চারদিকে প্রচন্ড ঠান্ডা আর এই ঠান্ডা পরিবেশে কোনো জলধারা যে তপ্ত জল সরবরাহ করতে পারে এটি কি কল্পনা করা যায়? অথচ, ভারতের চারটি স্থানেই এরকম অলৌকিক কুণ্ড রয়েছে যা সবসময়েই তপ্ত জল সরবরাহ করে । বিজ্ঞান এ অলৌকিক ব্যপারটির কী ব্যখ্যা দাঁড় করাবে? আজ সেই তপ্তকুণ্ডের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরব ।
বদ্রীনাথ হিমালয়ে এ প্রচন্ড ঠান্ডা । কোথাও কোথাও বরফ পড়তে দেখা যায়, কিন্তু তার মধ্যে এই হিমালয়ের প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে ভারতের চারটি ধাম – জগন্নাথপুরী, দ্বারকা, বদ্রিকাশ্রম, রামেশ্বরে তপ্তকুণ্ড রয়েছে, যাতে স্নান করে তীর্থযাত্রীগণ তাদের পথশ্রম জনিত ক্লান্তি দূর করেন । তপ্তকুণ্ডের জল এতটাই গরম যে, যাত্রীরা কাপড়ে চাল বেঁধে ওখানে রাখছেন । পাঁচ মিনিটের মধ্যে তা অন্ন হয়ে যাচ্ছে এবং তা ভগবানকে ভোগ দিয়ে প্রসাদ হিসেবে খাচ্ছেন । ওখান থেকে একটি ধারা নিয়ে অন্য কুয়াতে স্নান করা যায় । এখানে বদ্রীনাথেও তপ্তকুণ্ডের অবস্থান দেখা যায় ।
বিভিন্ন পুরাণে কথিত আছে ভৃগু ঋষির অভিশাপে অগ্নিদেব তার শাপ কাটানোর জন্য ব্যাসদেবের কাছে আসেন । তখন ব্যাসদেব অগ্নিকে বললেন এই বদ্রীকাশ্রমে তপস্যা করতে যার ফলে এই শাপ মুক্ত হতে পারবে । ব্যাসদেবের কথায় অগ্নিদেব এখানে তপস্যা শুরু করলেন আর তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে ভগবান দেখা দেয় । ভগবান অগ্নিদেবকে বললেন, এই ধামের মহিমা এতটাই যে যা দর্শন মাত্রেই জীবকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করে । তুমি এমনিতেই সমস্ত কলুষ থেকে মুক্ত হয়েছ, আর এখন থেকে তুমি এখানেই অবস্থান করো, এ স্থান ছেড়ে যেও না । এখানে যত মানুষ আসবে তাদেরকে তুমি পাপ থেকে মুক্ত করো । এইভাবে ভগবানের আদেশে অগ্নিদেব অগ্নিকুণ্ড বা তপ্তকুণ্ড রূপে এখানে সহ চারটি ধামে অবস্থান করেছেন । তীর্থযাত্রী মাত্রই ঐ কুণ্ডে স্নান করে সমস্ত কলুষ তো মুক্ত হবেনেই পরন্তু হাল্কা উষ্ণতায় স্নান এতটাই আরামদায়ক যে, সকলের পথশ্রমের ক্লান্তি নিবারণ করে । মহিলা ও পুরুষদের দুটি আলাদা কুণ্ডে পৃথকভাবে স্নানের ব্যবস্থা রয়েছে ।
courtesy by: সুশান্ত বন্দ
বদ্রীনাথ হিমালয়ে এ প্রচন্ড ঠান্ডা । কোথাও কোথাও বরফ পড়তে দেখা যায়, কিন্তু তার মধ্যে এই হিমালয়ের প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে ভারতের চারটি ধাম – জগন্নাথপুরী, দ্বারকা, বদ্রিকাশ্রম, রামেশ্বরে তপ্তকুণ্ড রয়েছে, যাতে স্নান করে তীর্থযাত্রীগণ তাদের পথশ্রম জনিত ক্লান্তি দূর করেন । তপ্তকুণ্ডের জল এতটাই গরম যে, যাত্রীরা কাপড়ে চাল বেঁধে ওখানে রাখছেন । পাঁচ মিনিটের মধ্যে তা অন্ন হয়ে যাচ্ছে এবং তা ভগবানকে ভোগ দিয়ে প্রসাদ হিসেবে খাচ্ছেন । ওখান থেকে একটি ধারা নিয়ে অন্য কুয়াতে স্নান করা যায় । এখানে বদ্রীনাথেও তপ্তকুণ্ডের অবস্থান দেখা যায় ।
বিভিন্ন পুরাণে কথিত আছে ভৃগু ঋষির অভিশাপে অগ্নিদেব তার শাপ কাটানোর জন্য ব্যাসদেবের কাছে আসেন । তখন ব্যাসদেব অগ্নিকে বললেন এই বদ্রীকাশ্রমে তপস্যা করতে যার ফলে এই শাপ মুক্ত হতে পারবে । ব্যাসদেবের কথায় অগ্নিদেব এখানে তপস্যা শুরু করলেন আর তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে ভগবান দেখা দেয় । ভগবান অগ্নিদেবকে বললেন, এই ধামের মহিমা এতটাই যে যা দর্শন মাত্রেই জীবকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করে । তুমি এমনিতেই সমস্ত কলুষ থেকে মুক্ত হয়েছ, আর এখন থেকে তুমি এখানেই অবস্থান করো, এ স্থান ছেড়ে যেও না । এখানে যত মানুষ আসবে তাদেরকে তুমি পাপ থেকে মুক্ত করো । এইভাবে ভগবানের আদেশে অগ্নিদেব অগ্নিকুণ্ড বা তপ্তকুণ্ড রূপে এখানে সহ চারটি ধামে অবস্থান করেছেন । তীর্থযাত্রী মাত্রই ঐ কুণ্ডে স্নান করে সমস্ত কলুষ তো মুক্ত হবেনেই পরন্তু হাল্কা উষ্ণতায় স্নান এতটাই আরামদায়ক যে, সকলের পথশ্রমের ক্লান্তি নিবারণ করে । মহিলা ও পুরুষদের দুটি আলাদা কুণ্ডে পৃথকভাবে স্নানের ব্যবস্থা রয়েছে ।
courtesy by: সুশান্ত বন্দ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন