২১ ডিসেম্বর ২০১৭

তপ্তকুণ্ড (বিজ্ঞান যেখানে ব্যর্থ )

চারদিকে প্রচন্ড ঠান্ডা আর এই ঠান্ডা পরিবেশে কোনো জলধারা যে তপ্ত জল সরবরাহ করতে পারে এটি কি কল্পনা করা যায়? অথচ, ভারতের চারটি স্থানেই এরকম অলৌকিক কুণ্ড রয়েছে যা সবসময়েই তপ্ত জল সরবরাহ করে । বিজ্ঞান এ অলৌকিক ব্যপারটির কী ব্যখ্যা দাঁড় করাবে? আজ সেই তপ্তকুণ্ডের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরব ।

বদ্রীনাথ হিমালয়ে এ প্রচন্ড ঠান্ডা । কোথাও কোথাও বরফ পড়তে দেখা যায়, কিন্তু তার মধ্যে এই হিমালয়ের প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে ভারতের চারটি ধাম – জগন্নাথপুরী, দ্বারকা, বদ্রিকাশ্রম, রামেশ্বরে তপ্তকুণ্ড রয়েছে, যাতে স্নান করে তীর্থযাত্রীগণ তাদের পথশ্রম জনিত ক্লান্তি দূর করেন । তপ্তকুণ্ডের জল এতটাই গরম যে, যাত্রীরা কাপড়ে চাল বেঁধে ওখানে রাখছেন । পাঁচ মিনিটের মধ্যে তা অন্ন হয়ে যাচ্ছে এবং তা ভগবানকে ভোগ দিয়ে প্রসাদ হিসেবে খাচ্ছেন । ওখান থেকে একটি ধারা নিয়ে অন্য কুয়াতে স্নান করা যায় । এখানে বদ্রীনাথেও তপ্তকুণ্ডের অবস্থান দেখা যায় ।

বিভিন্ন পুরাণে কথিত আছে ভৃগু ঋষির অভিশাপে অগ্নিদেব তার শাপ কাটানোর জন্য ব্যাসদেবের কাছে আসেন । তখন ব্যাসদেব অগ্নিকে বললেন এই বদ্রীকাশ্রমে তপস্যা করতে যার ফলে এই শাপ মুক্ত হতে পারবে । ব্যাসদেবের কথায় অগ্নিদেব এখানে তপস্যা শুরু করলেন আর তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে ভগবান দেখা দেয় । ভগবান অগ্নিদেবকে বললেন, এই ধামের মহিমা এতটাই যে যা দর্শন মাত্রেই জীবকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করে । তুমি এমনিতেই সমস্ত কলুষ থেকে মুক্ত হয়েছ, আর এখন থেকে তুমি এখানেই অবস্থান করো, এ স্থান ছেড়ে যেও না । এখানে যত মানুষ আসবে তাদেরকে তুমি পাপ থেকে মুক্ত করো । এইভাবে ভগবানের আদেশে অগ্নিদেব অগ্নিকুণ্ড বা তপ্তকুণ্ড রূপে এখানে সহ চারটি ধামে অবস্থান করেছেন । তীর্থযাত্রী মাত্রই ঐ কুণ্ডে স্নান করে সমস্ত কলুষ তো মুক্ত হবেনেই পরন্তু হাল্কা উষ্ণতায় স্নান এতটাই আরামদায়ক যে, সকলের পথশ্রমের ক্লান্তি নিবারণ করে । মহিলা ও পুরুষদের দুটি আলাদা কুণ্ডে পৃথকভাবে স্নানের ব্যবস্থা রয়েছে ।

courtesy by: সুশান্ত বন্দ
Share:

Total Pageviews

বিভাগ সমুহ

অন্যান্য (91) অবতারবাদ (7) অর্জুন (4) আদ্যশক্তি (68) আর্য (1) ইতিহাস (30) উপনিষদ (5) ঋগ্বেদ সংহিতা (10) একাদশী (10) একেশ্বরবাদ (1) কল্কি অবতার (3) কৃষ্ণভক্তগণ (11) ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু (21) ক্ষুদিরাম (1) গায়ত্রী মন্ত্র (2) গীতার বানী (14) গুরু তত্ত্ব (6) গোমাতা (1) গোহত্যা (1) চাণক্য নীতি (3) জগন্নাথ (23) জয় শ্রী রাম (7) জানা-অজানা (7) জীবন দর্শন (68) জীবনাচরন (56) জ্ঞ (1) জ্যোতিষ শ্রাস্ত্র (4) তন্ত্রসাধনা (2) তীর্থস্থান (18) দেব দেবী (60) নারী (8) নিজেকে জানার জন্য সনাতন ধর্ম চর্চাক্ষেত্র (9) নীতিশিক্ষা (14) পরমেশ্বর ভগবান (25) পূজা পার্বন (43) পৌরানিক কাহিনী (8) প্রশ্নোত্তর (39) প্রাচীন শহর (19) বর্ন ভেদ (14) বাবা লোকনাথ (1) বিজ্ঞান ও সনাতন ধর্ম (39) বিভিন্ন দেশে সনাতন ধর্ম (11) বেদ (35) বেদের বানী (14) বৈদিক দর্শন (3) ভক্ত (4) ভক্তিবাদ (43) ভাগবত (14) ভোলানাথ (6) মনুসংহিতা (1) মন্দির (38) মহাদেব (7) মহাভারত (39) মূর্তি পুজা (5) যোগসাধনা (3) যোগাসন (3) যৌক্তিক ব্যাখ্যা (26) রহস্য ও সনাতন (1) রাধা রানি (8) রামকৃষ্ণ দেবের বানী (7) রামায়ন (14) রামায়ন কথা (211) লাভ জিহাদ (2) শঙ্করাচার্য (3) শিব (36) শিব লিঙ্গ (15) শ্রীকৃষ্ণ (67) শ্রীকৃষ্ণ চরিত (42) শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু (9) শ্রীমদ্ভগবদগীতা (40) শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা (4) শ্রীমদ্ভাগব‌ত (1) সংস্কৃত ভাষা (4) সনাতন ধর্ম (13) সনাতন ধর্মের হাজারো প্রশ্নের উত্তর (3) সফটওয়্যার (1) সাধু - মনীষীবৃন্দ (2) সামবেদ সংহিতা (9) সাম্প্রতিক খবর (21) সৃষ্টি তত্ত্ব (15) স্বামী বিবেকানন্দ (37) স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (14) স্মরনীয় যারা (67) হরিরাম কীর্ত্তন (6) হিন্দু নির্যাতনের চিত্র (23) হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র ও অন্যান্য অর্থের পরিচিতি (8) হিন্দুত্ববাদ. (83) shiv (4) shiv lingo (4)

আর্টিকেল সমুহ

অনুসরণকারী

" সনাতন সন্দেশ " ফেসবুক পেজ সম্পর্কে কিছু কথা

  • “সনাতন সন্দেশ-sanatan swandesh" এমন একটি পেজ যা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শাখা ও সনাতন সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে গঠন করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য নিজের ধর্মকে সঠিক ভাবে জানা, পাশাপাশি অন্য ধর্মকেও সম্মান দেওয়া। আমাদের লক্ষ্য সনাতন ধর্মের বর্তমান প্রজন্মের মাঝে সনাতনের চেতনা ও নেতৃত্ত্ব ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা কুসংষ্কারমুক্ত একটি বৈদিক সনাতন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ পথচলায় আপনাদের সকলের সহযোগিতা কাম্য । এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সনাতন ধর্মের যে কেউ লাইক দিয়ে এর সদস্য হতে পারে।