ভারতবর্ষে হিন্দুদের মধ্যে অবতারবাদ প্রচলিত । ভক্তের দৃষ্টিতে অবতার- পুরুষগণ অসীম প্রেমস্বরূপ পরমেশ্বরের মানব- রূপধারী জীবন্ত প্রকাশ। এইজন্য ভক্তগণ তাঁহাদের সমস্ত হৃদয় – মনপ্রাণ ঢালিয়া অবতারপুরুষদের ভক্তি করেন । কোন কোনও অবতারপুরুষকে ভক্তগণ পিতা-মাতা, বন্ধু, সখা, স্বামী প্রভৃতি নানাভাবে ভালোবাসেন । সেইজন্য স্বীয় আরাধ্য দেবতা ভগবানের উদ্দেশ্যে ভালবাসেন ।
সেইজন্য স্বীয় আরাধ্য দেবতা ভগবানের উদ্দেশ্যে ভক্তরা বলেনঃ
‘ত্বমেব মাতা চ পিতা ত্বমেব, ত্বমেব বন্ধুশ্চ সখা ত্বমেব ।
ত্বমেব বিদ্যা দ্রবিণং ত্বমেব, ত্বমেব সর্বং মম দেবদেব ।।“
‘হে ঈশ্বর , তুমিই আমার পিতা, তুমিই আমার মাতা, তুমিই আমার বন্ধু, তুমি আমার সখা, তুমি আমার সমস্ত জ্ঞান ও বিদ্যা, তুমিই আমার চির ঐশ্বর্য ও সর্ববিধ সম্পদ এবং তুমিই আমার সর্বস্ব ।’
প্রকৃত ঈশ্বরভক্ত এইরূপে সমস্ত সাংসারিক সম্বন্ধকে বিস্মৃত হইয়া সেই অনির্বচনীয় পরমপ্রেমস্বরূপ ঈশ্বরের সহিত নিজের চির আত্মীয়তাকে উপলব্ধি করেন। এই বিশ্ব প্রাণতার ভাবেই তিনি ঈশ্বরের অসংখ্য ভক্তবৃন্দ- সমন্বিত আধ্যাত্মিক সম্বন্ধময় সুবিশাল পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হন। এই অবস্থাই মানবের মধ্যে আধ্যাত্মিকতার জন্মলাভ । এখান হইতেই তাহার আধ্যাত্মিক জীবনের সূচনা ।
সাধকের হৃদয়ে যদি বিন্দুমাত্র কপটতা , বিষয় – বাসনা অথবা স্বার্থলালসা না থাকে, যদি তাহার ঈশ্বরপ্রেম সম্পূর্ণরূপে নিস্কাম, ঐকান্তিক ও অবিশ্রান্ত হয়, তাহা হইলে সে ধর্মসাধনার এমন এক উচ্চস্তরে উপনীত হইবে যেখানে তাহার ভক্তিভাব এই প্রকার পরাকাষ্ঠা অথবা পরিপূর্ণতা লাভ করিবে । ধর্মসাধনায় যিনি সম্যকভাবে সিদ্ধিলাভ করিয়াছেন তিনিই প্রকৃতপক্ষে মানবের সদগুরু। সাধন সিদ্ধ সদগুরুর হৃদয় নির্মল , প্রশান্ত ও পবিত্র । তাঁহার অন্তর হইতে সর্বদা ঈশ্বরপ্রেমের মন্দাকিনীধারা অবারিত স্রোতে প্রবাহিত হইয়া অসীম অনন্ত সচ্চিদানন্দ সমুদ্রে মিশিতেছে ।
আর প্রকৃত শিষ্য তিনিই একমাত্র হইতে পারেন যিনি সাংসারিক বন্ধনের জালকে ছিন্ন করিয়া , নিজ পরিবারের সহিত শোনিত সম্পর্কের মমতা ত্যাগ করিয়া সদগুরুর সান্নিধ্যলাভে ও ভগবৎপ্রেমের অমৃত- আস্বাদে ধন্য ও কৃতার্থ হইয়াছেন । ঈশ্বরলাভের জন্য ব্যকুলতা ও মনের পবিত্রতা আছে বলিয়াই মুক্তিকামী ব্যক্তির অন্তরে ভক্তিভাব প্রবলভাবে জাগ্রত হয় । তাহারই ফলে তিনি ঈশ্বরদ্রষ্টা সদগুরুর সহিত একাত্মতা উপলব্ধি করিতে সমর্থ হন । এই প্রকার প্রকৃত সদগুরুই শিষ্যকে ঈশ্বরলাভের পথ ঠিকভাবে দেখাইয়া দিতে পারেন ।
( ভালবাসা ও ভগবৎপ্রেম... স্বামী অভেদানন্দ... শ্রীরামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠ )
সেইজন্য স্বীয় আরাধ্য দেবতা ভগবানের উদ্দেশ্যে ভক্তরা বলেনঃ
‘ত্বমেব মাতা চ পিতা ত্বমেব, ত্বমেব বন্ধুশ্চ সখা ত্বমেব ।
ত্বমেব বিদ্যা দ্রবিণং ত্বমেব, ত্বমেব সর্বং মম দেবদেব ।।“
‘হে ঈশ্বর , তুমিই আমার পিতা, তুমিই আমার মাতা, তুমিই আমার বন্ধু, তুমি আমার সখা, তুমি আমার সমস্ত জ্ঞান ও বিদ্যা, তুমিই আমার চির ঐশ্বর্য ও সর্ববিধ সম্পদ এবং তুমিই আমার সর্বস্ব ।’
প্রকৃত ঈশ্বরভক্ত এইরূপে সমস্ত সাংসারিক সম্বন্ধকে বিস্মৃত হইয়া সেই অনির্বচনীয় পরমপ্রেমস্বরূপ ঈশ্বরের সহিত নিজের চির আত্মীয়তাকে উপলব্ধি করেন। এই বিশ্ব প্রাণতার ভাবেই তিনি ঈশ্বরের অসংখ্য ভক্তবৃন্দ- সমন্বিত আধ্যাত্মিক সম্বন্ধময় সুবিশাল পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হন। এই অবস্থাই মানবের মধ্যে আধ্যাত্মিকতার জন্মলাভ । এখান হইতেই তাহার আধ্যাত্মিক জীবনের সূচনা ।
সাধকের হৃদয়ে যদি বিন্দুমাত্র কপটতা , বিষয় – বাসনা অথবা স্বার্থলালসা না থাকে, যদি তাহার ঈশ্বরপ্রেম সম্পূর্ণরূপে নিস্কাম, ঐকান্তিক ও অবিশ্রান্ত হয়, তাহা হইলে সে ধর্মসাধনার এমন এক উচ্চস্তরে উপনীত হইবে যেখানে তাহার ভক্তিভাব এই প্রকার পরাকাষ্ঠা অথবা পরিপূর্ণতা লাভ করিবে । ধর্মসাধনায় যিনি সম্যকভাবে সিদ্ধিলাভ করিয়াছেন তিনিই প্রকৃতপক্ষে মানবের সদগুরু। সাধন সিদ্ধ সদগুরুর হৃদয় নির্মল , প্রশান্ত ও পবিত্র । তাঁহার অন্তর হইতে সর্বদা ঈশ্বরপ্রেমের মন্দাকিনীধারা অবারিত স্রোতে প্রবাহিত হইয়া অসীম অনন্ত সচ্চিদানন্দ সমুদ্রে মিশিতেছে ।
আর প্রকৃত শিষ্য তিনিই একমাত্র হইতে পারেন যিনি সাংসারিক বন্ধনের জালকে ছিন্ন করিয়া , নিজ পরিবারের সহিত শোনিত সম্পর্কের মমতা ত্যাগ করিয়া সদগুরুর সান্নিধ্যলাভে ও ভগবৎপ্রেমের অমৃত- আস্বাদে ধন্য ও কৃতার্থ হইয়াছেন । ঈশ্বরলাভের জন্য ব্যকুলতা ও মনের পবিত্রতা আছে বলিয়াই মুক্তিকামী ব্যক্তির অন্তরে ভক্তিভাব প্রবলভাবে জাগ্রত হয় । তাহারই ফলে তিনি ঈশ্বরদ্রষ্টা সদগুরুর সহিত একাত্মতা উপলব্ধি করিতে সমর্থ হন । এই প্রকার প্রকৃত সদগুরুই শিষ্যকে ঈশ্বরলাভের পথ ঠিকভাবে দেখাইয়া দিতে পারেন ।
( ভালবাসা ও ভগবৎপ্রেম... স্বামী অভেদানন্দ... শ্রীরামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠ )
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন