২৫ অক্টোবর ২০১৭

আমা‌দের লক্ষ্য ও কর্তব্য ( পর্ব-০২ )

যে কেউ প্রশ্ন কর‌তে পারে , বি‌ষের প্রভাব তৎক্ষণাৎ দেখা যায় কিন্তু এর তো তেমন প্রভাব চো‌খে প‌ড়ে ন‌া ?

এর উত্তরে বলা যায় - বিষ বহু প্রকা‌রের হ‌য়ে থাকে । এমন বিষও হ‌য়ে থা‌কে যার প্রভাব ধীরে ধীরে হয় কিন্তু তা অ‌তি ভয়ংকর হয় । ঠিক তেমনই ভোগ হল ধী‌রে ধীরে প্রভা‌বিত করার এক ভয়ানক সু‌মিষ্ট বিষ । তাই রাজ‌সিক বিষয় সুখ‌কে ভগবান প‌রিণা‌মে বিষতুল্য ব‌লে‌ছেন ।

যে কেউ প্রশ্ন কর‌তে পারে , বি‌ষের প্রভাব তৎক্ষণাৎ দেখা যায় কিন্তু এর তো তেমন প্রভাব চো‌খে প‌ড়ে ন‌া ?

এর উত্তরে বলা যায় - বিষ বহু প্রকা‌রের হ‌য়ে থাকে । এমন বিষও হ‌য়ে থা‌কে যার প্রভাব ধীরে ধীরে হয় কিন্তু তা অ‌তি ভয়ংকর হয় । ঠিক তেমনই ভোগ হল ধী‌রে ধীরে প্রভা‌বিত করার এক ভয়ানক সু‌মিষ্ট বিষ । তাই রাজ‌সিক বিষয় সুখ‌কে ভগবান প‌রিণা‌মে বিষতুল্য ব‌লে‌ছেন ।

ভগব‌ান গীতার ১৮\ ৩৮ শ্লো‌কে ব‌লে‌ছেন --

‌বিষয় ই‌ন্দ্রিয় সং‌যোগাৎ যৎ তৎ অ‌গ্রে অমৃ‌তোপমম্ ।

প‌রিণা‌মে বিষম্ ইব তৎ সুখম্ রাজসম্ স্মৃতম্ ।

' যে সুখ বিষয় ও ই‌ন্দ্রি‌য়ের সং‌যো‌গে হয় , যা ভোগকা‌লের প্রার‌ম্ভে অমৃতবৎ ম‌নে হ‌লেও প‌রিণা‌মে তা বিষতুল্য - তা‌কে রাজসিক সুখ বল‌া হয় । '

য‌দি বলা হয় যে , আমরা তো বহু বহু বিষয় খে‌য়ে রে‌খে‌ছি তাহ‌লে এখন কী হ‌বে ?


তার উপায় তো অ‌নেক আ‌ছে । প্রথ‌মে গ্রহণ করা বিষ বারও করা যে‌তে পারে , হজম করাও যে‌তে পারে । উত্তম বৈদ্য তার উপায় ব‌লে দি‌তে পা‌রেন কিন্তু প্রথ‌মে বিশ্বাস আসা প্র‌য়ো‌জন যে তা বস্তুত বিষ । বিশ্ব‌াস হ‌লে অন্ততপ‌ক্ষে ভ‌বিষ্য‌তে তা খাওয়া বন্ধ হ‌য়ে যা‌বে । য‌দি তা এখনও সেই ভা‌বেই গ্রহণ করা হয় তাহ‌লে কেমন ক‌রে ভাবা যায় যে আমরা ভগবানের কথার উপর বিশ্বাস ক‌রে সেটি‌কে দুঃখপ্রদ ও বিষবৎ ম‌নে ক‌রে‌ছি ?

এই বিষ‌সেবন ত্যাগ করা প্র‌য়োজন এবং তা অ‌বিল‌ম্বে না কর‌লে রক্ষা পাওয়া ক‌ঠিন হ‌য়ে যা‌বে । যে পর্যন্ত মৃত্যু দূ‌রে আ‌ছে , দে‌হে প্রাণ আ‌ছে তার ম‌ধ্যেই অতি শীঘ্র উপায় করা প্র‌য়োজন । এ ভাবা ঠিক নয় যে তাড়া কী‌সের ! কিছু দিন প‌রে ক‌রে নেব । মৃত্যু কখন এ‌সে উপস্থিত হ‌বে তা কেউ বল‌তে পারে ন‌া । জীব‌নের কে‌নো স্থিরতা তো নেই । এ‌দি‌কে বিষ বে‌ড়েই যা‌চ্ছে । য‌দি রা‌ত্রে মৃত্যু হয় তাহ‌লে কী করার থাক‌বে ? অতএব এখনই জে‌গে উ‌ঠে পূর্ণ শ‌ক্তি‌তে লে‌গে পড়া প্র‌য়োজন । মানুষ কত কি বল‌বে তা‌দের কথা কান দি‌য়ে কি কর‌বেন । তারা তো আপনা‌কে উদ্ধার কর‌তে পা‌রবে না । যারা অজ্ঞানী , ই‌ন্দ্রিয়সুখ -‌ভো‌গে আসক্ত তারা আপনা‌কে শুধু বিপ‌থে নি‌য়ে যা‌বে তারা নি‌জে‌রা জা‌নে না কি ক‌রে উদ্ধার হ‌তে হ‌বে আপনা‌কে কি আর স‌ঠিক পথ দেখা‌তে পা‌রে ।

আমা‌দের লক্ষ্য হওয়া উ‌চিত ঈশ্বর লাভ , কারণ ঈশ্বরই একমাত্র পরম সুখ ও শাশ্বত শা‌ন্তির কেন্দ্র । তি‌নিই সর্ব‌শ্রেষ্ঠ এবং লাভ করবার সর্বা‌পেক্ষা যোগ্য পরম বস্তু , তাঁর প্রাপ্তি‌তেই জীব‌নের পূর্ণ ও যথার্থ সাফল্য নির্ভর ক‌রে এবং এই পরম লক্ষ্য‌কে লাভ করবার জন্য সতস যত্নশীল হওয়াই মানব জীব‌নের কর্তব্যপালন । এই কর্তব্যপালনে যতই ত্যাগ করা হোক না কেন , তাই অল্প । কেবল ত্যা‌গের প্রস্তু‌তি থাক‌া দরকার, ত্যা‌গের জন্য প্রস্তুত হ‌লে শাস্ত্র ব‌লেন -- ঈশ্বর ল‌াভ হয় আর তা লাভ করাও সহজ , আর এই বিশ্বাস ধার‌ণ করা প্র‌য়োজন যে আমরা ঈশ্বর লা‌ভের অ‌ধিকারী ।

যেমন মন দি‌য়ে পড়া‌লেখা কর‌লে পাস করা যায় । ফেল করা কঠিন কিন্তু পাস করা সহজ । পাস করার জন্য একটু মন দি‌য়ে বু‌ঝে শু‌নে পড়ালেখ‌া করা । তেমনি ভগবান‌কে প্রাপ্ত করার জন্য ম‌নো‌যোগ সহকা‌রে তা‌কে ভ‌ক্তি কর‌তে হ‌বে । আমা‌দের মানবজন্ম তাঁ‌কে প্রাপ্ত করার জন্যই হ‌য়ে‌ছে । ভগবান আমা‌দের মু‌ক্তির চা‌বিকা‌টি দি‌য়ে‌ছেন । যা কিছু বিফলতা হয় সব আমা‌দের দিক থে‌কে । তি‌নি মানব‌দে‌হে দি‌য়ে আমা‌দের মুুক্তির অ‌ধিকারী ক‌রে দি‌য়ে‌ছেন ।

এক্ষ‌ণে আমরা য‌দি প্রমাণ ও পাপ ক‌রি তাহ‌লে তা তো আমা‌দের মূর্খতা । এমন মূর্খ‌দের জন্য ভগবান ব‌লে‌ছেন -

তানহং দ্বিষতঃ ক্রূরান্ সংসা‌রেষু নরাধমান্ ।

‌ক্ষিপা‌মি অজস্রম্ অশুভান্ আসুরীষু এব যো‌নিষু । ( ১৬\ ১৯ )

' সেই দ্বেষপরায়ণ , পাপাচারী , ক্রূর , নরাধম‌দের আ‌মি এই সংসা‌রে বারংবার আসুরী যোনি‌তে নি‌ক্ষেপ ক‌রি । '

আসুরী যো‌নিমাপন্না মূঢ়া জন্ম‌নি জন্ম‌নি ।

মামপ্রা‌প্যৈব কৌ‌ন্তেয় ত‌তো যান্ত্যধমাং গ‌তিম্ ।। ১৬ \২০

‌হে অর্জুন ! সেই মূঢ় ব্যক্তিগণ আমা‌কে লাভ না ক‌রে জ‌ন্মে জন্মে আসুরী যো‌নি লাভ ক‌রে এবং ক্র‌মে তা থে‌কেও অত্যন্ত অ‌ধোগ‌তি প্রাপ্ত হয় অর্থাৎ ঘোর নর‌কে প‌তিত হয় । '

পাপাচারী ও ক্রূরকর্মা নরাধম‌দের জন্য আসুরী যো‌নি এবং নর‌কের বিধান করা তো যথার্থ । কিন্তু ভগবান যে ব‌লে‌ছেন - ' আমা‌কে ল‌াভ না করে ' এর রহস্য কী ? সরকার বল‌তেই পা‌রেন যে চোর , ডাকাত , তা‌কে বারংবার জে‌লে পাঠা‌নো হ‌বে , দীপান্ত‌রে পাঠা‌নো হ‌বে । কিন্তু তা‌কে ' রাজ্য না দি‌য়ে জে‌লে পাঠা‌নো হ‌বে ' - এর মা‌নে কী ? কথাটা এই যে ভগবান যখন কো‌নো জীব‌কে মানব‌দেহ দি‌য়ে পাঠান তখন তো তা‌কে মু‌ক্তির অ‌ধিকার দি‌য়েই পা‌ঠি‌য়ে‌ছেন ।

সেই মুক্তির অধিকার লাভ ক‌রে আসা জীব যখন ভগবান‌কে ভু‌লে গি‌য়ে নি‌জ জন্ম‌সিদ্ধ অধিকার উপেক্ষা ক‌রে পাপ ক‌রে ব‌লেন যে - দে‌খো , আ‌মি এ‌কে আমা‌কে লাভ করবার অ‌ধিকার দি‌য়ে পা‌ঠি‌য়ে‌ছিলাম কিন্তু আজ এ‌কে নর‌কে পাঠাবার ব্যবস্থ‌া কর‌তে হ‌চ্ছে । এর চে‌য়ে বড় আ‌ক্ষেপ আর কী হ‌তে পা‌রে ?

যেমন কো‌নো রাজপু‌ত্রের রা‌জ্যের উপর জন্ম‌সিদ্ধ অ‌ধিকার থা‌কে কিন্তু যতক্ষণ সে নাবালক তাঁ‌কে রাজ্যশাস‌নের যোগ্য ম‌নে করা হয় না । রাজা স্বয়ংই রা‌জ্যের সমস্ত ব্যবস্থা ক‌রেন এবং রাজকুমার সাবালক হ‌লে তা‌কে সমস্ত অ‌ধিকার অর্পণ করবার ইচ্ছ‌া রা‌খেন । কিন্তু য‌দি সে অ‌যোগ্য প্রমা‌ণিত হয় এবং কুস‌ঙ্গে প‌ড়ে অনু‌চিত কর্ম ক‌রে , যার ফ‌লে প্রজা‌দের ক্ষ‌তি হয় তাহ‌লে তেমন প‌রি‌স্থি‌তিকে জন্ম‌সিদ্ধ স্বত্ব হ‌লেও তা‌কে রাজ্য‌ধিকার থে‌কে ব‌ঞ্চিত ক‌রে দেওয়া হয় ।

শুধু তাই নয় তার জন্য দণ্ডের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে । দণ্ড দেওয়ার সম‌য়ে রাজা আক্ষেপ করেন । এমন কথা মানু‌ষের জন্যও প্র‌যোজ্য । মানু‌ষের ঈশ্বরলাভ জন্ম‌সিদ্ধ অ‌ধিকার তবুও নিজ অ‌যোগ্যতা ও বিপরীতাচরণ হেতু তা‌কে নি‌জ অধিকার থে‌কে ব‌ঞ্চিত হ‌য়ে দণ্ড ভোগও কর‌তে হ‌য় । এর থে‌কে অ‌ধিক তার দুর্ভাগ্য কী হ‌বে ? তাই ভগবান উপ‌রের শ্লোকে ' আমাকে লাভ না ক‌রে ' অধম গ‌তি লাভ ক‌রে - এমন কথা ব‌লে‌ছেন ।

বস্তুত এ‌টি অ‌তিশয় দুঃখ ও লজ্জ‌ার কথা যে , এইভা‌বে আমরা দয়ালু ভগবা‌গের দয়ার প্র‌তি সু‌বিচার না ক‌রে নি‌জে মানবজীব‌নকে ব্যর্থ ক‌রে তু‌লি । এটাই মানব জীব‌নের সব থে‌কে বড় বিফলতা এবং তা মান‌বের সব থে‌কে বড় ভুল । ভগবান বলেন - সত্বর চৈতন্যময় হও , কা‌লের উপর ভর‌সা করে বিষয় ভু‌গে একটুুও বিভ্রান্ত হ‌য়ো না । ভে‌বো না যে মানব‌দেহ সতত থাক‌বে ।

এও ভে‌বো না যে আমা‌কে ভু‌লে তু‌মি এ‌তে একটুও সু‌খের‌ স্পর্শ পাবে । এই মানব‌দে‌হে আ‌মি তোমাকে বি‌শেষ কৃপাপূর্বক প্রদান করে‌ছি নি‌জের দি‌কে আকর্ষণ ক‌রে পরমানন্দরূপ পরমধা‌মে নি‌য়ে যাওয়ার জন্য । এই জন্ম অ‌তিশয় দুর্লভ । কিন্তু তা অ‌নিত্য , ক্ষণভঙ্গুর আর যে আমা‌কে ভুলে যায় তার জন্য তার জন্য নিতান্ত সুখর‌হিতও । তা লাভ ক‌রে কেবল প্রী‌তিপূর্বক আমা‌রই ভজনা ক‌রো । তাহ‌লেই তুুমি জীব‌নের পরম লক্ষ্যরূপ আমা‌কে লাভ ক‌রে ধন্য হ‌তে পার‌বে ।

অ‌নিত্য অসুখম্ লোক‌মিমং প্রাপ্য ভজস্ব মাম্ ।। ( ৯\৩৩ )

জয় আমার প্রাণ শ্রীরাধাগো‌বি‌‌ন্দের জয় ।

জয় ভক্তবৃন্দের জয় ।
Joy Shree Radha Madhav


Share:

Total Pageviews

বিভাগ সমুহ

অন্যান্য (91) অবতারবাদ (7) অর্জুন (4) আদ্যশক্তি (68) আর্য (1) ইতিহাস (30) উপনিষদ (5) ঋগ্বেদ সংহিতা (10) একাদশী (10) একেশ্বরবাদ (1) কল্কি অবতার (3) কৃষ্ণভক্তগণ (11) ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু (21) ক্ষুদিরাম (1) গায়ত্রী মন্ত্র (2) গীতার বানী (14) গুরু তত্ত্ব (6) গোমাতা (1) গোহত্যা (1) চাণক্য নীতি (3) জগন্নাথ (23) জয় শ্রী রাম (7) জানা-অজানা (7) জীবন দর্শন (68) জীবনাচরন (56) জ্ঞ (1) জ্যোতিষ শ্রাস্ত্র (4) তন্ত্রসাধনা (2) তীর্থস্থান (18) দেব দেবী (60) নারী (8) নিজেকে জানার জন্য সনাতন ধর্ম চর্চাক্ষেত্র (9) নীতিশিক্ষা (14) পরমেশ্বর ভগবান (25) পূজা পার্বন (43) পৌরানিক কাহিনী (8) প্রশ্নোত্তর (39) প্রাচীন শহর (19) বর্ন ভেদ (14) বাবা লোকনাথ (1) বিজ্ঞান ও সনাতন ধর্ম (39) বিভিন্ন দেশে সনাতন ধর্ম (11) বেদ (35) বেদের বানী (14) বৈদিক দর্শন (3) ভক্ত (4) ভক্তিবাদ (43) ভাগবত (14) ভোলানাথ (6) মনুসংহিতা (1) মন্দির (38) মহাদেব (7) মহাভারত (39) মূর্তি পুজা (5) যোগসাধনা (3) যোগাসন (3) যৌক্তিক ব্যাখ্যা (26) রহস্য ও সনাতন (1) রাধা রানি (8) রামকৃষ্ণ দেবের বানী (7) রামায়ন (14) রামায়ন কথা (211) লাভ জিহাদ (2) শঙ্করাচার্য (3) শিব (36) শিব লিঙ্গ (15) শ্রীকৃষ্ণ (67) শ্রীকৃষ্ণ চরিত (42) শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু (9) শ্রীমদ্ভগবদগীতা (40) শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা (4) শ্রীমদ্ভাগব‌ত (1) সংস্কৃত ভাষা (4) সনাতন ধর্ম (13) সনাতন ধর্মের হাজারো প্রশ্নের উত্তর (3) সফটওয়্যার (1) সাধু - মনীষীবৃন্দ (2) সামবেদ সংহিতা (9) সাম্প্রতিক খবর (21) সৃষ্টি তত্ত্ব (15) স্বামী বিবেকানন্দ (37) স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (14) স্মরনীয় যারা (67) হরিরাম কীর্ত্তন (6) হিন্দু নির্যাতনের চিত্র (23) হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র ও অন্যান্য অর্থের পরিচিতি (8) হিন্দুত্ববাদ. (83) shiv (4) shiv lingo (4)

আর্টিকেল সমুহ

অনুসরণকারী

" সনাতন সন্দেশ " ফেসবুক পেজ সম্পর্কে কিছু কথা

  • “সনাতন সন্দেশ-sanatan swandesh" এমন একটি পেজ যা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শাখা ও সনাতন সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে গঠন করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য নিজের ধর্মকে সঠিক ভাবে জানা, পাশাপাশি অন্য ধর্মকেও সম্মান দেওয়া। আমাদের লক্ষ্য সনাতন ধর্মের বর্তমান প্রজন্মের মাঝে সনাতনের চেতনা ও নেতৃত্ত্ব ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা কুসংষ্কারমুক্ত একটি বৈদিক সনাতন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ পথচলায় আপনাদের সকলের সহযোগিতা কাম্য । এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সনাতন ধর্মের যে কেউ লাইক দিয়ে এর সদস্য হতে পারে।