দৈবী এবং আসুুরী - এই দুটি শব্দের মধ্যে ' দেব ' নাম দেবতাদের নয় , তা হলো পরমাত্মার , এবং ' অসুর ' নাম রাক্ষসদের নয় , তা আসলে প্রাণে রমণকারীদের নাম । গীতায় ' দেবদেব ' ( ১০\১৫ ) , ' দেবম্ ' ( ১১ \১১ , ১৪ ) , ' দেবদেবস্য ' ( ১১\১৩ ) , ' দেব ' ( ১১ \১৫ ) ইত্যাদি পদে পরমাত্মার উদ্দেশ্যেই ' দেব ' শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে । ' আসুরং ভাবম্ ' ( ৭\১৫ ) , ' অাসুরঃ ' ( ১৬\৬ ) , ' আসুরনিশ্চয়ান্ ' ( ১৭\৬ ) ইত্যাদি পদ প্রাণে আসক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য ' আসুর ' শব্দের প্রয়োগ হয়েছে ।
' দেব ' অর্থাৎ পরমাত্মার যত গুণ আছে সেগুলিকে ' দৈবী গুণ ' বলে । এই দৈবীগুণ পরমাত্মাকে প্রাপ্ত করার পুঁজি হওয়ায় একে ' দেবী সম্পদ্ ' বলা হয় - ';দৈবী সম্পদ্ -বিমোক্ষায় ' ( ১৬ \ ৫ ) । সাধকেরা এই দেবী সম্পদের আশ্রয় নিয়ে ভগবানের ভজনা করেন ( ৯\১৩ ) ।
' অসু ' প্রাণের নাম । সেই প্রাণের নাম। সেই প্রাণে যে রমণ করে , প্রাণের ভরণ - পোষণ - রক্ষণ করতে চায় , তাকে অসুর বলে , এবং ঐসব অসুরদের যে স্বভাব , যে গুণ থাকে তাকেই ' আসুরী গুণ ' বলে । এই আসুরীগুণ মানুষকে বারংবার জন্ম - মৃত্যু চক্র , চুরাশী লক্ষ যোনি এবং নরকে নিয়ে যাওয়ার কারণ হওয়ার তাকে আসুরী সম্পদ্ বলে - ' নিবদ্ধায়াসুরী মতা ' ( ১৬\৫ ) । মূঢ় ব্যক্তিগণই আসুরী সম্পদের আশ্রয় নেয় ( ৯\১২ ) ।
সংসার থেকে বিমুখ হয়ে এবং দৈবী সম্পদের আশ্রয় নিয়ে পরমাত্মার প্রাপ্তি লাভ করতে ইচ্ছুক ব্যত্তি দুই প্রকারের ----
১ । সগুণোপাসক ( ভক্ত ) --- সগুণোপাসকদের মধ্যে শ্রদ্ধা , বিশ্বাস এবং ভাবের প্রাধান্য হয় , অতএব সে ' অভয়ং সত্ত্বসংশুদ্ধিঃ --- নাতিমানিতা ' ( ১৬ \ ১ - ৩ ) - এই ২৬টি গুণ ধারণ করে । যেমন ভয়শূন্যতা , সত্তার পবিত্রতা , পারমার্থিক জ্ঞানের অনুশীলন , দান , আত্মসংযম , যজ্ঞ অনুষ্ঠান , বৈদিক শাস্ত্র অধ্যয়ন , তপশ্চর্যা , সরলতা , অহিংসা , সত্যবাদিতা , ক্রোধশূন্যতা , বৈরাগ্য , শান্তি , অন্যের দোষ দর্শন না করা , সমস্ত জীবে দয়া , লোভহীনতা , মৃদুতা , লজ্জা , অচপলতা , তেজ , ক্ষমা , ধৈর্য , শৌচ , মাৎসর্য শূন্যতা , অভিমান শূন্যতা । এই সাধক সর্বত্র ভগবানকে দর্শন করেন এবং সর্বপ্রথম অভয় হয়ে যায় , তখন তার মধ্যে অমানিত্ব স্বাভাবিকভাবে এসে যায় ।
২ । নির্গুণোপাসক ( জ্ঞানী ) - নির্গুণ উপাসকদের শরীর - শরীরীর ( আত্মা ) বিবেক - বিচারের প্রাধান্য থাকে , সুতরাং সে , ' অমানিত্বমদম্ভিত্ব ---- তত্ত্বজ্ঞানার্থদর্শনম্ ' ( ১৩ \ ৭ - ১১ ) - এই ২০ প্রকার গুণ ধারণ করে। অমানিত্ব , দম্ভশূন্যতা , অহিংসা , সহিষ্ণুতা , সরলতা , সদ্গুরুর সেবা , শৌচ , স্থৈর্য , আত্মসংযম , ইন্দ্রিয় - বিষয়ে বৈরাগ্য অহঙ্কারশূনতা জন্ম - মৃত্যু - জরা - ব্যাধি - দুঃখ আদির দোষ দর্শন , স্ত্রী - পুত্রাদিতে আসক্তিশূন্যতা , স্ত্রী - পুত্রাদির সুখ - দুঃখে ঔদাসীন্য , সর্বদা সমচিত্তত্ব , আমার প্রতি অনন্যা ও অব্যভিচারিণী ভক্তি , নির্জন স্থানে প্রিয়তা , জনাকীর্ণ স্থানে অরুচি অধ্যাত্ম জ্ঞানে নিত্যত্ববুদ্ধি এবং তত্ত্বজ্ঞানের প্রয়োজন অনুসন্ধান - এই সমস্ত জ্ঞান বলে কথিত হয় এবং এর বিপরীত যা কিছু তা সবই অজ্ঞান । এইরূপ সাধকে প্রথমে অমানিত্ব ভাব আসে এবং তারপর সে সর্বত্র পরমাত্মাকে অনুভব করে অভয় হয়ে যায় ।
উপরিউক্ত দুই প্রকারের সাধকের মধ্যে দৈবী সম্পদ্ সাধন রূপে থাকে । সিদ্ধ মহাপুরুষদের মধ্যে এই দেবী সম্পদ্ স্বতঃ স্বাভাবিকভাবে থাকে । বাস্তবে সিদ্ধ মহাপুরুষ গুণাতীত , কিন্তু তিনি সাধন অবস্থায় প্রথমদিকে দৈবী সম্পদের সহায়েই সাধনা করেছেন । সুতরাং সিদ্ধ হওয়ার পরও তাঁর দৈবী - স্বভাব বজায় থাকে । ঐ সিদ্ধপুরুষদের মধ্যে সিদ্ধভক্তদের স্বাভাবিক দৈবী সম্পদের গুণের বর্ণনা দ্বাদশ অধ্যায়ের ত্রয়োদশ শ্লোক থেকে উনবিংশ শ্লোক পর্যন্ত করা হয়েছে এবং সিদ্ধ - জ্ঞানীদের স্বাভাবিক দৈবী সম্পদের গুণের বর্ণনা চতুর্দশ অধ্যায়ের বাইশ থেকে পঁচিশ সংখ্যক শ্লোক পর্যন্ত করা হয়েছে ।
আসুরী সম্পদ ধারণকারীও দুই প্রকারের হয় --
১ । সকামভাবে দেবতাদের উপাসনাকারী - সকামভাবে দেবতাদির পূজা - উপাসনা করে ব্রহ্মলোক পর্যন্ত গমনকারী সমস্ত মানুষই আসুরী সম্পদের অধিকারী । কারণ তাদের উদ্দেশ্য ভোগ উপভোগ করা , তাই তারা ভোগেতেই আসক্ত ও তম্ময় থাকে ( ২\ ৪২ - ৪৪ , ৭\ ২০ - ২৩ , ৯\ ২০ - ২১ ) । এরূপ মানুষেরা যে ফল লাভ করে তা বিনাশশীল , অন্তহীন নয় - ' অন্তুবত্তু ফলং তেষাম্ ' ( ৭\২৩ ) এবং তারা পুনঃপুনঃ জন্ম - মৃত্যু চক্রে আবর্তিত হয় -- ' গতাগতং কামকামা লভন্তে ' ( ৯\২১ ) ।
তাৎপর্য এই যে , যাদের উদ্দেশ্যে সুখ , আরাম , ভোগ - বিলাস ও বিনাশশীল পদার্থ , তারা সকলেই আসুরী সম্পদ্ যুক্ত এবং যাদের উদ্দেশ্যে ভগবানের প্রসন্নতা , লোকসংগ্রহ এবং জগতের কল্যাণে কর্ম করা , তারা সকলে দৈবী সম্পদ্ সম্পন্ন হয় ।
২ । কাম - ক্রোধাদির আশ্রয় নিয়ে দুর্গুণ - দুরাচারে প্রবৃত্ত ব্যক্তি - যেসব মানুষ কাম , ক্রোধ , অহংকার ইত্যাদির আশ্রয় গ্রহণ করে তারা মিথ্যা , কপটতা , ছলনা , বিশ্বাসঘাতকতা , শঠতা , হিংসা ইত্যাদির দ্বারা অপরকে দুঃখ দেয় । এইসব ব্যক্তি পাপের তারতম্য অনুযায়ী পশু , পক্ষী , কীট , পতঙ্গ , বৃক্ষ , লতা আদি আসুরী জন্ম লাভ করে ( ১৬\১৯ ) এবং কুম্ভীপাক , রৌরব ইত্যাদি নরকে গমন করে ( ১৬ \১৬ ) ।
এর তাৎপর্য এই যে , ভগবৎপরায়ণ হলে দৈবী সম্পদ্ প্রকট হয় , যা মানুষকে সংসারবন্ধন থেকে মুক্ত করে । পিণ্ডপোষণপরায়ণ , ভোগপরায়ণ হলে এবং নতুন নতুন বস্তু আশা করা ও প্রাপ্ত বস্তু ধরে রাখা - এই ভাব হলে আসুরী সম্পত্তি আসে , যা মানুষের বন্ধন ও পতনের কারণ । সুতরাং সাধকের উচিত যে , সে যেন দৈবী সম্পদ্কে গুরুত্ব দেয় এবং আসুরী ভাবকে সদা পরিত্যাগ করে । তাহলে তার উদ্দেশ্য শেষ পর্যন্ত সিদ্ধ হবেই ।
' দেব ' অর্থাৎ পরমাত্মার যত গুণ আছে সেগুলিকে ' দৈবী গুণ ' বলে । এই দৈবীগুণ পরমাত্মাকে প্রাপ্ত করার পুঁজি হওয়ায় একে ' দেবী সম্পদ্ ' বলা হয় - ';দৈবী সম্পদ্ -বিমোক্ষায় ' ( ১৬ \ ৫ ) । সাধকেরা এই দেবী সম্পদের আশ্রয় নিয়ে ভগবানের ভজনা করেন ( ৯\১৩ ) ।
' অসু ' প্রাণের নাম । সেই প্রাণের নাম। সেই প্রাণে যে রমণ করে , প্রাণের ভরণ - পোষণ - রক্ষণ করতে চায় , তাকে অসুর বলে , এবং ঐসব অসুরদের যে স্বভাব , যে গুণ থাকে তাকেই ' আসুরী গুণ ' বলে । এই আসুরীগুণ মানুষকে বারংবার জন্ম - মৃত্যু চক্র , চুরাশী লক্ষ যোনি এবং নরকে নিয়ে যাওয়ার কারণ হওয়ার তাকে আসুরী সম্পদ্ বলে - ' নিবদ্ধায়াসুরী মতা ' ( ১৬\৫ ) । মূঢ় ব্যক্তিগণই আসুরী সম্পদের আশ্রয় নেয় ( ৯\১২ ) ।
সংসার থেকে বিমুখ হয়ে এবং দৈবী সম্পদের আশ্রয় নিয়ে পরমাত্মার প্রাপ্তি লাভ করতে ইচ্ছুক ব্যত্তি দুই প্রকারের ----
১ । সগুণোপাসক ( ভক্ত ) --- সগুণোপাসকদের মধ্যে শ্রদ্ধা , বিশ্বাস এবং ভাবের প্রাধান্য হয় , অতএব সে ' অভয়ং সত্ত্বসংশুদ্ধিঃ --- নাতিমানিতা ' ( ১৬ \ ১ - ৩ ) - এই ২৬টি গুণ ধারণ করে । যেমন ভয়শূন্যতা , সত্তার পবিত্রতা , পারমার্থিক জ্ঞানের অনুশীলন , দান , আত্মসংযম , যজ্ঞ অনুষ্ঠান , বৈদিক শাস্ত্র অধ্যয়ন , তপশ্চর্যা , সরলতা , অহিংসা , সত্যবাদিতা , ক্রোধশূন্যতা , বৈরাগ্য , শান্তি , অন্যের দোষ দর্শন না করা , সমস্ত জীবে দয়া , লোভহীনতা , মৃদুতা , লজ্জা , অচপলতা , তেজ , ক্ষমা , ধৈর্য , শৌচ , মাৎসর্য শূন্যতা , অভিমান শূন্যতা । এই সাধক সর্বত্র ভগবানকে দর্শন করেন এবং সর্বপ্রথম অভয় হয়ে যায় , তখন তার মধ্যে অমানিত্ব স্বাভাবিকভাবে এসে যায় ।
২ । নির্গুণোপাসক ( জ্ঞানী ) - নির্গুণ উপাসকদের শরীর - শরীরীর ( আত্মা ) বিবেক - বিচারের প্রাধান্য থাকে , সুতরাং সে , ' অমানিত্বমদম্ভিত্ব ---- তত্ত্বজ্ঞানার্থদর্শনম্ ' ( ১৩ \ ৭ - ১১ ) - এই ২০ প্রকার গুণ ধারণ করে। অমানিত্ব , দম্ভশূন্যতা , অহিংসা , সহিষ্ণুতা , সরলতা , সদ্গুরুর সেবা , শৌচ , স্থৈর্য , আত্মসংযম , ইন্দ্রিয় - বিষয়ে বৈরাগ্য অহঙ্কারশূনতা জন্ম - মৃত্যু - জরা - ব্যাধি - দুঃখ আদির দোষ দর্শন , স্ত্রী - পুত্রাদিতে আসক্তিশূন্যতা , স্ত্রী - পুত্রাদির সুখ - দুঃখে ঔদাসীন্য , সর্বদা সমচিত্তত্ব , আমার প্রতি অনন্যা ও অব্যভিচারিণী ভক্তি , নির্জন স্থানে প্রিয়তা , জনাকীর্ণ স্থানে অরুচি অধ্যাত্ম জ্ঞানে নিত্যত্ববুদ্ধি এবং তত্ত্বজ্ঞানের প্রয়োজন অনুসন্ধান - এই সমস্ত জ্ঞান বলে কথিত হয় এবং এর বিপরীত যা কিছু তা সবই অজ্ঞান । এইরূপ সাধকে প্রথমে অমানিত্ব ভাব আসে এবং তারপর সে সর্বত্র পরমাত্মাকে অনুভব করে অভয় হয়ে যায় ।
উপরিউক্ত দুই প্রকারের সাধকের মধ্যে দৈবী সম্পদ্ সাধন রূপে থাকে । সিদ্ধ মহাপুরুষদের মধ্যে এই দেবী সম্পদ্ স্বতঃ স্বাভাবিকভাবে থাকে । বাস্তবে সিদ্ধ মহাপুরুষ গুণাতীত , কিন্তু তিনি সাধন অবস্থায় প্রথমদিকে দৈবী সম্পদের সহায়েই সাধনা করেছেন । সুতরাং সিদ্ধ হওয়ার পরও তাঁর দৈবী - স্বভাব বজায় থাকে । ঐ সিদ্ধপুরুষদের মধ্যে সিদ্ধভক্তদের স্বাভাবিক দৈবী সম্পদের গুণের বর্ণনা দ্বাদশ অধ্যায়ের ত্রয়োদশ শ্লোক থেকে উনবিংশ শ্লোক পর্যন্ত করা হয়েছে এবং সিদ্ধ - জ্ঞানীদের স্বাভাবিক দৈবী সম্পদের গুণের বর্ণনা চতুর্দশ অধ্যায়ের বাইশ থেকে পঁচিশ সংখ্যক শ্লোক পর্যন্ত করা হয়েছে ।
আসুরী সম্পদ ধারণকারীও দুই প্রকারের হয় --
১ । সকামভাবে দেবতাদের উপাসনাকারী - সকামভাবে দেবতাদির পূজা - উপাসনা করে ব্রহ্মলোক পর্যন্ত গমনকারী সমস্ত মানুষই আসুরী সম্পদের অধিকারী । কারণ তাদের উদ্দেশ্য ভোগ উপভোগ করা , তাই তারা ভোগেতেই আসক্ত ও তম্ময় থাকে ( ২\ ৪২ - ৪৪ , ৭\ ২০ - ২৩ , ৯\ ২০ - ২১ ) । এরূপ মানুষেরা যে ফল লাভ করে তা বিনাশশীল , অন্তহীন নয় - ' অন্তুবত্তু ফলং তেষাম্ ' ( ৭\২৩ ) এবং তারা পুনঃপুনঃ জন্ম - মৃত্যু চক্রে আবর্তিত হয় -- ' গতাগতং কামকামা লভন্তে ' ( ৯\২১ ) ।
তাৎপর্য এই যে , যাদের উদ্দেশ্যে সুখ , আরাম , ভোগ - বিলাস ও বিনাশশীল পদার্থ , তারা সকলেই আসুরী সম্পদ্ যুক্ত এবং যাদের উদ্দেশ্যে ভগবানের প্রসন্নতা , লোকসংগ্রহ এবং জগতের কল্যাণে কর্ম করা , তারা সকলে দৈবী সম্পদ্ সম্পন্ন হয় ।
২ । কাম - ক্রোধাদির আশ্রয় নিয়ে দুর্গুণ - দুরাচারে প্রবৃত্ত ব্যক্তি - যেসব মানুষ কাম , ক্রোধ , অহংকার ইত্যাদির আশ্রয় গ্রহণ করে তারা মিথ্যা , কপটতা , ছলনা , বিশ্বাসঘাতকতা , শঠতা , হিংসা ইত্যাদির দ্বারা অপরকে দুঃখ দেয় । এইসব ব্যক্তি পাপের তারতম্য অনুযায়ী পশু , পক্ষী , কীট , পতঙ্গ , বৃক্ষ , লতা আদি আসুরী জন্ম লাভ করে ( ১৬\১৯ ) এবং কুম্ভীপাক , রৌরব ইত্যাদি নরকে গমন করে ( ১৬ \১৬ ) ।
এর তাৎপর্য এই যে , ভগবৎপরায়ণ হলে দৈবী সম্পদ্ প্রকট হয় , যা মানুষকে সংসারবন্ধন থেকে মুক্ত করে । পিণ্ডপোষণপরায়ণ , ভোগপরায়ণ হলে এবং নতুন নতুন বস্তু আশা করা ও প্রাপ্ত বস্তু ধরে রাখা - এই ভাব হলে আসুরী সম্পত্তি আসে , যা মানুষের বন্ধন ও পতনের কারণ । সুতরাং সাধকের উচিত যে , সে যেন দৈবী সম্পদ্কে গুরুত্ব দেয় এবং আসুরী ভাবকে সদা পরিত্যাগ করে । তাহলে তার উদ্দেশ্য শেষ পর্যন্ত সিদ্ধ হবেই ।
Courtesy by: Joy Shree Radha Madhav
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন