ভগবান শিব কামদেবকে ভস্ম করেছিলেন। কামদহন উৎসব রূপে অনেকে ন্যাড়া পোড়নাকে উল্লেখ করে থাকেন। তারকাসুর নাম এক দৈত্য ব্রহ্মার বরে কেবল শিবপুত্রের হাতে নিহত হবার বরদান পেয়েছিলো। কিন্তু তখন ভগবান শিব ও মাতা পার্বতীর বিবাহ হয় নি। দেবী পার্বতী রোজ আসতেন হিমালয়ের দুর্গম এলাকায় ভগবান শিবের সাধনা স্থলে শিবপূজো করতে। কিন্তু ভগবান শিব মাতা পার্বতীকে চেয়েও দেখেন না। দেবতাদের মধ্যে চিন্তা জাগল এখন কিভাবে শিব পার্বতীর মধ্যে প্রেম- অনুরাগ হবে, কিভাবে দুজনের মিলনে পুত্রের জন্ম হবে- আর কবেই বা তারকাসুরের বধ হবে। দেবতাদের পরামর্শে ভগবান শিবের মনে প্রেমানুরাগ ও কাম জাগাতে মদন দেব সস্ত্রীক , ঋতুরাজ বসন্তকে নিয়ে এগিয়ে এলেন। ঋতুরাজ বসন্ত হিমালয়ে তুষারাবৃত স্থানে সৃষ্টি করলেন বসন্তের অনুপম প্রকৃতি । মদন ও রতিদেবী ধরলেন মিলনের নৃত্যগীত। একে একে মদনদেব পুষ্পধনু থেকে পঞ্চবাণ নিক্ষেপ করলেন। কিন্তু যোগীশ্রেষ্ঠ ভগবান মহেশ্বর নির্বিকার। শেষে ভগবান শিব তৃতীয় নয়নের অনলে ভস্ম করলেন কামকে। অপরদিকে কামপত্নী রতিদেবী এই ঘটনার জন্য দোষী মনে করে পার্বতীদেবীকে অভিশাপ দিলেন- “তোমার গর্ভে কখনোই সন্তান আসবে না।” কার্ত্তিক এর জন্ম মহাদেবের তেজ , কেয়াপাতায় একত্রিত হয়ে, আর গণেশ সৃষ্টি হয়েছিলেন মাতা পার্বতীর অঙ্গ প্রসাধন থেকে।
কিন্তু এরপর কঠোর তপস্যা করে মাতা পার্বতী দেবাদিদেবকে স্বামী রূপে লাভ করেছিলেন। শিব পার্বতীর বিবাহ কালে রতিদেবী ভগবান শিবের কাছে কাতর অনুনয় বিনয় করেন। মহাদেবের আশীর্বাদে , কায়াহীন কামদেব ছায়ারূপে প্রকট হলেন। পরে দ্বাপর যুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুত্র রূপে জন্মে কামদেব নিজ শরীর ফিরে পেয়েছিলেন। হোলিকার ন্যাড়া পোড়ানোকে অনেকে কামদহন রূপে উল্লেখিত করেছেন।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন