প্রশ্নঃ- ০১। ইশ্বরের অস্তিত্ব বিষয়ে মানুষের বহুরূপ কল্পনা কেন ?
উত্তরঃ-
মানুষের মন চঞ্চল । তীব্রগতির এ মনকে সংযত করা, স্থির করার ব্যবস্থাই এ রূপকল্পনা । আমাদের চোখের পর্দায় (রেটিনায়) যে ছবি পড়ে তা থেকেই চোখ দেখে এবং তা মন পর্যন্ত পৌছায় । মন সে ছবিকে ধরে রাখতে পারে । ইচ্ছেমত পরবর্তীতে যে কোন সময় সে ছবির বণর্নাও করতে পারে । অর্থাৎ ছবিটি মনের পর্দায় থেকে যায় । এতেই মন ঐ ছবিটির মাধ্যমে স্থির হতে পারে। রূপকল্পনা মনকে স্থির করারই একটি উপায় মাত্র ।
মূর্তির রূপকল্পনা মিথ্যে কিন্তু সে মন স্থির করতে সাহায্য করে এবং পরিশেষে 'ঈশ্বর সত্য' এটা উপলব্ধি করতে শেখায় ও সেখানে পৌছাতে পারে। তাই প্রতিমা পূজা সনাতন ধর্মের একটি বৈশিষ্ট্য বটে। মানুষের মন বিচিত্রধর্মী একই জিনিস বা রূপ নিয়ে সে পরিতৃপ্ত হতে পারে না । তাই সে বিভিন্ন রূপের মধ্যে নিজের মনের কাঙ্ক্ষিত রূপ খুজে বের করে নেয়। এ জন্যই ঈশ্বরের বহুরূপ কল্পনা ।
এছাড়া ঈশ্বরও বহুরূপে, বিচিত্র সৌন্দর্যে বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন ।
তথ্যসুত্রঃ দেবদবীর পরিচয় ও বাহন রহস্য
প্রশ্নঃ- ০২। হিন্দুধর্মের বৈশিষ্ট্য ও ধর্মচর্চ্চার ভিন্নতা দৃষ্টে হিন্দুদেরকে বহু ঈশ্বরবাদী বলা যায় কি ?
উত্তরঃ
হিন্দুধর্মে সাধনার বৈচিত্র্য বর্তমান । কেউ নিরাকারভাবে, কেউ বা সাকারভাবে ঈশ্বরের আরাধনা করতে পারেন । মাতৃভাবে, পিতৃভাবে, সখাভাবে, এমনকি পুত্রভাবেও ঈশ্বরের আরাধনা করা যেতে পারে । যিনি যেভাবেই আরাধনা করুন না কেন তিনি সেভাবেই ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করতে পারবেন । পাহাড় থেকে যেমন জলধারা বিভিন্ন পথে অগ্রসর হয়ে পরিশেষে সমুদ্রের সঙ্গে মিলিত হয় তেমনি মত ও পথ বিভিন্ন হলেও গন্তব্যস্থল ঈশ্বর ।
এ সম্পর্কে শ্রীমদ্ভাগবতগীতায় শ্রীভগবান বলেছেন, '' আমাকে যে যে-ভাবে ভজনা করে আমি তাকে সেভাবেই অনুগ্রহ করি । হে পার্থ, মনুষ্যগণ বিভিন্ন পথে আমারই অনুসরণ করে ।''
হিন্দুধর্মে বহু দেব-দেবীর উপসনা প্রচলিত । বহুরূপে একই ঈশ্বরের আরাধনা করাই হিন্দুধর্মের বৈশিষ্ট্য । তাই বলে হিন্দুধর্ম বহু ঈশ্বরবাদী নয় ।
প্রশ্নঃ- ০৩। ঈশ্বর কি বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা ? তাই যদি হয় তাহলে ব্রহ্মা ও বিশ্বকর্মা কি সৃষ্টি করেন ?
উত্তরঃ
ঈশ্বর বা পরমব্রহ্ম স্বয়ং এ বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করেছেন। ঈশ্বরের দুটি ভাব আছে - স্বগুন ও নির্গুন । তিনি যখন নির্গুনভাবে অবস্থান করেন তখন তাঁর কাজটি পরিচালন করেন তাঁরই প্রতিনিধি স্বরূপ ব্রহ্মা। অর্থাৎ ব্রহ্মা পরমব্রহ্মেরই আজ্ঞাবহ মাত্র ।
'বিশ্বকর্মা' শব্দের অর্থ বিশ্বের নির্মাণকর্তা । ঋগ্বেদের বর্ণনা অনুসারে বিশ্বকর্মা সর্বদর্শী । এঁর চক্ষু, মুখমন্ডল, বাহু ও পদদ্বয় সর্বদিকে বিস্তৃত । বাহু ও পদদ্বয়ের সাহায্যে তিনি স্বর্গ ও মর্ত্য নির্মান করেন । পুরান মতে বিশ্বকর্মা ঈশ্বরের স্থাপত্য শিল্পের স্রষ্টা এবং আমাদের শিল্প নৈপুন্যের পথ-পদর্শক ।
তথ্যসুত্রঃ জ্ঞান মঞ্জুরী
[ কার্টেসী ব্যতীত কপি পোষ্ট নিষিদ্ধ ]
উত্তরঃ-
মানুষের মন চঞ্চল । তীব্রগতির এ মনকে সংযত করা, স্থির করার ব্যবস্থাই এ রূপকল্পনা । আমাদের চোখের পর্দায় (রেটিনায়) যে ছবি পড়ে তা থেকেই চোখ দেখে এবং তা মন পর্যন্ত পৌছায় । মন সে ছবিকে ধরে রাখতে পারে । ইচ্ছেমত পরবর্তীতে যে কোন সময় সে ছবির বণর্নাও করতে পারে । অর্থাৎ ছবিটি মনের পর্দায় থেকে যায় । এতেই মন ঐ ছবিটির মাধ্যমে স্থির হতে পারে। রূপকল্পনা মনকে স্থির করারই একটি উপায় মাত্র ।
মূর্তির রূপকল্পনা মিথ্যে কিন্তু সে মন স্থির করতে সাহায্য করে এবং পরিশেষে 'ঈশ্বর সত্য' এটা উপলব্ধি করতে শেখায় ও সেখানে পৌছাতে পারে। তাই প্রতিমা পূজা সনাতন ধর্মের একটি বৈশিষ্ট্য বটে। মানুষের মন বিচিত্রধর্মী একই জিনিস বা রূপ নিয়ে সে পরিতৃপ্ত হতে পারে না । তাই সে বিভিন্ন রূপের মধ্যে নিজের মনের কাঙ্ক্ষিত রূপ খুজে বের করে নেয়। এ জন্যই ঈশ্বরের বহুরূপ কল্পনা ।
এছাড়া ঈশ্বরও বহুরূপে, বিচিত্র সৌন্দর্যে বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন ।
তথ্যসুত্রঃ দেবদবীর পরিচয় ও বাহন রহস্য
প্রশ্নঃ- ০২। হিন্দুধর্মের বৈশিষ্ট্য ও ধর্মচর্চ্চার ভিন্নতা দৃষ্টে হিন্দুদেরকে বহু ঈশ্বরবাদী বলা যায় কি ?
উত্তরঃ
হিন্দুধর্মে সাধনার বৈচিত্র্য বর্তমান । কেউ নিরাকারভাবে, কেউ বা সাকারভাবে ঈশ্বরের আরাধনা করতে পারেন । মাতৃভাবে, পিতৃভাবে, সখাভাবে, এমনকি পুত্রভাবেও ঈশ্বরের আরাধনা করা যেতে পারে । যিনি যেভাবেই আরাধনা করুন না কেন তিনি সেভাবেই ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করতে পারবেন । পাহাড় থেকে যেমন জলধারা বিভিন্ন পথে অগ্রসর হয়ে পরিশেষে সমুদ্রের সঙ্গে মিলিত হয় তেমনি মত ও পথ বিভিন্ন হলেও গন্তব্যস্থল ঈশ্বর ।
এ সম্পর্কে শ্রীমদ্ভাগবতগীতায় শ্রীভগবান বলেছেন, '' আমাকে যে যে-ভাবে ভজনা করে আমি তাকে সেভাবেই অনুগ্রহ করি । হে পার্থ, মনুষ্যগণ বিভিন্ন পথে আমারই অনুসরণ করে ।''
হিন্দুধর্মে বহু দেব-দেবীর উপসনা প্রচলিত । বহুরূপে একই ঈশ্বরের আরাধনা করাই হিন্দুধর্মের বৈশিষ্ট্য । তাই বলে হিন্দুধর্ম বহু ঈশ্বরবাদী নয় ।
প্রশ্নঃ- ০৩। ঈশ্বর কি বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা ? তাই যদি হয় তাহলে ব্রহ্মা ও বিশ্বকর্মা কি সৃষ্টি করেন ?
উত্তরঃ
ঈশ্বর বা পরমব্রহ্ম স্বয়ং এ বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করেছেন। ঈশ্বরের দুটি ভাব আছে - স্বগুন ও নির্গুন । তিনি যখন নির্গুনভাবে অবস্থান করেন তখন তাঁর কাজটি পরিচালন করেন তাঁরই প্রতিনিধি স্বরূপ ব্রহ্মা। অর্থাৎ ব্রহ্মা পরমব্রহ্মেরই আজ্ঞাবহ মাত্র ।
'বিশ্বকর্মা' শব্দের অর্থ বিশ্বের নির্মাণকর্তা । ঋগ্বেদের বর্ণনা অনুসারে বিশ্বকর্মা সর্বদর্শী । এঁর চক্ষু, মুখমন্ডল, বাহু ও পদদ্বয় সর্বদিকে বিস্তৃত । বাহু ও পদদ্বয়ের সাহায্যে তিনি স্বর্গ ও মর্ত্য নির্মান করেন । পুরান মতে বিশ্বকর্মা ঈশ্বরের স্থাপত্য শিল্পের স্রষ্টা এবং আমাদের শিল্প নৈপুন্যের পথ-পদর্শক ।
তথ্যসুত্রঃ জ্ঞান মঞ্জুরী
[ কার্টেসী ব্যতীত কপি পোষ্ট নিষিদ্ধ ]
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন