এক ব্যক্তি জমিদারের একটি খনি এক বৎসরের জন্য ঠিকা নিল । সেই খনিতে পাথর , কয়লা ও বহুমূল্য হীরা - পান্না ভরা আছে। বিনিযুক্ত ব্যক্তি তার থেকে হীরা , পান্না কেটে নিতে পারে আবার পাথর - কয়লা কাটতে পারে ; অথবা কোনো কিছুই বার করে নাও করতে পারে অথবা তাতে বাইরে্র আবর্জনা ভরে দিতে পারে -- সবই তার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে ।
জমিদারের দিক থেকে তাকে অনুমতি দেওয়া আছে । কিন্তু বুদ্ধিমান ব্যক্তি তো সে যে তার থেকে বহুমূল্য হীরা , পান্না , রত্ন বার করে । যে কয়লা বা পাথর বার করে সে তো মূর্খ আর তার থেকেও বড় মূর্খ সেই ব্যক্তি যে খনি থেকে কিছুই বার করে না কেবল তাতে বাগান তৈরী করে । আর সব থেকে বড় মূর্খ সে , যে তার থেকে কিছুই বার করে না বরং তাতে আবর্জনা জমা করে ।
এইভাবে ভগবান আমাদের দেহরূপ ক্ষেত্র ( জমি ) দিয়েছেন । যে এটিও তত্ত্বত বুঝে সে সর্বোত্তম কাজে সংযুক্ত হয় । নবধা ভক্তির ( শ্রবণ , কীর্তন , স্মরণ , পাদসেবন , অর্চ্চন , আত্মনিবেদন , সখ্য , দাস্য , বন্দন ) নানা রকমের অঙ্গই নানা প্রকারের রত্ন । যে সর্বাগ্রে তা আহরণ করে , সেই চতুর ।
যে এই দেহকে স্ত্রী , পুত্র , ধনসম্পদ জড়ো করতে ব্যবহার যে পাথর - কয়লা নিষ্কাষণকারী সম মূর্খ । যে তা সুসজ্জিত করতে সংযুক্ত হয় সে পুষ্পোদ্যান সৃষ্টিকারী সম অধি্ক মূর্খ ; আর যে তাতে আবর্জনা জমা করে সে আরও মূর্খ । যে সময়কে ছলচাতুরি , চুরি , ব্যভিচার আদি পাপ কার্যে ও লোকদের নিন্দা করাতে সময় ব্যয় করে , সে যেন খনিতে আবর্জনা ভরাট করে ।
বুদ্ধিমান ব্যক্তি সময় থাকতে নিজের কাজ গুছিয়ে নেবে । দেহ তো বিনাশশীল ; যতদিন তার অধিকার পাওয়া গিয়েছে ততদিন তা টিকবে -- যত শ্বাসপ্রশ্বাস বাঁধা আছের ততই পাওয়া যাবে । তাতেই যত বেশি সর্বোত্তম কাজ করে নেওয়া যায় তাই সর্বোৎকৃষ্ট হবে । তা নাহলে সময় চলে গেলে আপশোস ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না । তাই আপনি বর্তমানে যে অবস্থায় আছেন বা যে বয়সে আছেন এখন থেকে ভগবদ্ভক্তি শুরু করুন । তাতেই আপনার মঙ্গল নিহিত ।
শ্রীতুলসীদাস বলেন ------
সো পরত্র দুখ পাবই সির ধুনি ধুনি পছিতাই ।
কালহি কর্মহি ইশ্বরহি মিথ্যা দোষ লগাই ।
আমাদের ভাবা উচিত যে এই দেহ কেন পেলাম ! আমরা তো পেয়েছি ঈশ্বর লাভ করার জন্য । আমাদের এখন যে সকল কার্যে সময় কাটে তা প্রায় ব্যর্থই কেটে যায় ।
যে কার্য দেহ ও ইন্দ্রিয় দ্বারা হয় তার বিশেষ মূল্য নেই । যে কর্ম মন দ্বারা হয় তা দামি হয় । আমাদের দেখা উচিত যে আমাদের মন কী করছে । আপনি নিয়ম করে পূজায় বসেছেন কিন্তু যদি আপনার মন পার্থিব জগতে পরিভ্রমণ করে তাহলে তা দামি নয় ।
এক কবি বলেছেন --
মালা তো করমেঁ ফিরৈ , জীব ফিরৈ মুখ মাহিঁ ।
মনুবাঁ তো চহুঁ ফিরৈ , যহ তো সুমিরন নাহিঁ ।।
অতএব বিচার করা প্রয়োজন । ভেবে দেখলেই বুঝা যায় যে মন ভজনে এক আনাও লাগে না , স্বার্থে _ দুই - তিন _ আনা লাগে আর অবশিষ্ট __ বারো __ আনা তো ব্যর্থই যায় -- অর্থাৎ আলস্য , প্রমাদ , ভোগ , পাপ ও ব্যর্থ চিন্তায় খরচ হয় যাতে আমাদের ইহলোকে লাভ হয় না পরলোকেও হয় না , উলটে ক্ষতিই হয় ।
জমিদারের দিক থেকে তাকে অনুমতি দেওয়া আছে । কিন্তু বুদ্ধিমান ব্যক্তি তো সে যে তার থেকে বহুমূল্য হীরা , পান্না , রত্ন বার করে । যে কয়লা বা পাথর বার করে সে তো মূর্খ আর তার থেকেও বড় মূর্খ সেই ব্যক্তি যে খনি থেকে কিছুই বার করে না কেবল তাতে বাগান তৈরী করে । আর সব থেকে বড় মূর্খ সে , যে তার থেকে কিছুই বার করে না বরং তাতে আবর্জনা জমা করে ।
এইভাবে ভগবান আমাদের দেহরূপ ক্ষেত্র ( জমি ) দিয়েছেন । যে এটিও তত্ত্বত বুঝে সে সর্বোত্তম কাজে সংযুক্ত হয় । নবধা ভক্তির ( শ্রবণ , কীর্তন , স্মরণ , পাদসেবন , অর্চ্চন , আত্মনিবেদন , সখ্য , দাস্য , বন্দন ) নানা রকমের অঙ্গই নানা প্রকারের রত্ন । যে সর্বাগ্রে তা আহরণ করে , সেই চতুর ।
যে এই দেহকে স্ত্রী , পুত্র , ধনসম্পদ জড়ো করতে ব্যবহার যে পাথর - কয়লা নিষ্কাষণকারী সম মূর্খ । যে তা সুসজ্জিত করতে সংযুক্ত হয় সে পুষ্পোদ্যান সৃষ্টিকারী সম অধি্ক মূর্খ ; আর যে তাতে আবর্জনা জমা করে সে আরও মূর্খ । যে সময়কে ছলচাতুরি , চুরি , ব্যভিচার আদি পাপ কার্যে ও লোকদের নিন্দা করাতে সময় ব্যয় করে , সে যেন খনিতে আবর্জনা ভরাট করে ।
বুদ্ধিমান ব্যক্তি সময় থাকতে নিজের কাজ গুছিয়ে নেবে । দেহ তো বিনাশশীল ; যতদিন তার অধিকার পাওয়া গিয়েছে ততদিন তা টিকবে -- যত শ্বাসপ্রশ্বাস বাঁধা আছের ততই পাওয়া যাবে । তাতেই যত বেশি সর্বোত্তম কাজ করে নেওয়া যায় তাই সর্বোৎকৃষ্ট হবে । তা নাহলে সময় চলে গেলে আপশোস ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না । তাই আপনি বর্তমানে যে অবস্থায় আছেন বা যে বয়সে আছেন এখন থেকে ভগবদ্ভক্তি শুরু করুন । তাতেই আপনার মঙ্গল নিহিত ।
শ্রীতুলসীদাস বলেন ------
সো পরত্র দুখ পাবই সির ধুনি ধুনি পছিতাই ।
কালহি কর্মহি ইশ্বরহি মিথ্যা দোষ লগাই ।
আমাদের ভাবা উচিত যে এই দেহ কেন পেলাম ! আমরা তো পেয়েছি ঈশ্বর লাভ করার জন্য । আমাদের এখন যে সকল কার্যে সময় কাটে তা প্রায় ব্যর্থই কেটে যায় ।
যে কার্য দেহ ও ইন্দ্রিয় দ্বারা হয় তার বিশেষ মূল্য নেই । যে কর্ম মন দ্বারা হয় তা দামি হয় । আমাদের দেখা উচিত যে আমাদের মন কী করছে । আপনি নিয়ম করে পূজায় বসেছেন কিন্তু যদি আপনার মন পার্থিব জগতে পরিভ্রমণ করে তাহলে তা দামি নয় ।
এক কবি বলেছেন --
মালা তো করমেঁ ফিরৈ , জীব ফিরৈ মুখ মাহিঁ ।
মনুবাঁ তো চহুঁ ফিরৈ , যহ তো সুমিরন নাহিঁ ।।
অতএব বিচার করা প্রয়োজন । ভেবে দেখলেই বুঝা যায় যে মন ভজনে এক আনাও লাগে না , স্বার্থে _ দুই - তিন _ আনা লাগে আর অবশিষ্ট __ বারো __ আনা তো ব্যর্থই যায় -- অর্থাৎ আলস্য , প্রমাদ , ভোগ , পাপ ও ব্যর্থ চিন্তায় খরচ হয় যাতে আমাদের ইহলোকে লাভ হয় না পরলোকেও হয় না , উলটে ক্ষতিই হয় ।
লেখকঃ Joy Shree Radha Madhav
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন