‘পীরালি’ ব্ৰাহ্মণেরা কোণঠাসা হইয়াও তবু হিন্দুসমাজে স্থান পাইয়াছে। কিন্তু এমন কয়েকটি শ্রেণী আছে, যাহারা। ‘যবনস্পর্শ দোষে’ অভিশাপগ্ৰস্ত হইয়া, না-হিন্দু-না-মুসলমান—এইরূপ একটা ত্রিশঙ্কু অবস্থার মধ্যে বাস করিতেছে। মালকানা রাজপুতদের কথা শুদ্ধি ও সংগঠন আন্দোলনের সময় অনেকেই শুনিয়াছেন। তাহারা নামে মাত্র মুসলমান হইয়াছিল, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাহারা ‘পতিত’ হিন্দু। আচার ব্যবহারে সর্বপ্রকারে তাহারা হিন্দুই আছে, কিন্তু হিন্দু সমাজ তাহাদিগকে হিন্দু বলিয়া স্বীকার করিতে চায় না। শুদ্ধি সংগঠন আন্দোলনের সময় ইহারা হিন্দু হইবার জন্য আগ্ৰহ প্ৰকাশ করে এবং শুদ্ধি আন্দোলনের পরিচালক স্বামী শ্রদ্ধানন্দের চেষ্টায় বহু মালকানা রাজপুত হিন্দুসমাজে গৃহীতও হয়। কিন্তু হিন্দুসমাজে গৃহীত হয় নাই, এমন সব মালকানা রাজপুত এখনও আছে এবং তাহারা পূর্ববৎ “ত্রিশঙ্কু” অবস্থার মধ্যেই বাস করিতেছে। বাঙলাদেশে ‘পটুয়া” (চিত্রকর) নামে একটিশ্রেণী আছে, যাহাদের অবস্থা অনেকটা মালকানা রাজপুতদের মতই। ইহারা কবে ’মুসলমান’ হইয়াছিল তাহা সঠিক বলা যায় না, তবে অনুমান ৩০০/৪০০ বৎসরের পূর্ব্বে নয়। কিন্তু ইহাদের আচার-ব্যবহার অনেক বিষয়েই হিন্দুদের মতই, বিবাহ পৰ্যন্ত অনেকটা হিন্দু প্ৰথাতেই হয়। কিন্তু তবুও হিন্দু সমাজ হইতে ইহারা বহিষ্কৃত। অথচ নামে মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিলেও মুসলমান সমাজেও ইহারা সম্পূর্ণরূপে স্থান পায় নাই। আমাদের মনে হয়, কোনরূপ “যবন সংস্পৰ্শ” দোষে এক সময় এই বৃহৎ শ্রেণীকে হিন্দু সমাজপতিরা পাইকারী ব্যবস্থায়—‘পতিত’ ও সমাজচ্যুত করিয়াছিলেন। তাহার পর হইতেই-ইহারা ‘না ঘাটকা না ঘরকা’ অবস্থায় কাল কাটাইতেছে। আমরা যতদূর জানি, শুদ্ধি আন্দোলনের সময় ইহাদের মধ্যে কতকগুলি পরিবার হিন্দু হইয়াছিল। কিন্তু এখনও অনেকে পূর্ব অবস্থাতেই আছে।
‘মগো কায়েত’, ‘মগো বামুন” প্রভৃতির নাম আধুনিক শিক্ষিতদের মধ্যে অনেকেই হয়ত শুনেন নাই। শুনিলেও ইহার অর্থ বুঝা অবস্থাভিজ্ঞ ভিন্ন সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। বাঙলার ইতিহাস পাঠকেরা জানেন, সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীতে মগ দস্যুরা বাঙলার সমুদ্রকুলবৰ্ত্তী পূর্ব্বাঞ্চলে প্রায়ই অত্যাচার ও লুণ্ঠন করিত। তাহারা সমুদ্রপথে বড় বড় নৌকা বা দেশী জাহাজে করিয়া আসিত এবং হঠাৎ দল বাধিয়া নামিয়া গ্রাম আক্রমণ করিত। তখনকার দিনে বাঙলার গ্রামবাসীরা এমন নিবীৰ্য্য হয় নাই। সুতরাং তাঁহারাও অস্ত্রশস্ত্ৰ লইয়া মগ দস্যুদের প্রতিরোধ করিত। যুদ্ধে কখনও কখনও মগ দস্যুরা পরাজিত হইয়া পলায়ন করিত, কখনও বা তাহারা জয়লাভ করিয়া গ্রামবাসীদের বাড়ীঘর লুণ্ঠন করিত। কেবলই যে টাকাকড়ি, মূল্যবান দ্রব্যাদিই মগের লইয়া যাইত তাহা নহে, সময়ে সময়ে নারীহরণও করিত। যাহাদের স্ত্রী-কন্যাদি মগ দস্যুরা হরণ করিয়া লইয়া যাইত, তাহাদের একেই লজ্জা ও কলঙ্ক রাখিবার স্থান থাকিত না, তাহার উপর গ্রামের সকলে মিলিয়া ঐ “অপরাধে” তাহাদের জাতিচ্যুত বা পতিত বলিয়া গণ্য করিত। ঐ সব পতিত গৃহস্থাদিগকেই “মগো বামুন’, “মগো কায়েত’, ‘মগো বৈদ্য’, ‘মগো নাপিত” প্ৰভৃতি বলা হইত। অর্থাৎ ঐ সব হতভাগ্য ব্ৰাহ্মণ, কায়স্থ প্রভৃতির গৃহ হইতে মগ দস্যুরা যে জোর করিয়া নারীহরণ করিয়া লইয়া যাইত, সমাজ তাহার জন্য হীনতার ছাপ চিরদিনের জন্য ঐ হতভাগ্যদেরই কপালে দাগিয়া দিবার ব্যবস্থা করিত।
সে কলঙ্কের চিহ্ন এখনও তাহাদের বংশধধরেরা বহন করিতেছে। যশোর, খুলনা, ফরিদপুর প্রভৃতি জেলায় কোন কোন অঞ্চলে বহু ‘মগো বামুন’, ‘মগো কায়েত’, ‘মগো বৈদ্য’, ‘মগো নাপিত” প্রভৃতি আছে। ভাল ব্রাহ্মণ, কায়স্থ প্রভৃতি ইহাদের হাতে জল খায় না, কোনরূপ আহার ব্যবহার করে না। ‘মাগো’রা নিজেদের মধ্যেই আহারব্যবহার করে, পুত্রকন্যার বিবাহ দেয়। কয়েক বৎসর পূর্ব্বে যশোরে একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটিয়াছিল। যশোর বার লাইব্রেরীর জনৈক উকীল জাতিতে “মগো কায়স্থ” ছিলেন। তাঁহার জন্য পৃথক জলখাবারের স্থান ছিল। একদিন তিনি ভ্ৰমক্রমে বা অন্য কোন কারণবশত উচ্চজাতিদের জন্য নির্দিষ্ট জলখাবারের ঘরে প্রবেশ করিয়া জলপান করেন। জনৈক উচ্চ জাতীয় উকীল। এই অনাচার দেখিতে পাইয়া “মগো কায়স্থ” উকীলকে তিরস্কার করেন। ফলে উভয়ে বচসা হয়, এমন কি মারপিটও হয়। শেষ পৰ্য্যন্ত ব্যাপারটা আদালত পৰ্যন্ত গড়ায়। সেই সময়ের সংবাদপত্রে ঘটনাটি প্ৰকাশিত হইয়াছিল।
হিন্দুসমাজ নূতন নূতন “জাতি” সৃষ্টি করিয়া এবং নানা বিচিত্র ও অদ্ভুত কারণে কতকগুলি শ্রেণীকে ‘হীন’ ও ‘পতিত’ ঘোষণা করিয়া যেভাবে আত্মহত্যা করিতেছে, তাহার কতকগুলি দৃষ্টান্ত আমরা দিয়াছি। আরও কয়েকটি দৃষ্টান্তের উল্লেখ করিব। “বৰ্ণ ব্ৰাহ্মণ” নামে এক শ্রেণীর পতিত ব্ৰাহ্মণ আছেন, তাহা হয়ত অনেকেই শুনিয়াছেন। ইহাদের পাতিত্যের কারণ কি ? যতদূর জানা যায়, এই ব্ৰাহ্মণের শূদ্র ও অন্ত্যজ জাতিদের পৌরোহিত্য করিতে স্বীকৃত হইয়াছিলেন বলিয়াই তাঁহাদের পাতিত্যদোষ ঘটিয়াছে।
যথা ধোপার ব্ৰাহ্মণ, নমশূদ্রের ব্ৰাহ্মণ, জেলের ব্ৰাহ্মণ-ইহারা সকলেই “বৰ্ণ ব্ৰাহ্মণ” এবং সাধারণ ব্ৰাহ্মণের নিকট হীন, পতিত বলিয়া গণ্য। পূর্বকালে যাঁহারা গ্রহপূজা, কোষ্ঠী বিচার প্রভৃতির ব্যবসা করিতেন, তাঁহারা ছিলেন গ্রহবিপ্ৰ। এই ‘গ্রহবিপ্রেরা’ও হীন ব্ৰাহ্মণ বলিয়া গণ্য। শ্রাদ্ধের পিণ্ডাদি যাঁহারা গ্ৰহণ করেন,-সেই “অগ্ৰদানী” ব্ৰাহ্মণেরাও হীন ব্রাহ্মণ বলিয়া গণ্য। ভাট, চারণ, নট প্রভৃতির কাৰ্য্য যে সব ব্রাহ্মণ করিত, তাহারাও হীন বলিয়া গণ্য হইত। তাহাদের বংশধরেরা এখনও সেই পাতিত্য দোষে লাঞ্ছিত। পণ্ডিত দিগিন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচাৰ্য্য তাঁহার প্রসিদ্ধ “জাতিভেদ” গ্রন্থে মনুসংহিতা ও অন্যান্য স্মৃতি গ্রন্থ হইতে বহুশ্লোক উদ্ধৃত করিয়া দেখাইয়াছেন, হিন্দু সমাজে “বৃত্তির দোষে।” ও অন্যান্য তথাকথিত “অপরাধে” কত লোক হীন ও পতিত বলিয়া গণ্য হইয়াছে। সেই সুদীর্ঘ তালিকা দেখিলে হতবুদ্ধি হইতে হয়। কিন্তু পরবর্ত্তীকালের দেশাচার ও লোকাচার স্মৃতির অনুশাসনও ছাড়াইয়া গিয়াছে। নূতন নূতন কারণে পাতিত্য দোষ ঘটিয়াছে। এইরূপে হিন্দু সমাজ কেবলই নিজেকে বিভক্ত, বিচ্ছিন্ন, খণ্ডবিখণ্ড করিতে করিতে চলিয়াছে, আর সকলকে হাঁকিয়া বলিতেছে-‘তফাৎ যাও, তফাৎ যাও’।
চলবে ...
গ্রন্থঃ ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু
লেখকঃ প্রফুল্লকুমার সরকার
সংগৃহীতঃ হিন্দুত্ববুক্স হতে ।
‘মগো কায়েত’, ‘মগো বামুন” প্রভৃতির নাম আধুনিক শিক্ষিতদের মধ্যে অনেকেই হয়ত শুনেন নাই। শুনিলেও ইহার অর্থ বুঝা অবস্থাভিজ্ঞ ভিন্ন সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। বাঙলার ইতিহাস পাঠকেরা জানেন, সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীতে মগ দস্যুরা বাঙলার সমুদ্রকুলবৰ্ত্তী পূর্ব্বাঞ্চলে প্রায়ই অত্যাচার ও লুণ্ঠন করিত। তাহারা সমুদ্রপথে বড় বড় নৌকা বা দেশী জাহাজে করিয়া আসিত এবং হঠাৎ দল বাধিয়া নামিয়া গ্রাম আক্রমণ করিত। তখনকার দিনে বাঙলার গ্রামবাসীরা এমন নিবীৰ্য্য হয় নাই। সুতরাং তাঁহারাও অস্ত্রশস্ত্ৰ লইয়া মগ দস্যুদের প্রতিরোধ করিত। যুদ্ধে কখনও কখনও মগ দস্যুরা পরাজিত হইয়া পলায়ন করিত, কখনও বা তাহারা জয়লাভ করিয়া গ্রামবাসীদের বাড়ীঘর লুণ্ঠন করিত। কেবলই যে টাকাকড়ি, মূল্যবান দ্রব্যাদিই মগের লইয়া যাইত তাহা নহে, সময়ে সময়ে নারীহরণও করিত। যাহাদের স্ত্রী-কন্যাদি মগ দস্যুরা হরণ করিয়া লইয়া যাইত, তাহাদের একেই লজ্জা ও কলঙ্ক রাখিবার স্থান থাকিত না, তাহার উপর গ্রামের সকলে মিলিয়া ঐ “অপরাধে” তাহাদের জাতিচ্যুত বা পতিত বলিয়া গণ্য করিত। ঐ সব পতিত গৃহস্থাদিগকেই “মগো বামুন’, “মগো কায়েত’, ‘মগো বৈদ্য’, ‘মগো নাপিত” প্ৰভৃতি বলা হইত। অর্থাৎ ঐ সব হতভাগ্য ব্ৰাহ্মণ, কায়স্থ প্রভৃতির গৃহ হইতে মগ দস্যুরা যে জোর করিয়া নারীহরণ করিয়া লইয়া যাইত, সমাজ তাহার জন্য হীনতার ছাপ চিরদিনের জন্য ঐ হতভাগ্যদেরই কপালে দাগিয়া দিবার ব্যবস্থা করিত।
সে কলঙ্কের চিহ্ন এখনও তাহাদের বংশধধরেরা বহন করিতেছে। যশোর, খুলনা, ফরিদপুর প্রভৃতি জেলায় কোন কোন অঞ্চলে বহু ‘মগো বামুন’, ‘মগো কায়েত’, ‘মগো বৈদ্য’, ‘মগো নাপিত” প্রভৃতি আছে। ভাল ব্রাহ্মণ, কায়স্থ প্রভৃতি ইহাদের হাতে জল খায় না, কোনরূপ আহার ব্যবহার করে না। ‘মাগো’রা নিজেদের মধ্যেই আহারব্যবহার করে, পুত্রকন্যার বিবাহ দেয়। কয়েক বৎসর পূর্ব্বে যশোরে একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটিয়াছিল। যশোর বার লাইব্রেরীর জনৈক উকীল জাতিতে “মগো কায়স্থ” ছিলেন। তাঁহার জন্য পৃথক জলখাবারের স্থান ছিল। একদিন তিনি ভ্ৰমক্রমে বা অন্য কোন কারণবশত উচ্চজাতিদের জন্য নির্দিষ্ট জলখাবারের ঘরে প্রবেশ করিয়া জলপান করেন। জনৈক উচ্চ জাতীয় উকীল। এই অনাচার দেখিতে পাইয়া “মগো কায়স্থ” উকীলকে তিরস্কার করেন। ফলে উভয়ে বচসা হয়, এমন কি মারপিটও হয়। শেষ পৰ্য্যন্ত ব্যাপারটা আদালত পৰ্যন্ত গড়ায়। সেই সময়ের সংবাদপত্রে ঘটনাটি প্ৰকাশিত হইয়াছিল।
হিন্দুসমাজ নূতন নূতন “জাতি” সৃষ্টি করিয়া এবং নানা বিচিত্র ও অদ্ভুত কারণে কতকগুলি শ্রেণীকে ‘হীন’ ও ‘পতিত’ ঘোষণা করিয়া যেভাবে আত্মহত্যা করিতেছে, তাহার কতকগুলি দৃষ্টান্ত আমরা দিয়াছি। আরও কয়েকটি দৃষ্টান্তের উল্লেখ করিব। “বৰ্ণ ব্ৰাহ্মণ” নামে এক শ্রেণীর পতিত ব্ৰাহ্মণ আছেন, তাহা হয়ত অনেকেই শুনিয়াছেন। ইহাদের পাতিত্যের কারণ কি ? যতদূর জানা যায়, এই ব্ৰাহ্মণের শূদ্র ও অন্ত্যজ জাতিদের পৌরোহিত্য করিতে স্বীকৃত হইয়াছিলেন বলিয়াই তাঁহাদের পাতিত্যদোষ ঘটিয়াছে।
যথা ধোপার ব্ৰাহ্মণ, নমশূদ্রের ব্ৰাহ্মণ, জেলের ব্ৰাহ্মণ-ইহারা সকলেই “বৰ্ণ ব্ৰাহ্মণ” এবং সাধারণ ব্ৰাহ্মণের নিকট হীন, পতিত বলিয়া গণ্য। পূর্বকালে যাঁহারা গ্রহপূজা, কোষ্ঠী বিচার প্রভৃতির ব্যবসা করিতেন, তাঁহারা ছিলেন গ্রহবিপ্ৰ। এই ‘গ্রহবিপ্রেরা’ও হীন ব্ৰাহ্মণ বলিয়া গণ্য। শ্রাদ্ধের পিণ্ডাদি যাঁহারা গ্ৰহণ করেন,-সেই “অগ্ৰদানী” ব্ৰাহ্মণেরাও হীন ব্রাহ্মণ বলিয়া গণ্য। ভাট, চারণ, নট প্রভৃতির কাৰ্য্য যে সব ব্রাহ্মণ করিত, তাহারাও হীন বলিয়া গণ্য হইত। তাহাদের বংশধরেরা এখনও সেই পাতিত্য দোষে লাঞ্ছিত। পণ্ডিত দিগিন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচাৰ্য্য তাঁহার প্রসিদ্ধ “জাতিভেদ” গ্রন্থে মনুসংহিতা ও অন্যান্য স্মৃতি গ্রন্থ হইতে বহুশ্লোক উদ্ধৃত করিয়া দেখাইয়াছেন, হিন্দু সমাজে “বৃত্তির দোষে।” ও অন্যান্য তথাকথিত “অপরাধে” কত লোক হীন ও পতিত বলিয়া গণ্য হইয়াছে। সেই সুদীর্ঘ তালিকা দেখিলে হতবুদ্ধি হইতে হয়। কিন্তু পরবর্ত্তীকালের দেশাচার ও লোকাচার স্মৃতির অনুশাসনও ছাড়াইয়া গিয়াছে। নূতন নূতন কারণে পাতিত্য দোষ ঘটিয়াছে। এইরূপে হিন্দু সমাজ কেবলই নিজেকে বিভক্ত, বিচ্ছিন্ন, খণ্ডবিখণ্ড করিতে করিতে চলিয়াছে, আর সকলকে হাঁকিয়া বলিতেছে-‘তফাৎ যাও, তফাৎ যাও’।
চলবে ...
গ্রন্থঃ ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু
লেখকঃ প্রফুল্লকুমার সরকার
সংগৃহীতঃ হিন্দুত্ববুক্স হতে ।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন