প্রমানিত সত্য হলো বিজ্ঞান, আর সনাতন হলো সত্তের ধারক। নিত্য নতুন
আবিষ্কার কে সনাতন সব সময় শ্রদ্ধা করেছে। সনাতন প্রকৃতিকেই ঈশ্বর বলে (বেদ
মতে), সুতরাং বিজ্ঞান ও সনাতনের মধ্যে কোন প্রতিযোগিতা নেয়। সনাতন সত্যকে
মেনে নিতে সদা প্রস্তুত। বিজ্ঞান এ
র আবিষ্কার মানুষ কে আজ অনেক অনেক উন্নত করেছে। সভ্যতাকে করেছে বিকশিত, কিন্তু মানুষ এখনো অনেক অসহায়, কারণ প্রকৃতির সাহায্য ছাড়া এখনো এ
কটি বালি কনাও তৈরি করতে পারেনি মানুষ। আমার মনে হয় সনাতন এর সাথে বিজ্ঞানের দৈরথ তৈরি না করে সনাতন এর ধারণা কে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞান কে আরো সমৃদ্ধ করা উচিৎ। সূর্যের সাত রঙের বর্ণনা বেদ ও বিষ্ণু পুরাণে আছে। কিন্তু বেদ কে অন্ধকারে রাখার কারণে সেটি প্রকাশিত হয় নি। মহা জ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন পড়ে টা আবিষ্কার করেন। আমি প্রতিটি বিজ্ঞানী কে এক এক জন ঋষি মনে করি, তিনি যে ধর্মের অবলম্বী হোন না কেন বা ধর্ম বিশ্বাসে বিশ্বাসী না হলেও তাঁকে আমি ঋষিই মনে করি। প্রজুক্তির কোন সাহায্য ছারাই সপ্ত মণ্ডল সহ মাহাকাশের অনেক অনেক ধারণা কে বেদ উল্লেখ করেছে অনেক অনেক আগেই। বেদ এর সেই আবিষ্কার কে আমি বিজ্ঞান ই বলি। সুতরাং সনাতন ও বিজ্ঞান অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত।
আমাদের মহা জ্ঞান বেদ কে আমি চর্চা করার চেষ্টা করছি বেশ কিছুদিন ধরেই। যা শিখছি চেষ্টা করছি সবার সাথে তা শেয়ার করার জন্যে। আমি অবাক ও বিস্মিত হচ্ছি এই ভেবে যে, হাজার হাজার বছর আগে কিভাবে আমাদের মহা জ্ঞানী মুনি ঋষিরা এতো এতো আবিষ্কার আমাদের জন্যে করে গেলেন। কত বেশী জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন তাঁরা। আমরা চর্চা করি না বলেই সনাতন কে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হয়। আমি বেদ চর্চার সময় ভালো বা খারাপ কোন রকমের ধারণা ছারাই শুদ্ধ ও শূন্য মনেই শুরু করি। যাতে আমার নিজের কোন ধারণা জ্ঞান চর্চায় অন্তরায় না হয় এবং আমি যত বেদ এর জ্ঞানের মধ্যে প্রবেশ করছি তত বিস্মিত হচ্ছি। এতো এতো সমৃদ্ধ জ্ঞান থাকতে কেন এমন একটা জ্ঞান কে অন্ধকারে রেখেছে সমাজ !!!!!!!! দয়া করে কেও, কার দোষ বেদ কে অন্ধকারে রাখার পেছনে এ নিয়ে তর্ক করবেন না। তার চেয়ে বেদ পড়ার অভ্যাস করুণ। এতে মহা জ্ঞান সবার ঘড়ে ঘড়ে প্রবেশ করব। সমাজ কুসংস্কার মুক্ত হবে। আমি এ কথা নিশ্চিৎ ভাবেই বলছি বৈদিক সমাজ আধুনিক ত্বম সমাজ ছিলো।
ধর্ম মানতে হবে হবে কথা নেয়, কিন্তু ধর্ম কে জানতে হবে। সবচেয়ে আদি সনাতন ধর্মে কি আছে তা জানার চেষ্টা করুণ কেন তা এতদিন ধরে টিকে আছে? কি আছে এতে? মিথ্যে হলে তো এতদিন ধরে টিকে থাকতে পারতো না।
সনাতন ধর্মের নির্যাশ বলতে আমি পেয়েছি “জীব আত্মায় পরম আত্মা” “যত্র জীব তত্র শিব” “সকল পথ ই ঈশ্বরের দিকে ধাবিত” “যত মত তত পথ” “জীবে প্রেম করে যে জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর” “মেরেছিস কলশীর কানা তা বলে কি প্রেম দিব না” তাহলে আপনি নাস্তিক হোন আর আস্তিক সনাতন এর সাথে আপনার তো কোন সমস্যা থাকার কথা নয়। লোকাচার কে ধর্ম বলে অনেকেই ভুল করেন বলেন এবং মনে করেন সনাতন কুসংস্কারে ভরা। যেমন ধরুন সতী দাহ প্রথা বা বিধবা প্রথা এগুলি কি ছিলো বেদে? অথচ অনেকেই মনে করেন এগুলি আমাদের সনাতনের কু-সংস্কার।
সনাতন ধরমালম্বিরা প্রকৃতি পূজারী। সনাতন ধর্ম মতে প্রকৃতিই হলো ভগবান। আপনার খেয়াল করলে দেখবেন আমাদের প্রত্যেকটি পুজাতেই গাছ পালার ব্যবহার আছে। যেমন ধরেন বেল পাতা, তুলশী পাতা, বট পাতা, অশত্ত পাতা, আম পাতা সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল, ফল সহ প্রকৃতির সব সব কিছুকেই ব্যবহার করতে বলেছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো প্রকৃতি সংরক্ষণ। পূজার মাধ্যমে প্রকৃতি কে সংরক্ষণ করতে বলেছে সনাতন। আবার প্রাণী কুল কে রক্ষার জন্যে প্রত্যেক দেব দেবী এক এক টা বাহন নিয়েছেন, যা আমাদের ইকোসিস্টেম কে রক্ষার কাজে সহায়তা করে। এত বড় গনেশ দেবতা কিন্তু তার বাহন ইঁদুর, আবার প্যাঁচা হলো লক্ষ্মীর বাহন === এভাবে প্রাণী কুল কে ও সন্মানিত করেছে সনাতন।
অথচ না জেনে না বুঝে অনেকেই বলেন আমরা বহু ঈশ্বর বাদী। প্রকৃত পক্ষে ঈশ্বর নিজে কিছু করেন না তিনি করান। তাঁর শক্তি কে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন জনের মধ্যে সেই শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছেন। একে গণতন্ত্র ও বলতে পারেন। তাহলে সনাতনে গণতন্ত্র অনেক আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত ছিলো।
সবার প্রতি আমার অনুরোধ “ধর্ম মানতে হবে কথা নেয় জানতে হবে” না জেনে কেও কুমন্তব্য করবেন না। সনাতনের একটি ঘটনা দিয়ে কোন বিষয় কে বিশ্লেষণ করবেন না সনাতনের এক এক টা ঘটনার পেছনে অনেক অনেক গুলি কারণ জড়িত থাকে। যেমনঃ স্বর্গের দার রক্ষী অভিশপ্ত হয়ে তিন বার পৃথিবীতে জন্ম নেন ১/- হিরন্যক ২/- রাবণ ৩/- কংশ। অথচ নচিকেতা বলে বসলেন রাম যদি হেরে যেত রাবণ রাজ হতো সেখানে (রবন ছিলেন মহা জ্ঞানী তিনি নিজেই জান্তেন রাম দ্বারা তিনি নিহত হবেন। আর এ কারণেই অকাল বোধনে নিজেই দুর্গা পূজা করে নিজের মৃত্যু কে ডেকে এনেছেন এবং মুক্ত হয়েছিলেন পৃথিবী থেকে)
তায় না জেনে কোন মন্তব্য করবেন না, জানার জন্যে প্রশ্ন করুণ। যারা জানবেন তাঁরা উত্তর দিবেন। সবার কাছে সব কিছু জানা থাকবে এমন ও কোণ কথা নেয়।
র আবিষ্কার মানুষ কে আজ অনেক অনেক উন্নত করেছে। সভ্যতাকে করেছে বিকশিত, কিন্তু মানুষ এখনো অনেক অসহায়, কারণ প্রকৃতির সাহায্য ছাড়া এখনো এ
কটি বালি কনাও তৈরি করতে পারেনি মানুষ। আমার মনে হয় সনাতন এর সাথে বিজ্ঞানের দৈরথ তৈরি না করে সনাতন এর ধারণা কে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞান কে আরো সমৃদ্ধ করা উচিৎ। সূর্যের সাত রঙের বর্ণনা বেদ ও বিষ্ণু পুরাণে আছে। কিন্তু বেদ কে অন্ধকারে রাখার কারণে সেটি প্রকাশিত হয় নি। মহা জ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন পড়ে টা আবিষ্কার করেন। আমি প্রতিটি বিজ্ঞানী কে এক এক জন ঋষি মনে করি, তিনি যে ধর্মের অবলম্বী হোন না কেন বা ধর্ম বিশ্বাসে বিশ্বাসী না হলেও তাঁকে আমি ঋষিই মনে করি। প্রজুক্তির কোন সাহায্য ছারাই সপ্ত মণ্ডল সহ মাহাকাশের অনেক অনেক ধারণা কে বেদ উল্লেখ করেছে অনেক অনেক আগেই। বেদ এর সেই আবিষ্কার কে আমি বিজ্ঞান ই বলি। সুতরাং সনাতন ও বিজ্ঞান অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত।
আমাদের মহা জ্ঞান বেদ কে আমি চর্চা করার চেষ্টা করছি বেশ কিছুদিন ধরেই। যা শিখছি চেষ্টা করছি সবার সাথে তা শেয়ার করার জন্যে। আমি অবাক ও বিস্মিত হচ্ছি এই ভেবে যে, হাজার হাজার বছর আগে কিভাবে আমাদের মহা জ্ঞানী মুনি ঋষিরা এতো এতো আবিষ্কার আমাদের জন্যে করে গেলেন। কত বেশী জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন তাঁরা। আমরা চর্চা করি না বলেই সনাতন কে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হয়। আমি বেদ চর্চার সময় ভালো বা খারাপ কোন রকমের ধারণা ছারাই শুদ্ধ ও শূন্য মনেই শুরু করি। যাতে আমার নিজের কোন ধারণা জ্ঞান চর্চায় অন্তরায় না হয় এবং আমি যত বেদ এর জ্ঞানের মধ্যে প্রবেশ করছি তত বিস্মিত হচ্ছি। এতো এতো সমৃদ্ধ জ্ঞান থাকতে কেন এমন একটা জ্ঞান কে অন্ধকারে রেখেছে সমাজ !!!!!!!! দয়া করে কেও, কার দোষ বেদ কে অন্ধকারে রাখার পেছনে এ নিয়ে তর্ক করবেন না। তার চেয়ে বেদ পড়ার অভ্যাস করুণ। এতে মহা জ্ঞান সবার ঘড়ে ঘড়ে প্রবেশ করব। সমাজ কুসংস্কার মুক্ত হবে। আমি এ কথা নিশ্চিৎ ভাবেই বলছি বৈদিক সমাজ আধুনিক ত্বম সমাজ ছিলো।
ধর্ম মানতে হবে হবে কথা নেয়, কিন্তু ধর্ম কে জানতে হবে। সবচেয়ে আদি সনাতন ধর্মে কি আছে তা জানার চেষ্টা করুণ কেন তা এতদিন ধরে টিকে আছে? কি আছে এতে? মিথ্যে হলে তো এতদিন ধরে টিকে থাকতে পারতো না।
সনাতন ধর্মের নির্যাশ বলতে আমি পেয়েছি “জীব আত্মায় পরম আত্মা” “যত্র জীব তত্র শিব” “সকল পথ ই ঈশ্বরের দিকে ধাবিত” “যত মত তত পথ” “জীবে প্রেম করে যে জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর” “মেরেছিস কলশীর কানা তা বলে কি প্রেম দিব না” তাহলে আপনি নাস্তিক হোন আর আস্তিক সনাতন এর সাথে আপনার তো কোন সমস্যা থাকার কথা নয়। লোকাচার কে ধর্ম বলে অনেকেই ভুল করেন বলেন এবং মনে করেন সনাতন কুসংস্কারে ভরা। যেমন ধরুন সতী দাহ প্রথা বা বিধবা প্রথা এগুলি কি ছিলো বেদে? অথচ অনেকেই মনে করেন এগুলি আমাদের সনাতনের কু-সংস্কার।
সনাতন ধরমালম্বিরা প্রকৃতি পূজারী। সনাতন ধর্ম মতে প্রকৃতিই হলো ভগবান। আপনার খেয়াল করলে দেখবেন আমাদের প্রত্যেকটি পুজাতেই গাছ পালার ব্যবহার আছে। যেমন ধরেন বেল পাতা, তুলশী পাতা, বট পাতা, অশত্ত পাতা, আম পাতা সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল, ফল সহ প্রকৃতির সব সব কিছুকেই ব্যবহার করতে বলেছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো প্রকৃতি সংরক্ষণ। পূজার মাধ্যমে প্রকৃতি কে সংরক্ষণ করতে বলেছে সনাতন। আবার প্রাণী কুল কে রক্ষার জন্যে প্রত্যেক দেব দেবী এক এক টা বাহন নিয়েছেন, যা আমাদের ইকোসিস্টেম কে রক্ষার কাজে সহায়তা করে। এত বড় গনেশ দেবতা কিন্তু তার বাহন ইঁদুর, আবার প্যাঁচা হলো লক্ষ্মীর বাহন === এভাবে প্রাণী কুল কে ও সন্মানিত করেছে সনাতন।
অথচ না জেনে না বুঝে অনেকেই বলেন আমরা বহু ঈশ্বর বাদী। প্রকৃত পক্ষে ঈশ্বর নিজে কিছু করেন না তিনি করান। তাঁর শক্তি কে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন জনের মধ্যে সেই শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছেন। একে গণতন্ত্র ও বলতে পারেন। তাহলে সনাতনে গণতন্ত্র অনেক আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত ছিলো।
সবার প্রতি আমার অনুরোধ “ধর্ম মানতে হবে কথা নেয় জানতে হবে” না জেনে কেও কুমন্তব্য করবেন না। সনাতনের একটি ঘটনা দিয়ে কোন বিষয় কে বিশ্লেষণ করবেন না সনাতনের এক এক টা ঘটনার পেছনে অনেক অনেক গুলি কারণ জড়িত থাকে। যেমনঃ স্বর্গের দার রক্ষী অভিশপ্ত হয়ে তিন বার পৃথিবীতে জন্ম নেন ১/- হিরন্যক ২/- রাবণ ৩/- কংশ। অথচ নচিকেতা বলে বসলেন রাম যদি হেরে যেত রাবণ রাজ হতো সেখানে (রবন ছিলেন মহা জ্ঞানী তিনি নিজেই জান্তেন রাম দ্বারা তিনি নিহত হবেন। আর এ কারণেই অকাল বোধনে নিজেই দুর্গা পূজা করে নিজের মৃত্যু কে ডেকে এনেছেন এবং মুক্ত হয়েছিলেন পৃথিবী থেকে)
তায় না জেনে কোন মন্তব্য করবেন না, জানার জন্যে প্রশ্ন করুণ। যারা জানবেন তাঁরা উত্তর দিবেন। সবার কাছে সব কিছু জানা থাকবে এমন ও কোণ কথা নেয়।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন