১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সমাজসংস্কারে নারীর স্থান

হিন্দুসমাজে নারীর স্থান খুব উচ্চে, এই কথা প্রমাণ করিবার জন্য আজকাল আমরা খুবই ব্যগ্ৰ, সংস্কৃত শ্লোক আওড়াইয়া আমরা পরম গর্বভরে বলি—
‘যত্ৰ নাৰ্য্যস্তূ পূজ্যন্তে
রমন্তে তত্র দেবতাঃ’। 1
আর প্রাচীন ভারতে স্ত্রী স্বাধীনতা ও স্ত্রী শিক্ষার যে খুব চমৎকার ব্যবস্থা ছিল, ইহাও প্রমাণ করিতে বসিয়া যাই,—গার্গী, মৈত্ৰেয়ী, খনা, লীলাবতী প্রভৃতির নাম করি; ‘কন্যাপেব পালনীয়া শিক্ষনীয়াতিযত্নতঃ’2—মনুর এই শ্লোক উদ্ধৃত করিয়া অবিশ্বাসীদের তাক লাগাইয়া দিই।

প্ৰাচীন ভারতের প্রতি আমাদের খুবই শ্রদ্ধা আছে। হিন্দুসভ্যতা ও সংস্কৃতির গৌরব আমরাও অনুভব করি। কিন্তু তৎসত্ত্বেও অতীব দুঃখের সঙ্গে আমাদিগকে বলিতে হইতেছে যে, হিন্দুসমাজে নারীর অবস্থার যে রঙ্গীন চিত্র আমরা আঁকিয়া থাকি, তাহা অনেকাংশেই বাস্তব সত্য নহে। প্ৰাচীন বৈদিক ও বৌদ্ধযুগের “স্বপ্নরাজ্যের” কথা ছাড়িয়া দিলে, ঐতিহাসিক মধ্যযুগে তথা আধুনিক যুগে দেখিতেছি, হিন্দু সমাজে নারীকে ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সম্পত্তির চেয়ে বেশী মূল্য দেওয়া হয় নাই। তাহাকে সর্বপ্রকারে অসহায় ও পরবশ করিয়া রাখা হইয়াছে। তাহার জ্ঞাননেত্ৰ উন্মীলন করার কোন ব্যবস্থা করা হয় নাই। বরং বহির্জগতের সঙ্গে যাহাতে তাহার সম্বন্ধ না ঘটতে পারে, সেইজন্য অবরোধ প্রথার আমদানী করা হইয়াছে। ‘সতীদাহের’ কথা উঠিলে এখনও আমাদের শরীরে রোমাঞ্চ হয়। মাত্ৰ এক শতাব্দী পূর্বেও ‘সতীদাহ’ পরম পবিত্র হিন্দুশাস্ত্ৰ সম্মত বলিয়া গণ্য হইত এবং আইনের ভীতি না থাকিলে এখনও ঐ উপায়ে পুণ্যসঞ্চয় করিতে আমরা দ্বিধাবোধ করিতাম না। প্ৰাচীন শাস্ত্ৰে বিধবার জন্য তিনটী পথ নির্দিষ্ট হইয়াছিল,—ব্রহ্মচৰ্য্য, বিধবাবিবাহ এবং সতীদাহ। কিন্তু অর্ব্বাচীন যুগের হিন্দুসমাজ তন্মধ্যে ‘সতীদাহকেই’ প্ৰাধান্য দিয়াছিল। এই প্ৰথা যে আদিম বর্ব্বর যুগের এবং ইহার সঙ্গে নারীকে সম্পত্তিরূপে গণ্য করিবার মনোভাব জড়িত, এই অপ্রিয় সত্য কথাটা কয়জন ভাবিয়া দেখিয়াছেন ? বিধবা বিবাহ নিষেধও অল্পবিস্তর এই ভাবের সঙ্গে জড়িত। স্বামীর মৃত্যু হইলেও স্ত্রী পুনর্বিবাহ করিতে পরিবে না, কেন-না স্বামীর সঙ্গে তাহার জন্মজন্মান্তরের সম্বন্ধ,—ইহার সরল অর্থ, স্ত্রী স্বামীর অন্যান্য স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির পর্য্যায়ভুক্ত। নতুবা স্বামী স্ত্রীর মৃত্যুর পর, এমন কি স্ত্রী বাঁচিয়া থাকিতেও যতবার ইচ্ছা বিবাহ করিতে পারিবে, সেখানে ইহলোক ও পরলোকের কোন প্রশ্নই উঠিবে না, অথচ নারীর জন্যই যত কিছু বিধি নিষেধ, ইহার অর্থ কি ?


অপহৃত ও বলপূর্বক ধৰ্ষিতা নারীদের প্রতি হিন্দুসমাজ যে হৃদয়হীন ব্যবহার করে, তাহার মূলেও নারীর প্রতি হীনতাসূচক এই নিকৃষ্ট মনোভাব। অপহৃত নারীকে রক্ষা করিবার মত ক্ষাত্ৰবীৰ্য্য বাঙ্গলার হিন্দুসমাজ হইতে যে পরিমাণে লোপ পাইয়াছে, ঠিক সেই পরিমাণেই যেন অপহৃত ও নিগৃহীত নারীদিগকে সমাজ হইতে বিতাড়িত ও বহিস্কৃত করিবার প্রবৃত্তিও বৃদ্ধি পাইয়াছে। অপহৃত ও বলপূর্বক নিগৃহীত নারীদের প্রতি জগতের কোন মনুষ্যসমাজ এমন নিষ্ঠুর ব্যবহার করে না। আমরা কথায় কথায় শাস্ত্রের দোহাই দিই, কিন্তু শাস্ত্রের দোহাই দিয়াও এই অপকাৰ্য্য সমর্থন করা যায় না। কেন না স্মৃতিকারেরা বলপূৰ্ব্বক অপহৃতা ও নিগৃহীতা নারীকে সমাজে গ্রহণ করার জন্য উদার ব্যবস্থাই দিয়াছেন। হিন্দুসমাজের হৃদয়হীনতার ফলে কত নিরপরাধিনী নারী যে এইভাবে সমাজ হইতে বহিস্কৃত হইয়া বিধর্ম্মীর অঙ্কশায়িনী হইতে বাধ্য হইয়াছে, কত নারী যে পতিতা বৃত্তি অবলম্বন করিয়াছে, তাহা ভাবিতেও মন গভীর বিষাদ ভারাক্রান্ত হইয়া উঠে এবং হিন্দুসমাজের ভবিষ্যতের জন্য আশঙ্কা হয় । যে সমাজ নিজেদের নিরপরাধিনী নারীর সঙ্গন্ধে এই আত্মহত্যাকর নীতি অবলম্বন করিতে পারে তাহার কল্যাণ কোথায় ?


হিন্দু নারীকে যে আমরা সমাজে মনুষ্যত্বের মর্য্যাদা দিই না, তাহার অন্যতম প্ৰমাণ, নারীদের পিতা বা স্বামীর সম্পত্তিতে পূর্ণ অধিকার নাই । জীবিত কালের জন্য গ্ৰাসাচ্ছাদন পাইবার অধিকার মাত্ৰ তাহার আছে । ফলে বাল্যে, যৌবনে ও বাৰ্দ্ধক্যে সর্ব্ব অবস্থাতেই নারীকে পরাধীন হইয়া থাকিতে হয় । মনুও অবশ্য সেই ব্যবস্থা দিয়াছেন—“ন স্ত্রী স্বাতন্ত্র্যমর্হতি’।3 এ বিষয়ে হিন্দু নারীর চেয়ে মুসলমান নারীদের মৰ্যাদা ও অধিকার যে অনেক বেশী, একথা স্বীকার করিতে হইবে ।


তার পর বাল্যবিবাহ প্ৰথা। এই প্ৰথা হিন্দুসমাজের অৰ্দ্ধাংশ নারীকে যে দেহ ও মনে পঙ্গু করিয়া ফেলিতেছে, একথা অস্বীকার করিয়া লাভ নাই। একদিকে অবরোধপ্রথা, অন্য দিকে বাল্যবিবাহ এই দুইয়ে মিলিয়া হিন্দু নারীদের মধ্যে অকালমৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি করিতেছে। হিন্দুর সূতিকাগারের সঙ্গে নানারূপ লোকাচার ও দেশাচার মূলক কুসংস্কার ও কুপ্রথা জড়িত। বাল্যমাতৃত্বের সঙ্গে এই কুসংস্কার মিলিয়া প্ৰসূতিমৃত্যুর সংখ্যা যেরূপ ভয়াবহ করিয়া তুলিয়াছে, বোধ হয় কোন সমাজে তাহার তুলনা নাই। হিন্দু নারীদের মধ্যে প্রসূতি মৃত্যুর কোন পৃথক হিসাব পাওয়া যায় না, কিন্তু নিম্নে প্ৰসূতিমৃত্যুর যে হিসাব দেওয়া হইল, (ভারত গবৰ্ণমেণ্টের মেডিক্যাল সাভিসের ভূতপূৰ্ব ডিরেক্টার জেনারেল স্যার জন মীগের হিসাব মতে) তাহার মধ্যে হিন্দু নারীদের একটা বড় অংশ যে আছে, তাহাতে সন্দেহ নাই।
প্ৰসূতি মৃত্যুর হার (হাজার করা)—(১৯৩৩) | | | | :—-: | :—-: | | আসাম | ২৬.৪০ | | যুক্তপ্রদেশ | ১৮ | | মধ্যপ্ৰদেশ | ৮.১৮ | | মান্দ্রাজ | ১৩.২৪ | | বাঙ্গলা | ৪০.১৬ | | বিহার উড়িষ্যা | ২৬.৮৭ | | পাঞ্জাব | ১৮.৭৩ | | বোম্বাই | ২০ | | সমগ্র ভারতে (গড়ে) | ২৪.০৫ |
বিলাতে প্ৰসূতি মৃত্যুর হার হাজার করা ৪ জন মাত্র এবং উহাও কমাইবার জন্য প্ৰবল চেষ্টা চাইতেছে।
হিন্দুনারীদের মধ্যে যক্ষ্মা রোগের প্রাবল্যও লক্ষ্য করবার বিষয় ! বাল্যমাতৃত্ব এবং অবরোধ প্ৰথা যে ইহার অন্যতম প্ৰধান কারণ, তাহাতে সন্দেহ নাই।


বাঙ্গলা দেশে হিন্দুসমাজে নারীর সংখ্যা যে ক্রমশঃ হ্রাস হইতেছে এবং উহার ফলে হিন্দুসমাজ ক্রমশঃ ক্ষয় হইতেছে, ইহা আমরা পূর্বে দেখাইয়াছি। হিন্দু নারীর এই সংখ্যা হ্রাসের কারণ কি ? হিন্দুজাতির জীবনীশক্তিহ্রাস যে ইহার একটা প্ৰধান কারণ, এরূপ সন্দেহ করিবার হেতু আছে। আমাদের মনে হয়, হিন্দুসমাজে কন্যাসন্তানের প্রতি অনাদর ও উপেক্ষাও ইহার আর একটা প্ৰধান কারণ। যে সমাজ কন্যাসন্তান চায় না, তাহার প্রতি অনাদর ও উপেক্ষা করে, জীবতত্ত্বের নিগূঢ় নিয়মে সে সমাজে কন্যার সংখ্যা কম হইবেই। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যায়, কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজপুতানা ও সিন্ধুর হিন্দুসমাজ কন্যাসন্তানের প্রতি ঘোর অনাদর করিত, এমন কি শিশুকালে কন্যাকে বিষ খাওয়াইয়া বা গলা টিপিয়া মারিয়া ফেলিত। ইংরাজ আমলে ঐ নৃশংস প্ৰথা আইন বলে বন্ধ করা হইয়াছে, কিন্তু গোপনে এখনও উহা চলিয়া থাকে। ফলে ঐ সব প্রদেশে হিন্দুদের মধ্যে নারীর সংখ্যা অত্যন্ত কম, অনেক পুরুষ বিবাহই করিতে পারে না, ভিন্ন প্রদেশ হইতে নানা উপায়ে কন্যা সংগ্ৰহ করিতে হয়। কাশ্মীরে নারীর সংখ্যা এত কমিয়া গিয়াছে যে, কাশ্মীর দরবার সম্প্রতি আইন করিয়াছেন যে, প্রত্যেক হিন্দু গৃহস্থ কন্যাসন্তানকে সযত্নে পালন ও রক্ষা করিবার জন্য দায়ী থাকিবে। ইহার কোন ব্যতিক্রম হইলে আইনতঃ দণ্ড হইবে, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হইলে গবৰ্ণমেণ্ট কন্যাসন্তানের পালন ও রক্ষা করার জন্য অভিভাবকদিগকে অর্থ সাহায্য করিবেন ।


ইহাই প্ৰকৃতির প্রতিশোধ। বাঙলা দেশের হিন্দুসমাজে নারীর সংখ্যা যে ক্রমশঃ হ্রাস হইতেছে, তাহাও প্ৰকৃতির প্রতিশোধ বলিয়া মনে হয়। হিন্দুর গৃহে কন্যার প্রতি যে ভাবে অনাদর ও উপেক্ষা করা হয়, কন্যার বিবাহ দিবার জন্য পিতামাতাকে যেরূপ দুর্ভোগ সহ্য করিতে হয়, এমন কি অনেক সময় সর্ব্বস্বান্ত হইতে হয়, তাহাতে হিন্দুসমাজে কন্যার সংখ্যা যে ক্রমশঃ হ্রাস হইবে, তাহা আর বিচিত্র কি?
নারীদের শিক্ষার প্রতি বাঙ্গলার হিন্দুসমাজ কয়েক শতাব্দী ধরিয়া যে ভাবে উপেক্ষা ও ঔদাসীন্য প্ৰদৰ্শন করিয়া আসিয়াছে, তাহা সমাজের পক্ষে মোটেই গৌরবের বিষয় নহে। মেয়েরা লেখা পড়া শিখিলে বিধবা হয়, এ ধারণা উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্তও হিন্দুসমাজে প্ৰচলিত ছিল। প্ৰধানতঃ খ্রীস্টান মিশনারীদের প্রচেষ্টায় বাঙলা দেশে স্ত্রী শিক্ষার আন্দোলন আরম্ভ হয়। তার পর অবশ্য হিন্দুসমাজের নেতা ও সংস্কারকেরা স্ত্রী শিক্ষার আন্দোলনে সোৎসাহে যোগ দিয়াছেন। প্ৰাতঃস্মরণীয় বিদ্যাসাগর, কেশবচন্দ্ৰ সেন, রাজা রাধাকান্ত দেব প্রভৃতির নাম এক্ষেত্রে বিশেষ-ভাবে উল্লেখযোগ্য। স্ত্রী স্বাধীনতার আন্দোলনও উনবিংশ শতাব্দীর মধ্য-ভাগে হিন্দুসমাজের সংস্কারপন্থী নেতারা আরম্ভ করেন।


কিন্তু নারীশিক্ষা ও নারীস্বাধীনতার আন্দোলন এই বিংশ শতাব্দীর প্ৰথম পাদেই সমধিক প্ৰবল হইয়াছে এবং কিয়দংশে সফলও হইয়াছে। প্ৰথমে স্বদেশী আন্দোলন, তারপর মহাত্মা গান্ধীর প্রবৰ্ত্তিত অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলনই ইহার জন্য গৌরব করিতে পারে। গত বিশ বৎসরে বাঙলা দেশে হিন্দুসমাজে নারীশিক্ষা দ্রুতগতিতে অগ্রসর হইয়াছে, অবরোধ-প্ৰথা কিয়দংশে দূর হইয়াছে, নারীরা সাধারণের কাজে যোগ দিতে শিখিয়াছেন।
কিন্তু বাঙলার বিরাট হিন্দুসমাজের তুলনায় এই নারীশিক্ষা ও নারীস্বাধীনতার আন্দোলন কতটুকু অগ্রসর হইয়াছে ? বলিতে গেলে সমাজের উপরের স্তরে—ভদ্রলোকদের মধ্যেই এই আন্দোলন কিয়ৎ পরিমাণে অগ্রসর হইয়াছে। হিন্দু সমাজের শতকরা ৯৫ জন নারী এখনও অজ্ঞ, অশিক্ষিত, কুসংস্কারের অন্ধকারে নিমগ্ন। সুতরাং সর্বপ্রকার সংস্কার আন্দোলন যে হিন্দুনারীদের এই অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের পাষাণ প্রাচীরে আসিয়া ঠেকিয়া যাইবে, তাহা আর বিচিত্র কি? হিন্দুসমাজের পুরুষেরা শিক্ষায় সংস্কৃতিতে যতই অগ্রসর হোক, যতই হিন্দু বড় বড় সমাজসংস্কারের কথা তাহারা বলুক, যতদিন সমাজের অৰ্দ্ধাংশ নারীরা তাহাতে সহযোগিতা না করিতেছে, ততদিন কোন সংস্কারই সফল হইতে পরিবে না। দিদিমা, পিসীমা, মাসীমা, জেঠাইমার দল চিরদিন আমাদের পথরোধ করিয়া দাড়াইয়া থাকিবেন।

 অতএব হিন্দুসমাজকে রক্ষা করিতে হইলে, সমাজকে নবযুগের উপযোগী করিয়া নূতন ভাবে গড়িতে হইলে, সৰ্ব্বাগ্রে নারীদিগকে সেজন্য প্ৰস্তুত করিয়া তুলিতে হইবে। এ কাজের ভার শিক্ষিতা নারীরা যদি স্বহস্তে গ্রহণ করেন, তাহা হইলেই সব চেয়ে ভাল হয়। কিঞ্চিৎ আশার কথা, শিক্ষিতা নারীরা আজকাল বহু সভাসমিতি ও সন্মিলন গড়িয়া তুলিয়াছেন এবং নারীদের মধ্যে নানাদিকে সংস্কার আন্দোলন চালাইতে চেষ্টা করিতেছেন। কিন্তু তাহাদের কার্য্যক্ষেত্ৰ এখনও সহরের মুষ্টিমেয় ভদ্র পরিবারের নারীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এই কাৰ্য্যক্ষেত্র বিস্তৃত করিতে হইবে, হিন্দু সমাজের নিম্নস্তরে শহরের বাহিরে গ্রামে যে বিশাল নারী-সমাজ আছে, তাহাদের মধ্যে চেতনা সঞ্চার করিতে হইবে। তবেই নারী আন্দোলন প্ৰকৃতপক্ষে সফল হইতে পারিবে।


প্রাচীন যুগে যাহাই হোক, বৰ্ত্তমান যুগে হিন্দুসমাজ নারীকে উপযুক্ত মৰ্যাদা দেয় নাই, তাহার মনুষ্যত্বের দাবীকে পূরাপূরি স্বীকার করে নাই। ফলে নারী আজ হিন্দুসমাজের অগ্রগতির পথে প্ৰধান বাধাস্বরূপ হইয়া দাঁড়াইয়াছে। যদি পূর্ব্বকৃত অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করিয়া হিন্দু নারীকে আজ আমরা তাহার প্রাপ্য স্থান দেই, তবেই হিন্দুসমাজের পক্ষে জীবনসংগ্রামে আত্মরক্ষা করা সম্ভবপর হইবে।

• মনুসংহিতা ৩য় অধ্যায়, ৫৬ শ্লোক↩

• মহানির্বাণতন্ত্রম অষ্টম উল্লাস ৪৭ শ্লোক↩

• মনুসংহিতা ৯ম অধ্যায় ৩ শ্লোক↩


Share:

Total Pageviews

বিভাগ সমুহ

অন্যান্য (91) অবতারবাদ (7) অর্জুন (4) আদ্যশক্তি (68) আর্য (1) ইতিহাস (30) উপনিষদ (5) ঋগ্বেদ সংহিতা (10) একাদশী (10) একেশ্বরবাদ (1) কল্কি অবতার (3) কৃষ্ণভক্তগণ (11) ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু (21) ক্ষুদিরাম (1) গায়ত্রী মন্ত্র (2) গীতার বানী (14) গুরু তত্ত্ব (6) গোমাতা (1) গোহত্যা (1) চাণক্য নীতি (3) জগন্নাথ (23) জয় শ্রী রাম (7) জানা-অজানা (7) জীবন দর্শন (68) জীবনাচরন (56) জ্ঞ (1) জ্যোতিষ শ্রাস্ত্র (4) তন্ত্রসাধনা (2) তীর্থস্থান (18) দেব দেবী (60) নারী (8) নিজেকে জানার জন্য সনাতন ধর্ম চর্চাক্ষেত্র (9) নীতিশিক্ষা (14) পরমেশ্বর ভগবান (25) পূজা পার্বন (43) পৌরানিক কাহিনী (8) প্রশ্নোত্তর (39) প্রাচীন শহর (19) বর্ন ভেদ (14) বাবা লোকনাথ (1) বিজ্ঞান ও সনাতন ধর্ম (39) বিভিন্ন দেশে সনাতন ধর্ম (11) বেদ (35) বেদের বানী (14) বৈদিক দর্শন (3) ভক্ত (4) ভক্তিবাদ (43) ভাগবত (14) ভোলানাথ (6) মনুসংহিতা (1) মন্দির (38) মহাদেব (7) মহাভারত (39) মূর্তি পুজা (5) যোগসাধনা (3) যোগাসন (3) যৌক্তিক ব্যাখ্যা (26) রহস্য ও সনাতন (1) রাধা রানি (8) রামকৃষ্ণ দেবের বানী (7) রামায়ন (14) রামায়ন কথা (211) লাভ জিহাদ (2) শঙ্করাচার্য (3) শিব (36) শিব লিঙ্গ (15) শ্রীকৃষ্ণ (67) শ্রীকৃষ্ণ চরিত (42) শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু (9) শ্রীমদ্ভগবদগীতা (40) শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা (4) শ্রীমদ্ভাগব‌ত (1) সংস্কৃত ভাষা (4) সনাতন ধর্ম (13) সনাতন ধর্মের হাজারো প্রশ্নের উত্তর (3) সফটওয়্যার (1) সাধু - মনীষীবৃন্দ (2) সামবেদ সংহিতা (9) সাম্প্রতিক খবর (21) সৃষ্টি তত্ত্ব (15) স্বামী বিবেকানন্দ (37) স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (14) স্মরনীয় যারা (67) হরিরাম কীর্ত্তন (6) হিন্দু নির্যাতনের চিত্র (23) হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র ও অন্যান্য অর্থের পরিচিতি (8) হিন্দুত্ববাদ. (83) shiv (4) shiv lingo (4)

আর্টিকেল সমুহ

অনুসরণকারী

" সনাতন সন্দেশ " ফেসবুক পেজ সম্পর্কে কিছু কথা

  • “সনাতন সন্দেশ-sanatan swandesh" এমন একটি পেজ যা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শাখা ও সনাতন সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে গঠন করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য নিজের ধর্মকে সঠিক ভাবে জানা, পাশাপাশি অন্য ধর্মকেও সম্মান দেওয়া। আমাদের লক্ষ্য সনাতন ধর্মের বর্তমান প্রজন্মের মাঝে সনাতনের চেতনা ও নেতৃত্ত্ব ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা কুসংষ্কারমুক্ত একটি বৈদিক সনাতন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ পথচলায় আপনাদের সকলের সহযোগিতা কাম্য । এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সনাতন ধর্মের যে কেউ লাইক দিয়ে এর সদস্য হতে পারে।