দেবাদিদেবের অষ্টমূর্তিময় এই নিখিল জগত সেই অষ্ট মূর্তিতে- সূত্রে, মণিগণের ন্যায় ব্যাপিয়া রহিয়াছে । কর্প্পদীর সেই সকল অষ্টসংখ্যক মূর্তি- শর্ব্ব, ভব, রুদ্র , উগ্র, ভীম , পশুপতি , ঈশান ও মহাদেব এই আট নামে প্রসিদ্ধ । সেই শর্ব্বাদি অষ্টমূর্তিই ক্ষিতি, জল, অনল, অনিল, আকাশ, ক্ষেত্রজ্ঞ , সূর্য ও চন্দ্রে যথাক্রমে অধিষ্ঠান করিয়া আছেন ।
পরমাত্মা শর্ব্বের পৃথিবী রূপিণী “শর্ব্ব” নামে মূর্তি স্থাবর জঙ্গমাত্মক বিশ্বকে ধারণ করিতেছেন ।
জলরূপিনী “ভব” নামে দ্বিতীয় মূর্তি সমস্ত জগতের জীবন রক্ষা করিতেছেন ।
বেধা উগ্রের পবনাত্মিকা যে মূর্তি এই বিশ্বকে স্পন্দিত করিয়া ধারন করিতেছেন এবং স্বয়ং স্পন্দিত হইতেছেন পণ্ডিতেরা সেই মূর্তিকে “উগ্র” নামে আখ্যাত করেন ।
সকলের অবকাশদায়িনী গগনময়ী ভীমের “ভীমা” আখ্যা মূর্তি সকল ভূতের ভেদসাধন করত এই অখিল বিশ্বকে ব্যাপিয়া রহিয়াছেন ।
সর্বক্ষেত্র নিবাসী সর্বরূপী ক্ষেত্রজ্ঞের অধিষ্ঠাত্রী পশুপতিনায়ী “পশুপতি” র ষষ্ঠ মূর্তি পশুদিগের পাশ বন্ধন ছেদন করিতেছেন ।
নিখিল জগতের দীপ্তিজনিকে দিবাকরস্বরূপা মহেশের ঈশানাখ্য মূর্তি আকাশ ব্যাপিয়া অবস্থান করিতেছেন ।
আর কর্প্পদীর সোমময়ী মহাদেবাভিধানা মূর্তি সুধাংশু বর্ষণে অখিল ভুবনের আনন্দ উৎপাদন করিতেছেন ।
পরমাত্মা শিবের ঐ অষ্টম মূর্তি স্বীয় অপর মূর্তিগুলিকে ব্যাপিয়া আছেন বলে , বিশ্ব শিবাত্মক নামে প্রসিদ্ধ ।
( শিবমহাপুরাণ... বায়বীয় সংহিতা...৪র্থ অধ্যায়... ১৪- ২৮ )
বৃক্ষমূলস্য সেকেন শাখাঃ পুষ্যন্তি বৈ যথা ।
শিবস্য পূজয়া তদ্বৎ পুষ্যত্যস্য বপুর্জগৎ ।।
( শিবমহাপুরাণ... বায়বীয় সংহিতা...৪র্থ অধ্যায় ... ২৯ )
অর্থাৎ- যেরূপ বৃক্ষমূলে সেচন করিলে শাখার পুষ্টি জন্মে , সেইরূপ শিবপূজায় তাঁহার জগতরূপ শরীর পুষ্টিলাভ করিয়া থাকে।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন