আমরা মহাভারত থেকে জানতে পারি কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের দশম দিনে পিতামহ ভীষ্ম শরশয্যায় পতিত হন। কিন্তু তিনি সে দিন মৃত্যুবরণ করেননি। সে সময় দক্ষিণায়ন চলছিল তাই তিনি বললেন ‘ভূতলে পতিত থেকেই আমি উত্তরায়ণের জন্যে প্রাণ ধারন করব। সূর্য দক্ষিণায়নে থাকতে আমি মরব না উত্তরায়ণের দেহত্যাগ করব। পিতা শান্তনুর বরে মৃত্যু আমার ইচ্ছাধীন।(মহাভারত, ভীষ্মপর্ব) এরপর মহাভারতের অনুশাসন পর্বের ২১ পরিচ্ছদে আমরা দেখি পিতামহ ভীষ্ম তাঁর মৃত্যুর সময়ে বলছেন তিনি ৫৮ দিন শরশয্যায় শুয়ে আছেন। আমরা জানি পৌষ সংক্রান্তিতে দক্ষিণায়নের অবসান হয়। তাহলে ১লা মাঘ উত্তরায়ণের প্রথম দিন তথা উত্তরায়ণের শুরু। আর তাই ১লা মাঘ পিতামহ ভীষ্ম মৃত্যুবরণ করছিলেন এ কথা প্রমাণিত।
তাহলে ১লা মাঘ থেকে শরশয্যার ৫৮ দিন এবং যুদ্ধের প্রথম ১০ দিন (৫৮+১০)=৬৮ দিন পিছিয়ে গেলে যে তারিখ পাওয়া যাবে সেটাই হবে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের শুরুর দিন এবং গীতার আবির্ভাবের দিন। ৫৮ দিন পিছিয়ে গেলে পৌষ মাসের ২৯ দিন + অগ্রহায়ণ মাসের ৩০ দিন=৫৯ দিন, তাহলে পহেলা মাঘ থেকে পিছালে আমরা পাই ৩০ কার্তিক। এখন পুরো ৬৮ দিন পিছিয়ে যেতে আরও ৯ দিন পিছাতে হবে। ৩০ কার্তিক থেকে ৯ দিন পিছালে আমরা পাব ২১ কার্তিক। সুতরাং ‘২১ কার্তিকই’ হল কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শুরু এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শ্রীমুখ নিঃসৃত বাণী শ্রীমদ্ভগবদগীতা প্রকটের দিন।
পুনশ্চঃ ১. তবে বাংলা মাস বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের হয়, যেমন কোন বার কোন মাস ২৯ দিনে হয় আবার কোন বার ৩০ দিনে। দুই একদিন হেরফের করে ধরে নিলেও কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শুরু ও গীতার প্রকটের দিন কার্তিকের ২০/২১/২২ তারিখের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। তবে এটাও বলে রাখা ভাল মহাভারতের যুগে এই ভাবে মাস গণনা করা হত না। সে সময় উত্তরায়ণ, দক্ষিণায়ন, নক্ষত্র ইত্যাদি অনুসারে হিসাব হত। তাই এই তথ্য একেবারে অভ্রান্ত দাবী করা ঠিক হবে না।
তবে মহাভারত থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এই হিসাবটি মোটামুটি সর্বজন গ্রাহ্য একটি হিসাব। ২. উত্তরায়ণ = মাঘ থেকে আষাঢ় এই ছয় মাস। ৩. দক্ষিণায়ন = শ্রাবণ থেকে পৌষ এই ছয় মাস। তথ্যসূত্রঃ ১. গীতা তত্ত্ববোধিনী, প্রফেসর নিখিল ভট্রাচার্য, প্রকাশকঃ নির্ঝর, নিসর্গ – হাসপাতাল সড়ক, হবিগঞ্জ প্রকাশ কালঃ ১ম জন্মাষ্টমী ১৪১২ এবং ২য় মহালয়া ১৪১৩ ২. মহাভারত, রাজশেখর বসু, এম সি সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিমিটেড, বঙ্কিম চ্যাটাজি স্ট্রীট, কলিকাতা। ৩. সংক্ষিপ্ত মহাভারত, গীতাপ্রেস।
লেখক: অগ্নি সম্পদ
তাহলে ১লা মাঘ থেকে শরশয্যার ৫৮ দিন এবং যুদ্ধের প্রথম ১০ দিন (৫৮+১০)=৬৮ দিন পিছিয়ে গেলে যে তারিখ পাওয়া যাবে সেটাই হবে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের শুরুর দিন এবং গীতার আবির্ভাবের দিন। ৫৮ দিন পিছিয়ে গেলে পৌষ মাসের ২৯ দিন + অগ্রহায়ণ মাসের ৩০ দিন=৫৯ দিন, তাহলে পহেলা মাঘ থেকে পিছালে আমরা পাই ৩০ কার্তিক। এখন পুরো ৬৮ দিন পিছিয়ে যেতে আরও ৯ দিন পিছাতে হবে। ৩০ কার্তিক থেকে ৯ দিন পিছালে আমরা পাব ২১ কার্তিক। সুতরাং ‘২১ কার্তিকই’ হল কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শুরু এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শ্রীমুখ নিঃসৃত বাণী শ্রীমদ্ভগবদগীতা প্রকটের দিন।
পুনশ্চঃ ১. তবে বাংলা মাস বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের হয়, যেমন কোন বার কোন মাস ২৯ দিনে হয় আবার কোন বার ৩০ দিনে। দুই একদিন হেরফের করে ধরে নিলেও কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শুরু ও গীতার প্রকটের দিন কার্তিকের ২০/২১/২২ তারিখের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। তবে এটাও বলে রাখা ভাল মহাভারতের যুগে এই ভাবে মাস গণনা করা হত না। সে সময় উত্তরায়ণ, দক্ষিণায়ন, নক্ষত্র ইত্যাদি অনুসারে হিসাব হত। তাই এই তথ্য একেবারে অভ্রান্ত দাবী করা ঠিক হবে না।
তবে মহাভারত থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এই হিসাবটি মোটামুটি সর্বজন গ্রাহ্য একটি হিসাব। ২. উত্তরায়ণ = মাঘ থেকে আষাঢ় এই ছয় মাস। ৩. দক্ষিণায়ন = শ্রাবণ থেকে পৌষ এই ছয় মাস। তথ্যসূত্রঃ ১. গীতা তত্ত্ববোধিনী, প্রফেসর নিখিল ভট্রাচার্য, প্রকাশকঃ নির্ঝর, নিসর্গ – হাসপাতাল সড়ক, হবিগঞ্জ প্রকাশ কালঃ ১ম জন্মাষ্টমী ১৪১২ এবং ২য় মহালয়া ১৪১৩ ২. মহাভারত, রাজশেখর বসু, এম সি সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিমিটেড, বঙ্কিম চ্যাটাজি স্ট্রীট, কলিকাতা। ৩. সংক্ষিপ্ত মহাভারত, গীতাপ্রেস।
লেখক: অগ্নি সম্পদ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন