একোনবিংশে বিংশতিমে বৃষ্ণিষু প্রাপ্য জন্মনী ।
রামকৃষ্ণাবিতি ভুবো ভগবানহরদ্ভরম্ ।। ( ভাগবত ১\ ৩\ ২৩ )
সৃষ্টির আরম্ভে শ্রীভগবান লোকসমূহ নির্মাণের ইচ্ছা করেছিলেন । তাই তিনি মহত্তত্ত্বাদিসম্পন্ন পুরুষরূপে দশ ইন্দ্রিয় , মন আর পঞ্চভূত - এই ষোড়শ কলাযুক্ত হলেন । তিনি যখন যোগনিদ্রায় শায়িত ছিলেন তখন তাঁর নাভিহ্রদ থেকে এক পদ্মের সৃষ্টি হয় , সেই পদ্ম থেকে প্রজাপতিদের অধিপতি ব্রহ্মা উৎপন্ন হলেন । শ্রীভগবানের সেই বিরাটরূপের অঙ্গপ্রত্যঙ্গসমূহের মধ্যেই সমস্ত লোকের কল্পনা করা হয়েছে ।
তাঁর সেই রূপ বিশুদ্ধ ও নিরতিশয় সত্ত্বময় শ্রেষ্ঠরূপ । যোগিগণ দিব্যদৃষ্টি দিয়ে শ্রীভগবানের সেইরূপ দর্শন করেন । অসংখ্য পদ , ঊরুদেশ , হস্ত , মুখ থাকায় তা আশ্চর্যজনক ; তার মধ্যে অসংখ্য মস্তক , অসংখ্য কর্ণ , অসংখ্য চক্ষু ও অসংখ্য নাসিকা বর্তমান এবং সেই রূপ অসংখ্য মুকুট , বস্ত্র ও কুণ্ডলাদি অলংকারে শোভিত । শ্রীভগবানের সেই পুরুষরূপ , যাঁকে নারায়ণ বলা হয় , বহু অবতারের বীজস্বরূপ - তাতেই অবতারের আবির্ভাব । এই রূপের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ দ্বারা দেবতা , পশুপক্ষী ও মনুষ্যাদির সৃষ্টি ।
সেই প্রভু প্রথমে কৌমারসর্গে সনক , সনাতন , সনন্দন ও সনৎকুমার - এই চার ব্রাহ্মণরূপে অবতার গ্রহণ করে অখণ্ড ব্রহ্মচর্য পালন করেন ।
দ্বিতীয়বার বিশ্বকল্যাণে সমস্ত যজ্ঞের অধীশ্বর সেই শ্রীভগবানই রসাতলগতা পৃথিবীকে উদ্ধার করেন বরাহবতার রূপে ।
ঋষিসর্গে তিনি দেবর্ষি নারদরূপে তৃতীয় অবতার ধারণ করেন - এই অবতারেই কর্মবন্ধন থেকে মুক্তিলাভের জন্য কর্মের কথা বলা হয়েছে যা ' নারদ পঞ্চরাত্র ' নামে পরিচিত ।
ধর্মের পত্নী মূর্তির গর্ভে তিনি নর - নারয়ণরূপে চতুর্থ অবতার গ্রহণ করেন । এই অবতারে ঋষিরূপে মন ও ইন্দ্রিয় সংযম এবং কঠিন তপস্যার কথা বলা হয়েছে ।
পঞ্চম অবতারে তিনি সিদ্ধগণশ্রেষ্ঠ কপিলরূপে আবির্ভূত হন এবং অধুনা লুপ্তপ্রায় ' সাংখ্যশাস্ত্র আসুরি ' উপদেশ দেন ।
অত্রিপত্নী অন্-সূয়ার প্রার্থনায় ষষ্ঠ অবতারে তিনি অত্রিমুনির পুত্র দত্তাত্রেয় নামে জন্মগ্রহণ করেন । এই অবতারে তিনি অলর্ক , প্রহ্লাদ প্রমুখকে ব্রহ্মজ্ঞানোদেশ দিয়েছিলেন ।
তিনি সপ্তমবার রুচিনামক প্রজাপতির পত্নী আকূতির গর্ভে যজ্ঞ নাম নিয়ে অবতরণ করেছিলেন । এই অবতারে তিনি নিজ পুত্র যাম প্রমুখ দেবগণের সঙ্গে স্বায়ম্ভুর মন্বন্তর প্রতিপালন করেন ।
রাজা নাভির পত্নী মেরুদেবীর গর্ভে ঋষভদেবরূপে শ্রীভগবান অষ্টম অবতাররূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন । এই অবতারের প্রয়োজন ছিল পরমহংস পথকে সমস্ত আশ্রমশ্রেষ্ঠ আখ্যা প্রদান করা ।
ঋষিদের প্রার্থনায় নবমবার তিনি রাজা পৃথুরূপে এসেছিলেন । এই অবতারের তিনি পৃথিবী থেকে সমস্ত ঔষধি প্রভৃদি বস্তু দোহন করেন ।
চাক্ষুষ মন্বন্তরের শেষে যখন সমস্ত ত্রিভুবন প্লাবিত , তখন তিনি মৎস্যরূপে দশম অবতার হয়ে এসেছিলেন এবং পৃথিবীরূপ নৌকাতে আরোহণ করিয়ে পরবর্তী মন্বন্তরের অধিপতি বৈবস্বত মনুকে রক্ষা করেছিলেন ।
সমুদ্র মন্থনকালে তিনি কূর্মরূপ ধারণ করে তিনি একাদশ অবতাররূপে মন্দার পর্বতকে পৃষ্ঠে ধারণ করেছিলেন ।
দ্বাদশবার তিনি ধন্বন্তরি মূর্তি ধারণ করে অমৃতভাণ্ড নিয়ে সমুদ্র থেকে উঠে এসেছিলেন ।
ত্রয়োদশ অবতারে মোহিনী রূপ ধারণ পূর্বক দানবদের মোহিত করে দেবতাদের অমৃত পান করেয়িছিলেন ।
চতুদর্শ অবতারে নৃসিংহরূপ ধারণ করে তিনি প্রবল পরাক্রান্ত দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপুকে বধ করেছিলেন এবং ভক্ত প্রহ্ণাদকে রক্ষা করেছিলেন ।
পঞ্চদশ অবতারে বামনরূপ ধারণ করে দৈত্যরাজ বলির যজ্ঞস্থলে আগমন এবং বলির কাছ থেকে স্বর্গরাজ্য উদ্ধারের জন্য তিন পা ভূমি যাচনা করেছিলেন ।
ষোড়শ অবতারে তাঁর আগমন হয়েছিল পরশুররামরূপে । ক্ষত্রিয় নৃপতিদের ব্রহ্মবিদ্বেষী ও ব্রাহ্মণহন্তারূপে দেখে ক্রুদ্ধ হয়ে তিনি একুশবার পৃথিবীকে ক্ষত্রিয়শূন্য করেছিলেন ।
অতঃপর শ্রীভগবানের সপ্তদশ অবতারে পরাশর মুনি পুত্ররূপে সত্যবতীর গর্ভে ব্যাসদেব নামে আবির্ভাব হয় । সীমিত বুদ্ধি মাববের বিকাশে তাঁর অক্ষয় কীর্তি বেদ বিভাজন ।
দেবকার্য সম্পাদন হেতু অষ্টাদশ অবতারে রাজা শ্রীরামচন্দ্ররূপে তাঁর আগমন হয় । আদর্শ চরিত্রের উপমা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তাঁর আগমন । সেতুবন্ধন , রাবণ - কুম্ভকর্ণ বধ সহ অসংখ্য রাক্ষস বধ আদি লীলা সম্পাদন এই অবতারেই হয়েছিল ।
ঊনবিংশ অবতার গ্রহণ তার যদুবংশে হয়েছিল । তখন তাঁর পরিচয় ছিল বলরাম ।
বিংশ অবতারে স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অবতরণ করেন । নন্দগ্রাম নানা লীলা , অসুর বধ , বৃন্দাবনে লীলা , মথুরাগমণ কংস বধ , দ্রৌপদীর সম্মার্ন রক্ষা সহ কুরুক্ষেত্রে অর্জুনকে পরম জ্ঞান দান করেন যা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা রূপে পরিচিত ।
কলিযুগাগমনে একবিংশ অবতারে মগধদেশ দেবদ্বেষী দানবদের মোহিত করবার জন্য তাঁর অজনপুত্র বুদ্ধরূপে আগমন হয় ।
অতঃপর যখন কলিযুগের প্রভাব চরম সীমায় পৌঁছাবে আর রাজারাও দস্যুসম হয়ে উঠবে তখন ধর্মের পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য জগৎপালক শ্রীভগবান দ্বাবিংশ অবতারে ব্রাহ্মণ বিষ্ণুশর্মার ঘরে কল্কিরূপে অবতারিত হবেন ।
দ্বাবিংশ অবতারের বর্ণনা থাকলেও লোকপ্রসিদ্ধি অনুসারে অবতারের সংখ্যা চব্বিশ ( চতুর্বিংশতি ) । বিজ্ঞব্যক্তিদের মতে উক্ত দ্বাবিংশ অবতারের সঙ্গে হংস ও হয়গ্রীব যুক্ত করলে চতুর্বিংশতি অবতারই হয় ।
সাধারণত যে দশাবতারের কথা বলা হয়ে থাকে তাঁরা হলেন :
মৎস্য , কূর্ম , বরাহ , নরসিংহ , বামন , পরশুরাম , শ্রীরামচন্দ্র , বলরাম , বুদ্ধ ও কল্কি ।
এই অবতারগণ উক্ত চতুর্বিংশতি অবতারের অন্তর্ভুক্ত ।
Courtesy by: Joy Shree Radha Madhav
রামকৃষ্ণাবিতি ভুবো ভগবানহরদ্ভরম্ ।। ( ভাগবত ১\ ৩\ ২৩ )
সৃষ্টির আরম্ভে শ্রীভগবান লোকসমূহ নির্মাণের ইচ্ছা করেছিলেন । তাই তিনি মহত্তত্ত্বাদিসম্পন্ন পুরুষরূপে দশ ইন্দ্রিয় , মন আর পঞ্চভূত - এই ষোড়শ কলাযুক্ত হলেন । তিনি যখন যোগনিদ্রায় শায়িত ছিলেন তখন তাঁর নাভিহ্রদ থেকে এক পদ্মের সৃষ্টি হয় , সেই পদ্ম থেকে প্রজাপতিদের অধিপতি ব্রহ্মা উৎপন্ন হলেন । শ্রীভগবানের সেই বিরাটরূপের অঙ্গপ্রত্যঙ্গসমূহের মধ্যেই সমস্ত লোকের কল্পনা করা হয়েছে ।
তাঁর সেই রূপ বিশুদ্ধ ও নিরতিশয় সত্ত্বময় শ্রেষ্ঠরূপ । যোগিগণ দিব্যদৃষ্টি দিয়ে শ্রীভগবানের সেইরূপ দর্শন করেন । অসংখ্য পদ , ঊরুদেশ , হস্ত , মুখ থাকায় তা আশ্চর্যজনক ; তার মধ্যে অসংখ্য মস্তক , অসংখ্য কর্ণ , অসংখ্য চক্ষু ও অসংখ্য নাসিকা বর্তমান এবং সেই রূপ অসংখ্য মুকুট , বস্ত্র ও কুণ্ডলাদি অলংকারে শোভিত । শ্রীভগবানের সেই পুরুষরূপ , যাঁকে নারায়ণ বলা হয় , বহু অবতারের বীজস্বরূপ - তাতেই অবতারের আবির্ভাব । এই রূপের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ দ্বারা দেবতা , পশুপক্ষী ও মনুষ্যাদির সৃষ্টি ।
সেই প্রভু প্রথমে কৌমারসর্গে সনক , সনাতন , সনন্দন ও সনৎকুমার - এই চার ব্রাহ্মণরূপে অবতার গ্রহণ করে অখণ্ড ব্রহ্মচর্য পালন করেন ।
দ্বিতীয়বার বিশ্বকল্যাণে সমস্ত যজ্ঞের অধীশ্বর সেই শ্রীভগবানই রসাতলগতা পৃথিবীকে উদ্ধার করেন বরাহবতার রূপে ।
ঋষিসর্গে তিনি দেবর্ষি নারদরূপে তৃতীয় অবতার ধারণ করেন - এই অবতারেই কর্মবন্ধন থেকে মুক্তিলাভের জন্য কর্মের কথা বলা হয়েছে যা ' নারদ পঞ্চরাত্র ' নামে পরিচিত ।
ধর্মের পত্নী মূর্তির গর্ভে তিনি নর - নারয়ণরূপে চতুর্থ অবতার গ্রহণ করেন । এই অবতারে ঋষিরূপে মন ও ইন্দ্রিয় সংযম এবং কঠিন তপস্যার কথা বলা হয়েছে ।
পঞ্চম অবতারে তিনি সিদ্ধগণশ্রেষ্ঠ কপিলরূপে আবির্ভূত হন এবং অধুনা লুপ্তপ্রায় ' সাংখ্যশাস্ত্র আসুরি ' উপদেশ দেন ।
অত্রিপত্নী অন্-সূয়ার প্রার্থনায় ষষ্ঠ অবতারে তিনি অত্রিমুনির পুত্র দত্তাত্রেয় নামে জন্মগ্রহণ করেন । এই অবতারে তিনি অলর্ক , প্রহ্লাদ প্রমুখকে ব্রহ্মজ্ঞানোদেশ দিয়েছিলেন ।
তিনি সপ্তমবার রুচিনামক প্রজাপতির পত্নী আকূতির গর্ভে যজ্ঞ নাম নিয়ে অবতরণ করেছিলেন । এই অবতারে তিনি নিজ পুত্র যাম প্রমুখ দেবগণের সঙ্গে স্বায়ম্ভুর মন্বন্তর প্রতিপালন করেন ।
রাজা নাভির পত্নী মেরুদেবীর গর্ভে ঋষভদেবরূপে শ্রীভগবান অষ্টম অবতাররূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন । এই অবতারের প্রয়োজন ছিল পরমহংস পথকে সমস্ত আশ্রমশ্রেষ্ঠ আখ্যা প্রদান করা ।
ঋষিদের প্রার্থনায় নবমবার তিনি রাজা পৃথুরূপে এসেছিলেন । এই অবতারের তিনি পৃথিবী থেকে সমস্ত ঔষধি প্রভৃদি বস্তু দোহন করেন ।
চাক্ষুষ মন্বন্তরের শেষে যখন সমস্ত ত্রিভুবন প্লাবিত , তখন তিনি মৎস্যরূপে দশম অবতার হয়ে এসেছিলেন এবং পৃথিবীরূপ নৌকাতে আরোহণ করিয়ে পরবর্তী মন্বন্তরের অধিপতি বৈবস্বত মনুকে রক্ষা করেছিলেন ।
সমুদ্র মন্থনকালে তিনি কূর্মরূপ ধারণ করে তিনি একাদশ অবতাররূপে মন্দার পর্বতকে পৃষ্ঠে ধারণ করেছিলেন ।
দ্বাদশবার তিনি ধন্বন্তরি মূর্তি ধারণ করে অমৃতভাণ্ড নিয়ে সমুদ্র থেকে উঠে এসেছিলেন ।
ত্রয়োদশ অবতারে মোহিনী রূপ ধারণ পূর্বক দানবদের মোহিত করে দেবতাদের অমৃত পান করেয়িছিলেন ।
চতুদর্শ অবতারে নৃসিংহরূপ ধারণ করে তিনি প্রবল পরাক্রান্ত দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপুকে বধ করেছিলেন এবং ভক্ত প্রহ্ণাদকে রক্ষা করেছিলেন ।
পঞ্চদশ অবতারে বামনরূপ ধারণ করে দৈত্যরাজ বলির যজ্ঞস্থলে আগমন এবং বলির কাছ থেকে স্বর্গরাজ্য উদ্ধারের জন্য তিন পা ভূমি যাচনা করেছিলেন ।
ষোড়শ অবতারে তাঁর আগমন হয়েছিল পরশুররামরূপে । ক্ষত্রিয় নৃপতিদের ব্রহ্মবিদ্বেষী ও ব্রাহ্মণহন্তারূপে দেখে ক্রুদ্ধ হয়ে তিনি একুশবার পৃথিবীকে ক্ষত্রিয়শূন্য করেছিলেন ।
অতঃপর শ্রীভগবানের সপ্তদশ অবতারে পরাশর মুনি পুত্ররূপে সত্যবতীর গর্ভে ব্যাসদেব নামে আবির্ভাব হয় । সীমিত বুদ্ধি মাববের বিকাশে তাঁর অক্ষয় কীর্তি বেদ বিভাজন ।
দেবকার্য সম্পাদন হেতু অষ্টাদশ অবতারে রাজা শ্রীরামচন্দ্ররূপে তাঁর আগমন হয় । আদর্শ চরিত্রের উপমা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তাঁর আগমন । সেতুবন্ধন , রাবণ - কুম্ভকর্ণ বধ সহ অসংখ্য রাক্ষস বধ আদি লীলা সম্পাদন এই অবতারেই হয়েছিল ।
ঊনবিংশ অবতার গ্রহণ তার যদুবংশে হয়েছিল । তখন তাঁর পরিচয় ছিল বলরাম ।
বিংশ অবতারে স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অবতরণ করেন । নন্দগ্রাম নানা লীলা , অসুর বধ , বৃন্দাবনে লীলা , মথুরাগমণ কংস বধ , দ্রৌপদীর সম্মার্ন রক্ষা সহ কুরুক্ষেত্রে অর্জুনকে পরম জ্ঞান দান করেন যা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা রূপে পরিচিত ।
কলিযুগাগমনে একবিংশ অবতারে মগধদেশ দেবদ্বেষী দানবদের মোহিত করবার জন্য তাঁর অজনপুত্র বুদ্ধরূপে আগমন হয় ।
অতঃপর যখন কলিযুগের প্রভাব চরম সীমায় পৌঁছাবে আর রাজারাও দস্যুসম হয়ে উঠবে তখন ধর্মের পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য জগৎপালক শ্রীভগবান দ্বাবিংশ অবতারে ব্রাহ্মণ বিষ্ণুশর্মার ঘরে কল্কিরূপে অবতারিত হবেন ।
দ্বাবিংশ অবতারের বর্ণনা থাকলেও লোকপ্রসিদ্ধি অনুসারে অবতারের সংখ্যা চব্বিশ ( চতুর্বিংশতি ) । বিজ্ঞব্যক্তিদের মতে উক্ত দ্বাবিংশ অবতারের সঙ্গে হংস ও হয়গ্রীব যুক্ত করলে চতুর্বিংশতি অবতারই হয় ।
সাধারণত যে দশাবতারের কথা বলা হয়ে থাকে তাঁরা হলেন :
মৎস্য , কূর্ম , বরাহ , নরসিংহ , বামন , পরশুরাম , শ্রীরামচন্দ্র , বলরাম , বুদ্ধ ও কল্কি ।
এই অবতারগণ উক্ত চতুর্বিংশতি অবতারের অন্তর্ভুক্ত ।
Courtesy by: Joy Shree Radha Madhav
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন