লহ্মীদেবী যেমন নারায়ণের নিত্যশক্তি । কখনও লহ্মীদেবীকে বিবাহ করে
নারায়ণ পত্নীত্বে বরণ করেছিলেন-এমন নয় । তারা চিরকাল নিত্য পতি পত্নী রূপেই
বিরাজমান । তেমনই গোলোকে শ্রীরাধারাণী ও শ্রীকৃষ্ণ নিত্য দম্পতিরূপে
বিরাজমান । কিন্তু ভৌম ব্রজলীলায় রাধারাণীর সঙ্গে অভিমন্যু বা আয়ান ঘোষের
যে বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল তা বিশেষ লীলারস আস্বাদন করার জন্য
ভগবানের যোগমায়া শক্তির অঘটন-ঘটন পটীয়সী ব্যবস্থাপনা মাত্র । ভগবান
শ্রীহরিকে দর্শনের জন্য অভিমন্যু পূর্ব জীবনে কঠোর তপস্যায় ব্রতী হয়েছিলেন ।
তাঁর তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে ভগবান শ্রীহরি তাঁকে দর্শন দিয়েছিলেন এবং
প্রশ্ন করেছিলেন, “তুমি কি বর চাও ? যখন তপস্বী বলেছিলেন, “হে ভগবান ! আপনি
আমাকে কি দিতে পারেন ?” শ্রীহরি বলেছিলেন, “তুমি যা চাইবে তাই দেবো ।”
শ্রীহরির এই বাক্যের সততাকে পরীক্ষা করবার জন্য তপস্বী বলেছিলেন, “আমি চাই
লহ্মীদেবীকে পত্নীরূপে লাভ করতে ।”
তপস্বীর এই রকম অদ্ভূত বর শুনে পরমেশ্বর শ্রীহরি বলেছিলেন, “হে তপস্বী ! তুমি যখন দ্বাপরে জটিলার পুত্ররূপে জন্মগ্রহন করবে তখন তোমার বাসনা পূর্ণ হবে, কিন্তু কখনও তুমি লহ্মীকে স্পর্শ করতে পারবে না ।” এই বলে শ্রীহরি অদৃশ্য হলেন ।
পরবর্তীতে সেই তপস্বী জটিলাদেবীর পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করেন । কিন্তু বিবাহ লগ্নে তাঁর বুদ্ধিভ্রম হয় । তিনি দর্শকের মতোই বসে থাকেন । রাধারানী শ্রীকৃষ্ণের কাছে বহু মিনতি করেছিলেন যাতে শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া তার বরণ মালা কেউ যেন গ্রহণ না করে । ঘটনা ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণই বিবাহ বেদীতে রাধারাণীর মালা গ্রহণ করেছিলেন । কিন্তু উপস্থিত জনতার কাছে শ্রীকৃষ্ণ অভিমন্যু রূপেই প্রতিভাত হন । যেভাবে মথুরায় কংসযুদ্ধে তিনি বিভিন্নরূপে প্রতিভাত হয়েছিলেন ।
শ্রীকৃষ্ণ কাউকেই বিরক্ত করতে চাননি । কিন্তু লীলার খাতিরে পূর্বে রাধারাণী অভিশপ্ত হয়েছিলেন যে, শতবর্ষ তাকে কৃষ্ণবিরহে থাকতে হবে । তাই অভিমন্যুর ঘরেই শ্রীমতী রাধারাণী গৃহিণীমাত্র হয়ে দিন অতিবাহিত করে সর্বক্ষণ শ্রীকৃষ্ণ চিন্তায় নিমগ্ন ছিলেন । এটিই ছিল অভিমন্যুর পূর্বজীবনের তপস্যার ফল স্বরূপ । প্রকৃতপক্ষে শ্রীরাধারাণীর বিবাহ শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গেই হয়েছিল, অভিমন্যুর সঙ্গে কদাপি নয় । – সংগৃহীত -
তপস্বীর এই রকম অদ্ভূত বর শুনে পরমেশ্বর শ্রীহরি বলেছিলেন, “হে তপস্বী ! তুমি যখন দ্বাপরে জটিলার পুত্ররূপে জন্মগ্রহন করবে তখন তোমার বাসনা পূর্ণ হবে, কিন্তু কখনও তুমি লহ্মীকে স্পর্শ করতে পারবে না ।” এই বলে শ্রীহরি অদৃশ্য হলেন ।
পরবর্তীতে সেই তপস্বী জটিলাদেবীর পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করেন । কিন্তু বিবাহ লগ্নে তাঁর বুদ্ধিভ্রম হয় । তিনি দর্শকের মতোই বসে থাকেন । রাধারানী শ্রীকৃষ্ণের কাছে বহু মিনতি করেছিলেন যাতে শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া তার বরণ মালা কেউ যেন গ্রহণ না করে । ঘটনা ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণই বিবাহ বেদীতে রাধারাণীর মালা গ্রহণ করেছিলেন । কিন্তু উপস্থিত জনতার কাছে শ্রীকৃষ্ণ অভিমন্যু রূপেই প্রতিভাত হন । যেভাবে মথুরায় কংসযুদ্ধে তিনি বিভিন্নরূপে প্রতিভাত হয়েছিলেন ।
শ্রীকৃষ্ণ কাউকেই বিরক্ত করতে চাননি । কিন্তু লীলার খাতিরে পূর্বে রাধারাণী অভিশপ্ত হয়েছিলেন যে, শতবর্ষ তাকে কৃষ্ণবিরহে থাকতে হবে । তাই অভিমন্যুর ঘরেই শ্রীমতী রাধারাণী গৃহিণীমাত্র হয়ে দিন অতিবাহিত করে সর্বক্ষণ শ্রীকৃষ্ণ চিন্তায় নিমগ্ন ছিলেন । এটিই ছিল অভিমন্যুর পূর্বজীবনের তপস্যার ফল স্বরূপ । প্রকৃতপক্ষে শ্রীরাধারাণীর বিবাহ শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গেই হয়েছিল, অভিমন্যুর সঙ্গে কদাপি নয় । – সংগৃহীত -
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন