সনাতন ধর্ম অনুযায়ী প্রতিমাপূজা আরাধনার সূচনাপর্বের বিষয়। প্রথমেই বলে রাখা উচিৎ, হিন্দুদের পূজা “মূর্তি পূজা” নয়, বরং এটা সঠিকভাবে বলা উচিত “প্রতিমা পূজা”।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কখনোই মূর্তিকে পূজা করে না; বরঞ্চ মূর্তির মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে সেখানে ঈশ্বরকে আহ্বান করে ঈশ্বরকেই পূজা করা হয়। এজন্যই বলা হয় হিন্দুরা ‘মূর্তিকে’ নয়, ‘মূর্তিতে’ পূজা করে।
প্রতিমার মাধ্যমে ঈশ্বরের পূজা করার অর্থ হল ঈশ্বরের প্রতি নিজের বিশ্বাসকে দৃঢ় করা। বেদ যখন রচিত হয় তখন মানুষের মধ্যে তেমন কোন কর্মচঞ্চলতা ছিল না। যজ্ঞানুষ্ঠানই ছিল ঋষিদের প্রধান কর্ম। যজ্ঞের মাধ্যমে হোমানল জ্বালিয়ে তখন দেবতাদের আহ্বান করা হত, অগ্নির মাধ্যমেই দেবতাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া হতো পুষ্পাঞ্জলি। তাই, বেদে প্রতিমা পূজার উল্লেখ পাওয়া যায় না।
এই কলিযুগে সনাতন ধর্মের নিরাকার উচ্চ স্তরের উপাসনা প্রায় অসম্ভব। কারণ, কলি যুগে আমাদের মন এতই চঞ্চল যে একে নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় দুঃসাধ্য ব্যাপার। মনকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি সহজ উপায় হচ্ছে, চোখের মধ্যে কোন বস্তুর ছবি ফেলা। পরবর্তীতে, ওই ছবিটি যদি নাও থাকে তাহলেও চোখের সামনে তার প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠবে। তাই, সাধারণ মনোনিবেশ তথা চিত্তকে বিষয়বাসনা থেকে সরিয়ে একাগ্রচিত্তে ভগবানকে স্মরণ করার জন্য প্রতিমাপূজা একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি।
এর উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, একটি শিশুকে প্রথম পাঠদানের সময় অনেক রঙিন ছবি সম্বলিত বই দেওয়া হয় যাতে ঐ বইটির প্রতি শিশুর আকর্ষণ বাড়ে। এখানে ছবি মুখ্য নয়, মুখ্য হচ্ছে বর্ণমালা। ঠিক তেমনি আমাদের চঞ্চল মন প্রতিমার মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এখানে, ঈশ্বরের করুণা লাভই হচ্ছে মুখ্য বিষয়।
পরিশেষে একটি কথাই বলা যায় সনাতন ধর্মের আদি ধর্মগ্রন্থ বেদে নিরাকার উপাসনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, কলিযুগের জীবের উদ্দেশ্যে গীতার দ্বাদশ অধ্যায়ে স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছেন যে, অব্যক্ত উপাসনা দেহাভিমানী জীবের পক্ষে সম্ভবপর নয়। তাই, দেহাভিমানী জীবের জন্য সগুণ সাকার উপাসনাই শ্রেষ্ঠ ও সহজতর। আর এই সকল কারণেই, বর্তমান কলিযুগে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে প্রতিমা পূজার মাধ্যমে ঈশ্বরের আরাধনা করে থাকে।
==========================
👉 লাইক এবং শেয়ার করে সকলকে জানার জন্য সুযোগ করে দিন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কখনোই মূর্তিকে পূজা করে না; বরঞ্চ মূর্তির মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে সেখানে ঈশ্বরকে আহ্বান করে ঈশ্বরকেই পূজা করা হয়। এজন্যই বলা হয় হিন্দুরা ‘মূর্তিকে’ নয়, ‘মূর্তিতে’ পূজা করে।
প্রতিমার মাধ্যমে ঈশ্বরের পূজা করার অর্থ হল ঈশ্বরের প্রতি নিজের বিশ্বাসকে দৃঢ় করা। বেদ যখন রচিত হয় তখন মানুষের মধ্যে তেমন কোন কর্মচঞ্চলতা ছিল না। যজ্ঞানুষ্ঠানই ছিল ঋষিদের প্রধান কর্ম। যজ্ঞের মাধ্যমে হোমানল জ্বালিয়ে তখন দেবতাদের আহ্বান করা হত, অগ্নির মাধ্যমেই দেবতাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া হতো পুষ্পাঞ্জলি। তাই, বেদে প্রতিমা পূজার উল্লেখ পাওয়া যায় না।
এই কলিযুগে সনাতন ধর্মের নিরাকার উচ্চ স্তরের উপাসনা প্রায় অসম্ভব। কারণ, কলি যুগে আমাদের মন এতই চঞ্চল যে একে নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় দুঃসাধ্য ব্যাপার। মনকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি সহজ উপায় হচ্ছে, চোখের মধ্যে কোন বস্তুর ছবি ফেলা। পরবর্তীতে, ওই ছবিটি যদি নাও থাকে তাহলেও চোখের সামনে তার প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠবে। তাই, সাধারণ মনোনিবেশ তথা চিত্তকে বিষয়বাসনা থেকে সরিয়ে একাগ্রচিত্তে ভগবানকে স্মরণ করার জন্য প্রতিমাপূজা একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি।
এর উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, একটি শিশুকে প্রথম পাঠদানের সময় অনেক রঙিন ছবি সম্বলিত বই দেওয়া হয় যাতে ঐ বইটির প্রতি শিশুর আকর্ষণ বাড়ে। এখানে ছবি মুখ্য নয়, মুখ্য হচ্ছে বর্ণমালা। ঠিক তেমনি আমাদের চঞ্চল মন প্রতিমার মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এখানে, ঈশ্বরের করুণা লাভই হচ্ছে মুখ্য বিষয়।
পরিশেষে একটি কথাই বলা যায় সনাতন ধর্মের আদি ধর্মগ্রন্থ বেদে নিরাকার উপাসনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, কলিযুগের জীবের উদ্দেশ্যে গীতার দ্বাদশ অধ্যায়ে স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছেন যে, অব্যক্ত উপাসনা দেহাভিমানী জীবের পক্ষে সম্ভবপর নয়। তাই, দেহাভিমানী জীবের জন্য সগুণ সাকার উপাসনাই শ্রেষ্ঠ ও সহজতর। আর এই সকল কারণেই, বর্তমান কলিযুগে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে প্রতিমা পূজার মাধ্যমে ঈশ্বরের আরাধনা করে থাকে।
==========================
👉 লাইক এবং শেয়ার করে সকলকে জানার জন্য সুযোগ করে দিন।
(C) Pinakesh Chakraborty
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন