মন্দিরে ঘণ্টা বাজানো থেকে শুরু করে নদীতে কয়েন ফেলা, এমনকি নমস্কার করা, এ সবই আমরা হিন্দুধর্মের রীতি মেনে করে থাকি। অনেকে হিন্দু ধর্মের রীতিনীতিকে কুসংস্কার বলে মনে করেন। কিন্তু আপনারা কী জানেন হিন্দু ধর্মের এই সমস্ত প্রথা বা রীতিনীতির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে? আর তাই যুগ-যুগ ধরে এই ঐতিহ্য পালিত হচ্ছে। কী এই ঐতিহ্য বা প্রথাগুলি, যার পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে? আজ প্রথম পর্ব।
নদীতে কয়েন ফেলা: আমাদের ধারণা, নদীতে কয়েন ফেললে, তা আমাদের জন্য গুড লাক নিয়ে আসবে। কিন্তু এর একটি বিজ্ঞানভিত্তিক কারণও রয়েছে। প্রাচীন কালে তামার মুদ্রা প্রচলিত ছিল, আজকের যুগের মতো স্টেইনলেস স্টিলের মুদ্রা নয়। মানবশরীরের জন্য তামা খুব উপকারি ধাতু। জলের মাধ্যমে আমাদের শরীরে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে তামা যায়, তা নিশ্চিত করার জন্যই আমাদের পূর্বপুরুষরা এই প্রথা চালু করেন। কারণ, নদীই পানীয় জলের একমাত্র উত্স।
হাতজোড় করে নমস্কার করা: কাউকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য আমরা সাধারণত হাতজোড় করে নমস্কার করে থাকি। এই প্রথার প্রচলিত ব্যাখ্যা হল, কাউকে নমস্কার করার অর্থ তাঁকে সম্মান প্রদর্শন। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, হাতজোড় করার ফলে আমাদের দুই হাতের পাঁচটি আঙুলের ডগা পরস্পরের সঙ্গে মিলে যায়। যার ফলে আমাদের চোখ, কান এবং মস্তিষ্কের প্রেশার পয়েন্টে চাপ পড়ে। এই চাপই ওই ব্যক্তিকে দীর্ঘ দিনের জন্য মনে রাখতে আমাদের সাহায্য করে।
পায়ের আঙুলে আংটি পড়া: বিবাহিত মহিলারা হিন্দু প্রথা মেনে পায়ের আঙুলে আংটি পড়লেও, এর পিছনে বিজ্ঞান রয়েছে। সাধারণত পায়ের দ্বিতীয় আঙুলে এই আংটি পড়া হয়। ওই দ্বিতীয় আঙুলের একটি স্নায়ু জরায়ু হয়ে হৃদযন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। এই আঙুলে আংটি পড়লে, তা জরায়ুকে সুস্থ, সবল রাখে। এর ফলে রক্তপ্রবাহ নিয়ন্ত্রিত হয় এবং নিয়মিত মাসিক হয়। রুপো ভালো কনডাক্টর হওয়ায় তা পৃথিবী থেকে পোলার এনার্জি আত্মসাত্ করে শরীরে ছড়িয়ে দেয়।
তিলক করা: কপালে, দু’টি ভুরুর মাঝখানে তিলক করি। দুই ভুরুর মাঝখানের অংশে মানবশরীরের গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ু বর্তমান। মনে করা হয়, তিলক শক্তি অপচয় রোধ করে। লাল রঙের কুমকুম মানবশরীরে শক্তি বজায় রাখে এবং মনোযোগের বিভিন্ন স্তর নিয়ন্ত্রণ করে। কপালে কুমকুম লাগানোর সময়ে ভুরুর মাধখানের অংশ এবং আদ্য-চক্রে চাপ পড়ে। এর ফলে মুখের পেশিতে রক্ত চলাচল সুচারু ভাবে সম্পন্ন হয়।
মন্দিরে ঘণ্টা বাজাই কেন? মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢোকার আগে আমরা ঘণ্টা বাজাই। আগামা শাস্ত্রে বলা গয়েছে, ঘণ্টাধ্বনি সেখান থেকে অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে এবং সেই ধ্বনি ঈশ্বরের প্রিয়। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, ঘণ্টাধ্বনি আমাদের মস্তিষ্ক পরিষ্কার করে। ঘণ্টা বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মস্তিষ্কের ডান এবং বাম অংশ এক হয়ে যায়। ইকো মোডে ৭ সেকেন্ড পর্যন্ত ঘণ্টাধ্বনি বজায় থাকে। এই সাত সেকেন্ডে আমাদের শরীরের সাতটি আরোগ্য কেন্দ্র সক্রিয় হয়। যার ফলে আমাদের মস্তিষ্কে বর্তমান সমস্ত নেগেটিভ চিন্তাধারা মুছে যায় এবং ঈশ্বর আরাধনায় আমাদের সম্পূর্ণভাবে মনোযোগী করে তোলে।
বছরে দু’বার নবরাত্রি কেন হয়? এই ২ মাসে ঋতু পরিবর্তন হয়। আবার এই দুই মাসের খাদ্যাভ্যাসও একে অপরের থেকে আলাদা। পরিবর্তিত ঋতুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময়ের প্রয়োজন। নবরাত্রি মানবশরীরকে সেই সময় দেয়, যাতে মানুষ পরিবর্তিত ঋতুর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। এই ৯ দিনের উপবাসে মানুষ অত্যধিক পরিমাণে নুন বা চিনি খায় না। যা মানুষের শরীর পরিষ্কার করে দেয়। এর ফলে মানুষের পজিটিভ এনার্জি, আত্মবিশ্বাস এবং আত্মনির্ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অবশেষে ব্যক্তি পরিবর্তিত ঋতুর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়।
তুলসি পুজো কেন করি? হিন্দু ধর্মে তুলসিকে মা মনে করা হয়। বৈদিক যুগের সাধুরা তুলসির উপযোগিতা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন, তাই তাঁরা সকলের মনে ধারণা গড়ে তোলেন যে তুলসি ঈশ্বরসম এবং সমগ্র সমাজের কাছে তুলসি সংরক্ষণের বার্তা পৌঁছে দেন। তুলসি মানবজাতির জন্য সঞ্জিবনী। তুলসির একাধিক ঔষধি গুণ রয়েছে। এটি অসাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক। চা বা অন্য কোনও ভাবে তুলসি খেলে তা মানবশরীরের অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি করে এবং মানুষকে রোগমুক্ত করে। এমনকি আয়ুও বাড়িয়ে তোলে। বাড়িতে তুলসি গাছ রাখলে, তা কীটপতঙ্গ বা মশা ঘরে ঢুকতে দেয় না। কথিত আছে, সাপ তুলসি গাছের ধারে-কাছে যেতে সাহস করে না। হয়তো তাই, প্রাচীন কালে বাড়ির সামনে তুলসি গাছ লাগানো থাকত।
অশ্বত্থ গাছের পুজো কেন করি? সাধারণ মানুষের কাছে অশ্বত্থ গাছের কোনও উপকারিতা নেই। ছায়া প্রদান করা ছাড়া এই গাছটি না সুস্বাদু ফল দেয় আর না এর কাঠ এত শক্তপোক্ত, যে তা অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে। তা সত্ত্বেও অশ্বত্থ গাছের পুজো কেন করি আমরা? আমাদের পূর্বপুরুষরা জানতেন যে, অশ্বত্থ নির্দিষ্ট কয়েকটি গাছের মধ্যে অন্যতম (বা সম্ভবত একমাত্র গাছ) যা রাত্রিবেলাতেও অক্সিজেন উত্পন্ন করে। তাই এই গাছকে বাঁচানোর জন্য এর পুজো চালু করা হয়।
ঝাল দিয়ে খাওয়া শুরু, মিষ্টি দিয়ে শেষ: খেতে বসে মশলাদার বা ঝাল খাওয়ার আগে খেতে হয় এবং শেষে মিষ্টি। ছোটবেলা থেকেই আমাদের এই খাদ্যাভ্যাস তৈরি করা হয়েছে। এ ধরনের খাদ্যাভ্যাস তৈরির কারণ হল, মশলাদার বা ঝাল খাদ্য হজম পদ্ধতিকে সহজ করে দেয়। কিন্তু মিষ্টি বা কার্বোহাইড্রেট হজম পদ্ধতিকে ধীরগতিতে চালিত করে। তাই সব সময় খাবারের শেষে মিষ্টি খাওয়া উচিত।
মাথায় টিকি রাখা: শুশ্রুত ঋষি মাথায় মুখ্য স্পর্শকাতর অংশটিকে অধিপতি মর্ম হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। যা সমস্ত স্নায়ুর যোগসূত্র। শিখা বা টিকি ওই অংশটিকে নিরাপত্তা প্রদান করে। শরীরের নিম্নাংশ থেকে মস্তিষ্কের নীচে, ব্রহ্মরন্ধ্রে সুশুম্না স্নায়ু পৌঁছয়। যোগ অনুসারে ব্রহ্মরন্ধ্র ১০০০ পাপড়ি বিশিষ্ট পদ্ম এবং এটি শীর্ষ সপ্তমচক্র। এটি জ্ঞানের কেন্দ্র। গিঁঠ বাধা শিখা বা টিকি কেন্দ্রটিকে উত্সাহিত করে এবং ওজস নামে পরিচিত এর সূক্ষ্ম শক্তিকে সংরক্ষিত করে।
মেহেন্দি কেন লাগানো হয়: মেহেন্দি খুবই শক্তিশালী ঔষধি। বিয়ের সময় চাপ এবং চিন্তা বেড়ে যায়, যার ফলে মাথাব্যথা, এমনকি জ্বর পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মেহেন্দি শরীর ঠান্ডা করে। ফলে চাপ কমে এবং স্নায়ুকে চিন্তাগ্রস্ত হতে দেয় না। তাই হাতে এবং পায়ে মেহেন্দি লাগানোর প্রথা প্রচলিত।
দীপাবলির আগে ঘর পরিষ্কার: সাধারণত অক্টোবর বা নভেম্বরে দীপাবলি উত্সব পালিত হয়। দীপাবলির আগে বর্ষাকাল শেষ হয় এবং শীতকাল শুরু হয়। ভারী বৃষ্টির ফলে অনেকের ঘর-বাড়িই সারাই এবং পরিষ্কার করার প্রয়োজন হয়। তাই দিওয়ালির আগে ঘরদোর পরিষ্কার এবং সৌন্দর্যায়নের কাজ করা হয়ে থাকে।
মাটিতে বসে খাদ্যগ্রহণ: মাটিতে বসে খাদ্যগ্রহণের সময়ে আমরা সাধারণত সুখাসনে বসি। সুখাসনে বসে খাবার খেলে তা আমাদের হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয়। সংবহনতন্ত্র হজমের ওপর দৃষ্টি দেয়। যা চেয়ারে বসে বা দাঁড়িয়ে খেলে হয়
sanatandharmatattva.wordpress.com
নদীতে কয়েন ফেলা: আমাদের ধারণা, নদীতে কয়েন ফেললে, তা আমাদের জন্য গুড লাক নিয়ে আসবে। কিন্তু এর একটি বিজ্ঞানভিত্তিক কারণও রয়েছে। প্রাচীন কালে তামার মুদ্রা প্রচলিত ছিল, আজকের যুগের মতো স্টেইনলেস স্টিলের মুদ্রা নয়। মানবশরীরের জন্য তামা খুব উপকারি ধাতু। জলের মাধ্যমে আমাদের শরীরে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে তামা যায়, তা নিশ্চিত করার জন্যই আমাদের পূর্বপুরুষরা এই প্রথা চালু করেন। কারণ, নদীই পানীয় জলের একমাত্র উত্স।
হাতজোড় করে নমস্কার করা: কাউকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য আমরা সাধারণত হাতজোড় করে নমস্কার করে থাকি। এই প্রথার প্রচলিত ব্যাখ্যা হল, কাউকে নমস্কার করার অর্থ তাঁকে সম্মান প্রদর্শন। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, হাতজোড় করার ফলে আমাদের দুই হাতের পাঁচটি আঙুলের ডগা পরস্পরের সঙ্গে মিলে যায়। যার ফলে আমাদের চোখ, কান এবং মস্তিষ্কের প্রেশার পয়েন্টে চাপ পড়ে। এই চাপই ওই ব্যক্তিকে দীর্ঘ দিনের জন্য মনে রাখতে আমাদের সাহায্য করে।
পায়ের আঙুলে আংটি পড়া: বিবাহিত মহিলারা হিন্দু প্রথা মেনে পায়ের আঙুলে আংটি পড়লেও, এর পিছনে বিজ্ঞান রয়েছে। সাধারণত পায়ের দ্বিতীয় আঙুলে এই আংটি পড়া হয়। ওই দ্বিতীয় আঙুলের একটি স্নায়ু জরায়ু হয়ে হৃদযন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। এই আঙুলে আংটি পড়লে, তা জরায়ুকে সুস্থ, সবল রাখে। এর ফলে রক্তপ্রবাহ নিয়ন্ত্রিত হয় এবং নিয়মিত মাসিক হয়। রুপো ভালো কনডাক্টর হওয়ায় তা পৃথিবী থেকে পোলার এনার্জি আত্মসাত্ করে শরীরে ছড়িয়ে দেয়।
তিলক করা: কপালে, দু’টি ভুরুর মাঝখানে তিলক করি। দুই ভুরুর মাঝখানের অংশে মানবশরীরের গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ু বর্তমান। মনে করা হয়, তিলক শক্তি অপচয় রোধ করে। লাল রঙের কুমকুম মানবশরীরে শক্তি বজায় রাখে এবং মনোযোগের বিভিন্ন স্তর নিয়ন্ত্রণ করে। কপালে কুমকুম লাগানোর সময়ে ভুরুর মাধখানের অংশ এবং আদ্য-চক্রে চাপ পড়ে। এর ফলে মুখের পেশিতে রক্ত চলাচল সুচারু ভাবে সম্পন্ন হয়।
মন্দিরে ঘণ্টা বাজাই কেন? মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢোকার আগে আমরা ঘণ্টা বাজাই। আগামা শাস্ত্রে বলা গয়েছে, ঘণ্টাধ্বনি সেখান থেকে অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে এবং সেই ধ্বনি ঈশ্বরের প্রিয়। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, ঘণ্টাধ্বনি আমাদের মস্তিষ্ক পরিষ্কার করে। ঘণ্টা বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মস্তিষ্কের ডান এবং বাম অংশ এক হয়ে যায়। ইকো মোডে ৭ সেকেন্ড পর্যন্ত ঘণ্টাধ্বনি বজায় থাকে। এই সাত সেকেন্ডে আমাদের শরীরের সাতটি আরোগ্য কেন্দ্র সক্রিয় হয়। যার ফলে আমাদের মস্তিষ্কে বর্তমান সমস্ত নেগেটিভ চিন্তাধারা মুছে যায় এবং ঈশ্বর আরাধনায় আমাদের সম্পূর্ণভাবে মনোযোগী করে তোলে।
বছরে দু’বার নবরাত্রি কেন হয়? এই ২ মাসে ঋতু পরিবর্তন হয়। আবার এই দুই মাসের খাদ্যাভ্যাসও একে অপরের থেকে আলাদা। পরিবর্তিত ঋতুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময়ের প্রয়োজন। নবরাত্রি মানবশরীরকে সেই সময় দেয়, যাতে মানুষ পরিবর্তিত ঋতুর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। এই ৯ দিনের উপবাসে মানুষ অত্যধিক পরিমাণে নুন বা চিনি খায় না। যা মানুষের শরীর পরিষ্কার করে দেয়। এর ফলে মানুষের পজিটিভ এনার্জি, আত্মবিশ্বাস এবং আত্মনির্ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অবশেষে ব্যক্তি পরিবর্তিত ঋতুর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়।
তুলসি পুজো কেন করি? হিন্দু ধর্মে তুলসিকে মা মনে করা হয়। বৈদিক যুগের সাধুরা তুলসির উপযোগিতা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন, তাই তাঁরা সকলের মনে ধারণা গড়ে তোলেন যে তুলসি ঈশ্বরসম এবং সমগ্র সমাজের কাছে তুলসি সংরক্ষণের বার্তা পৌঁছে দেন। তুলসি মানবজাতির জন্য সঞ্জিবনী। তুলসির একাধিক ঔষধি গুণ রয়েছে। এটি অসাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক। চা বা অন্য কোনও ভাবে তুলসি খেলে তা মানবশরীরের অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি করে এবং মানুষকে রোগমুক্ত করে। এমনকি আয়ুও বাড়িয়ে তোলে। বাড়িতে তুলসি গাছ রাখলে, তা কীটপতঙ্গ বা মশা ঘরে ঢুকতে দেয় না। কথিত আছে, সাপ তুলসি গাছের ধারে-কাছে যেতে সাহস করে না। হয়তো তাই, প্রাচীন কালে বাড়ির সামনে তুলসি গাছ লাগানো থাকত।
অশ্বত্থ গাছের পুজো কেন করি? সাধারণ মানুষের কাছে অশ্বত্থ গাছের কোনও উপকারিতা নেই। ছায়া প্রদান করা ছাড়া এই গাছটি না সুস্বাদু ফল দেয় আর না এর কাঠ এত শক্তপোক্ত, যে তা অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে। তা সত্ত্বেও অশ্বত্থ গাছের পুজো কেন করি আমরা? আমাদের পূর্বপুরুষরা জানতেন যে, অশ্বত্থ নির্দিষ্ট কয়েকটি গাছের মধ্যে অন্যতম (বা সম্ভবত একমাত্র গাছ) যা রাত্রিবেলাতেও অক্সিজেন উত্পন্ন করে। তাই এই গাছকে বাঁচানোর জন্য এর পুজো চালু করা হয়।
ঝাল দিয়ে খাওয়া শুরু, মিষ্টি দিয়ে শেষ: খেতে বসে মশলাদার বা ঝাল খাওয়ার আগে খেতে হয় এবং শেষে মিষ্টি। ছোটবেলা থেকেই আমাদের এই খাদ্যাভ্যাস তৈরি করা হয়েছে। এ ধরনের খাদ্যাভ্যাস তৈরির কারণ হল, মশলাদার বা ঝাল খাদ্য হজম পদ্ধতিকে সহজ করে দেয়। কিন্তু মিষ্টি বা কার্বোহাইড্রেট হজম পদ্ধতিকে ধীরগতিতে চালিত করে। তাই সব সময় খাবারের শেষে মিষ্টি খাওয়া উচিত।
মাথায় টিকি রাখা: শুশ্রুত ঋষি মাথায় মুখ্য স্পর্শকাতর অংশটিকে অধিপতি মর্ম হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। যা সমস্ত স্নায়ুর যোগসূত্র। শিখা বা টিকি ওই অংশটিকে নিরাপত্তা প্রদান করে। শরীরের নিম্নাংশ থেকে মস্তিষ্কের নীচে, ব্রহ্মরন্ধ্রে সুশুম্না স্নায়ু পৌঁছয়। যোগ অনুসারে ব্রহ্মরন্ধ্র ১০০০ পাপড়ি বিশিষ্ট পদ্ম এবং এটি শীর্ষ সপ্তমচক্র। এটি জ্ঞানের কেন্দ্র। গিঁঠ বাধা শিখা বা টিকি কেন্দ্রটিকে উত্সাহিত করে এবং ওজস নামে পরিচিত এর সূক্ষ্ম শক্তিকে সংরক্ষিত করে।
মেহেন্দি কেন লাগানো হয়: মেহেন্দি খুবই শক্তিশালী ঔষধি। বিয়ের সময় চাপ এবং চিন্তা বেড়ে যায়, যার ফলে মাথাব্যথা, এমনকি জ্বর পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মেহেন্দি শরীর ঠান্ডা করে। ফলে চাপ কমে এবং স্নায়ুকে চিন্তাগ্রস্ত হতে দেয় না। তাই হাতে এবং পায়ে মেহেন্দি লাগানোর প্রথা প্রচলিত।
দীপাবলির আগে ঘর পরিষ্কার: সাধারণত অক্টোবর বা নভেম্বরে দীপাবলি উত্সব পালিত হয়। দীপাবলির আগে বর্ষাকাল শেষ হয় এবং শীতকাল শুরু হয়। ভারী বৃষ্টির ফলে অনেকের ঘর-বাড়িই সারাই এবং পরিষ্কার করার প্রয়োজন হয়। তাই দিওয়ালির আগে ঘরদোর পরিষ্কার এবং সৌন্দর্যায়নের কাজ করা হয়ে থাকে।
মাটিতে বসে খাদ্যগ্রহণ: মাটিতে বসে খাদ্যগ্রহণের সময়ে আমরা সাধারণত সুখাসনে বসি। সুখাসনে বসে খাবার খেলে তা আমাদের হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয়। সংবহনতন্ত্র হজমের ওপর দৃষ্টি দেয়। যা চেয়ারে বসে বা দাঁড়িয়ে খেলে হয়
sanatandharmatattva.wordpress.com
1 Comments:
আচ্ছা দাদা, বুঝলাম সব, তবে গরুর প্রসাব খাওয়া, সেগুলো দোকান বা ঘরে ছিটানো অথবা দোকানের পণ্যের ওপর ছিটানোকে কল্যান মনে করা কোন বিজ্ঞান?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন