ভারতের প্রাচীন নদী গঙ্গা বহুযুগ ধরেই পূজিত হয়ে আসছেন মাতৃদেবী রূপে। পুরাণসাহিত্যে বহুভাবে তাঁর দেবীত্ত্ব ও মহাদেবীত্ত্বে মণ্ডিত করা হয়েছে। পদ্মপুরাণের এক কাহিনী অনুসারে প্রজাপতি ব্রহ্মার আহ্বানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আদ্যাশক্তি থেকে উৎপন্ন হন সাতজন শক্তি – সাবিত্রী, সরস্বতী, লক্ষ্মী, উমা, শক্তিবীজা, তপস্বিনী ও গঙ্গা।
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে, দেবী গঙ্গা মূল প্রকৃতির প্রধানাংশদের অন্যতম। আবার মহাভাগবত পুরাণ মতে, মূলপ্রকৃতির বিদ্যারূপা শক্তি গঙ্গা, দুর্গা, সাবিত্রী, লক্ষ্মী ও সরস্বতী এই পঞ্চ অংশে বিভক্ত হন। জগতের কল্যানার্থে দেবী গঙ্গা মর্ত্যলোকে জন্মগ্রহণ করেন গিরিরাজ হিমালয় ও মেনকার কন্যা রূপে। গঙ্গা দেবী পার্বতীর অগ্রজা। একবার দেবতাদের অনুরোধে সঙ্গীতেশ্বর মহাদেব গান আরম্ভ করেন। সে গান শ্রবণ করে বিষ্ণুর দেহ বিগলিত হয়ে গঙ্গার জলে মগ্ন হতে থাকে। তখন ব্রহ্মা দ্রবীভূত বিষ্ণুময়ী গঙ্গাকে নিজ কমণ্ডলুতে ধারণ করেন। বামন অবতার কালে এই গঙ্গার জল দ্বারাই তিনি শ্রী হরির চরণ ধৌত করাতে গঙ্গা হন বিষ্ণুপদী। তারপর রাজা সগরের বংশধর ভগীরথের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে দেবী যখন মর্ত্যে অবতরণ করেন তখন তিনি প্রাপ্ত করেন মহাদেবের জটায় তাঁর নিত্যস্থান। এই কারণেই আমরা বহুস্থানে পার্বতী ও গঙ্গার মধ্যে এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও ঈর্ষা মলিন সম্পর্ক দেখতে পাই। কিন্তু যিনি স্বীয় কণ্ঠে ঘোষণা করেন ‘একৈবাহং জগত্যত্র দ্বিতীয়া কা মমাপরা’ তাঁর আবার প্রতিদ্বন্দ্বী কে?
বৃহদ্ধর্মপুরানে এক অদ্ভূত সুন্দর কাহিনী আছে। একবার দেবী পার্বতীর সখী জয়া ও বিজয়া তাঁর কাছে প্রার্থনা করেন সকল তীর্থ দর্শন ও তীর্থস্নান করাতে। দেবী তাঁদের অভিলাষপূর্তির আশ্বাস প্রদান করে তাঁদের গঙ্গাতটে নিয়ে যান ও সেখানে গঙ্গা দর্শন করিয়ে গৃহে প্রত্যাবর্তন করেন। সখীদ্বয় বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করেন যে, দেবী তাঁদের একটিমাত্র তীর্থ দর্শন কেন করালেন। দেবী পার্বতী তখন বলেন যে গঙ্গা সর্বতীর্থজননী ও সর্বধর্মের প্রসবিত্রী। তখন জয়া-বিজয়া গঙ্গাস্তুতি করেন ও অবশেষে দেবী গঙ্গা চতুর্ভুজা মকরবাহিনী রূপে আবির্ভূত হন। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শিবাদি সকল দেবতা সেখানে উপস্থিত হয়ে তাঁর আরাধনা করেন ও সকল তীর্থ মূর্তিমান হয়ে গঙ্গার দেহ থেকে উৎপন্ন হয়ে আবার তাঁরই মধ্যে বিলীন হন। সব শেষে গঙ্গা ও পার্বতী হন একরূপা। জয়া-বিজয়া উপলব্ধি করেন যে গঙ্গা ও দুর্গা স্বরূপতঃ এক ও অভিন্ন।
.
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া
কার্টেসীঃ তন্ময় সরকার
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে, দেবী গঙ্গা মূল প্রকৃতির প্রধানাংশদের অন্যতম। আবার মহাভাগবত পুরাণ মতে, মূলপ্রকৃতির বিদ্যারূপা শক্তি গঙ্গা, দুর্গা, সাবিত্রী, লক্ষ্মী ও সরস্বতী এই পঞ্চ অংশে বিভক্ত হন। জগতের কল্যানার্থে দেবী গঙ্গা মর্ত্যলোকে জন্মগ্রহণ করেন গিরিরাজ হিমালয় ও মেনকার কন্যা রূপে। গঙ্গা দেবী পার্বতীর অগ্রজা। একবার দেবতাদের অনুরোধে সঙ্গীতেশ্বর মহাদেব গান আরম্ভ করেন। সে গান শ্রবণ করে বিষ্ণুর দেহ বিগলিত হয়ে গঙ্গার জলে মগ্ন হতে থাকে। তখন ব্রহ্মা দ্রবীভূত বিষ্ণুময়ী গঙ্গাকে নিজ কমণ্ডলুতে ধারণ করেন। বামন অবতার কালে এই গঙ্গার জল দ্বারাই তিনি শ্রী হরির চরণ ধৌত করাতে গঙ্গা হন বিষ্ণুপদী। তারপর রাজা সগরের বংশধর ভগীরথের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে দেবী যখন মর্ত্যে অবতরণ করেন তখন তিনি প্রাপ্ত করেন মহাদেবের জটায় তাঁর নিত্যস্থান। এই কারণেই আমরা বহুস্থানে পার্বতী ও গঙ্গার মধ্যে এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও ঈর্ষা মলিন সম্পর্ক দেখতে পাই। কিন্তু যিনি স্বীয় কণ্ঠে ঘোষণা করেন ‘একৈবাহং জগত্যত্র দ্বিতীয়া কা মমাপরা’ তাঁর আবার প্রতিদ্বন্দ্বী কে?
বৃহদ্ধর্মপুরানে এক অদ্ভূত সুন্দর কাহিনী আছে। একবার দেবী পার্বতীর সখী জয়া ও বিজয়া তাঁর কাছে প্রার্থনা করেন সকল তীর্থ দর্শন ও তীর্থস্নান করাতে। দেবী তাঁদের অভিলাষপূর্তির আশ্বাস প্রদান করে তাঁদের গঙ্গাতটে নিয়ে যান ও সেখানে গঙ্গা দর্শন করিয়ে গৃহে প্রত্যাবর্তন করেন। সখীদ্বয় বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করেন যে, দেবী তাঁদের একটিমাত্র তীর্থ দর্শন কেন করালেন। দেবী পার্বতী তখন বলেন যে গঙ্গা সর্বতীর্থজননী ও সর্বধর্মের প্রসবিত্রী। তখন জয়া-বিজয়া গঙ্গাস্তুতি করেন ও অবশেষে দেবী গঙ্গা চতুর্ভুজা মকরবাহিনী রূপে আবির্ভূত হন। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শিবাদি সকল দেবতা সেখানে উপস্থিত হয়ে তাঁর আরাধনা করেন ও সকল তীর্থ মূর্তিমান হয়ে গঙ্গার দেহ থেকে উৎপন্ন হয়ে আবার তাঁরই মধ্যে বিলীন হন। সব শেষে গঙ্গা ও পার্বতী হন একরূপা। জয়া-বিজয়া উপলব্ধি করেন যে গঙ্গা ও দুর্গা স্বরূপতঃ এক ও অভিন্ন।
.
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া
কার্টেসীঃ তন্ময় সরকার
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন