হিন্দুরা চারবর্ণে বিভক্ত, বর্ণগুলো যথাক্রমে- ক) ব্রাহ্মণ বা
পুরোহিত বর্ণ, খ) ক্ষত্রিয় বা যোদ্ধা বর্ণ, বৈশ্য বা ব্যবসায়িক শ্রেণীক
বর্ণ এবং ঘ)শুদ্র বা কৃষি বর্ণ।
এই বর্ণগুলো প্রত্যেকটি আবার কয়েকটি উ-বর্ণে বিভক্ত। প্রথম তিনটি বর্ণের সদস্যদের দ্বিজ বা পুণর্জন্মা বলা হয়। বেদ বা ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ এবং উপনয়নের ন্যয় ধর্মীয় সংস্কার সম্পাদনের মাধ্যমে তারা দ্বিতীয় জন্ম লাভ করে। হিন্দুদের মধ্যে যে বিভিন্ন ধর্মীয় সংস্কার রয়েছে তাদের মধ্যে কেবলমাত্র বিবাহ সংক্রান্ত সংস্কার ছাড়া শুদ্ররা অন্যকোন সংস্কার পালন করে না।
হিন্দুদের এই বর্ণ বা শ্রেণী বিভাগ আইনের ক্ষেত্রে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। দত্তক গ্রহণের ক্ষেত্রে দত্তক পুত্রকে অবশ্যই দত্তকগ্রহণকারী পিতার বর্ণের হতে হয়। বিবাহের ক্ষেত্রেও এক মতবাদ অনুযায়ী বিবাহ পক্ষগণকে এই বর্ণভূক্ত হতে হয়। হিন্দু আইনের কতকগুলো নীতি, বিশেষ করে দত্তক গ্রহণ অনুষ্ঠানে দত্তহোম পালনের ন্যয় ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত নীতিসমূহ শুদ্রদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। শুদ্রবর্ণ নির্ধারণে রাজকুমার লাল ব. বিশ্বেশ্বর [(১৮৮৪) ১০ ক্যাল ৬৮৮] মামলায় কোলকাতা হাইকোর্ট কায়স্থদের সাধারণভাবে শুদ্র বলে অভিহিত করেছেন; অপরদিকে তুলসীরাম ব. বিহারীলাল [(১৮৯০) ১২ এলা ৩২৮] মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট ও ঈশ্বরী প্রসাদ ব. রায়হরি প্রসাদ [(১৯২৭) ৬ পার্ট ৫০৬] মামলায় পাটনা হাইকোর্ট কায়স্থদের শুদ্র নয় বরে তিনটি দ্বিজ বর্ণের যে কোন একটির, সম্ভবত ক্ষত্রিয় বর্ণের অন্তর্ভূক্ত বলে মন্তব্য করেছেন। সুবরাত্ত ব. রাধা [(১৯২৮) ৫২ বোম ৪৯৭] মামলায় বোম্বে হাইকোর্ট মারাঠাদের কিছু ক্ষত্রিয় এবং কিছু শুদ্র বর্ণভূক্ত বলে রায় দিয়েছেন। বেঙ্গলের বৈদ্যরা রাজনন্দিন ব. অশ্বিনী কুমার [(১৯৪১)১ ক্যাল ৪৫৭] মামলার এবং সদ গোপরা দূর্গাদান পান ব. সন্তোষকুমার পান [(১৯৪৫)১ ক্যাল ৬৭] মামলার রায় অনুযায়ী কার্য্যকর হয়।
এই বর্ণগুলো প্রত্যেকটি আবার কয়েকটি উ-বর্ণে বিভক্ত। প্রথম তিনটি বর্ণের সদস্যদের দ্বিজ বা পুণর্জন্মা বলা হয়। বেদ বা ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ এবং উপনয়নের ন্যয় ধর্মীয় সংস্কার সম্পাদনের মাধ্যমে তারা দ্বিতীয় জন্ম লাভ করে। হিন্দুদের মধ্যে যে বিভিন্ন ধর্মীয় সংস্কার রয়েছে তাদের মধ্যে কেবলমাত্র বিবাহ সংক্রান্ত সংস্কার ছাড়া শুদ্ররা অন্যকোন সংস্কার পালন করে না।
হিন্দুদের এই বর্ণ বা শ্রেণী বিভাগ আইনের ক্ষেত্রে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। দত্তক গ্রহণের ক্ষেত্রে দত্তক পুত্রকে অবশ্যই দত্তকগ্রহণকারী পিতার বর্ণের হতে হয়। বিবাহের ক্ষেত্রেও এক মতবাদ অনুযায়ী বিবাহ পক্ষগণকে এই বর্ণভূক্ত হতে হয়। হিন্দু আইনের কতকগুলো নীতি, বিশেষ করে দত্তক গ্রহণ অনুষ্ঠানে দত্তহোম পালনের ন্যয় ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত নীতিসমূহ শুদ্রদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। শুদ্রবর্ণ নির্ধারণে রাজকুমার লাল ব. বিশ্বেশ্বর [(১৮৮৪) ১০ ক্যাল ৬৮৮] মামলায় কোলকাতা হাইকোর্ট কায়স্থদের সাধারণভাবে শুদ্র বলে অভিহিত করেছেন; অপরদিকে তুলসীরাম ব. বিহারীলাল [(১৮৯০) ১২ এলা ৩২৮] মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট ও ঈশ্বরী প্রসাদ ব. রায়হরি প্রসাদ [(১৯২৭) ৬ পার্ট ৫০৬] মামলায় পাটনা হাইকোর্ট কায়স্থদের শুদ্র নয় বরে তিনটি দ্বিজ বর্ণের যে কোন একটির, সম্ভবত ক্ষত্রিয় বর্ণের অন্তর্ভূক্ত বলে মন্তব্য করেছেন। সুবরাত্ত ব. রাধা [(১৯২৮) ৫২ বোম ৪৯৭] মামলায় বোম্বে হাইকোর্ট মারাঠাদের কিছু ক্ষত্রিয় এবং কিছু শুদ্র বর্ণভূক্ত বলে রায় দিয়েছেন। বেঙ্গলের বৈদ্যরা রাজনন্দিন ব. অশ্বিনী কুমার [(১৯৪১)১ ক্যাল ৪৫৭] মামলার এবং সদ গোপরা দূর্গাদান পান ব. সন্তোষকুমার পান [(১৯৪৫)১ ক্যাল ৬৭] মামলার রায় অনুযায়ী কার্য্যকর হয়।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন