মহারাজ শান্তুনু গঙ্গাদেবীকে বিবাহ করিবেন বলিয়া মনস্থির করিলেন।যেহেতু গঙ্গা দেবী দেবকুল এবং শান্তুনু মানবকুল,তাই তাহারা উভয়েই সংকটে পড়িলেন যে,এই বিবাহের বৈধতা থাকিবে কি না!
যেহেতু ব্রক্ষ্রা সকল কুলের সৃষ্টিকারী,তাই তাহারা উভয়ে ব্রক্ষ্রার শরনাপন্ন হইলেন এবং স্ময়ং ব্রক্ষ্রা ও উপস্থিত হইলেন।
ব্রক্ষ্রা এ বিবাহে অস্বীকৃতি জানাইলেন।কারন কুল,ধর্ম,বর্ন,গোত্র বিপন্ন হইলে, বিবাহের পরবর্তী সময়ে সংঘাত অনিবার্য। তখন দেবকুল রানী গঙ্গা দেবী ব্রক্ষ্রা কে ১টি প্রশ্ন করিলেনঃ-
"যদি দেবকুলের কোন নারী দেবকুলের কোন বরপতি খুজিঁয়া না পায়,তাহাহইলে কি সে নারী সারাজীবন অবিবাহিত থাকিবেন?"
তাহাহইলে তো সমাজে অনাচার এবং সংঘাত অহরহর ঘটিতে থাকিবে কারন উপযুক্ত অবিবাহিত নারী স্বর্প বিষের সমতুল্য।কারন তাহারা যে কোন সময় পরিবার,সমাজ এবং ধর্ম সকলকে আঘাত করিতে পারিবে,তাই ইহা ১মাত্র বিবাহের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন সম্ভব।
তখন ব্রক্ষ্রা পড়িলেন বিপাকে!ব্রক্ষ্রা তখন মহারাজ শান্তুনু কে কহিলেন,ঠিক আছে তোমরা যদি এমন ১টা কিছু করিয়া দেখাইতে পার যেখানে দেহ থাকিবে ২টা কিন্ত মন এবং প্রান থাকিবে ১টা,তাহাহইলে আমি এ বিবাহের অনুমতি পারিবো।মহারাজ শান্তুনু তখন চিন্তা করিলেন,যদি ২জনকে ১ প্রানে আনিতে হয় তাহাহইলে যদি আমার রক্ত ওর দেহে প্রবেশ করাইলে আমরা উভয়েই ১ প্রানের স্তম্ভ লাভ করিতে পারিবো।
মহারাজ শান্তুনু সাথে সাথে নিজের বাম হস্তের বৃদ্ধাংগুলী কাটিয়া নিজ রক্ত গঙ্গা দেবীকে খাওয়ানোর জন্য উদৃত্ব্য হইলেন।ব্রক্ষ্রা ইহাতে বাঁধা প্রদান করিলেন এবং কহিলেন, আমিই জগতের সকল কুল সৃষ্টি করিয়াছি।তোমাদের কে পৃথিবীতে এবং স্বর্গলোকে পাঠাইনো হইল শান্তি এবং ধর্ম স্থাপনের আশায়।রক্ত পান করিলে তোমাদের মধ্যে আর রাক্ষস, দৈত্য, দানব এবং অসুর কুলের মধ্যে কোন ভেদাবেদ থাকিবে না।
তাই আমার মতে,তুমি গঙ্গা দেবীর শরীরে তোমার রক্ত এমন ১টা জায়গায় লেপন কর, যেখানে যে কোন নারীর সর্ব্বলোকের সর্ব্ব দৃষ্টি ঐ খানে গিয়া পড়িবে।
আরো মনে রাখিতে হইবে যে,তাহা কোন নারীর জীবনে মাত্র ১বার রক্ত তিলক গ্রহন করিতে পারিবে এবং ২য় বারের ইহার কোন বৈধতা থাকিতে পারিবে না।
তখন মহারাজ শান্তুনু নিজের বাম হস্তের বৃদ্ধাংগুলীর রক্ত গঙ্গা দেবীর ললাটে লেপ্টাইয়া দিলেন এবং সেই থেকে হিন্দু সমাজের নারীদের ললাট রক্ত তিলকের শোভা বর্ধনে সিদুঁর ফোঁটার প্রচলন ঘটাইলো।
এখানে আরো বলা বাহুল্য যে,"যেহেতু ব্রক্ষ্রা ২জনকে ১ প্রনে অধিষ্ঠিত করিয়াছিলেন এবং শান্তুনু র রক্ত প্রান গঙ্গা দেবীর শরীরে প্রবেশ করাইয়াছিলেন সেহেতু স্বামীর প্রান প্রয়ান মানেই স্ত্রীর প্রান প্রয়ান ঘটিবে বলিয়া নিশ্চিত করনে সমগ্র ব্রক্ষ্র সমাজ #সতীদাহ প্রথার প্রচলন ঘটাইলেন"।
#সিদুঁর স্থাপনের আরো কিছু যুক্তিকতাঃ-
----------------------------------------------------------
(১) কোন নারীর জীবনে কপালে সিদুঁর ১বারেই উঠে বলিয়া বিধবা বিবাহের ক্ষেত্রে ব্রাম্মণ গন কখনো সিদুঁর প্রদানের অনুমতি প্রদান করেন না।
(২) যাহার কপালের সিদুঁরেরর ফোঁটা যত উজ্জল থাকে তাহার প্রতি পরপুরুষের কামশক্তির দৃষ্টি তত ম্লানের দিকে ধাবিত হয়।
(৩)কপালে সিদুঁর নিয়ে চলাচল মানেই স্বামীর রক্ত নিজ শরীরে বয়ে বেড়ানো।
(৪) সিদুঁরের রং যদি লাল না হইয়া অন্য রং সৃষ্টি হইত, তাহা হইলে কখনো ইহা কপালে স্থান পাইতো না কারন ইহা মূলত রক্ত তিলক হইতে উৎপত্তি।
(৫) সিদুঁর মূলত কালীমাতার ভয়ংকর রুপ।কারন অসুরদের রক্তঝরানোর মুহুত্বে কালী মাতার শরীরে মহাদেবের রক্ত তিলক ছিলো।অসুরেরা তাই লাল রংকে বেশী ভয় পায়।তাই ইহা অসুর প্রতিষেধক হিসাবেও কাজ করে।।
যেহেতু ব্রক্ষ্রা সকল কুলের সৃষ্টিকারী,তাই তাহারা উভয়ে ব্রক্ষ্রার শরনাপন্ন হইলেন এবং স্ময়ং ব্রক্ষ্রা ও উপস্থিত হইলেন।
ব্রক্ষ্রা এ বিবাহে অস্বীকৃতি জানাইলেন।কারন কুল,ধর্ম,বর্ন,গোত্র বিপন্ন হইলে, বিবাহের পরবর্তী সময়ে সংঘাত অনিবার্য। তখন দেবকুল রানী গঙ্গা দেবী ব্রক্ষ্রা কে ১টি প্রশ্ন করিলেনঃ-
"যদি দেবকুলের কোন নারী দেবকুলের কোন বরপতি খুজিঁয়া না পায়,তাহাহইলে কি সে নারী সারাজীবন অবিবাহিত থাকিবেন?"
তাহাহইলে তো সমাজে অনাচার এবং সংঘাত অহরহর ঘটিতে থাকিবে কারন উপযুক্ত অবিবাহিত নারী স্বর্প বিষের সমতুল্য।কারন তাহারা যে কোন সময় পরিবার,সমাজ এবং ধর্ম সকলকে আঘাত করিতে পারিবে,তাই ইহা ১মাত্র বিবাহের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন সম্ভব।
তখন ব্রক্ষ্রা পড়িলেন বিপাকে!ব্রক্ষ্রা তখন মহারাজ শান্তুনু কে কহিলেন,ঠিক আছে তোমরা যদি এমন ১টা কিছু করিয়া দেখাইতে পার যেখানে দেহ থাকিবে ২টা কিন্ত মন এবং প্রান থাকিবে ১টা,তাহাহইলে আমি এ বিবাহের অনুমতি পারিবো।মহারাজ শান্তুনু তখন চিন্তা করিলেন,যদি ২জনকে ১ প্রানে আনিতে হয় তাহাহইলে যদি আমার রক্ত ওর দেহে প্রবেশ করাইলে আমরা উভয়েই ১ প্রানের স্তম্ভ লাভ করিতে পারিবো।
মহারাজ শান্তুনু সাথে সাথে নিজের বাম হস্তের বৃদ্ধাংগুলী কাটিয়া নিজ রক্ত গঙ্গা দেবীকে খাওয়ানোর জন্য উদৃত্ব্য হইলেন।ব্রক্ষ্রা ইহাতে বাঁধা প্রদান করিলেন এবং কহিলেন, আমিই জগতের সকল কুল সৃষ্টি করিয়াছি।তোমাদের কে পৃথিবীতে এবং স্বর্গলোকে পাঠাইনো হইল শান্তি এবং ধর্ম স্থাপনের আশায়।রক্ত পান করিলে তোমাদের মধ্যে আর রাক্ষস, দৈত্য, দানব এবং অসুর কুলের মধ্যে কোন ভেদাবেদ থাকিবে না।
তাই আমার মতে,তুমি গঙ্গা দেবীর শরীরে তোমার রক্ত এমন ১টা জায়গায় লেপন কর, যেখানে যে কোন নারীর সর্ব্বলোকের সর্ব্ব দৃষ্টি ঐ খানে গিয়া পড়িবে।
আরো মনে রাখিতে হইবে যে,তাহা কোন নারীর জীবনে মাত্র ১বার রক্ত তিলক গ্রহন করিতে পারিবে এবং ২য় বারের ইহার কোন বৈধতা থাকিতে পারিবে না।
তখন মহারাজ শান্তুনু নিজের বাম হস্তের বৃদ্ধাংগুলীর রক্ত গঙ্গা দেবীর ললাটে লেপ্টাইয়া দিলেন এবং সেই থেকে হিন্দু সমাজের নারীদের ললাট রক্ত তিলকের শোভা বর্ধনে সিদুঁর ফোঁটার প্রচলন ঘটাইলো।
এখানে আরো বলা বাহুল্য যে,"যেহেতু ব্রক্ষ্রা ২জনকে ১ প্রনে অধিষ্ঠিত করিয়াছিলেন এবং শান্তুনু র রক্ত প্রান গঙ্গা দেবীর শরীরে প্রবেশ করাইয়াছিলেন সেহেতু স্বামীর প্রান প্রয়ান মানেই স্ত্রীর প্রান প্রয়ান ঘটিবে বলিয়া নিশ্চিত করনে সমগ্র ব্রক্ষ্র সমাজ #সতীদাহ প্রথার প্রচলন ঘটাইলেন"।
#সিদুঁর স্থাপনের আরো কিছু যুক্তিকতাঃ-
----------------------------------------------------------
(১) কোন নারীর জীবনে কপালে সিদুঁর ১বারেই উঠে বলিয়া বিধবা বিবাহের ক্ষেত্রে ব্রাম্মণ গন কখনো সিদুঁর প্রদানের অনুমতি প্রদান করেন না।
(২) যাহার কপালের সিদুঁরেরর ফোঁটা যত উজ্জল থাকে তাহার প্রতি পরপুরুষের কামশক্তির দৃষ্টি তত ম্লানের দিকে ধাবিত হয়।
(৩)কপালে সিদুঁর নিয়ে চলাচল মানেই স্বামীর রক্ত নিজ শরীরে বয়ে বেড়ানো।
(৪) সিদুঁরের রং যদি লাল না হইয়া অন্য রং সৃষ্টি হইত, তাহা হইলে কখনো ইহা কপালে স্থান পাইতো না কারন ইহা মূলত রক্ত তিলক হইতে উৎপত্তি।
(৫) সিদুঁর মূলত কালীমাতার ভয়ংকর রুপ।কারন অসুরদের রক্তঝরানোর মুহুত্বে কালী মাতার শরীরে মহাদেবের রক্ত তিলক ছিলো।অসুরেরা তাই লাল রংকে বেশী ভয় পায়।তাই ইহা অসুর প্রতিষেধক হিসাবেও কাজ করে।।
(c) Sumon Roy
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন