হিন্দু ঋষিগণ হিন্দুর যাবতীয় জীবনের কর্তব্যগুলি পাঁচভাগে বিভক্ত করে পঞ্চযজ্ঞ নামে নির্দেশ করেছেন। হিন্দু শাস্ত্রের উপদেশ মানব জন্মগ্রহণ করে পাঁচটি ঋন নিয়ে, যথা- দেবঋন, ঋষিঋণ, পিতৃঋণ, নৃঋণ, ভূতঋণ - পঞ্চযজ্ঞ সম্পাদন দ্বারা এই পঞ্চঝণ পরিশোধ করিতে করিতে মানব মুক্তির অধিকারী হয়ে ওঠে। আসুন এই পঞ্চযজ্ঞ সম্বন্ধে জানি-
১) ব্রহ্মযজ্ঞ-
ভগবানের উপাসনাকে ব্রহ্মযজ্ঞ বলে। এই যজ্ঞের দ্বারা দেবঋণ পরিশোধ হয়। প্রত্যহ নিয়মিত সন্ধ্যা উপাসনাতে দেবযজ্ঞ সম্পন্ন হয়। প্রত্যেককে নিয়মিত উপাসনা ও পূজা পাঠ করা উচিৎ। সমাজে সকল হিন্দুকে এরূপ করা উচিৎ। পূজা অর্চনা দ্বারা মানবের চিত্ত শুদ্ধি ও মুক্তির পথে গমন হয় ।
২) ঋষিযজ্ঞ-
শাস্ত্র বা সদ্ গ্রন্থ পাঠ করাকে ঋষিযজ্ঞ কহে। এই ঋষিযজ্ঞ করিলে ঋষি-ঋণ পরিশোধ হয়। এজন্য প্রত্যহ সকল হিন্দুকে বেদ, উপনিষদ, শ্রীমদ্ভাগবতগীতা, চণ্ডী, ভাগবত ও পুরান পাঠ করা দরকার। তাই সকল হিন্দু গন বেদ ও ধার্মিক পুস্তক পাঠ করিবেন, অন্যদেরও উৎসাহ দেবেন। নিজে পড়িতে না পারিলেও অন্যের দ্বারা পড়াইয়া শ্রবণ করিবেন।
৩) পিতৃযজ্ঞ-
শ্রাদ্ধ ও তর্পণ দিগকে পিতৃযজ্ঞ বলে। তর্পণ বিধি অনুসারে নিত্য তর্পণ করলে এবং মাসিক, ত্রৈমাসিক, বার্ষিক শ্রাদ্ধাদি করলে পিতৃঋণ পরিশোধ হয়। সুতরাং সকল হিন্দুগণ সাধ্য মতো পিতৃযজ্ঞ করবেন। পিতামাতার জীবিত অবস্থায় পিতামাতার সেবা ও তাঁদের সন্তুষ্টি বিধান কেউ পিতৃযজ্ঞ বলে। এটা নিজেও করবেন, অপর কেউ উৎসাহ দেবেন করবার জন্য।
৪) নৃযজ্ঞ-
আশ্রিত পোষ্য বর্গকে ভরণপোষণ ও প্রতিপালন তথা অন্ধ, আতুর, দরিদ্র মানুষকে দান সেবা, অতিথি সেবা, সমাজের কল্যাণকর ও জনমুখী কাজে নিজেকে সক্রিয় ভাবে নিয়োগ করাকে নৃযজ্ঞ বলে। এতে নৃঋণ পরিশোধ হয়। প্রত্যেক হিন্দুকে সামর্থ্য অনুসারে এই নৃযজ্ঞে সামিল হতে হবে ।
৫) ভূতযজ্ঞ-
প্রানীদিগকে সেবা ( গো, মহিষ, কুকুর, বিড়াল প্রানী) বৃক্ষ, উদ্ভিদ ইত্যাদিদের খাদ্য পানীয় দ্বারা সেবা ও পোষণের মাধ্যমে ভূতযজ্ঞ সম্পন্ন হয়। ইহা দ্বারা ভূত যজ্ঞ সম্পন্ন হয়। তুলসীদেবী, অশ্বত্থ ইত্যাদিতে নিত্য জল অর্পণ হিন্দুদিগের নিত্য কর্তব্য । ইহা দ্বারা ভূতঋণ পরিশোধ হয় ।
মানুষকে জগতে বেঁচে থাকতে হলে দেবতা থেকে তৃণ প্রত্যেকের কাছ থেকেই অল্প অল্প সাহায্য নিতে হয়। সে জন্য প্রত্যেকটি মানুষ জড় জগতের চেতন ও অচেতন সকলের কাছে অল্প বিস্তর ঋনী। যে ব্যাক্তি জ্ঞান পূর্বক এই পঞ্চযজ্ঞ সম্পাদন করে সে দ্রুত মুক্তির পথে ধাবিত হয়। এইজন্য হিন্দু ঋষিগণ হিন্দুদের জন্য এই পঞ্চযজ্ঞের ব্যবস্থা করেছেন ।
( সোর্স- ওঁ হিন্দুত্বম্... স্বামী বেদানন্দ ...ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ )
১) ব্রহ্মযজ্ঞ-
ভগবানের উপাসনাকে ব্রহ্মযজ্ঞ বলে। এই যজ্ঞের দ্বারা দেবঋণ পরিশোধ হয়। প্রত্যহ নিয়মিত সন্ধ্যা উপাসনাতে দেবযজ্ঞ সম্পন্ন হয়। প্রত্যেককে নিয়মিত উপাসনা ও পূজা পাঠ করা উচিৎ। সমাজে সকল হিন্দুকে এরূপ করা উচিৎ। পূজা অর্চনা দ্বারা মানবের চিত্ত শুদ্ধি ও মুক্তির পথে গমন হয় ।
২) ঋষিযজ্ঞ-
শাস্ত্র বা সদ্ গ্রন্থ পাঠ করাকে ঋষিযজ্ঞ কহে। এই ঋষিযজ্ঞ করিলে ঋষি-ঋণ পরিশোধ হয়। এজন্য প্রত্যহ সকল হিন্দুকে বেদ, উপনিষদ, শ্রীমদ্ভাগবতগীতা, চণ্ডী, ভাগবত ও পুরান পাঠ করা দরকার। তাই সকল হিন্দু গন বেদ ও ধার্মিক পুস্তক পাঠ করিবেন, অন্যদেরও উৎসাহ দেবেন। নিজে পড়িতে না পারিলেও অন্যের দ্বারা পড়াইয়া শ্রবণ করিবেন।
৩) পিতৃযজ্ঞ-
শ্রাদ্ধ ও তর্পণ দিগকে পিতৃযজ্ঞ বলে। তর্পণ বিধি অনুসারে নিত্য তর্পণ করলে এবং মাসিক, ত্রৈমাসিক, বার্ষিক শ্রাদ্ধাদি করলে পিতৃঋণ পরিশোধ হয়। সুতরাং সকল হিন্দুগণ সাধ্য মতো পিতৃযজ্ঞ করবেন। পিতামাতার জীবিত অবস্থায় পিতামাতার সেবা ও তাঁদের সন্তুষ্টি বিধান কেউ পিতৃযজ্ঞ বলে। এটা নিজেও করবেন, অপর কেউ উৎসাহ দেবেন করবার জন্য।
৪) নৃযজ্ঞ-
আশ্রিত পোষ্য বর্গকে ভরণপোষণ ও প্রতিপালন তথা অন্ধ, আতুর, দরিদ্র মানুষকে দান সেবা, অতিথি সেবা, সমাজের কল্যাণকর ও জনমুখী কাজে নিজেকে সক্রিয় ভাবে নিয়োগ করাকে নৃযজ্ঞ বলে। এতে নৃঋণ পরিশোধ হয়। প্রত্যেক হিন্দুকে সামর্থ্য অনুসারে এই নৃযজ্ঞে সামিল হতে হবে ।
৫) ভূতযজ্ঞ-
প্রানীদিগকে সেবা ( গো, মহিষ, কুকুর, বিড়াল প্রানী) বৃক্ষ, উদ্ভিদ ইত্যাদিদের খাদ্য পানীয় দ্বারা সেবা ও পোষণের মাধ্যমে ভূতযজ্ঞ সম্পন্ন হয়। ইহা দ্বারা ভূত যজ্ঞ সম্পন্ন হয়। তুলসীদেবী, অশ্বত্থ ইত্যাদিতে নিত্য জল অর্পণ হিন্দুদিগের নিত্য কর্তব্য । ইহা দ্বারা ভূতঋণ পরিশোধ হয় ।
মানুষকে জগতে বেঁচে থাকতে হলে দেবতা থেকে তৃণ প্রত্যেকের কাছ থেকেই অল্প অল্প সাহায্য নিতে হয়। সে জন্য প্রত্যেকটি মানুষ জড় জগতের চেতন ও অচেতন সকলের কাছে অল্প বিস্তর ঋনী। যে ব্যাক্তি জ্ঞান পূর্বক এই পঞ্চযজ্ঞ সম্পাদন করে সে দ্রুত মুক্তির পথে ধাবিত হয়। এইজন্য হিন্দু ঋষিগণ হিন্দুদের জন্য এই পঞ্চযজ্ঞের ব্যবস্থা করেছেন ।
( সোর্স- ওঁ হিন্দুত্বম্... স্বামী বেদানন্দ ...ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ )
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন