ঠিক ১ ঘণ্টা পরেই স্বামী মহানন্দের বিতর্কে অংশ নেওয়ার কথা । যারা প্রতিপক্ষ তারা নাস্তিক; বিতর্কের বিষয় – ঈশ্বরের অস্তিত্ব (পক্ষে/বিপক্ষে)।
স্বামী মহানন্দ ঈশ্বরের অস্তিত্বের সপক্ষে বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য যাত্রা পথে গাছতলায় বসে পড়লেন । বিতর্ক শুরু হতে আর মাত্র ১৫ মিনিট বাকি, কিন্তু স্বামীজির দেহে ক্লান্তি না থাকা সত্ত্বেও শিষ্য ভজহরির মনে সন্দেহের দানা বাঁধল – স্বামীজি কি তাহলে যুক্তিবাদী নাস্তিকদের কাছে নিশ্চিত হারতে হবে জেনেই পরাজয় মেনে নিয়ে যাত্রাপথে বিলম্ব করছেন । স্বামী মহানন্দ তার শিষ্যের মনের অবস্থা বুঝতে পেরে তাকে আশ্বস্ত করলেন কেন এই বিলম্ব সেকথা একটু পরেই বুঝতে পারবে।
এদিকে বিতর্কের মঞ্চে প্রতিপক্ষ নাস্তিকরা বিরক্তি প্রকাশ করছে । নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট অতিক্রম হয়ে গেল অথচ মূর্খ ধর্ম গুরুর কোনো দেখা নেই, হারবে জেনে গুরু বৃন্দাবনে পালিয়েছে —- এসব কথা বলতে বলতে তারা নিজেদের জয়ী ভেবে মুচকি হাসি হাসতে লাগলো ।
নির্ধারিত সময়ের ঠিক ৩০ মিনিট পরে স্বামীজি বিতর্কের মঞ্চে প্রবেশ করলেন । প্রতিপক্ষ নাস্তিকরা তাদের সময়ের মূল্য বুঝিয়ে স্বামীজিকে জ্ঞান দিতে লাগলেন । স্বামীজি বললেন বিতর্কের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ ঘন্টা । আমি বিলম্ব করেছি ৩০ মিনিট । কিন্তু এই বিতর্ক আমি ৩ মিনিটেই শেষ করে দেব , সময়ের মূল্য কতখানি তা তোমাদের বোঝাবোও বটে । স্বামীজির কথা শুনে সাথে সাথে হাসির রোল পড়ে গেলো । সবাই একটু থামতেই প্রতিপক্ষের এক জন বললেন, তা স্বামীজি আপনি আগে বলুনতো আপনি যদি এতোই সময়জ্ঞান রাখেন তাহলে এখানে আসতে আপনার এত বিলম্ব হল কেনো।
স্বামীজি বললেন, তাহলে শোনো –
আমার এখানে আসার পথে একটি নদী পার হতে হয়েছিল । দুর্ভাগ্যবশত নদী পার হতে গিয়ে নৌকাটি নদীর মাঝপথে ডুবে যায় । কিন্তু মুহূর্তেই জল ভেদ করে উঠে এল বিশাল এক গাছ, গাছ নিজ থেকেই কাঠ হয়ে গেল তারপর সেই কাঠ থেকে এক নিমিষেই তৈরী হয়ে গেলো বিশাল এক নৌকা । আমি সেই নৌকায় পার হয়ে এখানে এলাম – তাই একটু বিলম্ব বৈকী!!
স্বামীজির এই কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চের সবাই অট্টহাসিতে ফেটে পড়লেন। কেউ হাহা কিংবা কেউ হোহো। প্রতিপক্ষ নাস্তিক বন্ধুরা বলতে লাগলেন এই বিজ্ঞানের যুগে কেউ আপনার এই মনগড়া গল্প বিশ্বাস করবে? একটা নৌকা তৈরী করতে গাছকে যন্ত্রের সাহায্যে কাঠ তৈরী করতে হয় তারপর সেই কাঠ দিয়ে কারিগরের হাতে নৌকা তৈরী হয় । মানুষের হাতের ছোঁয়া ছাড়া নৌকা তৈরী? স্বামীজি আপনি কি বলছেন!! এতো পাগলের প্রলাপ । হো হো হো হো ।
চারিদিকে যখন হৈচৈ শুরু হয়ে গেছে তখন স্বামী মহানন্দ উচ্চ -কন্ঠস্বরে বলে উঠলেন এবার থামো । সবাই স্বামীজির দিকে তাকিয়ে রইলেন। স্বামী মহানন্দ তখন বললেন – সামান্য একটি নৌকা মানুষ/কারিগর ছাড়া তৈরী হতে পারে – এটা বিশ্বাস করতে পারছো না । অথচ তোমরাই বলছ মানুষ এর মতো একটি সেরা জীব যে দেখতে পারে, চলতে পারে, শুনতে পারে, খাবার হজম করতে পারে , এর দেহের ভেতর যে সূক্ষ্মাতি-সুক্ষ্ম মানব যন্ত্র রয়েছে – কারো পরিকল্পনা ছাড়া কোনো কারিগরের হাতের ছোঁয়া ছাড়াই এই মানুষ পৃথিবীতে তৈরী হয়েছে । আমি তোমাদের এই কথা কেনো গ্রহন করতে যাবো? কোন যুক্তিতে? আমার সঙ্গে দীর্ঘ ১ ঘন্টা বিতর্ক করতে চাও কিন্তু তার সারবত্তা কি? তোমাদের যুক্তি তোমরাই মানতে চাইছো না।
প্রতিপক্ষ নাস্তিকরা একে অপরের দিকে আতঙ্কের দৃষ্টিতে তাকাতে লাগলো । চারিদিকে নিস্তব্ধ নীরবতা । হঠাৎ স্বামীজির শিষ্য ভজহরির কন্ঠে ধ্বনিত হল-
জয় স্বামী মহানন্দের জয়
জয় স্বামী মহানন্দের জয়
————–বিতর্ক শেষ হয়ে গেল————–
লেখক : শ্রী শিমুল টিকাদার।
পেজ- অসিবাক(Osibak.com)
পোষ্ট সৌজন্যে- শ্রী পিনাকেশ চক্রবর্ত্তী (Pinakesh Chakraborty)
(#সকলে মনে রেখো তাঁর ইচ্ছা ছাড়া গাছের একটি পাতাও নড়েনা।)
জয় শ্রী রাম।
হর হর মহাদেব।
স্বামী মহানন্দ ঈশ্বরের অস্তিত্বের সপক্ষে বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য যাত্রা পথে গাছতলায় বসে পড়লেন । বিতর্ক শুরু হতে আর মাত্র ১৫ মিনিট বাকি, কিন্তু স্বামীজির দেহে ক্লান্তি না থাকা সত্ত্বেও শিষ্য ভজহরির মনে সন্দেহের দানা বাঁধল – স্বামীজি কি তাহলে যুক্তিবাদী নাস্তিকদের কাছে নিশ্চিত হারতে হবে জেনেই পরাজয় মেনে নিয়ে যাত্রাপথে বিলম্ব করছেন । স্বামী মহানন্দ তার শিষ্যের মনের অবস্থা বুঝতে পেরে তাকে আশ্বস্ত করলেন কেন এই বিলম্ব সেকথা একটু পরেই বুঝতে পারবে।
এদিকে বিতর্কের মঞ্চে প্রতিপক্ষ নাস্তিকরা বিরক্তি প্রকাশ করছে । নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট অতিক্রম হয়ে গেল অথচ মূর্খ ধর্ম গুরুর কোনো দেখা নেই, হারবে জেনে গুরু বৃন্দাবনে পালিয়েছে —- এসব কথা বলতে বলতে তারা নিজেদের জয়ী ভেবে মুচকি হাসি হাসতে লাগলো ।
নির্ধারিত সময়ের ঠিক ৩০ মিনিট পরে স্বামীজি বিতর্কের মঞ্চে প্রবেশ করলেন । প্রতিপক্ষ নাস্তিকরা তাদের সময়ের মূল্য বুঝিয়ে স্বামীজিকে জ্ঞান দিতে লাগলেন । স্বামীজি বললেন বিতর্কের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ ঘন্টা । আমি বিলম্ব করেছি ৩০ মিনিট । কিন্তু এই বিতর্ক আমি ৩ মিনিটেই শেষ করে দেব , সময়ের মূল্য কতখানি তা তোমাদের বোঝাবোও বটে । স্বামীজির কথা শুনে সাথে সাথে হাসির রোল পড়ে গেলো । সবাই একটু থামতেই প্রতিপক্ষের এক জন বললেন, তা স্বামীজি আপনি আগে বলুনতো আপনি যদি এতোই সময়জ্ঞান রাখেন তাহলে এখানে আসতে আপনার এত বিলম্ব হল কেনো।
স্বামীজি বললেন, তাহলে শোনো –
আমার এখানে আসার পথে একটি নদী পার হতে হয়েছিল । দুর্ভাগ্যবশত নদী পার হতে গিয়ে নৌকাটি নদীর মাঝপথে ডুবে যায় । কিন্তু মুহূর্তেই জল ভেদ করে উঠে এল বিশাল এক গাছ, গাছ নিজ থেকেই কাঠ হয়ে গেল তারপর সেই কাঠ থেকে এক নিমিষেই তৈরী হয়ে গেলো বিশাল এক নৌকা । আমি সেই নৌকায় পার হয়ে এখানে এলাম – তাই একটু বিলম্ব বৈকী!!
স্বামীজির এই কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চের সবাই অট্টহাসিতে ফেটে পড়লেন। কেউ হাহা কিংবা কেউ হোহো। প্রতিপক্ষ নাস্তিক বন্ধুরা বলতে লাগলেন এই বিজ্ঞানের যুগে কেউ আপনার এই মনগড়া গল্প বিশ্বাস করবে? একটা নৌকা তৈরী করতে গাছকে যন্ত্রের সাহায্যে কাঠ তৈরী করতে হয় তারপর সেই কাঠ দিয়ে কারিগরের হাতে নৌকা তৈরী হয় । মানুষের হাতের ছোঁয়া ছাড়া নৌকা তৈরী? স্বামীজি আপনি কি বলছেন!! এতো পাগলের প্রলাপ । হো হো হো হো ।
চারিদিকে যখন হৈচৈ শুরু হয়ে গেছে তখন স্বামী মহানন্দ উচ্চ -কন্ঠস্বরে বলে উঠলেন এবার থামো । সবাই স্বামীজির দিকে তাকিয়ে রইলেন। স্বামী মহানন্দ তখন বললেন – সামান্য একটি নৌকা মানুষ/কারিগর ছাড়া তৈরী হতে পারে – এটা বিশ্বাস করতে পারছো না । অথচ তোমরাই বলছ মানুষ এর মতো একটি সেরা জীব যে দেখতে পারে, চলতে পারে, শুনতে পারে, খাবার হজম করতে পারে , এর দেহের ভেতর যে সূক্ষ্মাতি-সুক্ষ্ম মানব যন্ত্র রয়েছে – কারো পরিকল্পনা ছাড়া কোনো কারিগরের হাতের ছোঁয়া ছাড়াই এই মানুষ পৃথিবীতে তৈরী হয়েছে । আমি তোমাদের এই কথা কেনো গ্রহন করতে যাবো? কোন যুক্তিতে? আমার সঙ্গে দীর্ঘ ১ ঘন্টা বিতর্ক করতে চাও কিন্তু তার সারবত্তা কি? তোমাদের যুক্তি তোমরাই মানতে চাইছো না।
প্রতিপক্ষ নাস্তিকরা একে অপরের দিকে আতঙ্কের দৃষ্টিতে তাকাতে লাগলো । চারিদিকে নিস্তব্ধ নীরবতা । হঠাৎ স্বামীজির শিষ্য ভজহরির কন্ঠে ধ্বনিত হল-
জয় স্বামী মহানন্দের জয়
জয় স্বামী মহানন্দের জয়
————–বিতর্ক শেষ হয়ে গেল————–
লেখক : শ্রী শিমুল টিকাদার।
পেজ- অসিবাক(Osibak.com)
পোষ্ট সৌজন্যে- শ্রী পিনাকেশ চক্রবর্ত্তী (Pinakesh Chakraborty)
(#সকলে মনে রেখো তাঁর ইচ্ছা ছাড়া গাছের একটি পাতাও নড়েনা।)
জয় শ্রী রাম।
হর হর মহাদেব।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন