হনুমান জী, শ্রীরামচন্দ্রের একনিষ্ঠ সেবক। মা সীতার অপহরণের পর হনুমান জীর উদ্যোগে ভগবান রামচন্দ্রের সাথে বানর রাজ বালীর ভাই সুগ্রীবের বন্ধুত্ব হয়। বালী আবার নিজ ভ্রাতা সুগ্রীবের বৌ রুমাকে অপহরণ করে বন্দী করে রেখেছিল- রামচন্দ্র বালীকে বধ করে সুগ্রীবকে বানর জাতির রাজা বানান। হনুমান জী প্রথম অপহৃতা মা সীতার সংবাদ আনেন। ভগবান রামচন্দ্রের লঙ্কা আক্রমণ কালে হনুমান জী নিজে প্রচুর রাক্ষস সৈন্য, বড় বড় রাক্ষস বীরদের বধ করেন, এবং যুদ্ধে ব্রহ্মাস্ত্রে আহত লক্ষণ এর প্রান বাঁচাতে তিনি গন্ধমাদন পর্বত টাই তুলে আনেন। এভাবে হনুমান জী ভগবান রামচন্দ্রের সেবা করেন। হনুমান জীর প্রবল ভক্তির একটি কথা পুরানে পাওয়া যায়। ভগবান রামচন্দ্র তখন রাক্ষস বাহিনী আর লঙ্কেশ রাবণকে বধ করে ভাই লক্ষণ ও সীতাদেবীকে নিয়ে ১৪ বছর বনবাস শেষে অযোধ্যাতে ফিরেছেন। একদা মা সীতা দেবী হনুমান জীকে একটি মুক্তার মালা উপহার দিলেন। ভক্ত হনুমান জী মালাটি নিয়ে দেখে, নেড়ে চেড়ে ছিড়ে মুক্তো গুলো দাঁত দিয়ে চিবিয়ে ফেলে দিলেন। সকলে অবাক হল। ভাবল বনের পশু মুক্তার মালার মর্ম কি জানে? সকলে হনুমান জীকে কারন জিজ্ঞাসা করলে হনুমান জী বললেন- “যাহাতে রাম নাম নেই- তাহাতে কি প্রয়োজন?” সকলে বলল- “তাই যদি হয়- তবে তোমার অন্তরে কি রাম নাম আছে? থাকলে দেখাও দিকি।” এই শুনে হনুমান জী নিজের নখ দিয়ে নিজের বুক বিদীর্ণ করলেন- সকলে দেখলো সেখানে ভগবান রামচন্দ্র মা সীতা বিরাজমান। হনুমান জীর এই শিক্ষা আমাদের পথ দেখায়। যাঁহাতে ভগবানের নাম নেই, যেখানে ভগবানের নাম কীর্তন হয় না - সেই স্থান পরিত্যাগ করা উচিৎ।
হনুমান জী দ্বাপর যুগেও ছিলেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবা করেছেন। হনুমান জীর অনুরোধে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ-ভগবান রামচন্দ্রের রূপ ধারন করে হনুমান জীকে একবার দর্শন দিয়েছিলেন। এবং বলা হয় হনুমান জী পরম বৈষ্ণব, ভগবান হরির প্রিয় ভক্ত। একটি মন্ত্রে বলা হয় –
যত্র যত্র রঘুনাথকীর্তনং তত্র তত্র কৃতমস্তকাঞ্জলিম্।
বাষ্পবারিপরিপূর্ণলোচনং মারুতিং নমত রাক্ষসান্তকম্।।
অর্থাৎ -- যেখানে যেখানে রঘুনাথের গুণগান করা হয়, সেখানে সেখানেই যিনি মস্তকে অঞ্জলি স্থাপনপূর্বক সাশ্রুনয়নে অবস্থান করেন, সেই রাক্ষস বিনাশী মারুতিকে (হনুমান) সকলে নমস্কার করুন।
হনুমান জীর প্রনাম মন্ত্রে বলা হয় --
মনোজবং মারুততুল্যবেগং
জিতেন্দ্রিয়ং বুদ্ধিমতাং বরিষ্ঠম্।
বাতাত্মজং বানরযূথমুখ্যং
শ্রীরামদূতং শিরসা নমামি।।
অর্থাৎ -- যিনি মন ও বায়ূর ন্যায় দ্রুতগামী, বুদ্ধিমান, সর্বশ্রেষ্ঠ এবং বানর বাহিনীর অধিনায়ক, সেই শ্রীরামের দূত, জিতেন্দ্রিয় পবন নন্দনকে অবনত মস্তকে নমস্কার করি।
courtesy by : Prithwish Ghosh
হনুমান জী দ্বাপর যুগেও ছিলেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবা করেছেন। হনুমান জীর অনুরোধে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ-ভগবান রামচন্দ্রের রূপ ধারন করে হনুমান জীকে একবার দর্শন দিয়েছিলেন। এবং বলা হয় হনুমান জী পরম বৈষ্ণব, ভগবান হরির প্রিয় ভক্ত। একটি মন্ত্রে বলা হয় –
যত্র যত্র রঘুনাথকীর্তনং তত্র তত্র কৃতমস্তকাঞ্জলিম্।
বাষ্পবারিপরিপূর্ণলোচনং মারুতিং নমত রাক্ষসান্তকম্।।
অর্থাৎ -- যেখানে যেখানে রঘুনাথের গুণগান করা হয়, সেখানে সেখানেই যিনি মস্তকে অঞ্জলি স্থাপনপূর্বক সাশ্রুনয়নে অবস্থান করেন, সেই রাক্ষস বিনাশী মারুতিকে (হনুমান) সকলে নমস্কার করুন।
হনুমান জীর প্রনাম মন্ত্রে বলা হয় --
মনোজবং মারুততুল্যবেগং
জিতেন্দ্রিয়ং বুদ্ধিমতাং বরিষ্ঠম্।
বাতাত্মজং বানরযূথমুখ্যং
শ্রীরামদূতং শিরসা নমামি।।
অর্থাৎ -- যিনি মন ও বায়ূর ন্যায় দ্রুতগামী, বুদ্ধিমান, সর্বশ্রেষ্ঠ এবং বানর বাহিনীর অধিনায়ক, সেই শ্রীরামের দূত, জিতেন্দ্রিয় পবন নন্দনকে অবনত মস্তকে নমস্কার করি।
courtesy by : Prithwish Ghosh
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন