১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

অস্পৃশ্যতার অভিশাপ


বহুজাতিভেদ যে হিন্দুসমাজের দৌর্ব্বল্য ও সঙ্ঘবদ্ধহীনতার প্রধান কারণ, নিতান্ত অন্ধ ভিন্ন একথা কেহই অস্বীকার করিতে পারে না। মুসলমান সমাজে বংশগত জাতিভেদ নাই,-ইসলামের দৃষ্টিতে সব মুসলমানই সমান। তাহারা সকলেই এক সঙ্গে মসজিদে নামাজ পড়িতে পারে, একসঙ্গে আহার-ব্যবহার করিতে পারে,- এমন কি বিবাহের আদান-প্ৰদানেও কোন বংশগত দুরতিক্রমণীয় বাধা নাই। প্রত্যেক মুসলমানই জানে যে, সে যতই দরিদ্র হোক, বিশাল মুসলমান সমাজেরই একজন। সে বিপন্ন হইয়া হাঁক দিলে আর দশজন মুসলমান ছুটিয়া আসিয়া তাহাকে সাহায্য করিবে। এমন কি, সে যদি কোন অন্যায় কাৰ্য্যও করে, তাহা হইলেও তাহাকে সমাজের পক্ষ হইতে রক্ষা করিবার জন্য সঙ্ঘবদ্ধ প্ৰচেষ্টা হইবে। মুসলমান সমাজের এই বৈশিষ্ট্য তাহার একটা প্ৰচণ্ড শক্তি। সমাজ বিজ্ঞানের ভাষায় যাহাকে Herd instinct, group consciousness-“গোষ্ঠিচৈতন্য” বা সঙ্ঘচৈতন্য বলে,- মুসলমান সমাজে তাহা যথেষ্ট পরিমাণেই আছে। এই group consciousness -সঙ্ঘচৈতন্য বা গোষ্ঠিচৈতন্যের একটা বৈশিষ্ট্য এই যে, ব্যক্তিগতভাবে মানুষ যেরূপ প্ৰকৃতিরই হোক না কেন, তাহারা সকলে যখন কোন গোষ্ঠী বা সঙ্ঘের অন্তর্ভুক্ত হয়, তখন সেই গোষ্ঠী বা সঙ্ঘ যেন একটা স্বতন্ত্র সত্তা হইয়া দাঁড়ায় এবং সেই সত্তার স্বতন্ত্র মন ও ইচ্ছা শক্তির বিকাশ হয়। সঙ্ঘ বা গোষ্ঠীর মতামত এবং সিদ্ধান্তই তখন ব্যক্তিকে পরিচালিত করে। একক ব্যক্তি দুর্বল ও অসহায় হইতে পারে, কিন্তু সঙ্ঘশক্তি বলে সেও প্ৰবল শক্তিশালী হইয়া উঠে।

 জনৈক পাশ্চাত্য মনীষী এই সম্পর্কে বলিয়াছেন-
A member of a large assemblage is more sensitive to the voice of the herd than any other influence. It can inhibit or stimulate his thought or conduct; it is the source of his moral codes, of his ethics and philosophy. It can endow him with energy, courage and endurance.
মুসলমান সমাজ যে সঙ্ঘশক্তি বলে বলীয়ান তাহার প্রমাণ আমরা সর্বদাই পাইতেছি। কিন্তু জাতিভেদের ফলে শতধাবিচ্ছিন্ন হিন্দুসমাজে এই সজঘশক্তির একান্ত অভাব। হিন্দু সমাজের গঠনই এমন যে, তাহাতে কেবল স্বতন্ত্রীকরণের প্রবৃত্তিই বাড়িতে থাকে। কোন একটী গ্রামের হিন্দু সমাজের কথা চিন্তা করিলেই আমাদের বক্তব্য সুপরিস্ফুট হইবে। একটা বড় গ্রামের হিন্দুসমাজে অন্ততপক্ষে ৩০/৪০ রকমের জাতি আছে। উহারা প্ৰত্যেকে পৃথক পৃথক দল বিশেষ, কাহারও সঙ্গে কাহারও বন্ধন নাই। তথাকথিত উচ্চজাতিরা “নিম্নজাতি”দিগকে করুণামিশ্র অবজ্ঞার চোখে দেখে, নিম্নজাতিরাও স্তর ভেদে নিম্নতর জাতিদিগকে ঠিক সেই ভাবেই দেখে। কোন নিম্নজাতীয় হিন্দু বিপদগ্ৰস্ত হইলে উচ্চজাতীয়েরা তাহার সাহায্যাৰ্থ অগ্রসর হয় না। কেননা তাহারা যে একই বিশাল হিন্দুসমাজের অন্তর্গত এ বোধ পরস্পরের মনে জাগ্রত হয় নাই। সকলকে একই সঙ্ঘশক্তির পতাকাতলে সমবেত করিবার চেষ্টা করা দূরের কথা,-সামান্য ভুল, ক্রটি বিচ্যুতি ধরিয়া অন্যকে সমাজ হইতে বহিস্কৃত করিবার প্রবৃত্তিটাই বেশী। চলিত ভাষায় ইহারই অপর নাম জাতিচ্যুত বা ‘একঘরে’ করা। এই প্ৰবৃত্তি যেখানে প্ৰবল, সেখানে কোন কালেই সঙ্ঘশক্তির বিকাশ হইতে পারে না, “আমি হিন্দু” এই কথা ভাবিয়া কেহ বল ও ভরসাও পাইতে পারে না।

 জন কয়েক উচ্চ বর্ণের লোক বেদ বেদান্ত উপনিষদের শ্লোক আওড়াইয়া হিন্দুধৰ্ম্ম তথা আৰ্য্যকীৰ্ত্তির গৌরব ঘোষণা করিয়া আত্মপ্ৰসাদ লাভ করিতে পারেন, কিন্তু হিন্দু সাধারণের উহাতে কোনই ক্ষতিবৃদ্ধি হয় না। তাহারা পরম ঔদাসীন্যের সঙ্গেই ঐ সব কথা শুনে। হিন্দুসমাজের ক্ষয়রোগের নিদান নির্ণয় করিতে হইলে এই Psychological factor বা মনোবিজ্ঞানের তথ্যকে উপেক্ষা করিলে চলিবে না। একজন মুসলমান জানে, তাহার পিছনে সমগ্র মুসলমানসমাজ আছে, কিন্তু একজন হিন্দু ঠিক সেইভাবে, সে যে বিশাল হিন্দুসমাজের একজন একথা অন্তরের সঙ্গে উপলব্ধি করিতে পারে না। ব্যক্তিহিসাবে সে দুর্বল, অসহায়, বিরাট সঙ্ঘশক্তির মধ্যে তাহার স্থান নাই। ইহার ফলে সাধারণভাবে হিন্দুর জীবনীশক্তি যদি হ্রাস হয়, তাহার লোকসংখ্যার হার নিম্নাভিমুখী হয়, তবে তাহা আশ্চর্য্যের বিষয় নয়,-বরং এই উভয়ের মধ্যে কাৰ্য্যকারণ সম্বন্ধ আছে বলিয়াই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। হিন্দু সমাজ হইতে যে এত লোক বাহির হইয়া গিয়া ধৰ্ম্মান্তর গ্ৰহণ করিয়াছে বা করিতেছে, তাহার সঙ্গেও এই সঙ্ঘশক্তিহীনতার ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ আছে।
জাতিভেদেরই সঙ্গে অচ্ছেদ্যরূপে সংসৃষ্ট “অস্পৃশ্যতা” হিন্দুসমাজের দৌর্ব্বল্য ও সঙ্ঘবদ্ধহীনতার অন্যতম প্ৰধান কারণ। “অস্পৃশ্যতা” কিরূপে হিন্দুসমাজে প্রবেশ করিল, তাহার গবেষণা ঐতিহাসিকেরা করিবেন। খুব সম্ভব আর্য্য-অনার্য্য সংস্পর্শের ফলে ইহার উদ্ভব হইয়াছিল। নিজেদের “রক্তের বিশুদ্ধিতা” রক্ষার জন্যই আৰ্য্যগণ এই পন্থা প্ৰথমত অবলম্বন করিয়াছিলেন, ঠিক যেভাবে নাৎসী জাৰ্ম্মানী আজ ইহুদী বিতাড়ন এবং বিবাহের কঠোর আইন-কানুন করিয়া বিশুদ্ধ আৰ্য্য জাৰ্ম্মানবংশ রক্ষার চেষ্টা করিতেছে। আমাদের সন্দেহ হয়, ভারতের আর্য্যদের মধ্যে “অস্পৃশ্যতা’ জাতিভেদ প্ৰথা অপেক্ষাও প্রাচীন। পরবর্ত্তীকালে জাতিভেদ প্ৰথা বদ্ধমূল হইবার সঙ্গে সঙ্গে “অস্পৃশ্যতা’ও হিন্দুসমাজে শিকড় গাড়িয়া বসিল।1

জাতিভেদ প্ৰথা যেমন বহু শাখাপ্ৰশাখায় আজ হিন্দুসমাজকে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিয়াছে—অস্পৃশ্যতাও তেমনি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিয়া বিশ্বের বিস্ময়ের বস্তু হইয়া উঠিয়াছে। ধৰ্ম্মশাস্ত্রে ও স্মৃতিনিবন্ধে এই অস্পৃশ্যতার সম্বন্ধে যে বিধি বিধান আছে, দেশাচার ও লোকাচার তাহাকে আরও জটিল ও দুর্বোধ্য করিয়া তুলিয়াছে। ফলত লৌকিক আচারে অস্পৃশ্যতার সম্বন্ধে একটা স্বতন্ত্র স্মৃতিশাস্ত্ৰই গড়িয়া উঠিয়াছে বলিলে অত্যুক্তি হয় না। যথা অবাঞ্ছিতের দর্শন ও স্পৰ্শন বাঁচাইয়া চলা, যদি কোন কারণে ঐ রূপ দোষ ঘটে। তবে স্নান করিয়া শুদ্ধ ও পবিত্ৰ হওয়া, অন্যের স্পৃষ্ট আহাৰ্য্য ও পানীয় গ্ৰহণ না-করা, এই উদ্দেশ্যে রান্নাঘর ও “ভাতের হাঁড়িকে” অতি সযত্নে ও নিরাপদে রক্ষা করা, অন্যের সঙ্গে একাসনে না-বসা, এক পংক্তিতে ভোজন না-করা ইত্যাদি। পূর্ব্বেই বলিয়াছি, বাঙলার হিন্দুসমাজের মধ্যে ‘অস্পৃশ্য’ ও ‘অনাচরণীয়’ দুই রকম ভেদ আছে; অনাচরণীয়দের স্পর্শ করা যায়, কিন্তু তাহাদের স্পৃষ্ট অন্নপানীয় গ্ৰহণ করা যায় না, তাহাদের সঙ্গে সামাজিক ব্যবহারও চলে না; - আর অস্পৃশ্যদের দেহ এমন কি ছায়া পৰ্য্যন্ত স্পর্শ করিলে ‘দোষ’ হয় এবং তাহার জন্য স্নান করিয়া ও ইষ্টমন্ত্র জপিয়া শুদ্ধ হইতে হয়। অস্পৃশ্যেরা এবং কতকগুলি ‘অনাচরণীয়’ জাতিও দেবমন্দিরে প্রবেশ করিতে পারে না। ইহাদের স্বতন্ত্র মন্দিরে স্বতন্ত্রভাবে যে সব পুরোহিত ব্ৰাহ্মণ পূজা করে, তাহারাও অনাচরণীয়, এমন কি কোন কোন স্থানে অস্পৃশ্য বলিয়া গণ্য। এই অস্পৃশ্যতার ব্যাধি আরও কতদূর নামিয়া গিয়াছে, তাহার নিদর্শন—নাপিতেরা হিন্দুসমাজেরই অন্তর্ভুক্ত কতকগুলি নিম্ন জাতির ক্ষৌরকাৰ্য্য করে না, পাটনীরা তাহাদিগকে নৌকায় পার করে না ও ধোপারা তাহদের কাপড় কাচে না। (অথচ আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, ঐ সকল হতভাগ্য জাতিরাই যখন মুসলমান বা খ্রীস্টান হয়, তখন তাহাদের ক্ষোরকাৰ্য্য করিতে, কাপড় কাচিতে বা তাহাদিগকে পার করিতে উহাদের আপত্তি হয় না।)

ফলে “অস্পৃশ্যতা” হিন্দুসমাজের মধ্যে এরূপ একটা জঘন্য, অস্বাভাবিক, এমন কি পাশবিক প্রথা হইয়া দাঁড়াইয়াছে যে, উহার নিন্দা করিবার মত ভাষা খুজিয়া পাওয়া যায় না! পৃথিবীতে কোথাও ইহার তুলনা নাই। এই ‘অস্পৃশ্যতা’ যে হিন্দুসমাজকে ক্ৰমে ছত্রভঙ্গ করিয়া দিতেছে, তাহাকে তিলে তিলে ধবংস করিতেছে, তাহা প্ৰতিনিয়তই আমরা চোখের সম্মুখে দেখিতে পাইতেছি। মানুষের ঘৃণার উপর যে প্রথার প্রতিষ্ঠা তাহা কস্মিনকালে কোন সমাজের কল্যাণ করিতে পারে না, উহাকে মৃত্যুর পথে টানিয়া লইয়া যায়। হিন্দুসমাজে বিভিন্ন সময়ে মহাপুরুষেরা আবির্ভূত হইয়া এই আত্মহত্যাকর প্রথার বিরুদ্ধে সংগ্ৰাম ঘোষণা করিয়াছেন, কিন্তু বটগাছের শিকড়ের মত হিন্দুসমাজের জরাজীর্ণ অট্টালিকাকে উঠা এমনভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে ভেদ করিয়াছে যে, উহা নিৰ্ম্মল করা অসম্ভব বলিয়াই মনে হয়। প্রাচীনকালের বুদ্ধ, চৈতন্য, কবীর, নানক হইতে আরম্ভ করিয়া আধুনিক যুগের স্বামী বিবেকানন্দ, মহাত্মা গান্ধী পৰ্যন্ত অনেকেই হিন্দুসমাজের এই জঘন্য প্রথা দূর করিবার জন্য প্ৰাণপণ চেষ্টা করিয়াছেন, ফল বিশেষ কিছু হয় নাই। কিন্তু জাতিভেদের ন্যায়। এই অস্পৃশ্যতা ব্যাধিও দূর করিতে না পারিলে হিন্দুসমাজকে রক্ষা করিবার কোন উপায় নাই।

• ডা. ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত বলেন, পৌরাণিক যুগেই অস্পৃশ্যতা হিন্দুসমাজে দৃঢ়বদ্ধ হইয়াছিল । ‘ভারতীয় সমাজপদ্ধতির উৎপত্তি ও বিবর্তনের ইতিহাস’—পরিচয়, ১৩৪৮ ।— লেখক↩

চলবে ...
গ্রন্থঃ ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু
লেখকঃ প্রফুল্লকুমার সরকার
সংগৃহীতঃ হিন্দুত্ববুক্স হতে ।
বিঃদ্রঃ আরো পোষ্ট পেতে লাইক ও শেয়ার করুন
Share:

Total Pageviews

বিভাগ সমুহ

অন্যান্য (91) অবতারবাদ (7) অর্জুন (4) আদ্যশক্তি (68) আর্য (1) ইতিহাস (30) উপনিষদ (5) ঋগ্বেদ সংহিতা (10) একাদশী (10) একেশ্বরবাদ (1) কল্কি অবতার (3) কৃষ্ণভক্তগণ (11) ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু (21) ক্ষুদিরাম (1) গায়ত্রী মন্ত্র (2) গীতার বানী (14) গুরু তত্ত্ব (6) গোমাতা (1) গোহত্যা (1) চাণক্য নীতি (3) জগন্নাথ (23) জয় শ্রী রাম (7) জানা-অজানা (7) জীবন দর্শন (68) জীবনাচরন (56) জ্ঞ (1) জ্যোতিষ শ্রাস্ত্র (4) তন্ত্রসাধনা (2) তীর্থস্থান (18) দেব দেবী (60) নারী (8) নিজেকে জানার জন্য সনাতন ধর্ম চর্চাক্ষেত্র (9) নীতিশিক্ষা (14) পরমেশ্বর ভগবান (25) পূজা পার্বন (43) পৌরানিক কাহিনী (8) প্রশ্নোত্তর (39) প্রাচীন শহর (19) বর্ন ভেদ (14) বাবা লোকনাথ (1) বিজ্ঞান ও সনাতন ধর্ম (39) বিভিন্ন দেশে সনাতন ধর্ম (11) বেদ (35) বেদের বানী (14) বৈদিক দর্শন (3) ভক্ত (4) ভক্তিবাদ (43) ভাগবত (14) ভোলানাথ (6) মনুসংহিতা (1) মন্দির (38) মহাদেব (7) মহাভারত (39) মূর্তি পুজা (5) যোগসাধনা (3) যোগাসন (3) যৌক্তিক ব্যাখ্যা (26) রহস্য ও সনাতন (1) রাধা রানি (8) রামকৃষ্ণ দেবের বানী (7) রামায়ন (14) রামায়ন কথা (211) লাভ জিহাদ (2) শঙ্করাচার্য (3) শিব (36) শিব লিঙ্গ (15) শ্রীকৃষ্ণ (67) শ্রীকৃষ্ণ চরিত (42) শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু (9) শ্রীমদ্ভগবদগীতা (40) শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা (4) শ্রীমদ্ভাগব‌ত (1) সংস্কৃত ভাষা (4) সনাতন ধর্ম (13) সনাতন ধর্মের হাজারো প্রশ্নের উত্তর (3) সফটওয়্যার (1) সাধু - মনীষীবৃন্দ (2) সামবেদ সংহিতা (9) সাম্প্রতিক খবর (21) সৃষ্টি তত্ত্ব (15) স্বামী বিবেকানন্দ (37) স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (14) স্মরনীয় যারা (67) হরিরাম কীর্ত্তন (6) হিন্দু নির্যাতনের চিত্র (23) হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র ও অন্যান্য অর্থের পরিচিতি (8) হিন্দুত্ববাদ. (83) shiv (4) shiv lingo (4)

আর্টিকেল সমুহ

অনুসরণকারী

" সনাতন সন্দেশ " ফেসবুক পেজ সম্পর্কে কিছু কথা

  • “সনাতন সন্দেশ-sanatan swandesh" এমন একটি পেজ যা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শাখা ও সনাতন সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে গঠন করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য নিজের ধর্মকে সঠিক ভাবে জানা, পাশাপাশি অন্য ধর্মকেও সম্মান দেওয়া। আমাদের লক্ষ্য সনাতন ধর্মের বর্তমান প্রজন্মের মাঝে সনাতনের চেতনা ও নেতৃত্ত্ব ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা কুসংষ্কারমুক্ত একটি বৈদিক সনাতন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ পথচলায় আপনাদের সকলের সহযোগিতা কাম্য । এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সনাতন ধর্মের যে কেউ লাইক দিয়ে এর সদস্য হতে পারে।