ভাগবতে মানব শরীর সৃষ্ট বিষয়ে যে আলোচনা করা হয়েছে তা অত্যন্ত গভীর এবং ব্যাপক তাই সংক্ষেপে আপনাদের সামনে তুলে ধরব ।
ভাগবতে আলোকে মানব শরীর সৃষ্টিকে দুইভাগে বিভক্ত করা যায়
১) যৌন জীবন বহির্ভূত পদ্ধতি
২) যৌন জীবন পদ্ধতি
যৌন জীবন বহির্ভূত পদ্ধতি
যৌন জীবন ছাড়া একটি প্রাণী হতে নতুন একটি প্রাণী তৈরী করা সম্ভব । এই বিষটি বিজ্ঞানীরা ইদানিং প্রমাণ করেছেন । এর নাম ক্লোনিং পদ্ধতি । এই বিষয়ে ভাগবতে বিস্তারিত বর্ণনা করা আছে ।
ভাগবতে বর্ণনা করা আছে মাটি, জল, আগুন, বায়ু, আকাশ নামক পঞ্চভূত এবং ১৯টি সূক্ষ্ম তত্ত্ব মোট ২৪টি তত্ত্বের সমন্বয়ে আমাদের শরীর সৃষ্টি হয় । মানব শরীর বিশ্লেষন করলে পঞ্চমহাভূতসহ আরো অন্যান্য তত্ত্ব পাওয়া যাবে কিন্তু সেগুলোর সমন্বয় করে মানব শরীর সৃষ্টি করা স্মভব নয় । চিনিকে বিশ্লেষণ করলে জল এবং কয়লা পাওয়া যায় কিন্তু জল এবং কয়লার দ্বারা পুনরায় চিনি তৈরী করা সম্ভব না । চিনি তৈরীর জন্য আঁখ নামক উদ্ভিদের প্রয়োজন হয় যা চিন্ময় শক্তি আত্মার প্রভাবে সৃষ্টি হয় । আঁখ গাছে আত্মা থাকার কারণে গাছটি বড় হয়ে আঁখের রস সৃষ্টি করে যার দ্বারা চিনি তৈরী হয় অর্থাৎ চিনি তৈরীর জন্য আত্মা নামক শক্তির প্রয়োজন । উপর থেকে নীচের দিকে নামা সম্ভব কিন্তু নীচ হতে উপরে যাওয়া সম্ভব না সুতরাং বলা যায় আত্মার প্রভাবে যে বস্তুর সৃষ্টি হয় সেটির মধ্যে যে জড় বস্তু থাকে সেগুলির দ্বারা আগের বস্তু সৃষ্টি করা সম্ভব নয় ।
ঠিক সেরকম মানব শরীরকে বিশ্লেষণ করলে পঞ্চমহাভূত অর্থাৎ ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ, বোম (মাটি, জল, আগুণ, বায়ু, আকাশ বা ইথার) পাওয়া যাবে কিন্তু আমরা যদি জল, মাটি ইত্যাদি নিয়ে মানব শরীর তৈরী করতে চাই তবে সেটা সম্ভব নয় অর্থাৎ কোন জড় বস্তু দ্বারা জীবন্ত বস্তু সৃষ্টি হয় না । জীবন্ত বস্তু সৃষ্টির জন্য জীবন্ত শক্তি আত্মার প্রয়োজন । ভাগবতে বর্ণনা করা হয়েছে এই মহাবিশ্বের প্রথম জীব ব্রহ্মা তিনি তার শরীর ভগবানের নিকট থেকে লাভ করেছে ।
(চলবে...)
সংকীর্তন মাধব
ভাগবতে আলোকে মানব শরীর সৃষ্টিকে দুইভাগে বিভক্ত করা যায়
১) যৌন জীবন বহির্ভূত পদ্ধতি
২) যৌন জীবন পদ্ধতি
যৌন জীবন বহির্ভূত পদ্ধতি
যৌন জীবন ছাড়া একটি প্রাণী হতে নতুন একটি প্রাণী তৈরী করা সম্ভব । এই বিষটি বিজ্ঞানীরা ইদানিং প্রমাণ করেছেন । এর নাম ক্লোনিং পদ্ধতি । এই বিষয়ে ভাগবতে বিস্তারিত বর্ণনা করা আছে ।
ভাগবতে বর্ণনা করা আছে মাটি, জল, আগুন, বায়ু, আকাশ নামক পঞ্চভূত এবং ১৯টি সূক্ষ্ম তত্ত্ব মোট ২৪টি তত্ত্বের সমন্বয়ে আমাদের শরীর সৃষ্টি হয় । মানব শরীর বিশ্লেষন করলে পঞ্চমহাভূতসহ আরো অন্যান্য তত্ত্ব পাওয়া যাবে কিন্তু সেগুলোর সমন্বয় করে মানব শরীর সৃষ্টি করা স্মভব নয় । চিনিকে বিশ্লেষণ করলে জল এবং কয়লা পাওয়া যায় কিন্তু জল এবং কয়লার দ্বারা পুনরায় চিনি তৈরী করা সম্ভব না । চিনি তৈরীর জন্য আঁখ নামক উদ্ভিদের প্রয়োজন হয় যা চিন্ময় শক্তি আত্মার প্রভাবে সৃষ্টি হয় । আঁখ গাছে আত্মা থাকার কারণে গাছটি বড় হয়ে আঁখের রস সৃষ্টি করে যার দ্বারা চিনি তৈরী হয় অর্থাৎ চিনি তৈরীর জন্য আত্মা নামক শক্তির প্রয়োজন । উপর থেকে নীচের দিকে নামা সম্ভব কিন্তু নীচ হতে উপরে যাওয়া সম্ভব না সুতরাং বলা যায় আত্মার প্রভাবে যে বস্তুর সৃষ্টি হয় সেটির মধ্যে যে জড় বস্তু থাকে সেগুলির দ্বারা আগের বস্তু সৃষ্টি করা সম্ভব নয় ।
ঠিক সেরকম মানব শরীরকে বিশ্লেষণ করলে পঞ্চমহাভূত অর্থাৎ ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ, বোম (মাটি, জল, আগুণ, বায়ু, আকাশ বা ইথার) পাওয়া যাবে কিন্তু আমরা যদি জল, মাটি ইত্যাদি নিয়ে মানব শরীর তৈরী করতে চাই তবে সেটা সম্ভব নয় অর্থাৎ কোন জড় বস্তু দ্বারা জীবন্ত বস্তু সৃষ্টি হয় না । জীবন্ত বস্তু সৃষ্টির জন্য জীবন্ত শক্তি আত্মার প্রয়োজন । ভাগবতে বর্ণনা করা হয়েছে এই মহাবিশ্বের প্রথম জীব ব্রহ্মা তিনি তার শরীর ভগবানের নিকট থেকে লাভ করেছে ।
(চলবে...)
সংকীর্তন মাধব
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন