কে পরমেশ্বর ভগবান তা জানতে হলে আমাদের বেদমাতা বা বৈদিক শাস্ত্রের সাহায্য নিতে হবে। কারন,সন্তানের পিতা কে তা মাতাই ভাল বলতে পারে। তেমনি বৈদিক শাস্ত্রসমূহই আমাদের বলে দিতে পারে, কে পরমেশ্বর ভগবান।
আসুন দেখি বৈদিক শাস্ত্রে কাকে পরমেশ্বর ভগবান বলা হয়েছে---
ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দবিগ্রহঃ।
অনাদির্রাদির্গোবিন্দনঃ সর্বকারণকারণম্।। -- ব্রহ্মসংহিতা (৫/১)
অনুবাদ -- শ্রীকৃষ্ণ, যিনি গোবিন্দ নামেও পরিচিত, তিনিই হচ্ছেন পরম ঈশ্বর। তাঁর রূপ সচ্চিদানন্দময়। তিনি হচ্ছেন সব কিছুর পরম উৎস। তাঁর কোন উৎস নেই, কেন না তিনি হচ্ছেন সমস্ত কারণের পরম কারণ।
মত্তঃ পরতরং নান্যৎ কিঞ্চিদস্তি ধনঞ্জয়।
ময়ি সর্বমিদং প্রোতং সূত্রে মণিগণা ইব।। -- গীতা ৭/৭
অনুবাদ -- হে ধনঞ্জয়! আমার থেকে শ্রেষ্ট আর কেউ নেই।সূত্রে যেমন মণিসমূহ গাঁথা থাকে, তেমনি সমস্ত বিশ্বই আমাতে ওতঃপ্রোতভাবে অবস্থান করে।
একলে ঈশ্বর কৃষ্ণ, আর সব ভৃত্য।
যারে যৈছে নাচায়, সে তৈছে করে নৃত্য।। শ্রীমহৎ ভাগবৎ ১/১/১
একমাত্র শ্রীকৃষ্ণই হচ্ছেন পরম ঈশ্বর এবং অন্য সকলেই তার সেবক।তিনি যেভাবে নির্দেশ দেন,তারা সেভাবেই নৃত্য করেন।চৈ:চ:আদি-৫/১৪২
হে বসুদেব তনয় শ্রীকৃষ্ণ। হে সর্বব্যাপ্ত পরমেশ্বর ভগবান। আমি আপনাকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। আমি পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ধ্যান করি,কেন না তিনি হচ্ছেন প্রকাশিত ব্রহ্মাণ্ডসমূহের সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের পরম কারণ।
এছাড়া আরো কিছু প্রমাণ --- আমি(শ্রীকৃষ্ণ) জড় ও চেতন জগতের সব কিছুর উৎস। গীতা-১০/৮
হে কৌন্তেয়! আমার অধ্যক্ষতার দ্বারা জড়া প্রকৃতি এই চরাচর বিশ্ব সৃষ্টি করি। গীতা-৯/১০
হে ব্রহ্মা! সৃষ্টির পূর্বে কেবল আমি ছিলাম এবং প্রলয়ের পর কেবল আমিই অবশিষ্ট থাকব। ভাগবত--২/৯/৩৩
কৃষ্ণস্তু ভগবান স্বয়ম। ভাগবত- ১/৩/২৮
হে রাজন! পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পরিকল্পনা কেউই জানতে পারে না। (ভীষ্মদেব) ভাগবত-১/৯/১৬।
শ্রীকৃষ্ণের নাম রূপ গুণ লীলা কখনও প্রাকৃত চক্ষু কর্ণ আদির গ্রাহ্য নয়।(পদ্মপুরান)
শ্রীকৃষ্ণ কারো ধ্যান/আরাধনা বা সেবা করেন না, তিনি সেবা গ্রহন করেন।
পরমেশ্বর ভগবান হলেন শ্রীকৃষ্ণ। এতে কোন সন্দেহ নেই।কারন ব্রহ্মা, শিব, ইন্দ্রও তা স্বীকার করেছেন। সমস্ত বৈদিক শাস্ত্রের প্রনেতা বেদব্যাস তা স্বীকার করেছেন। তখনকার বিশ্বের শ্রেষ্ট পণ্ডিত, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তা স্বীকার করেছেন। সারা পৃথিবীতে সনাতনধর্ম প্রচারের অগ্রদূত, শ্রীল প্রভুপাদ তা স্বীকার করেছেন। যেখানে বৈদিক শাস্ত্রসমূহ ও এতো মহান মহান ব্যাক্তিরা শ্রীকৃষ্ণকে পরমেশ্বর ভগবান রূপে স্বীকার করেছেন, সেখানে আমরা কেন পারবো না, শ্রীকৃষ্ণকে পরমেশ্বর ভগবান রূপে গ্রহন করতে?
★ এই লেখা যদি ভালো লাগে তো পোষ্টটি শেয়ার করে অন্য কে পেতে সাহায্য করুন।
লেখকঃ প্রীথিষ ঘোষ
আসুন দেখি বৈদিক শাস্ত্রে কাকে পরমেশ্বর ভগবান বলা হয়েছে---
ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দবিগ্রহঃ।
অনাদির্রাদির্গোবিন্দনঃ সর্বকারণকারণম্।। -- ব্রহ্মসংহিতা (৫/১)
অনুবাদ -- শ্রীকৃষ্ণ, যিনি গোবিন্দ নামেও পরিচিত, তিনিই হচ্ছেন পরম ঈশ্বর। তাঁর রূপ সচ্চিদানন্দময়। তিনি হচ্ছেন সব কিছুর পরম উৎস। তাঁর কোন উৎস নেই, কেন না তিনি হচ্ছেন সমস্ত কারণের পরম কারণ।
মত্তঃ পরতরং নান্যৎ কিঞ্চিদস্তি ধনঞ্জয়।
ময়ি সর্বমিদং প্রোতং সূত্রে মণিগণা ইব।। -- গীতা ৭/৭
অনুবাদ -- হে ধনঞ্জয়! আমার থেকে শ্রেষ্ট আর কেউ নেই।সূত্রে যেমন মণিসমূহ গাঁথা থাকে, তেমনি সমস্ত বিশ্বই আমাতে ওতঃপ্রোতভাবে অবস্থান করে।
একলে ঈশ্বর কৃষ্ণ, আর সব ভৃত্য।
যারে যৈছে নাচায়, সে তৈছে করে নৃত্য।। শ্রীমহৎ ভাগবৎ ১/১/১
একমাত্র শ্রীকৃষ্ণই হচ্ছেন পরম ঈশ্বর এবং অন্য সকলেই তার সেবক।তিনি যেভাবে নির্দেশ দেন,তারা সেভাবেই নৃত্য করেন।চৈ:চ:আদি-৫/১৪২
হে বসুদেব তনয় শ্রীকৃষ্ণ। হে সর্বব্যাপ্ত পরমেশ্বর ভগবান। আমি আপনাকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। আমি পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ধ্যান করি,কেন না তিনি হচ্ছেন প্রকাশিত ব্রহ্মাণ্ডসমূহের সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের পরম কারণ।
এছাড়া আরো কিছু প্রমাণ --- আমি(শ্রীকৃষ্ণ) জড় ও চেতন জগতের সব কিছুর উৎস। গীতা-১০/৮
হে কৌন্তেয়! আমার অধ্যক্ষতার দ্বারা জড়া প্রকৃতি এই চরাচর বিশ্ব সৃষ্টি করি। গীতা-৯/১০
হে ব্রহ্মা! সৃষ্টির পূর্বে কেবল আমি ছিলাম এবং প্রলয়ের পর কেবল আমিই অবশিষ্ট থাকব। ভাগবত--২/৯/৩৩
কৃষ্ণস্তু ভগবান স্বয়ম। ভাগবত- ১/৩/২৮
হে রাজন! পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পরিকল্পনা কেউই জানতে পারে না। (ভীষ্মদেব) ভাগবত-১/৯/১৬।
শ্রীকৃষ্ণের নাম রূপ গুণ লীলা কখনও প্রাকৃত চক্ষু কর্ণ আদির গ্রাহ্য নয়।(পদ্মপুরান)
শ্রীকৃষ্ণ কারো ধ্যান/আরাধনা বা সেবা করেন না, তিনি সেবা গ্রহন করেন।
পরমেশ্বর ভগবান হলেন শ্রীকৃষ্ণ। এতে কোন সন্দেহ নেই।কারন ব্রহ্মা, শিব, ইন্দ্রও তা স্বীকার করেছেন। সমস্ত বৈদিক শাস্ত্রের প্রনেতা বেদব্যাস তা স্বীকার করেছেন। তখনকার বিশ্বের শ্রেষ্ট পণ্ডিত, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তা স্বীকার করেছেন। সারা পৃথিবীতে সনাতনধর্ম প্রচারের অগ্রদূত, শ্রীল প্রভুপাদ তা স্বীকার করেছেন। যেখানে বৈদিক শাস্ত্রসমূহ ও এতো মহান মহান ব্যাক্তিরা শ্রীকৃষ্ণকে পরমেশ্বর ভগবান রূপে স্বীকার করেছেন, সেখানে আমরা কেন পারবো না, শ্রীকৃষ্ণকে পরমেশ্বর ভগবান রূপে গ্রহন করতে?
★ এই লেখা যদি ভালো লাগে তো পোষ্টটি শেয়ার করে অন্য কে পেতে সাহায্য করুন।
লেখকঃ প্রীথিষ ঘোষ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন