৫১ শক্তিপীঠে দেবী দুর্গা ৫১ দেবী রূপে বিরাজিতা আছেন। ছবিতে দেখুন রাজা বিক্রমাদিত্য পূজিত দেবী হরসিদ্ধি দেবী। এই দেবীকেই কেও কেও উজানী মঙ্গলচণ্ডী শক্তিপীঠ বলে ধরেন। যদিও মতভেদ আছে। "উজ্জয়নী" রাজা বিক্রমাদিত্যের রাজধানী। আর তাঁর ইষ্টদেবী ছিলেন এই দেবী হরসিদ্ধি। পীঠনির্ণয়তন্ত্র বলে-"উজ্জয়িন্যাং কূপারশ্চ মাঙ্গল্য কপিলাম্বর । ভৈরবঃ সিদ্ধিদঃ সাক্ষাদ্দেবী মঙ্গলচণ্ডীকা ।।' এখানে দেবীর কূর্পর কুনুই পতিত হয়েছিল। দেবীর নাম মঙ্গলচণ্ডীকা আর ভৈরব হলেন কপিলাম্বর ।
দেবী হরসিদ্ধির মন্দির দর্শন করে অপূর্ব শান্তি লাভ হয় । দেবীর নামের এক মাহাত্ম্য আছে। মহাকাল জ্যোতি লিঙ্গের মন্দিরের অদূরে ‘রুদ্রসাগর’ নামক এক জলাধার আছে। এই জলাধারের তীরে দেবী হরসিদ্ধির মন্দির । স্কন্দপুরানে আমরা এই তীর্থের বিবরণ পাই । সেই কাহানী হল- এক সময় হর আর মা গৌরী কৈলাসে বসে দ্যুত ক্রীড়া বা পাশা খেলছিলেন । সেই সময় চণ্ড ও প্রচণ্ড নামক দুই দৈত্য সেখানে এসে উপস্থিত হল। এই দুই দৈত্য মার্কণ্ড পুরানের অসুর রাজ শুম্ভ নিশুম্ভের সেনাপতি চণ্ড ও মুন্ড কিনা- সেই বিষয়ে পরিষ্কার ভাবে বলা নেই । তবে পুরান গুলিতে এক অসুরের নাম দুবার করে করেও পাওয়া যায় । এই চণ্ড ও প্রচণ্ড হয়তো অন্য অসুর । সেই অসুর দ্বয় এসে ভগবান শিব আর মা পার্বতীর খেলাতে উপদ্রব সৃষ্টি করতে লাগলো ।
ভগবান শিব এতে বিরক্ত হয়ে উঠলেন। অপরদিকে মা পার্বতী দেখলেন ভগবান শিব খেলায় অমনোযোগী । দুই অসুরের উৎপাতে যত গণ্ডগোলের সৃষ্টি। এতে মা পার্বতী ভয়ানক ক্ষিপ্ত হলেন। মা গৌরী পাশে থাকা একটি মুগুর তুলে চণ্ড ও প্রচণ্ডকে প্রহার করে বধ করলেন । ভগবান ত্রিপুরারি তখন হেসে বললেন- “হে দেবী। তুমি আজ আমার প্রীতির জন্য এই দুই দানবকে বিনাশ করে আমার মনোরঞ্জন করলে। আজ থেকে তোমার এক নাম হবে হরসিদ্ধি।” বলা হয় এই পীঠ দর্শন করলে মানবের অভীষ্ট ফললাভ হয় । ‘হরসিদ্ধি’ চার অক্ষর নাম জপ করলেই মানবের দারিদ্র ও শত্রু ভয় নষ্ট হয় ।
👉 নানা ধর্মীয় তথ্য ও দেবমাহাত্ম্যকথা জানতে লাইক করুন এই পেজটি https://www.facebook.com/shonatonsondesh/
দেবী হরসিদ্ধির মন্দির দর্শন করে অপূর্ব শান্তি লাভ হয় । দেবীর নামের এক মাহাত্ম্য আছে। মহাকাল জ্যোতি লিঙ্গের মন্দিরের অদূরে ‘রুদ্রসাগর’ নামক এক জলাধার আছে। এই জলাধারের তীরে দেবী হরসিদ্ধির মন্দির । স্কন্দপুরানে আমরা এই তীর্থের বিবরণ পাই । সেই কাহানী হল- এক সময় হর আর মা গৌরী কৈলাসে বসে দ্যুত ক্রীড়া বা পাশা খেলছিলেন । সেই সময় চণ্ড ও প্রচণ্ড নামক দুই দৈত্য সেখানে এসে উপস্থিত হল। এই দুই দৈত্য মার্কণ্ড পুরানের অসুর রাজ শুম্ভ নিশুম্ভের সেনাপতি চণ্ড ও মুন্ড কিনা- সেই বিষয়ে পরিষ্কার ভাবে বলা নেই । তবে পুরান গুলিতে এক অসুরের নাম দুবার করে করেও পাওয়া যায় । এই চণ্ড ও প্রচণ্ড হয়তো অন্য অসুর । সেই অসুর দ্বয় এসে ভগবান শিব আর মা পার্বতীর খেলাতে উপদ্রব সৃষ্টি করতে লাগলো ।
ভগবান শিব এতে বিরক্ত হয়ে উঠলেন। অপরদিকে মা পার্বতী দেখলেন ভগবান শিব খেলায় অমনোযোগী । দুই অসুরের উৎপাতে যত গণ্ডগোলের সৃষ্টি। এতে মা পার্বতী ভয়ানক ক্ষিপ্ত হলেন। মা গৌরী পাশে থাকা একটি মুগুর তুলে চণ্ড ও প্রচণ্ডকে প্রহার করে বধ করলেন । ভগবান ত্রিপুরারি তখন হেসে বললেন- “হে দেবী। তুমি আজ আমার প্রীতির জন্য এই দুই দানবকে বিনাশ করে আমার মনোরঞ্জন করলে। আজ থেকে তোমার এক নাম হবে হরসিদ্ধি।” বলা হয় এই পীঠ দর্শন করলে মানবের অভীষ্ট ফললাভ হয় । ‘হরসিদ্ধি’ চার অক্ষর নাম জপ করলেই মানবের দারিদ্র ও শত্রু ভয় নষ্ট হয় ।
👉 নানা ধর্মীয় তথ্য ও দেবমাহাত্ম্যকথা জানতে লাইক করুন এই পেজটি https://www.facebook.com/shonatonsondesh/
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন