সাধারণভাবেও শব্দমাত্রে অচিন্ত্য শক্তি আছে এবং নামে ভগবানের সঙ্গে সম্বন্ধ তৈরি করার এক বিশেষ ক্ষমতা আছে অতএব ভগবানের নাম যে কোন প্রকারেই নেওয়া হোন না কেন , তার দ্বারা মঙ্গলই হয় । যে বিশেষ ভাবসহ নাম জপ করে তার খুব শীঘ্রই লাভ হয় ।
নামজপের সময় যদি ভাব কম হয় তাহলেও নাম জপে লাভ হয় , তবে কতদিন পর হবে - তা বলা যায় না । নামজপের সংখ্যা বেশী বাড়িয়ে দিলে ভাব তৈরী হয় , কেননা যাঁরা নাম জপ করেন , তাঁদের অন্তরে সূক্ষভাব থাকেই , নামের সংখ্যা বাড়ালে সেই ভাব প্রকটিত হয় ।
নামজপ কোন নিছক ক্রিয়া নয় । এটি এক প্রকারের উপাসনা , কারণ নামজপে জপকারীর লক্ষ্য এবং সম্বন্ধ ভগবানের দিকেই থাকে । যেমন কর্মদ্বারা কল্যাণ হয় না , কর্ম নিজের ফল দান করে নষ্ট হয়ে যায় , কিন্তু কর্মের সঙ্গে মুখ্যভাবে যদি নিষ্কামভাব থাকে তাহলে সেই কম কল্যাণকারী হয়ে ওঠে ।
তেমনি নামজপ যদি মুখ্যভাবে ভগবানকে লক্ষ্য রেখে করা হয় , তা হলে নামজপের দ্বারা ভগবৎসাক্ষাৎকার হয়ে যায় । ভগবানকেই মুখ্যরূপে লক্ষ্য করলে নাম চিন্ময় হয়ে ওঠে এবং তা ক্রিয়ারূপে থাকে না । শুধু তাই নয় , সেই চিন্ময়তা জপকারীতেও নেমে আসে , অর্থাৎ যে ব্যক্তি জপ করেন তাঁর শরীরও চিন্ময় হয়ে যায় , তাঁর শরীরের জড়ত্ব নষ্ট হয় ।
যেমন , সন্ত তুকারাম সশরীরে ঈশ্বরধামে গমন করেছিলেন , ভক্তিমতি মীরার দেহ ভগবানের বিগ্রহে মিশে গিয়েছিল , কবীরের দেহ অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল এবং সেই স্থানে ফুল পাওয়া গিয়েছিল । চোখামেলার ভক্তের অস্তিতে ' বিট্ঠল ' নামের ধ্বনি শোনা যেত । এই সব নাম ভগবানের নাম জপের ফল ।
ভগবান কখন কাকে ভক্তিপ্রদান করবেন তা ভক্তের উপর নির্ভর করে । যে যেভাব নিয়ে ভগবানকে ডাকেন ভগবান তাকে সেই ভাবই দান করেন । তাই ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি , যেন সর্বদা তাঁর নাম জপে মত্ত থাকতে পারি । যত বাধা আসুক তা যেন কিছুতেই নাম জপে বিচলিত করতে না পারে ।
শাস্ত্র এবং সাধুসন্তগণ ভগবৎনামের যে মহিমা গান করেছেন , তা পুরোপুরি সত্য । শুধু তাই নয় , আজ পর্যনাত যত নাম -মহিমা গীত হয়েছে তাতেও তাঁর নামমহিমা পুরোপুরি কীর্তন করা হয়নি । এখানো অনেক নামমহিমা বাকী আছে । কারণ ভগবান অনন্ত , তাই তাঁর নাম - মহিমাও অনন্ত - হরি অনন্ত , হরিকথা অনন্তা । আমার যতটুকু জানি তা সামান্যমাত্র । ভগবানের মহিমা ভগবান ছাড়া আর কে -বা বলতে পারেন । এমন কি কেউ আছেন যে সম্পূর্ন নাম - মহিমা কীর্তন করতে পারেন ? তাই ভগবানের প্রতি বিশ্বাস , শ্রদ্ধা , ভক্তি , ভাব , প্রেম ইত্যাদি রেখে তার নাম জপ করা ।
নামের মাহাত্মাকে স্বীকার না করলে নামকে অবহেলা বা অপমান করা হয় , তাই সেই নাম তত প্রভাব ফেলে না । মন দিয়ে নামজপ না করা , ইষ্টের প্রতি ধ্যান সহকারে নাম জপ না করা এবং হৃদয় থেকে নামকে মাহাত্ম্য না দেওয়া ইত্যাদি দোষ;ঘটলে নামের মাহাত্ম্য শীঘ্র দেখা;যায় না । হ্যাঁ , কোনভাবে মুখে নাম - জপ করতে থাকলে তাতেও লাভ হয় , তবে এতে সময় লাগে ।
মন লাগুক না লাগুন নিরন্তর নামজপ করলে , কখনো বাদ না দিলে নাম মহারাজের কৃপায় সব কাজ হয়ে যায় অর্থাৎ মন লাগতে থাকে , নামের ওপর শ্রদ্ধা জাগ্রত হয় ।যদি ভগবৎনামে অনন্য ভক্তি থাকে এবং নিরন্তর নামজপ হতে থাকে , তবে সত্যই তাতে লাভ হয় । কারণ , ভগবৎনাম জাগতিক নামের মতো নয় । ভগবান চিন্ময় , তাঁর নামও তাই চিন্ময় বা চেতন ।
রাজস্থানে বুধারাম নামে একজন সাধু ছিলেন । তিনি তৎপরতার সঙ্গে নামজপ শুরু করলেন ।ক্রমে এমন হল যে স্বল্প সময়ের জন্যও নামজপ বাদ পড়লে তাঁর অসহ্য মনে হতো । খাবার তৈরী হয়ে গেল মা খেতে ডাকতেন , তিনি খেয়ে এসে আবার নামজপ করতে লেগে যেতেন । একদিন তিনি মাকে বললেন , ' মা ' রুটি খেতে অনেক সময় লাগে , তুমি কেবল দালিয়া ( গমের খিচুড়ি ) করে থালায় পরিবেশন করবে , ঠাণ্ডা হয়ে গেলে আমাকে খেতে ডাকবে ।
মা তখন সেইমত ব্যবস্থা করলেন । আবার কিছুদিন পর বুধারাম বললেন , ' মা খিচুড়ি খেতেও সময় লাগে , এবার থেকে রাব্ ( আটা এবং জলের মিশ্রণ বিশেষ ) কোরো আবার ঠাণ্ডা হলে তখন খেতে ডাকো । ' এইভাবে তিনি নামজপে বিভোর থাকতেন সবসময় । আর নামজপ করতে থাকলে তবেই বাস্তবিক লাভ হয় । নামে অনন্ত শক্তি , শ্রদ্ধা - বিশ্বাসে নামের শক্তি বাড়ে এবং শ্রদ্ধা - বিশ্বাস না থাকলে কমে - একথা ঠিক নয় । তবে যাঁদের নামে শ্রদ্ধা -বিশ্বাস থাকে তাঁরা নামের দ্বারা লাভবান হয় এবং যাঁদের তা থাকে না তাঁদের লাভ হয় না । দ্বিতীয়তঃ যাঁরা নামে শ্রদ্ধা - বিশ্বাস করেন না , তাঁদের নামাপরাধ হয় ।
নামজপের সময় যদি ভাব কম হয় তাহলেও নাম জপে লাভ হয় , তবে কতদিন পর হবে - তা বলা যায় না । নামজপের সংখ্যা বেশী বাড়িয়ে দিলে ভাব তৈরী হয় , কেননা যাঁরা নাম জপ করেন , তাঁদের অন্তরে সূক্ষভাব থাকেই , নামের সংখ্যা বাড়ালে সেই ভাব প্রকটিত হয় ।
নামজপ কোন নিছক ক্রিয়া নয় । এটি এক প্রকারের উপাসনা , কারণ নামজপে জপকারীর লক্ষ্য এবং সম্বন্ধ ভগবানের দিকেই থাকে । যেমন কর্মদ্বারা কল্যাণ হয় না , কর্ম নিজের ফল দান করে নষ্ট হয়ে যায় , কিন্তু কর্মের সঙ্গে মুখ্যভাবে যদি নিষ্কামভাব থাকে তাহলে সেই কম কল্যাণকারী হয়ে ওঠে ।
তেমনি নামজপ যদি মুখ্যভাবে ভগবানকে লক্ষ্য রেখে করা হয় , তা হলে নামজপের দ্বারা ভগবৎসাক্ষাৎকার হয়ে যায় । ভগবানকেই মুখ্যরূপে লক্ষ্য করলে নাম চিন্ময় হয়ে ওঠে এবং তা ক্রিয়ারূপে থাকে না । শুধু তাই নয় , সেই চিন্ময়তা জপকারীতেও নেমে আসে , অর্থাৎ যে ব্যক্তি জপ করেন তাঁর শরীরও চিন্ময় হয়ে যায় , তাঁর শরীরের জড়ত্ব নষ্ট হয় ।
যেমন , সন্ত তুকারাম সশরীরে ঈশ্বরধামে গমন করেছিলেন , ভক্তিমতি মীরার দেহ ভগবানের বিগ্রহে মিশে গিয়েছিল , কবীরের দেহ অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল এবং সেই স্থানে ফুল পাওয়া গিয়েছিল । চোখামেলার ভক্তের অস্তিতে ' বিট্ঠল ' নামের ধ্বনি শোনা যেত । এই সব নাম ভগবানের নাম জপের ফল ।
ভগবান কখন কাকে ভক্তিপ্রদান করবেন তা ভক্তের উপর নির্ভর করে । যে যেভাব নিয়ে ভগবানকে ডাকেন ভগবান তাকে সেই ভাবই দান করেন । তাই ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি , যেন সর্বদা তাঁর নাম জপে মত্ত থাকতে পারি । যত বাধা আসুক তা যেন কিছুতেই নাম জপে বিচলিত করতে না পারে ।
শাস্ত্র এবং সাধুসন্তগণ ভগবৎনামের যে মহিমা গান করেছেন , তা পুরোপুরি সত্য । শুধু তাই নয় , আজ পর্যনাত যত নাম -মহিমা গীত হয়েছে তাতেও তাঁর নামমহিমা পুরোপুরি কীর্তন করা হয়নি । এখানো অনেক নামমহিমা বাকী আছে । কারণ ভগবান অনন্ত , তাই তাঁর নাম - মহিমাও অনন্ত - হরি অনন্ত , হরিকথা অনন্তা । আমার যতটুকু জানি তা সামান্যমাত্র । ভগবানের মহিমা ভগবান ছাড়া আর কে -বা বলতে পারেন । এমন কি কেউ আছেন যে সম্পূর্ন নাম - মহিমা কীর্তন করতে পারেন ? তাই ভগবানের প্রতি বিশ্বাস , শ্রদ্ধা , ভক্তি , ভাব , প্রেম ইত্যাদি রেখে তার নাম জপ করা ।
নামের মাহাত্মাকে স্বীকার না করলে নামকে অবহেলা বা অপমান করা হয় , তাই সেই নাম তত প্রভাব ফেলে না । মন দিয়ে নামজপ না করা , ইষ্টের প্রতি ধ্যান সহকারে নাম জপ না করা এবং হৃদয় থেকে নামকে মাহাত্ম্য না দেওয়া ইত্যাদি দোষ;ঘটলে নামের মাহাত্ম্য শীঘ্র দেখা;যায় না । হ্যাঁ , কোনভাবে মুখে নাম - জপ করতে থাকলে তাতেও লাভ হয় , তবে এতে সময় লাগে ।
মন লাগুক না লাগুন নিরন্তর নামজপ করলে , কখনো বাদ না দিলে নাম মহারাজের কৃপায় সব কাজ হয়ে যায় অর্থাৎ মন লাগতে থাকে , নামের ওপর শ্রদ্ধা জাগ্রত হয় ।যদি ভগবৎনামে অনন্য ভক্তি থাকে এবং নিরন্তর নামজপ হতে থাকে , তবে সত্যই তাতে লাভ হয় । কারণ , ভগবৎনাম জাগতিক নামের মতো নয় । ভগবান চিন্ময় , তাঁর নামও তাই চিন্ময় বা চেতন ।
রাজস্থানে বুধারাম নামে একজন সাধু ছিলেন । তিনি তৎপরতার সঙ্গে নামজপ শুরু করলেন ।ক্রমে এমন হল যে স্বল্প সময়ের জন্যও নামজপ বাদ পড়লে তাঁর অসহ্য মনে হতো । খাবার তৈরী হয়ে গেল মা খেতে ডাকতেন , তিনি খেয়ে এসে আবার নামজপ করতে লেগে যেতেন । একদিন তিনি মাকে বললেন , ' মা ' রুটি খেতে অনেক সময় লাগে , তুমি কেবল দালিয়া ( গমের খিচুড়ি ) করে থালায় পরিবেশন করবে , ঠাণ্ডা হয়ে গেলে আমাকে খেতে ডাকবে ।
মা তখন সেইমত ব্যবস্থা করলেন । আবার কিছুদিন পর বুধারাম বললেন , ' মা খিচুড়ি খেতেও সময় লাগে , এবার থেকে রাব্ ( আটা এবং জলের মিশ্রণ বিশেষ ) কোরো আবার ঠাণ্ডা হলে তখন খেতে ডাকো । ' এইভাবে তিনি নামজপে বিভোর থাকতেন সবসময় । আর নামজপ করতে থাকলে তবেই বাস্তবিক লাভ হয় । নামে অনন্ত শক্তি , শ্রদ্ধা - বিশ্বাসে নামের শক্তি বাড়ে এবং শ্রদ্ধা - বিশ্বাস না থাকলে কমে - একথা ঠিক নয় । তবে যাঁদের নামে শ্রদ্ধা -বিশ্বাস থাকে তাঁরা নামের দ্বারা লাভবান হয় এবং যাঁদের তা থাকে না তাঁদের লাভ হয় না । দ্বিতীয়তঃ যাঁরা নামে শ্রদ্ধা - বিশ্বাস করেন না , তাঁদের নামাপরাধ হয় ।
Courtesy by: Joy Shree Radha Madhav
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন