পৌরাণিক অবতার-তত্ত্ব, প্রতীকোপসনা এবং ইষ্টমূর্তির নানাবিধ ধ্যানধারণা প্রভৃতি ভক্তিমার্গের আবশ্যক অঙ্গগুলির প্রকৃত মর্ম হৃদ্গত না করে এক অখণ্ড বস্তুকে আমরা খণ্ড-খণ্ড করিয়া ‘ব্যক্তি’রূপে কল্পনা করে থাকি এবং জড়োপাসকের মতো তাই নিয়ে বাদ-বসংবাদ করি। তাই শ্রী গীতায় শ্রীভগবান স্পষ্টাক্ষরে বলেছেন -- 'অল্পবুদ্ধি মানব আমার পরম তত্ত্ব না জেনে অব্যক্ত অব্যয়স্বরূপ আমাতে ব্যক্তিত্ব আরোপ করে থাকে (‘অব্যক্তং ব্যক্তিমাপন্নং মন্যন্তে মামবদ্ধয়ঃ’, গী -- ৭-২৪)
বস্তুত বৈষ্ণব, শৈব, শাক্ত, ব্রাহ্ম ইত্যাদি ঈশ্বরবাদী মাত্রেই যাঁর উপাসনা করেন, তিনিই বাসুদেব। অবতারবাদ ইত্যাদি যাঁরা মানেন না, তাঁরাও বাসুদেবেরই উপাসনা করেন এবং বাসুদেব তা' অগ্রাহ্য করেন না, এই তাঁর শ্রীমুখের বাণী (‘যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে’, গী|৪|১১)
ভগবান বাসুদেব কর্তৃক যে উদার সর্বজনীন ধর্মমত গীতায় কথিত হইয়াছে তাহাই ভাগবত ধর্ম।
‘বাসুদেব’ শব্দ পরব্রহ্মবাচক।
সর্বভূতে বাস করেন বলিয়াই তিনি বাসুদেব (‘সর্বভূতাধিবাসশ্চ বাসুদেবস্ততো হ্যহম্’, মভাঃ - শাঃ - ৩৪১-৪১; বস্ – বাস করা), ‘ব্রহ্ম’ শব্দেরও এই অর্থ (‘বৃহত্ত্বাৎ ব্রহ্ম’, ‘যেন সর্বম্ ইদং ততম্’, গী -- ২-১৭)। এই ভাবে তিনি, সমস্ত কিছু ব্যাপিয়া আছেন বলেই তিনি আবার ‘বিষ্ণু’ (বিষ্ – বিস্তারে)। ব্রহ্মবাদী বলেন -- সমস্তই ব্রহ্ম (‘সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম’); গীতা বলেন -- সমস্তই বাসুদেব (‘বাসুদেবঃ সর্বমিতি’, গী -- ৭-১৯); বিষ্ণুপুরাণ বলেন – জগৎ বিষ্ণুময় (‘ইদং বিষ্ণুময়ং জগৎ’) । সর্বত্রই এক তত্ত্ব। বস্তুত শ্রীকৃষ্ণ বসুদেবের পুত্র বলেই যে বাসুদেব তা নন, শ্রীকৃষ্ণ-অবতারের পূর্বেও যাঁরা পরব্রহ্মের অবতার বলে পুরাণে বর্ণিত হয়েছেন, তাঁরাও ভগবান ‘বাসুদেব’ বলেই আখ্যাত হহয়েছেন [ভাঃ ৫-৫-৬; ৫-৬-১৬]।
.
-- ভাগবত ধর্ম সম্পর্কে জগদীশচন্দ্র ঘোষ।
Courtesy by: Prithwish Ghosh
বস্তুত বৈষ্ণব, শৈব, শাক্ত, ব্রাহ্ম ইত্যাদি ঈশ্বরবাদী মাত্রেই যাঁর উপাসনা করেন, তিনিই বাসুদেব। অবতারবাদ ইত্যাদি যাঁরা মানেন না, তাঁরাও বাসুদেবেরই উপাসনা করেন এবং বাসুদেব তা' অগ্রাহ্য করেন না, এই তাঁর শ্রীমুখের বাণী (‘যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে’, গী|৪|১১)
ভগবান বাসুদেব কর্তৃক যে উদার সর্বজনীন ধর্মমত গীতায় কথিত হইয়াছে তাহাই ভাগবত ধর্ম।
‘বাসুদেব’ শব্দ পরব্রহ্মবাচক।
সর্বভূতে বাস করেন বলিয়াই তিনি বাসুদেব (‘সর্বভূতাধিবাসশ্চ বাসুদেবস্ততো হ্যহম্’, মভাঃ - শাঃ - ৩৪১-৪১; বস্ – বাস করা), ‘ব্রহ্ম’ শব্দেরও এই অর্থ (‘বৃহত্ত্বাৎ ব্রহ্ম’, ‘যেন সর্বম্ ইদং ততম্’, গী -- ২-১৭)। এই ভাবে তিনি, সমস্ত কিছু ব্যাপিয়া আছেন বলেই তিনি আবার ‘বিষ্ণু’ (বিষ্ – বিস্তারে)। ব্রহ্মবাদী বলেন -- সমস্তই ব্রহ্ম (‘সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম’); গীতা বলেন -- সমস্তই বাসুদেব (‘বাসুদেবঃ সর্বমিতি’, গী -- ৭-১৯); বিষ্ণুপুরাণ বলেন – জগৎ বিষ্ণুময় (‘ইদং বিষ্ণুময়ং জগৎ’) । সর্বত্রই এক তত্ত্ব। বস্তুত শ্রীকৃষ্ণ বসুদেবের পুত্র বলেই যে বাসুদেব তা নন, শ্রীকৃষ্ণ-অবতারের পূর্বেও যাঁরা পরব্রহ্মের অবতার বলে পুরাণে বর্ণিত হয়েছেন, তাঁরাও ভগবান ‘বাসুদেব’ বলেই আখ্যাত হহয়েছেন [ভাঃ ৫-৫-৬; ৫-৬-১৬]।
.
-- ভাগবত ধর্ম সম্পর্কে জগদীশচন্দ্র ঘোষ।
Courtesy by: Prithwish Ghosh
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন