গুরু চিনব কি করে???
সূর্যকে প্রকাশ করতে মশালের প্রয়োজন হয় না।সূর্যকে দেখার জন্য আর বাতি জ্বালতে হয় না।সূর্য উঠলে আমরা স্বভাবতই জানতে পারি যে সূর্য উঠেছে।এইরূপ আমাদেরকে সাহায্য করার জন্য লোকগুরুর আবির্ভাব হলে আত্মা স্বভাবতই জানতে পারে যে,তার উপর সত্যের সূর্যালোকপাত শুরু হয়েছে।সত্য স্বতঃপ্রমাণ,তাকে প্রমাণ করতে অপর কোন সাক্ষের প্রয়োজন নাই-এটা স্বপ্রকাশ।সত্য আমাদের অন্তস্থলে প্রবেশ করে,এর সামনে সমগ্র জগত এসে দাড়ালেও সে বলবে-"আমিই সত্য"।যে সকল আচার্যের হৃদয়ে জ্ঞান ও সত্য সূর্যালোকের ন্যায় উজ্বল,তারা জগতের মধ্যে সর্বোচ্চ পুরুষ।জগতের অধিকাংশ লোকই তাদের ঈশ্বর বলে পুজা করে।
কিন্তু আমরা অপেক্ষাকৃত অল্প জ্ঞানীর নিকটও আধ্যাত্বিক সাহায্য লাভ করতে পারি।আর আমাদের অন্তর্দৃষ্টি এমন প্রখর এবং নিখুত নয় যে,আমরা আচার্যের বা গুরুর সম্পর্কে যথার্থ বিচার করব।তাই গুরু-শিষ্যে দুজনেরই কতগুলি পরীক্ষা আবশ্যক।
শিষ্যের এই গুণগুলি আবশ্যক-পবিত্রতা,প্রকৃত জ্ঞানপিপাসা ও অধ্যবসায়।অশুদ্ধাত্মা পুরুষ কখনও ধার্মিক হতে পারে না।কেননা কায়মনোবাক্যে কেউ পবিত্র না হলে সে ধার্মিক হতে পারবে না।আর জ্ঞানতৃষ্ণা সম্পর্কে বলা যায়,আমরা যা চাই,তা পাই-এটাই সনাতন নিয়ম।কিন্তু অন্তরের সাথে একাত্ন না হয়ে চাইলেই কি সেই কাম্য প্রাপ্ত হয়?
ধর্মের জন্য প্রকৃত ব্যাকুলতা অনেক বড় জিনিস।আমরা ধর্মকে সচারচর যতটা সহজ মনে করি,ঠিক ততটা সহজ নয়।শুধুমাত্র ধর্মকথা শুনলে বা ধর্মগ্রন্থ পড়লেই প্রমানিত হয় না ধর্মপিপাসার কথা।যতদিন পর্যন্ত আমাদের প্রাণে ব্যাকুলতা জাগ্রত না হবে,যতদিন পর্যন্ত আমাদের প্রাণে প্রবৃত্তির উপর জয়লাভ না হবে,ততদিন আমাদের সংগ্রাম আবশ্যক।এই সংগ্রাম হবে পাশব প্রকৃতি ও অভ্যাসের উপর।দুই একদিনের কাজ নয় এটি,বছরের পর বছর,যুগান্তর কিংবা কয়েক জন্মও কেটে যেতে পারে।কারো জন্যে সহজেই সিদ্ধিলাভ হয়,আবার কারো জন্যে ধীর্ঘকাল অপেক্ষা করতে হয়।যদি অপেক্ষার কাল আসে তবে সেক্ষেত্রেও ধৈর্য ধরতে হবে।
যেই শিষ্য এইরূপ অধ্যবসায় সহকারে সাধনে প্রবৃত্ত হয়,তার সিদ্ধি অবশ্যম্ভাবী।
গুরু সম্পর্কে এটা দেখা দরকার তিনি শাস্ত্রের মর্মজ্ঞ কিনা।জগতের সকলেই বেদ,পুরান বা অন্যান্য গ্রন্থ নিয়ে আলোচনা করে।কিন্তু শাস্ত্রসমূহ কেবল কতগুলো শব্দ এবং ব্যাকরণ - ধর্মের কয়েকটি অস্থি মাত্র।যে গুরু শব্দ নিয়ে আলোচনা করেন এবং মনকে শুধু শব্দের ব্যাখ্যা দ্বারা চালাতে চান,তিনি ভাব হারিয়ে ফেলেন।আর শাস্ত্রের মর্ম যিনি জানেন,উনিই যথার্থ ধর্মাচার্য।
শাস্ত্রের শব্দজাল যেন মহারণ্য, মানুষ নিজেকে একবার হারিয়ে ফেললে পথ খুজে পায় না।
"শব্দজালং মহারণ্যং চিত্তভ্রমণকারণম।"(বিবেকচূড়ামণি)
অর্থাৎ শব্দজাল মহারণ্যের ন্যায়,চিত্তের ভ্রমনের কারন।শব্দযোজনা হচ্ছে বক্তৃতা ও শাস্ত্র মর্ম ব্যাখ্যা করবার জন্য,এটা কোনভানেই মুক্তির সহায়ক নয়।যারা এমন করেন,তাদের ইচ্ছা লোকসমাজে তাদের সম্মান হোক,পণ্ডিত বলে সবাই গণ্য করুক।কিন্তু জগতের প্রধান ধর্মাচার্যগণ কেউ এইভাবে শাস্ত্রের ব্যাখ্যা করেন নি।তারা শাস্ত্রের শব্দার্থ ও অর্থ নিয়ে প্যাচান নাই,বরং জগৎকে শাস্ত্রের মহান ভাব শিক্ষা দিয়েছেন।আর যাদের শেখানোর কিছুই নেই,তারা দুই একটা শব্দ নিয়েই গবেষণা করে তার নাড়ি নক্ষত্র বের করার প্রয়াস করেন।
এক আম বাগানে কয়েকজন বেড়াতে গেল।বাগানে গিয়ে তারা হিসাব আরম্ভ করল-কয়টা আম গাছ,কি রকম আম ধরেছে,কোন ডালে কত পাতা,শাখা-প্রশাখা কেমন,আমের বর্ণ,আকৃতি,গন্ধ ইত্যাদি।পরস্পরের মধ্যে এরূপ বিচারে যুক্তি তর্ক বাধতে শুরু করল এক সময়।এদের মধ্যে একজন ছিলেন বিচক্ষন।সে আমের বিচার না করে আম পেড়ে খেতে শুরু করল।কে বেশি বুদ্ধিমান???
আম খেলে পুষ্টি পাবে,পাতা গুনে লাভ কি।পাতা গোনা এবং অন্যকে জানানো বন্ধ করে দাও।অবশ্য এরূপ কাজের কিছুটা উপযোগিতা আছে।তবে সেটা ধর্মরাজ্যে নয়।যারা এইরূপ পাতা গুনে বেড়ায় তাদের ভিতর থেকে একটি ধর্মকথাও বের করা সম্ভব হয় না।ধর্ম যদি জীবনের লক্ষ্য হয়,তবে সেই লক্ষ্যে পৌছাবার জন্য পাতা গোনার মত এতো কষ্ট না করলেও হবে।যদি ভক্ত হতে একান্তই ইচ্ছা জাগে,তবে শ্রীকৃষ্ণ মথুরায় কিংবা ব্রজে জন্মেছিলেন,শৈশবে কিংবা যৌবনে কি কাজ করেছিলেন,তা জানার আবশ্যকতা নেই।গীতায় কর্তব্য ও প্রেম সম্পর্কে যে সুন্দর শিক্ষা আছে,আগ্রহের সাথে তা অনুসরন করাই হবে ভক্তের কাজ।
শাস্ত্র প্রণেতা সম্পর্কে অন্যান্য বিষদ বিষয় জানা কেবল পন্ডিতদের আমোদের জন্য।তারা যা চায়,তাই নিয়ে থাকুক।তাদের পন্ডিতি তর্কবিচারে "শান্তিঃ শান্তিঃ" বলে আমাদের আম খাওয়াই শ্রেয়।
গুরুর নিষ্পাপ হওয়া আবশ্যক।অনেক সময়ে লোকে বলিয়া থাকে ,"গুরুর চরিত্র,গুরু কি করেন না করেন,দেখিবার প্রয়োজন কি? তিনি যা বলেন,তাহাই বিচার করিতে হইবে।সেইটি লইয়াই কাজ করা প্রয়োজন।" এ কথা ঠিক নয়।গতি-বিজ্ঞান,রসায়ন বা অন্য জড়-বিজ্ঞানের শিক্ষক যাহাই হউন না কেন,কিছু আসে যায় না।কারন উহাতে কেবল বুদ্ধিবৃত্তির প্রয়োজন হয়।কিন্তু অধ্যাত্মবিজ্ঞানের আচার্য অশুদ্ধচিত্ত হইলে তাঁহাতে আদৌ ধর্মালোক থাকিতে পারে না।অশুদ্ধচিত্ত ব্যক্তি কী ধর্ম শিখাইবে? নিজে আধ্যাত্মিক সত্য উপলব্ধি করিবার বা অপরে শক্তি সঞ্চার করিবার একমাত্র উপায়-হৃদয় ও মনের পবিত্রতা।
সূর্যকে প্রকাশ করতে মশালের প্রয়োজন হয় না।সূর্যকে দেখার জন্য আর বাতি জ্বালতে হয় না।সূর্য উঠলে আমরা স্বভাবতই জানতে পারি যে সূর্য উঠেছে।এইরূপ আমাদেরকে সাহায্য করার জন্য লোকগুরুর আবির্ভাব হলে আত্মা স্বভাবতই জানতে পারে যে,তার উপর সত্যের সূর্যালোকপাত শুরু হয়েছে।সত্য স্বতঃপ্রমাণ,তাকে প্রমাণ করতে অপর কোন সাক্ষের প্রয়োজন নাই-এটা স্বপ্রকাশ।সত্য আমাদের অন্তস্থলে প্রবেশ করে,এর সামনে সমগ্র জগত এসে দাড়ালেও সে বলবে-"আমিই সত্য"।যে সকল আচার্যের হৃদয়ে জ্ঞান ও সত্য সূর্যালোকের ন্যায় উজ্বল,তারা জগতের মধ্যে সর্বোচ্চ পুরুষ।জগতের অধিকাংশ লোকই তাদের ঈশ্বর বলে পুজা করে।
কিন্তু আমরা অপেক্ষাকৃত অল্প জ্ঞানীর নিকটও আধ্যাত্বিক সাহায্য লাভ করতে পারি।আর আমাদের অন্তর্দৃষ্টি এমন প্রখর এবং নিখুত নয় যে,আমরা আচার্যের বা গুরুর সম্পর্কে যথার্থ বিচার করব।তাই গুরু-শিষ্যে দুজনেরই কতগুলি পরীক্ষা আবশ্যক।
শিষ্যের এই গুণগুলি আবশ্যক-পবিত্রতা,প্রকৃত জ্ঞানপিপাসা ও অধ্যবসায়।অশুদ্ধাত্মা পুরুষ কখনও ধার্মিক হতে পারে না।কেননা কায়মনোবাক্যে কেউ পবিত্র না হলে সে ধার্মিক হতে পারবে না।আর জ্ঞানতৃষ্ণা সম্পর্কে বলা যায়,আমরা যা চাই,তা পাই-এটাই সনাতন নিয়ম।কিন্তু অন্তরের সাথে একাত্ন না হয়ে চাইলেই কি সেই কাম্য প্রাপ্ত হয়?
ধর্মের জন্য প্রকৃত ব্যাকুলতা অনেক বড় জিনিস।আমরা ধর্মকে সচারচর যতটা সহজ মনে করি,ঠিক ততটা সহজ নয়।শুধুমাত্র ধর্মকথা শুনলে বা ধর্মগ্রন্থ পড়লেই প্রমানিত হয় না ধর্মপিপাসার কথা।যতদিন পর্যন্ত আমাদের প্রাণে ব্যাকুলতা জাগ্রত না হবে,যতদিন পর্যন্ত আমাদের প্রাণে প্রবৃত্তির উপর জয়লাভ না হবে,ততদিন আমাদের সংগ্রাম আবশ্যক।এই সংগ্রাম হবে পাশব প্রকৃতি ও অভ্যাসের উপর।দুই একদিনের কাজ নয় এটি,বছরের পর বছর,যুগান্তর কিংবা কয়েক জন্মও কেটে যেতে পারে।কারো জন্যে সহজেই সিদ্ধিলাভ হয়,আবার কারো জন্যে ধীর্ঘকাল অপেক্ষা করতে হয়।যদি অপেক্ষার কাল আসে তবে সেক্ষেত্রেও ধৈর্য ধরতে হবে।
যেই শিষ্য এইরূপ অধ্যবসায় সহকারে সাধনে প্রবৃত্ত হয়,তার সিদ্ধি অবশ্যম্ভাবী।
গুরু সম্পর্কে এটা দেখা দরকার তিনি শাস্ত্রের মর্মজ্ঞ কিনা।জগতের সকলেই বেদ,পুরান বা অন্যান্য গ্রন্থ নিয়ে আলোচনা করে।কিন্তু শাস্ত্রসমূহ কেবল কতগুলো শব্দ এবং ব্যাকরণ - ধর্মের কয়েকটি অস্থি মাত্র।যে গুরু শব্দ নিয়ে আলোচনা করেন এবং মনকে শুধু শব্দের ব্যাখ্যা দ্বারা চালাতে চান,তিনি ভাব হারিয়ে ফেলেন।আর শাস্ত্রের মর্ম যিনি জানেন,উনিই যথার্থ ধর্মাচার্য।
শাস্ত্রের শব্দজাল যেন মহারণ্য, মানুষ নিজেকে একবার হারিয়ে ফেললে পথ খুজে পায় না।
"শব্দজালং মহারণ্যং চিত্তভ্রমণকারণম।"(বিবেকচূড়ামণি)
অর্থাৎ শব্দজাল মহারণ্যের ন্যায়,চিত্তের ভ্রমনের কারন।শব্দযোজনা হচ্ছে বক্তৃতা ও শাস্ত্র মর্ম ব্যাখ্যা করবার জন্য,এটা কোনভানেই মুক্তির সহায়ক নয়।যারা এমন করেন,তাদের ইচ্ছা লোকসমাজে তাদের সম্মান হোক,পণ্ডিত বলে সবাই গণ্য করুক।কিন্তু জগতের প্রধান ধর্মাচার্যগণ কেউ এইভাবে শাস্ত্রের ব্যাখ্যা করেন নি।তারা শাস্ত্রের শব্দার্থ ও অর্থ নিয়ে প্যাচান নাই,বরং জগৎকে শাস্ত্রের মহান ভাব শিক্ষা দিয়েছেন।আর যাদের শেখানোর কিছুই নেই,তারা দুই একটা শব্দ নিয়েই গবেষণা করে তার নাড়ি নক্ষত্র বের করার প্রয়াস করেন।
এক আম বাগানে কয়েকজন বেড়াতে গেল।বাগানে গিয়ে তারা হিসাব আরম্ভ করল-কয়টা আম গাছ,কি রকম আম ধরেছে,কোন ডালে কত পাতা,শাখা-প্রশাখা কেমন,আমের বর্ণ,আকৃতি,গন্ধ ইত্যাদি।পরস্পরের মধ্যে এরূপ বিচারে যুক্তি তর্ক বাধতে শুরু করল এক সময়।এদের মধ্যে একজন ছিলেন বিচক্ষন।সে আমের বিচার না করে আম পেড়ে খেতে শুরু করল।কে বেশি বুদ্ধিমান???
আম খেলে পুষ্টি পাবে,পাতা গুনে লাভ কি।পাতা গোনা এবং অন্যকে জানানো বন্ধ করে দাও।অবশ্য এরূপ কাজের কিছুটা উপযোগিতা আছে।তবে সেটা ধর্মরাজ্যে নয়।যারা এইরূপ পাতা গুনে বেড়ায় তাদের ভিতর থেকে একটি ধর্মকথাও বের করা সম্ভব হয় না।ধর্ম যদি জীবনের লক্ষ্য হয়,তবে সেই লক্ষ্যে পৌছাবার জন্য পাতা গোনার মত এতো কষ্ট না করলেও হবে।যদি ভক্ত হতে একান্তই ইচ্ছা জাগে,তবে শ্রীকৃষ্ণ মথুরায় কিংবা ব্রজে জন্মেছিলেন,শৈশবে কিংবা যৌবনে কি কাজ করেছিলেন,তা জানার আবশ্যকতা নেই।গীতায় কর্তব্য ও প্রেম সম্পর্কে যে সুন্দর শিক্ষা আছে,আগ্রহের সাথে তা অনুসরন করাই হবে ভক্তের কাজ।
শাস্ত্র প্রণেতা সম্পর্কে অন্যান্য বিষদ বিষয় জানা কেবল পন্ডিতদের আমোদের জন্য।তারা যা চায়,তাই নিয়ে থাকুক।তাদের পন্ডিতি তর্কবিচারে "শান্তিঃ শান্তিঃ" বলে আমাদের আম খাওয়াই শ্রেয়।
গুরুর নিষ্পাপ হওয়া আবশ্যক।অনেক সময়ে লোকে বলিয়া থাকে ,"গুরুর চরিত্র,গুরু কি করেন না করেন,দেখিবার প্রয়োজন কি? তিনি যা বলেন,তাহাই বিচার করিতে হইবে।সেইটি লইয়াই কাজ করা প্রয়োজন।" এ কথা ঠিক নয়।গতি-বিজ্ঞান,রসায়ন বা অন্য জড়-বিজ্ঞানের শিক্ষক যাহাই হউন না কেন,কিছু আসে যায় না।কারন উহাতে কেবল বুদ্ধিবৃত্তির প্রয়োজন হয়।কিন্তু অধ্যাত্মবিজ্ঞানের আচার্য অশুদ্ধচিত্ত হইলে তাঁহাতে আদৌ ধর্মালোক থাকিতে পারে না।অশুদ্ধচিত্ত ব্যক্তি কী ধর্ম শিখাইবে? নিজে আধ্যাত্মিক সত্য উপলব্ধি করিবার বা অপরে শক্তি সঞ্চার করিবার একমাত্র উপায়-হৃদয় ও মনের পবিত্রতা।
যতদিন না চিত্তশুদ্ধি হয়,ততদিন ভগবদ্দর্শন বা সেই অতীন্দ্রিয় সত্তার আভাসজ্ঞানও অসম্ভব। সুতরাং ধর্মাচার্যের সম্বন্ধে প্রথমেই দেখা আবশ্যক তিনি কি চরিত্রের লোক,তারপর তিনি কি বলেন তাহাও দেখিতে হইবে।তাহার সম্পূর্ণরূপে শুদ্ধচিত্ত হওয়া আবশ্যক।তবেই তাহার কথার প্রকৃত একটা গুরুত্ব থাকে,কারন তাহা হইলেই তিনি প্রকৃত শক্তি সঞ্চারকের যোগ্য হইতে পারেন।নিজের মধ্যেই যদি সেই শক্তি না থাকে,তবে তিনি সঞ্চার করিবেন কি?গুরুর মন এরূপ প্রবল আধ্যাত্বিক স্পন্দন সম্পন্ন হওয়া চাই যে তাহা যেন সমবেদনাবশে শিষ্যে সঞ্চারিত হইয়া যায়।গুরুর বাস্তবিক কার্যই এই- কিছু সঞ্চার করা,কেবল শিষ্যের বুদ্ধিবৃত্তি বা অন্য কোন শক্তি উত্তেজিত করিয়া দেওয়া নয়।বেশ স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায়,গুরু হইতে শিষ্যে যথার্থই একটি শক্তি আসিতেছে।সুতরাং গুরুর শুদ্ধচিত্ত হওয়া আবশ্যক।
দেখা আবশ্যক,গুরুর উদ্দেশ্য কি?
আর যদি গুরুতে এই সব লক্ষণ বর্তমান থাকে,তবে জানিতে হইবে কোন আশঙ্কা নাই।নতুবা তাহার নিকট শিক্ষায় বিপদ আছে,তিনি হৃদয়ে সদ্ভাব সঞ্চার করিতে না পারেন,হয়তো অসদ্ভাব সঞ্চার করিবেন।এই বিপদ হইতে নিজেকে সর্বতোভাবে সাবধান রাখিতে হইবে।"যিনি বিদ্বান,নিষ্পাপ ও কামগন্ধহীন,যিনি শ্রেষ্ঠ ব্রহ্মবিদ" তিনিই প্রকৃত সদগুরু।
গুরুই ধর্মশিক্ষার্থীর চক্ষু খুলিয়া দেন।সুতরাং কোন ব্যক্তির সহিত তাহার বংশধরের যে সম্বন্ধ,গুরুর সহিত শিষ্যেরও ঠিক সেই সম্বন্ধ।গুরুর প্রতি বিশ্বাস,বিনয়নম্র আচরণ,তাহার নিকট শরণগ্রহন ও তাহার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ব্যতিরেকে আমাদের হৃদয়ে ধর্মের বিকাশ হইতেই পারে না।আর ইহাও বিশেষ লক্ষ্য করিবার বিষয় যে,যে সব দেশে গুরু শিষ্যের এরূপ সম্বন্ধ আছে,কেবল সেই সব দেশেই অসাধারন ধর্মবীরগণ জন্মিয়াছেন।আর যেসব দেশে গুরু শিষ্যের এ সম্বন্ধ রক্ষা করা হয় নাই,সে সব দেশে ধর্মের শিক্ষক কেবল বক্তামাত্র।
দেখা আবশ্যক,গুরুর উদ্দেশ্য কি?
গুরু যেন অর্থ,নাম যশ বা কোন স্বার্থসিদ্ধির জন্য ধর্মশিক্ষাদানে প্রবৃত্ত না হন- সমগ্র মানবজাতির প্রতি শুদ্ধ প্রেমই যেন কার্যের নিয়ামক হয়।আধ্যাত্বিক শক্তি শুদ্ধ প্রেমের মাধ্যমেই সঞ্চারিত করা যাইতে পারে।কোনরূপ স্বার্থপূর্ণ ভাব,লাভ বা যশের ইচ্ছা এক মুহূর্তে এই সঞ্চারের মাধ্যম নষ্ট করিয়া ফেলে।ভগবান প্রেমস্বরূপ,আর যিনি ভগবানকে প্রেমস্বরূপ বলিয়া জানিয়াছেন,তিনিই মানুষকে ভগবদ্ভাব শিক্ষা দিতে পারেন।
আর যদি গুরুতে এই সব লক্ষণ বর্তমান থাকে,তবে জানিতে হইবে কোন আশঙ্কা নাই।নতুবা তাহার নিকট শিক্ষায় বিপদ আছে,তিনি হৃদয়ে সদ্ভাব সঞ্চার করিতে না পারেন,হয়তো অসদ্ভাব সঞ্চার করিবেন।এই বিপদ হইতে নিজেকে সর্বতোভাবে সাবধান রাখিতে হইবে।"যিনি বিদ্বান,নিষ্পাপ ও কামগন্ধহীন,যিনি শ্রেষ্ঠ ব্রহ্মবিদ" তিনিই প্রকৃত সদগুরু।
গুরুই ধর্মশিক্ষার্থীর চক্ষু খুলিয়া দেন।সুতরাং কোন ব্যক্তির সহিত তাহার বংশধরের যে সম্বন্ধ,গুরুর সহিত শিষ্যেরও ঠিক সেই সম্বন্ধ।গুরুর প্রতি বিশ্বাস,বিনয়নম্র আচরণ,তাহার নিকট শরণগ্রহন ও তাহার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ব্যতিরেকে আমাদের হৃদয়ে ধর্মের বিকাশ হইতেই পারে না।আর ইহাও বিশেষ লক্ষ্য করিবার বিষয় যে,যে সব দেশে গুরু শিষ্যের এরূপ সম্বন্ধ আছে,কেবল সেই সব দেশেই অসাধারন ধর্মবীরগণ জন্মিয়াছেন।আর যেসব দেশে গুরু শিষ্যের এ সম্বন্ধ রক্ষা করা হয় নাই,সে সব দেশে ধর্মের শিক্ষক কেবল বক্তামাত্র।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন