যে কর্ম দ্বারা মনে, ঈশ্বরের প্রতি ঐকান্তিক প্রেম জন্মায় এবং ঈশ্বর ‘সর্ব ভূতময়’ এই জ্ঞানের উদয় হয়ে সকল জীবের প্রতি দয়া স্নেহ ও ভালবাসা জন্মায় তাকে-ই বলে ভক্তি।
গুরু ভক্তি অভিলাষে
থাকবি তক্তে বসে,
নাম ধরে ডাকবি ...ওরে ভোলামন,
মিলবে তোর মনের মানুষ .....যা বলি তাই শোন .......
ভগবান সর্বশক্তিমান, অন্তর্যামী, বিচারকর্তা, এই জ্ঞান উদয় হওয়াতে ভগবানের প্রতি ভয় জন্মায়, ভয় হতে ভগবানে বিশ্বাস আসে। এই বিশ্বাস ক্রমে ক্রমে অটল বিশ্বাসে পূর্ণ হলে, তখন-ই আসে ভগবানে পূর্ণ ভক্তি। এই ভক্তি ক্রমে ক্রমে অচলা ভক্তিতে পরিণত হলে তাকে বলে প্রেম। যখন ভক্তের মনে প্রেমের সঞ্চার হয় তখন ভগবানকে কাছে পাওয়ার জন্য ভক্তের মন উদগ্রীব হয়ে উঠে। ভক্তির অপর নাম --- ভালবাসা। ভালবাসা, ভক্তি, স্নেহ, প্রেম বস্তুত একই, স্থান-কাল-পাত্র ভেদে ভিন্ন নামে অভিহিত হয়ে থাকে। পরমেশ্বর ভগবানকে সাকার ভাবে শ্রদ্ধার সাথে তার সেবা পূজা অচর্না এবং ভগবানের নাম, গুণগান, শ্রবণ কীর্ত্তন, করার নাম-ই ভক্তি মার্গ বা ভক্তি যোগ। যারা ঈশ্বরকে সাকার রূপ ভেবে তার সেবা পূজা ও ভক্তি নিবেদন করে তাদের কে বলা হয় ভক্ত।
ভক্তি যোগের মাধ্যমে উপাসনায় ব্রতী হওয়া সহজ ও উত্তম পথ। ‘জীব-ঈশ্বরে’ মানব মনে সাতন্ত্র বোধের কারণে ঈশ্বরের সাথে, আমি-তুমি, তুমি-আমি এরূপ অনুভাবাত্মক জ্ঞানের উদয় হয়। যারা ভক্তি মার্গের মাধ্যমে ঈশ্বর উপাসনায় ব্রতী হয় তাদের কে বলা হয় ভক্ত। ভক্তের মনে ভক্তির অঙ্কুর হলে তখন ভগবানের নামের প্রতি শ্রদ্ধা হয় এবং নামে রুচি হয়। আর তখন-ই ভক্তের মন বলে --- তুমি ভগবান আমি ভক্ত, আমি তোমার শ্রীচরণের দাস-তুমি-ই আমার প্রভূ, তুমি সৃষ্টিকর্তা; আমি সৃষ্ট, আমি অধম অপরাধী, তুমি মহান আমার সকল অপরাধ ক্ষমা কর। মানুষ নিজেকে অপরাধী মনে করলে মনে অনুশোচনা হয়, মনে অনুশোচনা হলে, অসৎ-মিথ্যাকে ত্যাগ করা এবং সৎ ও সত্যকে গ্রহণ করার জন্য সচেষ্ট হয়।
সংস্কৃত ভজ্ ধাতু হতে ভক্তি শব্দের উৎপত্তি, সংস্কৃত ভজ্ ধাতুর বাংলা অর্থ হল ভেদ জ্ঞান জীব-ঈশ্বরে মানব মনের যে অভেদ জ্ঞান তাকেই বলে অদ্বৈতবাদ; “জীব-ঈশ্বরে” মানব মনের যে স্বাতন্ত্রবোধ একেই বলে দ্বৈতবাদ। এই দ্বৈতবাদী চিন্তা ধারার কারণে ভক্তি মার্গ বা ভক্তিযোগের উৎপত্তি। জ্ঞান মার্গের চিন্তা ধারায়, ঈশ্বর নিরাকার সর্বভূতময়, জীব-ঈশ্বরে অভেদ জ্ঞান। কর্মমার্গ চিন্তা ধারায়, ঈশ্বর আমাতেই বিরাজমান (পরমাত্মা) জ্যোতিঃ স্বরূপ। এই জ্ঞান মার্গ, কর্মমার্গ বিষয়ে অল্পবুদ্ধি সম্পন্ন অতি সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে না, এবং ধারণায় আনতে পারে না, তাই মায়ামুগ্ধ সংসারী মানুষের জন্য ভক্তিমার্গ-ই শ্রেষ্ঠ।
লেখকঃ প্রীথিষ ঘোষ
গুরু ভক্তি অভিলাষে
থাকবি তক্তে বসে,
নাম ধরে ডাকবি ...ওরে ভোলামন,
মিলবে তোর মনের মানুষ .....যা বলি তাই শোন .......
ভগবান সর্বশক্তিমান, অন্তর্যামী, বিচারকর্তা, এই জ্ঞান উদয় হওয়াতে ভগবানের প্রতি ভয় জন্মায়, ভয় হতে ভগবানে বিশ্বাস আসে। এই বিশ্বাস ক্রমে ক্রমে অটল বিশ্বাসে পূর্ণ হলে, তখন-ই আসে ভগবানে পূর্ণ ভক্তি। এই ভক্তি ক্রমে ক্রমে অচলা ভক্তিতে পরিণত হলে তাকে বলে প্রেম। যখন ভক্তের মনে প্রেমের সঞ্চার হয় তখন ভগবানকে কাছে পাওয়ার জন্য ভক্তের মন উদগ্রীব হয়ে উঠে। ভক্তির অপর নাম --- ভালবাসা। ভালবাসা, ভক্তি, স্নেহ, প্রেম বস্তুত একই, স্থান-কাল-পাত্র ভেদে ভিন্ন নামে অভিহিত হয়ে থাকে। পরমেশ্বর ভগবানকে সাকার ভাবে শ্রদ্ধার সাথে তার সেবা পূজা অচর্না এবং ভগবানের নাম, গুণগান, শ্রবণ কীর্ত্তন, করার নাম-ই ভক্তি মার্গ বা ভক্তি যোগ। যারা ঈশ্বরকে সাকার রূপ ভেবে তার সেবা পূজা ও ভক্তি নিবেদন করে তাদের কে বলা হয় ভক্ত।
ভক্তি যোগের মাধ্যমে উপাসনায় ব্রতী হওয়া সহজ ও উত্তম পথ। ‘জীব-ঈশ্বরে’ মানব মনে সাতন্ত্র বোধের কারণে ঈশ্বরের সাথে, আমি-তুমি, তুমি-আমি এরূপ অনুভাবাত্মক জ্ঞানের উদয় হয়। যারা ভক্তি মার্গের মাধ্যমে ঈশ্বর উপাসনায় ব্রতী হয় তাদের কে বলা হয় ভক্ত। ভক্তের মনে ভক্তির অঙ্কুর হলে তখন ভগবানের নামের প্রতি শ্রদ্ধা হয় এবং নামে রুচি হয়। আর তখন-ই ভক্তের মন বলে --- তুমি ভগবান আমি ভক্ত, আমি তোমার শ্রীচরণের দাস-তুমি-ই আমার প্রভূ, তুমি সৃষ্টিকর্তা; আমি সৃষ্ট, আমি অধম অপরাধী, তুমি মহান আমার সকল অপরাধ ক্ষমা কর। মানুষ নিজেকে অপরাধী মনে করলে মনে অনুশোচনা হয়, মনে অনুশোচনা হলে, অসৎ-মিথ্যাকে ত্যাগ করা এবং সৎ ও সত্যকে গ্রহণ করার জন্য সচেষ্ট হয়।
সংস্কৃত ভজ্ ধাতু হতে ভক্তি শব্দের উৎপত্তি, সংস্কৃত ভজ্ ধাতুর বাংলা অর্থ হল ভেদ জ্ঞান জীব-ঈশ্বরে মানব মনের যে অভেদ জ্ঞান তাকেই বলে অদ্বৈতবাদ; “জীব-ঈশ্বরে” মানব মনের যে স্বাতন্ত্রবোধ একেই বলে দ্বৈতবাদ। এই দ্বৈতবাদী চিন্তা ধারার কারণে ভক্তি মার্গ বা ভক্তিযোগের উৎপত্তি। জ্ঞান মার্গের চিন্তা ধারায়, ঈশ্বর নিরাকার সর্বভূতময়, জীব-ঈশ্বরে অভেদ জ্ঞান। কর্মমার্গ চিন্তা ধারায়, ঈশ্বর আমাতেই বিরাজমান (পরমাত্মা) জ্যোতিঃ স্বরূপ। এই জ্ঞান মার্গ, কর্মমার্গ বিষয়ে অল্পবুদ্ধি সম্পন্ন অতি সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে না, এবং ধারণায় আনতে পারে না, তাই মায়ামুগ্ধ সংসারী মানুষের জন্য ভক্তিমার্গ-ই শ্রেষ্ঠ।
লেখকঃ প্রীথিষ ঘোষ
1 Comments:
একটু সহজ ভাষায় আমায় বলবেন। ভক্তি, প্রেম, ভালোবাসা, ভক্ত, সমর্পণ কী? ভালো করে বললে আমার ঢাকা
ভালো হয়। দয়া করে বলুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন