তাই বিবেক দ্বারা বিচার করে নিজেকে শোধরাবার চেষ্টা করা উচিত । আপনি এটি না করলে , কে করবে ? এই কাজ অতিশয় জরুরি আর আপনার আত্মার উদ্ধার _____ সম্পদ দ্বারা , সেবক দ্বারা , বন্ধু দ্বারা বা আত্মীয়স্বজন দ্বারা _____ করিয়ে নেবেন তা কখনো হওয়ার নয় , তা তো আপনাকেই করতে হবে । অতএব সব কাজে কম গুরত্ব দিয়ে প্রথমে এই কাজ করতে হবে ।
সঙ্গে সঙ্গে এও মনে রাখতে হবে যে আত্মউদ্ধাররূপ এই কার্য অন্য কোনো যোনিতে হওয়া সম্ভব নয় । অন্য সব তো ভোগ যোনি । যখনই উদ্ধার হবে এই মানব - জীবনেই হতে পারে , এই মানবজীবন আবার কবে লাভ হবে তার কোনো ঠিক নেই । অন্য জাগতিক কার্যে যদি কিছু বাকিও থাকে তাহলে তা আপনার উত্তরাধিকারী করে নেবে ; আর কেউ না করলেও ক্ষতি নেই ।
কিন্তু সাধনায় ঘাটতি থেকে গেলে তা তো কেউ পূরণ করতে পারে না । আত্মউদ্ধারের একটুও অবশিষ্ট থেকে গেলে তা আপনার জন্য খুবই ক্ষতিকর হবে । আপনি জাগতিক কার্যকেই অজ্ঞানতার বশীভূত হয়ে আসল কাজ ভেবে বসে আছেন , কিন্তু তা আপনার বিশাল ভুল । এইখানকার কোনো বস্তু আপনার সঙ্গে যাবে না । আগেও আপনি তাদের সঙ্গে আনেননি এবং যাওয়ার সময়ও আপনার সঙ্গে কিছুই যাবে না ।
মৃত্যুর পর সব এইখানেই থেকে যাবে ; কেবল পাঁচ কর্মেন্দ্রিয় , পাঁচ জ্ঞানেন্দ্রিয় , পাঁচ প্রাণ মন ও বুদ্ধি - এই সতেরো তত্ত্ব আপনার সঙ্গে যাবে । যা সঙ্গে যাবে তাকেই ভালো করবার চেষ্টা করুন । এতে উত্তম গুণ ও আচরণরূপ সম্পদ ভরে নিন যাতে এখানেই মুক্তি লাভ হয় । যদি কোনো কারণে কিঞ্চিৎ ঘাটতি থেকে যায় তাহলে যোগভ্রষ্ট হয়ে পরের জন্মে উদ্ধার হয়ে যাবে ।
তাই আমাদের অন্তরে দৈবী সম্পদের গুণ ও আচরণই সঞ্চয় করা উচিত । আসুরী সম্পদরূপী অবগুণ ভরা তো আবর্জনা একত্র করা । যা কদর্যভাব ও নিকৃষ্ট কর্ম তা বিদূরিত করা উচিত । যেমন কোনো রমণীকে দেখে আমাদের মনে খারাপ ভাব আসে্ তাহলে তা মন থেকে বের করে দিয়ে চোখে অঞ্জন লাগিয়ে নেওয়া উচি্ত । যদি তাই চিন্তা করা হয় তবে কাম - ক্রোধ বৃদ্ধি পাবে । আর কাম - ক্রোধ শুধু ধ্বংসই করে ।
অঞ্জন কী ?
ঐ রমণীকে _ মা , ভগিনী , অথবা কন্যারূপে ভাবাই অঞ্জন ধারণ করা ও দেখা । এইভাবে কর্ণ , বাণী আদি সকলকে ভগবানের নাম , রূপ ও গুণের শ্রবণ - কীর্তনে পবিত্র করে দেওয়া উচি্ত আর অন্তরে ভগবানের নাম , রূপ , গুণ , প্রভাব , লীলা এবং ভক্তের চরিত্র আদি। উত্তম বস্তু দ্বারা পূর্ণ করা উচিত । যদি আমরা এমন না করি তাহলে আমাদের কল্যাণ কেমন করে হবে ?
এক কবি বলেছেন --
জাকী পূঁজী সাঁস হৈ , ছিন আবৈ ছিন জায় ।
তাকো ঐসো চাহিএ , রহৈ রাম লৌ লায় ।।
এই মূলধনে সর্বোত্তম লাভ করা প্রয়োজন । এই মানবদেহই ক্ষেত্র অর্থাৎ কর্মভূমি অন্যসব যোনি তা বন্ধ্যাভূমি । এতে আপনি মেওয়া চাষ করতে পারেন অাবার কোন কিছু না করে সম্পদের অপচয় করতে পারেন ।
মেওয়া কী ?
শ্রবণং কীর্তনং বিষ্ণোঃ স্মরণং পাদসেবনম্ ।
অর্চনং বন্দনং দাস্যং সখ্যমাত্মনিবেদনম্ ।।
( শ্রীমদ্ভাগবত ৭\ ৫\ ২৩ )
অর্থাৎ ' ভগবান বিষ্ণুর _ নাম , রূপ , গুণ এবং প্রভাবাদির শ্রবণ , কীর্তন , ভগবানের পদসেবা , পূজা , বন্দনা , দাসভাব , সখাভাব ও সমর্পণই - এই নয় প্রকার ভক্তি । '
এই নয় প্রকারের ভক্তিই মেওয়া । ভক্তির এই নয় প্রকারের অঙ্গের একটা করে নিলেও ভগবান লাভ হবে ; আর যার এই নয়টি ভাব আছেন তাকে তো বলবার কিছুই নেই । তা তো অতিয় উত্তম ।
কেবল শ্রবণ ভক্তি দ্বারা পরীক্ষিৎ ও ধুন্ধুকারী আদি ; কীর্তনে নারদ , তুলসীদাস , সুরদাস , গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু আদি ; স্মরণে ধ্রুব আদি্ ; পাদসেবনে লক্ষ্মী , ভরত , কেবট ( নৌকা চালক ) আদি্ ; পূজা দ্বারা পৃথু , দ্রৌপদী , গজেন্দ্র , ভীল রমণী , রন্তিদেব আদিে , নমস্কারের মাধ্যমে অক্রূর আদি , দাস্যভাবে হনুমান আদি , সখ্যভাবে সুগ্রীব , অর্জুন আদি এবং আত্মনিবেদনে বলি আদি ঈশ্বর লাভ করেছেন ।
অতএব আমাদের এই কথা বিশ্বাস করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই কার্য সম্পন্ন করা উচিসত , যার জন্য আমাদের এই মানবজন্ম লাভ হয়েছে । ভাগবতকার সাবধান করে বলেছেন --
লব্ধ্বা সুদুর্লভমিদং বহুসম্ভবান্তে মানুষ্যমর্থদমনিত্যমপীহ ধীরঃ ।
তূর্ণং যতেত ন পতেদনুমৃত্যু যাবন্ নিঃশ্রেয়সায় বিষয়ঃ খলু সর্বতঃ স্যাৎ ।। ( ১১\ ৯\ ২৯ )
অর্থাৎ ' এই মানবদেহ অনি্ত্য হলেও পরম পুরুষার্থের সাধন বা পথ । তাই বহু জন্ম পর এই দুর্লভ নরদেহ লাভ করে বুদ্ধিমান মানুষের জন্য কাম্য হবে যে যতক্ষণ পর্যন্ত এই দেহ আবার মৃত্যুর কবলে না পড়ে তার মধ্যেই যত শীঘ্র নিজের কল্যাণ হয় তার চেষ্টা করে নেওয়া কারণ বিষয় তো সকল যোনিতেই পাওয়া যায় ( তা সংগ্রহ করতে এই অমূল্য সুযোগ কখনই হারাবে না ) ।
সঙ্গে সঙ্গে এও মনে রাখতে হবে যে আত্মউদ্ধাররূপ এই কার্য অন্য কোনো যোনিতে হওয়া সম্ভব নয় । অন্য সব তো ভোগ যোনি । যখনই উদ্ধার হবে এই মানব - জীবনেই হতে পারে , এই মানবজীবন আবার কবে লাভ হবে তার কোনো ঠিক নেই । অন্য জাগতিক কার্যে যদি কিছু বাকিও থাকে তাহলে তা আপনার উত্তরাধিকারী করে নেবে ; আর কেউ না করলেও ক্ষতি নেই ।
কিন্তু সাধনায় ঘাটতি থেকে গেলে তা তো কেউ পূরণ করতে পারে না । আত্মউদ্ধারের একটুও অবশিষ্ট থেকে গেলে তা আপনার জন্য খুবই ক্ষতিকর হবে । আপনি জাগতিক কার্যকেই অজ্ঞানতার বশীভূত হয়ে আসল কাজ ভেবে বসে আছেন , কিন্তু তা আপনার বিশাল ভুল । এইখানকার কোনো বস্তু আপনার সঙ্গে যাবে না । আগেও আপনি তাদের সঙ্গে আনেননি এবং যাওয়ার সময়ও আপনার সঙ্গে কিছুই যাবে না ।
মৃত্যুর পর সব এইখানেই থেকে যাবে ; কেবল পাঁচ কর্মেন্দ্রিয় , পাঁচ জ্ঞানেন্দ্রিয় , পাঁচ প্রাণ মন ও বুদ্ধি - এই সতেরো তত্ত্ব আপনার সঙ্গে যাবে । যা সঙ্গে যাবে তাকেই ভালো করবার চেষ্টা করুন । এতে উত্তম গুণ ও আচরণরূপ সম্পদ ভরে নিন যাতে এখানেই মুক্তি লাভ হয় । যদি কোনো কারণে কিঞ্চিৎ ঘাটতি থেকে যায় তাহলে যোগভ্রষ্ট হয়ে পরের জন্মে উদ্ধার হয়ে যাবে ।
তাই আমাদের অন্তরে দৈবী সম্পদের গুণ ও আচরণই সঞ্চয় করা উচিত । আসুরী সম্পদরূপী অবগুণ ভরা তো আবর্জনা একত্র করা । যা কদর্যভাব ও নিকৃষ্ট কর্ম তা বিদূরিত করা উচিত । যেমন কোনো রমণীকে দেখে আমাদের মনে খারাপ ভাব আসে্ তাহলে তা মন থেকে বের করে দিয়ে চোখে অঞ্জন লাগিয়ে নেওয়া উচি্ত । যদি তাই চিন্তা করা হয় তবে কাম - ক্রোধ বৃদ্ধি পাবে । আর কাম - ক্রোধ শুধু ধ্বংসই করে ।
অঞ্জন কী ?
ঐ রমণীকে _ মা , ভগিনী , অথবা কন্যারূপে ভাবাই অঞ্জন ধারণ করা ও দেখা । এইভাবে কর্ণ , বাণী আদি সকলকে ভগবানের নাম , রূপ ও গুণের শ্রবণ - কীর্তনে পবিত্র করে দেওয়া উচি্ত আর অন্তরে ভগবানের নাম , রূপ , গুণ , প্রভাব , লীলা এবং ভক্তের চরিত্র আদি। উত্তম বস্তু দ্বারা পূর্ণ করা উচিত । যদি আমরা এমন না করি তাহলে আমাদের কল্যাণ কেমন করে হবে ?
এক কবি বলেছেন --
জাকী পূঁজী সাঁস হৈ , ছিন আবৈ ছিন জায় ।
তাকো ঐসো চাহিএ , রহৈ রাম লৌ লায় ।।
এই মূলধনে সর্বোত্তম লাভ করা প্রয়োজন । এই মানবদেহই ক্ষেত্র অর্থাৎ কর্মভূমি অন্যসব যোনি তা বন্ধ্যাভূমি । এতে আপনি মেওয়া চাষ করতে পারেন অাবার কোন কিছু না করে সম্পদের অপচয় করতে পারেন ।
মেওয়া কী ?
শ্রবণং কীর্তনং বিষ্ণোঃ স্মরণং পাদসেবনম্ ।
অর্চনং বন্দনং দাস্যং সখ্যমাত্মনিবেদনম্ ।।
( শ্রীমদ্ভাগবত ৭\ ৫\ ২৩ )
অর্থাৎ ' ভগবান বিষ্ণুর _ নাম , রূপ , গুণ এবং প্রভাবাদির শ্রবণ , কীর্তন , ভগবানের পদসেবা , পূজা , বন্দনা , দাসভাব , সখাভাব ও সমর্পণই - এই নয় প্রকার ভক্তি । '
এই নয় প্রকারের ভক্তিই মেওয়া । ভক্তির এই নয় প্রকারের অঙ্গের একটা করে নিলেও ভগবান লাভ হবে ; আর যার এই নয়টি ভাব আছেন তাকে তো বলবার কিছুই নেই । তা তো অতিয় উত্তম ।
কেবল শ্রবণ ভক্তি দ্বারা পরীক্ষিৎ ও ধুন্ধুকারী আদি ; কীর্তনে নারদ , তুলসীদাস , সুরদাস , গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু আদি ; স্মরণে ধ্রুব আদি্ ; পাদসেবনে লক্ষ্মী , ভরত , কেবট ( নৌকা চালক ) আদি্ ; পূজা দ্বারা পৃথু , দ্রৌপদী , গজেন্দ্র , ভীল রমণী , রন্তিদেব আদিে , নমস্কারের মাধ্যমে অক্রূর আদি , দাস্যভাবে হনুমান আদি , সখ্যভাবে সুগ্রীব , অর্জুন আদি এবং আত্মনিবেদনে বলি আদি ঈশ্বর লাভ করেছেন ।
অতএব আমাদের এই কথা বিশ্বাস করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই কার্য সম্পন্ন করা উচিসত , যার জন্য আমাদের এই মানবজন্ম লাভ হয়েছে । ভাগবতকার সাবধান করে বলেছেন --
লব্ধ্বা সুদুর্লভমিদং বহুসম্ভবান্তে মানুষ্যমর্থদমনিত্যমপীহ ধীরঃ ।
তূর্ণং যতেত ন পতেদনুমৃত্যু যাবন্ নিঃশ্রেয়সায় বিষয়ঃ খলু সর্বতঃ স্যাৎ ।। ( ১১\ ৯\ ২৯ )
অর্থাৎ ' এই মানবদেহ অনি্ত্য হলেও পরম পুরুষার্থের সাধন বা পথ । তাই বহু জন্ম পর এই দুর্লভ নরদেহ লাভ করে বুদ্ধিমান মানুষের জন্য কাম্য হবে যে যতক্ষণ পর্যন্ত এই দেহ আবার মৃত্যুর কবলে না পড়ে তার মধ্যেই যত শীঘ্র নিজের কল্যাণ হয় তার চেষ্টা করে নেওয়া কারণ বিষয় তো সকল যোনিতেই পাওয়া যায় ( তা সংগ্রহ করতে এই অমূল্য সুযোগ কখনই হারাবে না ) ।
লেখকঃ Joy Shree Radha Madhav
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন