তমানে মাত্র পাঁচটি গম্বুজ খাড়াভাবে দণ্ডায়মান। সূর্য সেনের নিজ স্মৃতি চিহ্নরূপে এই মন্দিরটি নির্মিত হয়। কেন্দ্রীয় স্মারক চিহ্নটি বোস্টন নগরকে নির্দেশ করে।মন্দির চত্বরে বেশ সুন্দর সুন্দর চারকোণা পীঠিকা রয়েছে। মন্দিরটির সিঁড়ি ও স্তম্ভগুলো নিখুঁত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত। যা এক শৈল্পিক নৈপুণ্যতার নির্দেশক। ভাস্কর্যগুলোর বিষয়বস্তু নেওয়া হয়েছে প্রধানত হিন্দু মহাকাব্য থেকে।তবে মন্দিরটিতে পার্থিব শৌর্য বীর্যের অনেক চিত্রও অঙ্কিত রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ভঙ্গিমায় খোদিত রয়েছে অনেক অপ্সরার মূর্তি। এ মন্দিরটি ছাড়াও খেমার রাজারা কম্বোডিয়ায় আরো অনেক মন্দির তৈরি করেছিলেন। আজও এ মন্দিরগুলো তৎকালীন সময়ের চারু ও কারুশিল্পের আদর্শ প্রতীক হযে দাঁড়িয়ে আছে।




ভবানীপুর মন্দির:
------------------
ভবানীপুর বাংলাদেশের বগুড়া জেলার শেরপুরে করতোয়া তটে অবস্থিত সতী মাতা তারার একান্ন শক্তিপীঠের অন্যতম এবং ভক্তদের জন্য এটি একটি পবিত্র তীর্থস্থান।

সত্য যুগে দক্ষ যজ্ঞের পর সতী মাতা দেহ ত্যাগ করলে মহাদেব সতীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রলয় নৃত্য শুরু করলে বিষ্ণু দেব সুদর্শন চক্র দ্বারা সতীর মৃতদেহ ছেদন করেন। এতে সতী মাতার দেহখন্ডসমূহ ভারতীয় উপমহাদেশের ৫১টি স্থানে পতিত হয় এবং এ সকল স্থানসমূহ শক্তিপীঠ হিসেবে পরিচিতি পায়। বিভিন্ন সূত্র মতে, করতোয়াতটের এ ভবানীপুরে সতী মাতা তারার বাম পায়ের অলঙ্কার বা বাম পাঁজর পড়েছিল বলে জানা যায়। ভবানীপুর বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত শক্তিপীঠসমূহের মধ্যে অন্যতম। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশ- বিদেশের ভক্তরা সারা বছর এখানে তীর্থে আসেন। শক্তি দেবী ও ভৈরব এই শক্তিপীঠের শক্তি দেবী অর্পণা এবং ভৈরব বামন নামে পরিচিত।

কথিত আছে যে এখানে একদা একজন শাঁখাওয়ালা (শাঁখা নির্মাতা) ভবানীপুর মন্দিরের ধারের গভীর জঙ্গলের পাশের একটি পুকুরের ধার অতিক্রম করছিলেন।এমন সময় সিঁথিতে সিঁদুর দেয়া একটি ছোট মেয়ে তার কাছে গিয়ে বলেছিল যে সে নাটোর রাজবাড়ির রাজকন্যা।সে শাঁখাওয়ালার কাছ থেকে এক জোড়া শাঁখা কিনল এবং বলল যে শাঁখাওয়ালা যেন নাটোরের মহারাণীকে বলেন যে প্রাসাদের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা ঝুড়ি থেকে তার শাঁখার দাম দিয়ে দেন। শাঁখাওয়ালা মেয়েটির বিনীত কথায় মুগ্ধ হয়ে তাকে শাঁখা দিয়ে দিলেন। শাঁখাওয়ালার মুখ থেকে ছোট মেয়েটির কথা শুনে মহারাণী লোকজন ও সেই শাঁখাওয়ালাকে নিয়ে মেয়েটির বলা জায়গায় গেলেন। শাঁখাওয়ালার প্রার্থনা শুনে মা ভবানী সেই শাঁখা-পুকুর থেকে তার দুই হাতের শাঁখা তুলে দেখালেন। মহারানী ও সেখানে উপস্থিত লোকজন এতে বিস্মিত হলেন এবং মা ভবানীর (মা তারার) মহিমা এই উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ল। এই কিংবদন্তির শাঁখা-পুকুরে তীর্থযাত্রীরা স্নান করেন।

মন্দিরের পরিচিতি
চার একর (১২ বিঘা) জমির ওপর প্রাচীর বেষ্টিত মন্দির চত্বর। মূলমন্দির, বেলবরণ তলা, শিব মন্দির ৪টি, পাতাল ভৈরব শিব মন্দির, গোপাল মন্দির, বাসুদেব মন্দির ও নাট মন্দির/আটচালা। উত্তরাংশে সেবা অঙ্গন, পবিত্র শাঁখা পুকুর, স্নানঘাট দুটি, বেষ্টনী প্রাচীরের বাইরে চারটি শিব মন্দির ও একটি পঞ্চমুন্ড আসন।

প্রভাতী ও বাল্যভোগ, দুপুরে পূজা ও অন্নভোগ, সন্ধ্যায় আরতি ও ভোগ।প্রতি দিন মন্দিরে আগত ভক্তরা মিষ্টান্ন ও অন্ন ভোগ দিতে পারেন ও পরে প্রসাদ গ্রহণ করতে পারেন। উত্সব-পার্বণ সমূহ হচ্ছে, মাঘী পূর্ণিমা (মাঘ-ফাল্গুন), রাম নবমী (চৈত্র- বৈশাখ), শারদীয় দুর্গোত্সব, দীপান্বিতা শ্যামাপূজা এবং নবান্ন (অগ্রহায়ণ মাসে তিথি অনুযায়ী)।

মন্দির তত্ত্বাবধান ১৯৯১ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ভবানীপুর মন্দির সংস্কার, উন্নয়ন ও পরিচালনা কমিটির দ্বারা মা ভবানীর সম্পত্তিসমূহ তত্ত্বাবধানসহ মন্দিরের সমস্ত কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্ত্তু দেবোত্তর বা অর্পিত সম্পত্তি আইনের অপপ্রয়োগের কারণে মা ভবানীর অনেক সম্পত্তি অবৈধভাবে বেহাত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়া কমিটির প্রাক্তন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক দীপঙ্কর চক্রবর্তী ২০০৪ সালে আততায়ীদের হাতে নিহত হওয়ার পর ৭ বছর গত হলেও তার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ ও দন্ডিত করা হয়নি।তদুপরি ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্য ভক্তদের জন্য নির্মাণাধীন অতিথিশালা অবৈধভাবে ভেঙ্গে ফেলেন।

সৌজন্যেঃ রথযাত্রা

Share:

Total Pageviews

বিভাগ সমুহ

অন্যান্য (91) অবতারবাদ (7) অর্জুন (4) আদ্যশক্তি (68) আর্য (1) ইতিহাস (30) উপনিষদ (5) ঋগ্বেদ সংহিতা (10) একাদশী (10) একেশ্বরবাদ (1) কল্কি অবতার (3) কৃষ্ণভক্তগণ (11) ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু (21) ক্ষুদিরাম (1) গায়ত্রী মন্ত্র (2) গীতার বানী (14) গুরু তত্ত্ব (6) গোমাতা (1) গোহত্যা (1) চাণক্য নীতি (3) জগন্নাথ (23) জয় শ্রী রাম (7) জানা-অজানা (7) জীবন দর্শন (68) জীবনাচরন (56) জ্ঞ (1) জ্যোতিষ শ্রাস্ত্র (4) তন্ত্রসাধনা (2) তীর্থস্থান (18) দেব দেবী (60) নারী (8) নিজেকে জানার জন্য সনাতন ধর্ম চর্চাক্ষেত্র (9) নীতিশিক্ষা (14) পরমেশ্বর ভগবান (25) পূজা পার্বন (43) পৌরানিক কাহিনী (8) প্রশ্নোত্তর (39) প্রাচীন শহর (19) বর্ন ভেদ (14) বাবা লোকনাথ (1) বিজ্ঞান ও সনাতন ধর্ম (39) বিভিন্ন দেশে সনাতন ধর্ম (11) বেদ (35) বেদের বানী (14) বৈদিক দর্শন (3) ভক্ত (4) ভক্তিবাদ (43) ভাগবত (14) ভোলানাথ (6) মনুসংহিতা (1) মন্দির (38) মহাদেব (7) মহাভারত (39) মূর্তি পুজা (5) যোগসাধনা (3) যোগাসন (3) যৌক্তিক ব্যাখ্যা (26) রহস্য ও সনাতন (1) রাধা রানি (8) রামকৃষ্ণ দেবের বানী (7) রামায়ন (14) রামায়ন কথা (211) লাভ জিহাদ (2) শঙ্করাচার্য (3) শিব (36) শিব লিঙ্গ (15) শ্রীকৃষ্ণ (67) শ্রীকৃষ্ণ চরিত (42) শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু (9) শ্রীমদ্ভগবদগীতা (40) শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা (4) শ্রীমদ্ভাগব‌ত (1) সংস্কৃত ভাষা (4) সনাতন ধর্ম (13) সনাতন ধর্মের হাজারো প্রশ্নের উত্তর (3) সফটওয়্যার (1) সাধু - মনীষীবৃন্দ (2) সামবেদ সংহিতা (9) সাম্প্রতিক খবর (21) সৃষ্টি তত্ত্ব (15) স্বামী বিবেকানন্দ (37) স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (14) স্মরনীয় যারা (67) হরিরাম কীর্ত্তন (6) হিন্দু নির্যাতনের চিত্র (23) হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র ও অন্যান্য অর্থের পরিচিতি (8) হিন্দুত্ববাদ. (83) shiv (4) shiv lingo (4)

আর্টিকেল সমুহ

অনুসরণকারী

" সনাতন সন্দেশ " ফেসবুক পেজ সম্পর্কে কিছু কথা

  • “সনাতন সন্দেশ-sanatan swandesh" এমন একটি পেজ যা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শাখা ও সনাতন সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে গঠন করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য নিজের ধর্মকে সঠিক ভাবে জানা, পাশাপাশি অন্য ধর্মকেও সম্মান দেওয়া। আমাদের লক্ষ্য সনাতন ধর্মের বর্তমান প্রজন্মের মাঝে সনাতনের চেতনা ও নেতৃত্ত্ব ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা কুসংষ্কারমুক্ত একটি বৈদিক সনাতন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ পথচলায় আপনাদের সকলের সহযোগিতা কাম্য । এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সনাতন ধর্মের যে কেউ লাইক দিয়ে এর সদস্য হতে পারে।