ভগবানের রাজত্বে বস্তুর প্রাধান্য নেই , আছে ভাবের প্রাধান্য । ভাবের জন্যই ভগবান ভক্ত-অর্পিত বস্তু এবং পূজাদি ক্রিয়াকর্ম স্বীকার করেন । ভক্তের যদি ভাব হয় ভগবানকে খাওয়াবার তখন ভগবানেরও খিদে পায় এবং তিনি প্রকট হয়ে ভোজন করেন । ভক্তের ভাব বা ভালোবাসাতে ভগবান যে বস্তু গ্রহণ করেন , সে বস্তু আর বিনষ্ট হয় না । তা দিব্য বা চিন্ময় হয়ে যায় । যদি এইরূপ ভাব না - ও হয় , কিছু কম হয় , তাহলেও ভক্ত ভোগ অর্পণ করলেই ভগবান সন্তুষ্ট হন । ভগবানের সন্তুষ্টি বিধানের জন্য বস্তু বা ক্রিয়ার প্রাধান্য নেই , শুধু ভাবেরই প্রাধান্য ।
একজন ব্যক্তি ছিলেন তাঁর একজন সাধুর উপরে খুব শ্রদ্ধা ছিল এবং তিনি সাধুর খুব যত্ন করতেন । তিনি বলতেন , ' সাধুর যখনই পিপাসা লাগত আমার মনে হতো যে তাঁর পিপাসা পেয়েছে , অতএব আমি জল নিয়ে যেতাম এবং তিনি জল পান করতেন । '
সেইরূপ যাঁরা পতিব্রতা স্ত্রী , তাঁরাও স্বামীর ক্ষুধা -তৃষ্ণার খবর ঠিক মতো বুঝতে পারেন এবং স্বামী কি খেতে ভালবাসেন তাও তাঁরা বুঝতে পারেন । স্বামীকে খেতে দিলে তিনিও বলে ওঠেন , ' আজ আমার এইটাই খাবার ইচ্ছা হয়েছিল । ' এইভাবেই যাঁর মন ভগবানকে ভোগ দেবারর আন্তরিক বাসনা হয় তাঁর স্বতঃই ভগবানের রুচি এবং ক্ষুধা-তৃষ্ণার বিষয়ে ধারণা হয়ে যায় ।
এক মন্দিরে একজন পূজারী ছিলেন । তাঁর ইষ্ট ছিলেন গোপাল । তিনি রোজ ছোট লাড্ডু বানাতেন এবং রাতে যখন গোপালকে শয়ন করাতেন ,তখন মাথার কাছে লাড্ডু রেখে দিতেন । কারণ বালকের রাতে ক্ষুধা পেয়ে যায় । একদিন পূজারী লাড্ডু রাখতে ভুলে যান , তখন গোপাল পূজারীকে স্বপ্নে দেখা দেন এবং বলেন তাঁর ক্ষিধে পেয়েছে । তারপর থেকে পূজারী প্রতিদিন লাড্ডু রাখতেন । এমন আরেকটি ঘটনা আছে ।
এক সাধু ছিলেন । ইনি প্রতিবছর দেওয়ালীর পর ঠাণ্ডার সময় ভগবানকে কাজু , বামা , পেস্তা , আখরোট ইত্যাদি ভোগ দিতেন ল পরে কাজু , বাদাম ইত্যাদির দাম খুব বেড়ে যাওয়ায় তিনি চীনা বাদাম দিয়ে ভোগ দিতে শুরু করলেন । একদিন রাতে ভগবান স্বপ্নে জিজ্ঞাসা করলেন , ' কিরে , তুই আমাকে শুধু চীনা বাদামই খাওয়াবি ?
সেইদিনের পর থেকে পুনরায় ভগবানকে কাজু ইত্যাদি দিয়ে ভোগ দিতে আরম্ভ করলেন । প্রথমে তাঁর মনে কিছু দ্বিধা ছিল যে , ' কি জানি ভগবান ভোগ গ্রহণ করেন কিনা ? যখন ভগবান স্বপ্নে এইভাবে বললেন তখন তাঁর দ্বিধা দূর হল । এর তাৎপর্য এই যে কেউ ভগবানকে আদর করে ভোগ দিলে তাঁরও ক্ষুধা পায় এবং তিনি তা গ্রহণ করেন ।
এক সাধু ছিলেন তাঁর আহার অত্যন্ত বেশী ছিল । একবার তাঁর দেহ রোগগ্রস্ত হয় । কোন এক ব্যক্তি তাঁকে পরামর্শ দেয় যে , ' মহারাজ , আপনি গরুর দুধ খান এবং বাছুরটি দুধ খাওয়ার পর যেটুকু বাঁচবে মাত্র সেইটুকুই খাবেন । ' তিনি সেই মত করতে লাগলেন । গো- বৎস পেট ভরে মায়ের দুধ খাওয়ার পর তিনি গরুর দুধ দোহাতেন , তাতে মাত্র একপো বা দেড়পো পেতেন , কিন্তু তাতেই তাঁর পেট ভরে যেত । কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর অসুখ সেরে গেল এবং তিনি সুস্থ হলেন ।
এর তাৎপর্য এই যে সাধুটি বিশ্বাস নিয়ে তা করেছিলেন ফলে তাঁর অসুখ সেরে যায় । যদি ন্যায়সঙ্গত বস্তুতে এতো শক্তি থাকতে থাকে যে অল্পমাত্রায় গ্রহণ করলেও তৃপ্তি হয় এবং অসুখ সেরে যায় তাহলে যে বস্তু ভাবপূর্বক ভগবানকে দেওয়া হয় তার সম্বন্ধে কিছু আর বলার অপেক্ষা থাকে না । কারণ এখানে বিশ্বাস আছে যে ভগবান অবশ্যই গ্রহণ করবেন যদি তা ভক্তিভরে অর্পন করা হয় ।
সকলেই অনুভব করে থাকেন যে কেউ যদি ভাব দ্বারা বা অনুরাগ সহকারে ভোজন করায় তাহলে সেই আহারে সুস্বাদ পাওয়া যায় এবং সেই আহার দ্বারা বৃত্তিসকলও ভালো থাকে । শুধু মানুষের ওপর নয় , পশুদের ওপরও এর প্রভাব পড়ে । যে গোবৎসের মা - গাভীটি মারা যায় , লোকে তাকে অন্য গাভীর দুধ খাওয়ায় , তাতে সেই বাছুরটি বেঁচে যায় ।
যদি মানুষ বা পশুর ওপরে ভাবের প্রভাব পড়ে তাহলে অন্তর্যামী ভগবানের ওপরেও সে ভাবের প্রভাব পড়বে তাতে আর বলার কি আছে ? বিদুরের স্ত্রীর এইরূপ ভাব ছিল বলেই ভগবান তাঁর হাত থেকে কলার খোসা পর্যন্ত খেয়েছিলেন । গোপিনীদের এইভাব ছিল বলেই ভগবান তাঁদের হাত থেকে কেড়ে দই , মাখন খেয়েছিলেন ।
শ্রীব্রহ্মাকে ভগবান বলেছিলেন --
নৈবেদ্যং পুরতো ন্যস্তং চক্ষুষা গৃহ্যতে ময়া ।
রসং চ দাসজিহ্বায়ামশ্নামি কমলোদ্ভব ।।
' হে কমলোদ্ভব ! আমার সামনে অর্পিত ভোগসমূহ আমি নেত্র দ্বারা গ্রহণ করি , কিন্তু তার স্বাদ আমি ভক্তদের জিহ্বাদ্বারাই গ্রহণ করি ।
ভাবদ্বারা অর্পিত ভোগদ্রব্য ভগবান কখনও দৃষ্টি দ্বারা , কখনও স্পর্শ দ্বারা আবার কখনও স্বয়ং কিছুটা গ্রহণও করেন ।
হামাগুড়ি দেওয়া শিশু কোন বস্তু নিয়ে তার বাবাকে দিলে যেমন তিনি খুব খুশি হন এবং অনেক উঁচুতে হাত দেখিয়ে বলেন , ' বাবু , তুই এতবড় হ , অর্থাৎ , আমার থেকেও বড় হয়ে ওঠ । ' কেন , বস্তুটি কি অলভ্য ছিল যে শিশুটি সেটি দেওয়ায় তার বাবা বিশেষ কিছু পেলেন ? না , তা নয় ! কেবল শিশুর দেবার ভাবটি দেখে বাবা প্রসন্ন হলেন ।
এইরূপ ভগবানেরও কোন জিনিসের অভাব সেই , অথবা তাঁর কোন কিছু প্রাপ্তিরও ইচ্ছা নেই , কেবল ভক্তের দেবার ভাবটির জন্যই তিনি প্রসন্ন হন । কিন্তু যারা লোক দেখানোর জন্য বা লোক ঠকানোর জন্য মন্দির সাজায় ,ভগবানের বিগ্রহ সাজায় , ভাল ভাল জিনিস দিয়ে ভোগ অর্পন করে , তাদের নৈবেদ্য ভগবান গ্রহণ করেন না । কেননা তা ভগবানের প্রকৃত পূজা নয় , সেটি আসলে ব্যক্তিগত স্বার্থের ও অর্থেরই পূজা ।
যাঁরা ভগবানকে ভোগ নিবেদন করেন এবং তাঁর পূজা - অর্চনা করেন , এইরকম ব্যক্তিকে যারা পাষণ্ড বলে এবং অহংকারবশতঃ ভাবে , ' আমি ওদের থেকে ভাল , আমি পাষণ্ড নই ' তাদের কখনো কল্যাণ হয় না । যে সব ব্যক্তি যে ভাবেই হোক কোন উত্তম কর্ম করেন , তাঁদের কাজের সেই অংশ তো ভাল হয়ই , তাঁদের ব্যবহার , চলাফেলার মধ্যেও ভালত্ব প্রকাশ পায় । কিন্তু যারা অহংকারবশতঃ উত্তম ব্যবহার পরিত্যাগ করে , পরিণামে তাদের অকল্যাণই হয় ।
তাই যারা ভগবানকে ভোগ অর্পন করবেন তাদের ভগবানের প্রতি প্রেম - ভাব , ভক্তিভাব , বিশ্বাস , শ্রদ্ধা , প্রীতিপূর্ব্বক অর্পন করতে হবে । মনে বিশ্বাস রাখতে হবে যে ভগবান আমার অর্পিত ভোগ গ্রহণ করবেন । তবেই ভগবান তা গ্রহণ করেন । ভগবান গীতায় বলেছেন , যিনি আমাকে প্রীতিপূর্ব্বক পত্র , পুষ্প , ফল ও জল ভক্তিসহিত অর্পন করেন আমি তার সেই প্রদত্ত বস্তু গ্রহণ করি । তাই সর্বদা ভগবানের প্রতি বিশ্বাস রাখুন ।
একজন ব্যক্তি ছিলেন তাঁর একজন সাধুর উপরে খুব শ্রদ্ধা ছিল এবং তিনি সাধুর খুব যত্ন করতেন । তিনি বলতেন , ' সাধুর যখনই পিপাসা লাগত আমার মনে হতো যে তাঁর পিপাসা পেয়েছে , অতএব আমি জল নিয়ে যেতাম এবং তিনি জল পান করতেন । '
সেইরূপ যাঁরা পতিব্রতা স্ত্রী , তাঁরাও স্বামীর ক্ষুধা -তৃষ্ণার খবর ঠিক মতো বুঝতে পারেন এবং স্বামী কি খেতে ভালবাসেন তাও তাঁরা বুঝতে পারেন । স্বামীকে খেতে দিলে তিনিও বলে ওঠেন , ' আজ আমার এইটাই খাবার ইচ্ছা হয়েছিল । ' এইভাবেই যাঁর মন ভগবানকে ভোগ দেবারর আন্তরিক বাসনা হয় তাঁর স্বতঃই ভগবানের রুচি এবং ক্ষুধা-তৃষ্ণার বিষয়ে ধারণা হয়ে যায় ।
এক মন্দিরে একজন পূজারী ছিলেন । তাঁর ইষ্ট ছিলেন গোপাল । তিনি রোজ ছোট লাড্ডু বানাতেন এবং রাতে যখন গোপালকে শয়ন করাতেন ,তখন মাথার কাছে লাড্ডু রেখে দিতেন । কারণ বালকের রাতে ক্ষুধা পেয়ে যায় । একদিন পূজারী লাড্ডু রাখতে ভুলে যান , তখন গোপাল পূজারীকে স্বপ্নে দেখা দেন এবং বলেন তাঁর ক্ষিধে পেয়েছে । তারপর থেকে পূজারী প্রতিদিন লাড্ডু রাখতেন । এমন আরেকটি ঘটনা আছে ।
এক সাধু ছিলেন । ইনি প্রতিবছর দেওয়ালীর পর ঠাণ্ডার সময় ভগবানকে কাজু , বামা , পেস্তা , আখরোট ইত্যাদি ভোগ দিতেন ল পরে কাজু , বাদাম ইত্যাদির দাম খুব বেড়ে যাওয়ায় তিনি চীনা বাদাম দিয়ে ভোগ দিতে শুরু করলেন । একদিন রাতে ভগবান স্বপ্নে জিজ্ঞাসা করলেন , ' কিরে , তুই আমাকে শুধু চীনা বাদামই খাওয়াবি ?
সেইদিনের পর থেকে পুনরায় ভগবানকে কাজু ইত্যাদি দিয়ে ভোগ দিতে আরম্ভ করলেন । প্রথমে তাঁর মনে কিছু দ্বিধা ছিল যে , ' কি জানি ভগবান ভোগ গ্রহণ করেন কিনা ? যখন ভগবান স্বপ্নে এইভাবে বললেন তখন তাঁর দ্বিধা দূর হল । এর তাৎপর্য এই যে কেউ ভগবানকে আদর করে ভোগ দিলে তাঁরও ক্ষুধা পায় এবং তিনি তা গ্রহণ করেন ।
এক সাধু ছিলেন তাঁর আহার অত্যন্ত বেশী ছিল । একবার তাঁর দেহ রোগগ্রস্ত হয় । কোন এক ব্যক্তি তাঁকে পরামর্শ দেয় যে , ' মহারাজ , আপনি গরুর দুধ খান এবং বাছুরটি দুধ খাওয়ার পর যেটুকু বাঁচবে মাত্র সেইটুকুই খাবেন । ' তিনি সেই মত করতে লাগলেন । গো- বৎস পেট ভরে মায়ের দুধ খাওয়ার পর তিনি গরুর দুধ দোহাতেন , তাতে মাত্র একপো বা দেড়পো পেতেন , কিন্তু তাতেই তাঁর পেট ভরে যেত । কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর অসুখ সেরে গেল এবং তিনি সুস্থ হলেন ।
এর তাৎপর্য এই যে সাধুটি বিশ্বাস নিয়ে তা করেছিলেন ফলে তাঁর অসুখ সেরে যায় । যদি ন্যায়সঙ্গত বস্তুতে এতো শক্তি থাকতে থাকে যে অল্পমাত্রায় গ্রহণ করলেও তৃপ্তি হয় এবং অসুখ সেরে যায় তাহলে যে বস্তু ভাবপূর্বক ভগবানকে দেওয়া হয় তার সম্বন্ধে কিছু আর বলার অপেক্ষা থাকে না । কারণ এখানে বিশ্বাস আছে যে ভগবান অবশ্যই গ্রহণ করবেন যদি তা ভক্তিভরে অর্পন করা হয় ।
সকলেই অনুভব করে থাকেন যে কেউ যদি ভাব দ্বারা বা অনুরাগ সহকারে ভোজন করায় তাহলে সেই আহারে সুস্বাদ পাওয়া যায় এবং সেই আহার দ্বারা বৃত্তিসকলও ভালো থাকে । শুধু মানুষের ওপর নয় , পশুদের ওপরও এর প্রভাব পড়ে । যে গোবৎসের মা - গাভীটি মারা যায় , লোকে তাকে অন্য গাভীর দুধ খাওয়ায় , তাতে সেই বাছুরটি বেঁচে যায় ।
যদি মানুষ বা পশুর ওপরে ভাবের প্রভাব পড়ে তাহলে অন্তর্যামী ভগবানের ওপরেও সে ভাবের প্রভাব পড়বে তাতে আর বলার কি আছে ? বিদুরের স্ত্রীর এইরূপ ভাব ছিল বলেই ভগবান তাঁর হাত থেকে কলার খোসা পর্যন্ত খেয়েছিলেন । গোপিনীদের এইভাব ছিল বলেই ভগবান তাঁদের হাত থেকে কেড়ে দই , মাখন খেয়েছিলেন ।
শ্রীব্রহ্মাকে ভগবান বলেছিলেন --
নৈবেদ্যং পুরতো ন্যস্তং চক্ষুষা গৃহ্যতে ময়া ।
রসং চ দাসজিহ্বায়ামশ্নামি কমলোদ্ভব ।।
' হে কমলোদ্ভব ! আমার সামনে অর্পিত ভোগসমূহ আমি নেত্র দ্বারা গ্রহণ করি , কিন্তু তার স্বাদ আমি ভক্তদের জিহ্বাদ্বারাই গ্রহণ করি ।
ভাবদ্বারা অর্পিত ভোগদ্রব্য ভগবান কখনও দৃষ্টি দ্বারা , কখনও স্পর্শ দ্বারা আবার কখনও স্বয়ং কিছুটা গ্রহণও করেন ।
হামাগুড়ি দেওয়া শিশু কোন বস্তু নিয়ে তার বাবাকে দিলে যেমন তিনি খুব খুশি হন এবং অনেক উঁচুতে হাত দেখিয়ে বলেন , ' বাবু , তুই এতবড় হ , অর্থাৎ , আমার থেকেও বড় হয়ে ওঠ । ' কেন , বস্তুটি কি অলভ্য ছিল যে শিশুটি সেটি দেওয়ায় তার বাবা বিশেষ কিছু পেলেন ? না , তা নয় ! কেবল শিশুর দেবার ভাবটি দেখে বাবা প্রসন্ন হলেন ।
এইরূপ ভগবানেরও কোন জিনিসের অভাব সেই , অথবা তাঁর কোন কিছু প্রাপ্তিরও ইচ্ছা নেই , কেবল ভক্তের দেবার ভাবটির জন্যই তিনি প্রসন্ন হন । কিন্তু যারা লোক দেখানোর জন্য বা লোক ঠকানোর জন্য মন্দির সাজায় ,ভগবানের বিগ্রহ সাজায় , ভাল ভাল জিনিস দিয়ে ভোগ অর্পন করে , তাদের নৈবেদ্য ভগবান গ্রহণ করেন না । কেননা তা ভগবানের প্রকৃত পূজা নয় , সেটি আসলে ব্যক্তিগত স্বার্থের ও অর্থেরই পূজা ।
যাঁরা ভগবানকে ভোগ নিবেদন করেন এবং তাঁর পূজা - অর্চনা করেন , এইরকম ব্যক্তিকে যারা পাষণ্ড বলে এবং অহংকারবশতঃ ভাবে , ' আমি ওদের থেকে ভাল , আমি পাষণ্ড নই ' তাদের কখনো কল্যাণ হয় না । যে সব ব্যক্তি যে ভাবেই হোক কোন উত্তম কর্ম করেন , তাঁদের কাজের সেই অংশ তো ভাল হয়ই , তাঁদের ব্যবহার , চলাফেলার মধ্যেও ভালত্ব প্রকাশ পায় । কিন্তু যারা অহংকারবশতঃ উত্তম ব্যবহার পরিত্যাগ করে , পরিণামে তাদের অকল্যাণই হয় ।
তাই যারা ভগবানকে ভোগ অর্পন করবেন তাদের ভগবানের প্রতি প্রেম - ভাব , ভক্তিভাব , বিশ্বাস , শ্রদ্ধা , প্রীতিপূর্ব্বক অর্পন করতে হবে । মনে বিশ্বাস রাখতে হবে যে ভগবান আমার অর্পিত ভোগ গ্রহণ করবেন । তবেই ভগবান তা গ্রহণ করেন । ভগবান গীতায় বলেছেন , যিনি আমাকে প্রীতিপূর্ব্বক পত্র , পুষ্প , ফল ও জল ভক্তিসহিত অর্পন করেন আমি তার সেই প্রদত্ত বস্তু গ্রহণ করি । তাই সর্বদা ভগবানের প্রতি বিশ্বাস রাখুন ।
Courtesy by: Joy Shree Radha Madhav
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন