কখনো খেয়াল করেছেন, আপনার পাশের বাসার ব্রিলিয়ান্ট ছেলেটি দেশ বিদেশের নানা বই পড়ে। অথচ কখনো সে গীতা, রামায়ণ কিংবা মহাভারত পড়েনি। হুমায়ুন আহমেদের হিমু, মিসির আলী কিংবা রবি ঠাকুরের "শেষের কবিতা " কতজনেই তো পড়েছে। অথচ তাদের ৫০% ও গীতা পড়েছে কি-না সন্দেহ! এদের মধ্যে অনেকেই রামায়ণ, মহাভারত চোখেও দেখেনি। প্রশ্ন হচ্ছে কেন? যার বই পড়ার অভ্যাস নেই, সে না হয় গীতা পড়েনা। কিন্তু বই পড়ুয়া ছেলেটির হাতে কেন কখনো গীতা উঠে না? যারা গীতা পড়েন বা যারা পড়েছেন, তাদের নিয়ে এই মুহুর্তে একটা জরিপ করেন। "কেন আপনি গীতা পড়েন? " এই প্রশ্নটা যদি গীতা পড়েছেন এমন কাউকে জিজ্ঞেস করা হয়, তবে যদি আমি ভুল না করে থাকি তবে ৯৫% মানুষের উত্তর হবে - গীতা পড়লে পূণ্য হয়, তাই গীতা পড়ছি। আমার মনে হয় এখানেই প্রবলেমটা।
স্কুল, কলেজ, ভার্সিটিতে সারাজীবন আপনি রাত জেগে পড়েছেন শুধু পড়লে ভালো রেজাল্ট করা যায়, এই একটা কারণেই। আর সেজন্যই একাডেমিক লাইফের পড়াগুলো আমাদের ৯০% মনেই থাকেনা। কারণ সেই জায়গায় আমাদের স্বার্থ ছিল। অথচ কোনো একটা গল্প, উপন্যাস বা সাহিত্য কিংবা অন্য যেকোনো বই একবার পড়লেই সেটা সারাজীবন মনে থাকে। কারণ সেখানে আমাদের কোনো স্বার্থ নেই। হুমায়ুন আহমেদের হিমু গল্প পড়ে কতজনই তো হলুদ পাঞ্জাবি পরে হিমু সেজেছিল। মুলত এরপর কয়েকবছর হলুদ পাঞ্জবীর বেশ প্রচলন হয়েছিল ইয়াং জেনারেশনের মধ্যে। এর মানে হলো বইয়ের সে কাহিনীকে তারা নিজদের সাথে মিশিয়ে ফেলেছে। ঠিক এতটাই ভালোবাসা ছিল। গীতা পড়লে পূণ্য হবে, পূণ্য হলে মৃত্যুর পর স্বর্গে যাওয়া যাবে। শুধু এই কারণে যদি গীতা পড়ার পরামর্শ দেয়া হয়, তবে আজীবন মানুষ গীতায় পড়বে কিন্তু গীতার মর্মবাণী কেউ উপলব্দি করতে পারবেনা। স্কুলগামী ছোট শিশুটি পাপ পুণ্যের কী বুঝে? সে বুঝে হ্যারি পটার আর কার্টুন। তাকে সেভাবে বুঝান গীতা। গীতাকে পূণ্যের চাবিকাঠি হিসেবে না দেখিয়ে বরং আনন্দের উপাদান হিসেবে উপস্থাপন করা না গেলে, জেনারেশন চেঞ্জ হবে তবু গীতাপাঠে কেউ উৎসাহিত হবে না।
আপনি গল্প, উপন্যাস ভালোবাসেন? একবার রামায়ন মহাভারত নিন। এখানের কাহিনীগুলো আপনার গল্প উপন্যাসের চাইতেও বেশি ভালো লাগবে। গীতা পুরোটাই তো একটা কাহিনী। শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে যেসব উপদেশ দিয়েছেন বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে সেসব আপনি উপন্যাস পাগল ছেলেটিকে উপন্যাসের মত করে উপস্থাপন করুন। আমি নিশ্চিত তার ভালো লাগবে। যে কবিতা ভালোবাসে তাকে গীতার শ্লোকগুলো ছন্দে ছন্দে উপস্থাপন করুন, তার ভালো লাগবে। কার্টুন পাগল শিশুটিকে আপনি ধর্মীয় ছবি দেখিয়ে দেখিয়ে গীতা বুঝিয়ে দিন। দেখবেন কখন যে আপনার ঘরের শিশুটি মীনা কার্টুনের বই পড়া শেষ করে গীতা পড়তে শুরু করে দিয়েছে।
গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন- "যে আমাকে যেভাবে ভজনা করে আমি তাকে সেভাবেই সাড়া দেই। "
_____________________
Satyajit Chakraborty
Writer, Public Spraker & Corporate Trainer.
Founder, Bangladesh Career Club
স্কুল, কলেজ, ভার্সিটিতে সারাজীবন আপনি রাত জেগে পড়েছেন শুধু পড়লে ভালো রেজাল্ট করা যায়, এই একটা কারণেই। আর সেজন্যই একাডেমিক লাইফের পড়াগুলো আমাদের ৯০% মনেই থাকেনা। কারণ সেই জায়গায় আমাদের স্বার্থ ছিল। অথচ কোনো একটা গল্প, উপন্যাস বা সাহিত্য কিংবা অন্য যেকোনো বই একবার পড়লেই সেটা সারাজীবন মনে থাকে। কারণ সেখানে আমাদের কোনো স্বার্থ নেই। হুমায়ুন আহমেদের হিমু গল্প পড়ে কতজনই তো হলুদ পাঞ্জাবি পরে হিমু সেজেছিল। মুলত এরপর কয়েকবছর হলুদ পাঞ্জবীর বেশ প্রচলন হয়েছিল ইয়াং জেনারেশনের মধ্যে। এর মানে হলো বইয়ের সে কাহিনীকে তারা নিজদের সাথে মিশিয়ে ফেলেছে। ঠিক এতটাই ভালোবাসা ছিল। গীতা পড়লে পূণ্য হবে, পূণ্য হলে মৃত্যুর পর স্বর্গে যাওয়া যাবে। শুধু এই কারণে যদি গীতা পড়ার পরামর্শ দেয়া হয়, তবে আজীবন মানুষ গীতায় পড়বে কিন্তু গীতার মর্মবাণী কেউ উপলব্দি করতে পারবেনা। স্কুলগামী ছোট শিশুটি পাপ পুণ্যের কী বুঝে? সে বুঝে হ্যারি পটার আর কার্টুন। তাকে সেভাবে বুঝান গীতা। গীতাকে পূণ্যের চাবিকাঠি হিসেবে না দেখিয়ে বরং আনন্দের উপাদান হিসেবে উপস্থাপন করা না গেলে, জেনারেশন চেঞ্জ হবে তবু গীতাপাঠে কেউ উৎসাহিত হবে না।
আপনি গল্প, উপন্যাস ভালোবাসেন? একবার রামায়ন মহাভারত নিন। এখানের কাহিনীগুলো আপনার গল্প উপন্যাসের চাইতেও বেশি ভালো লাগবে। গীতা পুরোটাই তো একটা কাহিনী। শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে যেসব উপদেশ দিয়েছেন বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে সেসব আপনি উপন্যাস পাগল ছেলেটিকে উপন্যাসের মত করে উপস্থাপন করুন। আমি নিশ্চিত তার ভালো লাগবে। যে কবিতা ভালোবাসে তাকে গীতার শ্লোকগুলো ছন্দে ছন্দে উপস্থাপন করুন, তার ভালো লাগবে। কার্টুন পাগল শিশুটিকে আপনি ধর্মীয় ছবি দেখিয়ে দেখিয়ে গীতা বুঝিয়ে দিন। দেখবেন কখন যে আপনার ঘরের শিশুটি মীনা কার্টুনের বই পড়া শেষ করে গীতা পড়তে শুরু করে দিয়েছে।
গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন- "যে আমাকে যেভাবে ভজনা করে আমি তাকে সেভাবেই সাড়া দেই। "
_____________________
Satyajit Chakraborty
Writer, Public Spraker & Corporate Trainer.
Founder, Bangladesh Career Club
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন