নমো দেবি মহাভাগে গম্ভীরে ভীমদর্শনে ।
জয়স্থে স্থিতিসিন্ধান্তে ত্রিনেত্রে বিশ্বতোমুখি ।।
বিদ্যাবিদ্যে জপে জাপ্যে মহিষাসুরমর্দ্দিনি ।
সর্ব্বজ্ঞে সর্ব্বদেবেশি বিশ্বরূপিণি বৈষ্ণবী ।।
বীতশোকে ধ্রুবে দেবি পদ্মাপত্রশুভেক্ষণে ।
শুদ্ধসত্ত্বব্রতস্থে চ চণ্ডরূপে বিভাবরি ।।
ঋদ্ধিসিদ্ধিপ্রদে দেবী বিদ্যেহবিদ্যেহুমৃতে শিবে ।
শাঙ্করী বৈষ্ণবী ব্রাক্ষ্মী সর্ব্বদেবনমস্কৃতে ।।
ঘন্টাহস্তে ত্রিশূলাগ্রে মহামহিষমর্দিনী ।
উগ্ররূপে বিরূপাক্ষি মহামারেহহুমৃতস্রবে ।।
সর্ব্বসত্ত্বহইতে দেবি সর্ব্বসত্ত্বময়ে ধ্রুবে ।
বিদ্যাপুরাণশিল্পানাং জননী ভূতধারিণি ।।
সর্ব্বদেরহস্যানাং সর্ব্বসত্ত্ববতাং শুভে ।
ত্বমেব শরবৎ দেবি বিদ্যেহবিদ্যে শ্রিয়েহম্বিকে ।।
বিরূপাক্ষি তথা ক্ষান্তিঃ ক্ষোভিতান্তর্জ্জলেহযলে ।
নমোহস্ত্য তে মহাদেবি নমস্তে পরমেশ্বরী ।।
শরণং ত্বাৎ প্রপদ্যতে দেবি পরমেশ্বরী ।
ন তেষাৎ জায়তে কিঞ্চিৎশুভৎ রণসঙ্কটে ।।
যশ্চ ব্যাঘ্রভয়ে ঘোরে চৌররাজভয়ে তথা ।
স্তবমেনৎ সদা দেবি পঠিষ্যতি যতাত্মবান ।।
নিগড়স্থোহপি যো দেবি ত্বাৎ স্মরিষ্যতি মানবঃ ।
সোহপি বন্ধৈর্ব্বিনির্ম্মুক্তঃ সুসুখং বসতে সুখী ।।
( বরাহ পুরাণ... ষন্নবতিতমোহধ্যায়ঃ... শ্লোক- ৫১-৬১ )
অর্থাৎ- হে দেবী! হে মহাভাগে ! হে ভীমদর্শনে ! বিজয়ে ! স্থিরসিদ্ধান্তে ! বিশ্বতোমুখি ! ত্রিনেত্র! বিব্যাবিদ্যে ! জপ্যে ! জাপ্যে ! মহিষাসুরমর্দিনী ! তুমি সর্বগামিনী সমস্ত দেবগনের ঈশ্বরী , সমস্ত বিশ্বস্বরূপা বৈষ্ণবী , এবং বীতশোকা । হে ধ্রুবে ! দেবি! কমললোচনে ! তুমি শুদ্ধসত্ত্ব ! তোমার অবস্থিতিস্থান বহু , তুমিই চণ্ডরূপা , বিভাবরী , তুমিই সকলের সর্ব প্রকার সম্পদ ও সর্বপ্রকার সিদ্ধিবিধায়িনী । হে দেবী বিদ্যে! অবিদ্যে! অমৃতে ! শিবে! শাঙ্করী ! বৈষ্ণবী ! ব্রাক্ষ্মি ! তুমি সর্বদেবের নমস্কৃত । হে ঘণ্টাহস্তে ! ত্রিশূলপাণে ! মহামহিষমর্দিনী ! উগ্ররূপে ! বিরূপাক্ষি ! মহামায়ে! অমৃতস্রাবিণি ! তুমি সর্বপ্রানীর হিতকার্য্যে তৎপর ! হে দেবি ! তুমি সর্বজীবরূপিনী । সমস্ত বিদ্যা , সমুদয় পুরাণ ও সর্ব প্রকার শিল্প , সকল বেদ ও সকল রহস্য এ সমস্তের জননী । হে সত্ত্বগুণাবিলম্বীদিগের শুভকারিণী ! তুমিই সকলের একমাত্র আশ্রয় । হে বণ্যে ! অবিদ্যে ! শ্রিয়ে ! অম্বিকে ! বিরূপাক্ষী ! তুমিই ক্ষমা , তুমিই রসাতলবিক্ষোভিণী, হে অমলে ! মহাদেবি! পরমেশ্বরী ! তোমাকে আমাদিগের নমস্কার ! হে দেবি! যাহারা রনসঙ্কটে পড়িয়া তোমার শরণাপন্ন হয়, তাঁহাদিগের কোনোই বিপদ ঘটে না । হে পরমেশ্বরী ! ঘোরতর ব্যাঘ্রভয়ে কিম্ভা রাজভয়ে ভীত হইয়া সেজন সংযতচিত্তে এইরূপে তোমার স্তব করে, যেজন বিপনন হইয়া তোমায় স্মরণ করে , তাহার সমস্ত ভয়কারণ দূর হয় । যে জন শৃঙ্খলিত হইয়া বা বন্দী হইয়া বিপদে তোমায় শরণ করে, তাহার কোনো বিপদ থাকে না, সে সুখে স্বচ্ছন্দে বাস করে।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন