বৃন্দাবন লীলায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মাতা এবং কংসের ভগিনী দেবকীকে তার স্বামী বসুদেবসহ কারাগারে অবরুদ্ধ করা হয়েছিল , কেননা মাৎসৰ্যপরায়ণ রাজা কংসের ভয় ছিল যে দেবকীর অষ্টম পুত্ৰ ( কৃষ্ণ ) তাকে বধ করবেন। কৃষ্ণের পূর্বে দেবকীর গৰ্ভজাত সবকটি পুত্ৰকে কংস হত্যা করেছিল কিন্তু কৃষ্ণ এই বিপদ এড়াতে পেরেছিলেন কেননা বসুদেব তাকে তার পালক পিতা গোকুলের নন্দ মহারাজের গৃহে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
তেমনি কুন্তীদেবীও তার পুত্ৰসহ ভয়ঙ্কর বিপদরাশি থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন । ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কুন্তীদেবীর প্রতি অধিক অনুগ্রহ প্ৰদৰ্শন করেছিলেন , কেননা যদিও তিনি দেবকীর অন্যান্য পুত্রদের রক্ষা করেননি , কিন্তু কুন্তীর পুত্ৰদের তিনি রক্ষা করেছিলেন । তিনি তা করেছিলেন কেননা দেবকীর পতি বসুদেব জীবিত ছিলেন , কিন্তু কুন্তীদেবী ছিলেন বিধবা এবং কৃষ্ণ ছাড়া তাকে সাহায্য করার আর কেউ ছিল না ।
অতএব সিদ্ধান্ত হচ্ছে যে যারা অধিক বিপদগ্ৰস্ত কৃষ্ণ তাদের অধিক অনুগ্রহ করেন । কখনো কখনো তিনি তার শুদ্ধভক্তদের এইরকম বিপদে ফেলেন , কেননা সেই অসহায় ভক্ত ভগবানের প্রতি অধিক অনুরক্ত হন । ভক্ত ভগবানের প্রতি যত অনুরক্ত হন , তার সাফল্যও তত বেশি হয় ।
যেমন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, দুর্যোধন দ্বারা বিষমিশ্রিত খাদ্য থেকে পান্ডবদের রক্ষা করেছেন, জতুগৃহর মহাঅগ্নি থেকে তাদের রক্ষা করেছেন , বনবাস থাকাকালীন নরখাদক রাক্ষস থেকে রক্ষা করেছেন,
পাপচক্ৰান্তময় সভা থেকে দ্রোপদীর সম্মান রক্ষা করেছেন, বনবাসের বিভিন্ন দুঃখ - কষ্ট থেকে ,
এবং যুদ্ধে বহু মহারথীর প্রাণঘাতী অস্ত্ৰসমূহ থেকে পান্ডবদের পরিত্ৰাণ করেছেন । এমনকি অশ্বথামার ব্ৰহ্মাস্ত্ৰ থেকে উত্তরাসহ তার পুত্র পরীক্ষিত মহারাজকে রক্ষা করেছেন।
পান্ডবেরা যে ধরনের বিপজনক ঘটনা পরম্পরার সম্মুখীন হয়েছিলেন তার সবগুলি বিপদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ উদ্বার করেছেন।
দেবকী একবার তার ঈৰ্ষাপরায়ণ ভ্ৰাতার কংসের দ্বারা সঙ্কটাপন্ন হয়েছিলেন , তা না হলে তিনি ভালই ছিলেন । কিন্তু কুন্তীদেবী এবং তার পুত্ররা বছরের পর বছর ধরে একের পর এক দুঃখ - দুৰ্দশার সন্মুখীন হয়েছিলেন ।
দুৰ্যোধন এবং তার দল তাদের নানা প্ৰকার অনিষ্ট সাধনের চেষ্টা করেছিল , এবং প্ৰতিবারই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাদের রক্ষা করেছিলেন । একবার ভীমকে বিষ প্ৰদান করা হয়েছিল , একবার তাদের জতুগৃহে পুড়িয়ে মারার চক্ৰান্ত করা হয়েছিল , এবং দ্ৰৌপদীকে একবার দুষ্ট কৌরবদের সভায় নিয়ে এসে তার বস্ত্ৰহরণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল । ভগবান অন্তহীনভাবে দ্ৰৌপদীকে বস্তু সরবরাহ করে তার লজানিবারণ করেছিলেন এবং দুৰ্যোধনের দল তাকে বিবস্ত্রারুপে দেখতে ব্যৰ্থ হয়েছিল । তেমনই তারা যখন বনে নিৰ্বাসিত হয়েছিলেন , তখন হিড়িম্ব নামক এক নরখাদক রাক্ষসের সঙ্গে ভীমকে যুদ্ধ করতে হয়েছিল , কিন্তু ভগবান তাকে রক্ষা করেছিলেন।
এইখানেই শেষ নয়।
এত সমস্ত দুঃখ - দুৰ্দশার পর কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গনে এক মহাযুদ্বের আয়োজন করা হয়েছিল এবং অর্জুনকে দ্ৰোণ , ভীষ্ম , কৰ্ণ প্ৰমুখ সমস্ত মহান শক্তিশালী যোদ্ধাদের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার প্রিয় সখাকে বুদ্বি দিয়ে, সাহস দিয়ে ও নিজের প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে তাকে জয়ী করেছিলেন।
আর অবশেষে , সমস্ত কিছুর শুভসমাপ্তির পরেও উত্তরার গৰ্ভস্থ সন্তানকে হত্যা করার জন্য দ্ৰোণাচার্যের পুত্ৰ ব্ৰহ্মাস্ত্ৰ নিক্ষেপ করেছিল এবং তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গদাহাতে উত্তরার গর্ভস্থ কুরুবংশের একমাত্ৰ জীবিত বংশধর পরীক্ষিৎ মহারাজকে রক্ষা করেছিলেন।
তাই,
আমাদেরও কুন্তীপুত্রদের মত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি আসক্তি থাকতে হবে। যখনই বিপদ আসবে ভগবানকে স্মরন করে অর্জুনের মত লড়াই করে যেতে হবে আর বিশ্বাস রাখতে হবে আমার সাথে স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দাড়িয়ে আছে আমাকে রক্ষা করার জন্য।
বিশ্বাস রাখতে হবে ''অবশ্যই রক্ষিবে কৃষ্ণ''।
''রাখে হরি মারিবে কে ?''।। হরেকৃষ্ণ।।
( sodkirti das কপি পেস্ট করবেন না )
📮📮সবাইকে Share করুন📮📮
তেমনি কুন্তীদেবীও তার পুত্ৰসহ ভয়ঙ্কর বিপদরাশি থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন । ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কুন্তীদেবীর প্রতি অধিক অনুগ্রহ প্ৰদৰ্শন করেছিলেন , কেননা যদিও তিনি দেবকীর অন্যান্য পুত্রদের রক্ষা করেননি , কিন্তু কুন্তীর পুত্ৰদের তিনি রক্ষা করেছিলেন । তিনি তা করেছিলেন কেননা দেবকীর পতি বসুদেব জীবিত ছিলেন , কিন্তু কুন্তীদেবী ছিলেন বিধবা এবং কৃষ্ণ ছাড়া তাকে সাহায্য করার আর কেউ ছিল না ।
অতএব সিদ্ধান্ত হচ্ছে যে যারা অধিক বিপদগ্ৰস্ত কৃষ্ণ তাদের অধিক অনুগ্রহ করেন । কখনো কখনো তিনি তার শুদ্ধভক্তদের এইরকম বিপদে ফেলেন , কেননা সেই অসহায় ভক্ত ভগবানের প্রতি অধিক অনুরক্ত হন । ভক্ত ভগবানের প্রতি যত অনুরক্ত হন , তার সাফল্যও তত বেশি হয় ।
যেমন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, দুর্যোধন দ্বারা বিষমিশ্রিত খাদ্য থেকে পান্ডবদের রক্ষা করেছেন, জতুগৃহর মহাঅগ্নি থেকে তাদের রক্ষা করেছেন , বনবাস থাকাকালীন নরখাদক রাক্ষস থেকে রক্ষা করেছেন,
পাপচক্ৰান্তময় সভা থেকে দ্রোপদীর সম্মান রক্ষা করেছেন, বনবাসের বিভিন্ন দুঃখ - কষ্ট থেকে ,
এবং যুদ্ধে বহু মহারথীর প্রাণঘাতী অস্ত্ৰসমূহ থেকে পান্ডবদের পরিত্ৰাণ করেছেন । এমনকি অশ্বথামার ব্ৰহ্মাস্ত্ৰ থেকে উত্তরাসহ তার পুত্র পরীক্ষিত মহারাজকে রক্ষা করেছেন।
পান্ডবেরা যে ধরনের বিপজনক ঘটনা পরম্পরার সম্মুখীন হয়েছিলেন তার সবগুলি বিপদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ উদ্বার করেছেন।
দেবকী একবার তার ঈৰ্ষাপরায়ণ ভ্ৰাতার কংসের দ্বারা সঙ্কটাপন্ন হয়েছিলেন , তা না হলে তিনি ভালই ছিলেন । কিন্তু কুন্তীদেবী এবং তার পুত্ররা বছরের পর বছর ধরে একের পর এক দুঃখ - দুৰ্দশার সন্মুখীন হয়েছিলেন ।
দুৰ্যোধন এবং তার দল তাদের নানা প্ৰকার অনিষ্ট সাধনের চেষ্টা করেছিল , এবং প্ৰতিবারই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাদের রক্ষা করেছিলেন । একবার ভীমকে বিষ প্ৰদান করা হয়েছিল , একবার তাদের জতুগৃহে পুড়িয়ে মারার চক্ৰান্ত করা হয়েছিল , এবং দ্ৰৌপদীকে একবার দুষ্ট কৌরবদের সভায় নিয়ে এসে তার বস্ত্ৰহরণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল । ভগবান অন্তহীনভাবে দ্ৰৌপদীকে বস্তু সরবরাহ করে তার লজানিবারণ করেছিলেন এবং দুৰ্যোধনের দল তাকে বিবস্ত্রারুপে দেখতে ব্যৰ্থ হয়েছিল । তেমনই তারা যখন বনে নিৰ্বাসিত হয়েছিলেন , তখন হিড়িম্ব নামক এক নরখাদক রাক্ষসের সঙ্গে ভীমকে যুদ্ধ করতে হয়েছিল , কিন্তু ভগবান তাকে রক্ষা করেছিলেন।
এইখানেই শেষ নয়।
এত সমস্ত দুঃখ - দুৰ্দশার পর কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গনে এক মহাযুদ্বের আয়োজন করা হয়েছিল এবং অর্জুনকে দ্ৰোণ , ভীষ্ম , কৰ্ণ প্ৰমুখ সমস্ত মহান শক্তিশালী যোদ্ধাদের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার প্রিয় সখাকে বুদ্বি দিয়ে, সাহস দিয়ে ও নিজের প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে তাকে জয়ী করেছিলেন।
আর অবশেষে , সমস্ত কিছুর শুভসমাপ্তির পরেও উত্তরার গৰ্ভস্থ সন্তানকে হত্যা করার জন্য দ্ৰোণাচার্যের পুত্ৰ ব্ৰহ্মাস্ত্ৰ নিক্ষেপ করেছিল এবং তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গদাহাতে উত্তরার গর্ভস্থ কুরুবংশের একমাত্ৰ জীবিত বংশধর পরীক্ষিৎ মহারাজকে রক্ষা করেছিলেন।
তাই,
আমাদেরও কুন্তীপুত্রদের মত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি আসক্তি থাকতে হবে। যখনই বিপদ আসবে ভগবানকে স্মরন করে অর্জুনের মত লড়াই করে যেতে হবে আর বিশ্বাস রাখতে হবে আমার সাথে স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দাড়িয়ে আছে আমাকে রক্ষা করার জন্য।
বিশ্বাস রাখতে হবে ''অবশ্যই রক্ষিবে কৃষ্ণ''।
''রাখে হরি মারিবে কে ?''।। হরেকৃষ্ণ।।
( sodkirti das কপি পেস্ট করবেন না )
📮📮সবাইকে Share করুন📮📮
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন