হিন্দু ধর্ম মানবের ধর্ম। হিন্দু নামটা আমাদের দেওয়া নয়, পরের দেওয়া নাম। সংস্কৃতে এ শব্দটি নেই, কিন্তু এই নামটা আমরাও ছাড়তে পারি না। একেবারে চামড়ার সাথে মিশে গেছে। যেমন, একটি মানুষের নাম ঢেমনা। ঢেমনা মানে একটি লতার শেকড়। কিন্তু, নাম একবার হয়ে গেছে, তাই মানুষ তার নাম ঢেমনাই বলতে হবে। তেমনি, আমাদের ধর্মের
নামও থাকবে হিন্দু। কিন্তু, হিন্দু আমাদের নাম নয়। এর একটি সুন্দর নাম
আছে। নামটি হল “সনাতন ধর্ম”।
সনাতন মানে চিরস্থায়ী, চিরকালের ধর্ম। আসল নামটা হল মনুষ্যত্ব- এটাই
মূল ধর্ম। মূল তত্ত্বটাই “মানবধর্ম”। প্রাচীন নাম সনাতন ধর্ম- মানব মাত্রেই
এটা ধর্ম। আর এ জন্যই এই ধর্মে “conversion” নেই। ধর্মে কখনো convert করা
যায় না। আপনার মধ্যে যদি মনুষ্যত্ব না থাকে, তবে আপনাকে মনুষ্যত্ব দেবার
চেষ্টা করতে হবে। কি করে দেব? উপদেশ আর আদর্শ। আমি নিজে মানুষ হয়ে আপনার
সাথে মেলামেশা করতে করতে আপনি আমাকে দেখে মানুষ হয়ে যাবেন। এই জন্যই
হিন্দু ধর্মে convert করার কোন চেষ্টাই করা হয় নি। যেটা মানব ধর্ম, সেখানে
আবার conversion কিসের? আপনি মানুষ আপনাকে অপর ধর্মে নেবার কোন অর্থ হয়
না। যে মনুষ্যত্ব অর্জন করে নি, তাকে মনুষ্যত্ব দেবার চেষ্টা করা যায়;
মানুষকে মনুষ্যপদ বাচ্য করে তোলবার চেষ্টা করা যায়।
তবে হ্যাঁ, শুধুমাত্র উপদেশ দিয়ে মানুষ গড়া কষ্টকর। চুরি করো না, মিথ্যা বলো না, হিংসা করো না, মানুষ হও, মানুষ হওয়া উচিত- ইত্যাদি উপদেশের সাথে একটি পরম আদর্শের যোগ করে দিতে হয়- যার কাছে যেতে হলে, যার কৃপা পেতে হলে আগে মানুষ হওয়া দরকার। যে চোর, সে তার অনুগ্রহ পায় না। যে মিথ্যাবাদী, তিনি তাকে শাস্তি দেন। এ ভাবে একটি বড় জিনিসের সাথে যোগাযোগ রাখতে হয়। যেমন, মানুষকে ভাল করার জন্য পুলিশের ভয়, রাজার ভয়, জেলখানার ভয়- ইত্যাদি ব্যবস্থা সমাজকে রাখতে হয়েছে। তেমনি, মানুষকে মানুষ করার জন্য ভয়, ভালোবাসা, প্রেম, প্রীতি ইত্যাদি মিলিয়ে ঈশ্বরের সাথে একটা সম্পর্ক রাখতে হয়। অর্থাৎ মনুষ্যত্বের সাথে দেবত্বের আলো দেওয়া প্রয়োজন। লক্ষ্যটা মনুষ্যত্ব পর্যন্তই থাকবে না, আরও উপরে লক্ষ্যটি রাখতে হবে, তবেই ঠিক ঠিক মনুষ্যত্ব লাভ হবে।
আর তবেই, সার্থক হবে “মানবধর্ম”, সার্থক হবে “সনাতন ধর্ম”।
(সহায়ক গ্রন্থ : মানবধর্ম, ডঃ মহানামব্রত ব্রক্ষচারী)
তবে হ্যাঁ, শুধুমাত্র উপদেশ দিয়ে মানুষ গড়া কষ্টকর। চুরি করো না, মিথ্যা বলো না, হিংসা করো না, মানুষ হও, মানুষ হওয়া উচিত- ইত্যাদি উপদেশের সাথে একটি পরম আদর্শের যোগ করে দিতে হয়- যার কাছে যেতে হলে, যার কৃপা পেতে হলে আগে মানুষ হওয়া দরকার। যে চোর, সে তার অনুগ্রহ পায় না। যে মিথ্যাবাদী, তিনি তাকে শাস্তি দেন। এ ভাবে একটি বড় জিনিসের সাথে যোগাযোগ রাখতে হয়। যেমন, মানুষকে ভাল করার জন্য পুলিশের ভয়, রাজার ভয়, জেলখানার ভয়- ইত্যাদি ব্যবস্থা সমাজকে রাখতে হয়েছে। তেমনি, মানুষকে মানুষ করার জন্য ভয়, ভালোবাসা, প্রেম, প্রীতি ইত্যাদি মিলিয়ে ঈশ্বরের সাথে একটা সম্পর্ক রাখতে হয়। অর্থাৎ মনুষ্যত্বের সাথে দেবত্বের আলো দেওয়া প্রয়োজন। লক্ষ্যটা মনুষ্যত্ব পর্যন্তই থাকবে না, আরও উপরে লক্ষ্যটি রাখতে হবে, তবেই ঠিক ঠিক মনুষ্যত্ব লাভ হবে।
আর তবেই, সার্থক হবে “মানবধর্ম”, সার্থক হবে “সনাতন ধর্ম”।
(সহায়ক গ্রন্থ : মানবধর্ম, ডঃ মহানামব্রত ব্রক্ষচারী)
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন