ত্রিনাথ ঠাকুরের নাম সবাই শুনেছেন । ত্রিদেব বলতে আমরা বুঝি বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের তিন স্তম্ভ । যথা প্রজাপতি ব্রহ্মা, ভগবান বিষ্ণু ও ভগবান মহেশ্বর । আর ত্রিনাথ ঠাকুর হলেন একত্রে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের সম্মিলিত রূপ। এক দেহেই তিন জনের বিরাজমান রূপ। এঁনাকে “দত্তাগুরু” বা “ভগবান দত্তাত্রেয়” নামে ডাকা হয়। কিভাবে ত্রিনাথ ঠাকুরের উদ্ভব হল ?
বহু পূর্বের কথা । মহর্ষি অত্রি মুনির পত্নী দেবী অনুসূয়া ছিলেন পরম সাধ্বী সতী নারী। তাঁর পাতিব্রতের কথা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিলো। পরম সাধ্বী সতী অনুসূয়া ভারতীয় নারীজাতির ও ভারতীয় সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন। কোনো এক সময়ের কথা- তাঁর সতীত্বের পরীক্ষা নিতে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর আসেন । দেবী অনুসুয়া সতীত্ব বলে এই তিন সৃষ্টির স্তম্ভকে সদ্যজাত শিশুতে পরিণত করে মাতৃত্ব প্রদান করেন । অপরদিকে শিশু রূপে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর মাতা অনুসুয়ার বাৎসল্যে আনন্দেই ছিলেন। কিন্তু সৃষ্টির তিন স্তম্ভ এভাবে শিশু রূপে থাকার দরুন সৃষ্টিকাজ ব্যহত হতে থাকে ।
দেবী সরস্বতী, দেবী লক্ষ্মী ও দেবী পার্বতী বিচলিত হন । নারদ মুনির কাছে সব ঘটনা জানতে চাইলে দেবর্ষি ব্যক্ত করেন । এরপর তিন দেবী, অনুসুয়া দেবীর আশ্রমে এসে নিজ স্বামীদের এই রকম শিশু অবস্থা দেখে আশ্চর্য ও হতচকিত হলেন। দেবী অনুসূয়ার সতীত্বের প্রশংসা করে স্বামীদের ভিক্ষা চান । তখন দেবী অনুসুয়ার কৃপায় ত্রিদেব নিজেদের পূর্বাবস্থা প্রাপ্তি করলেন। কিন্তু মায়ের মন কিভাবে সন্তান দের বিদায় দেবেন। কিছুকালের জন্য হলেও ত্রিদেবের জননী হয়েছিলেন, আর ত্রিদেব হয়েছিলেন সন্তান । তখন ত্রিদেব একত্রে “দত্তাগুরু” বা “ত্রিনাথ” নামে প্রকটিত হলেন। মূলে এঁনাকে ভগবান বিষ্ণুর অবতার গণ্য করলেও সাথে ভগবান শিব ও প্রজাপতি ব্রহ্মাও যুক্ত হন । পূর্ববঙ্গে এঁনার পূজা প্রচলিত । গরুর নতুন বাছুর জন্ম নিলে ক্ষীরের নাড়ু দিয়ে ত্রিনাথের পূজা করতে দেখা যায় । ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে মাতা অনুসুয়ার নাম আজোও স্মরণীয় ।
বহু পূর্বের কথা । মহর্ষি অত্রি মুনির পত্নী দেবী অনুসূয়া ছিলেন পরম সাধ্বী সতী নারী। তাঁর পাতিব্রতের কথা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিলো। পরম সাধ্বী সতী অনুসূয়া ভারতীয় নারীজাতির ও ভারতীয় সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন। কোনো এক সময়ের কথা- তাঁর সতীত্বের পরীক্ষা নিতে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর আসেন । দেবী অনুসুয়া সতীত্ব বলে এই তিন সৃষ্টির স্তম্ভকে সদ্যজাত শিশুতে পরিণত করে মাতৃত্ব প্রদান করেন । অপরদিকে শিশু রূপে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর মাতা অনুসুয়ার বাৎসল্যে আনন্দেই ছিলেন। কিন্তু সৃষ্টির তিন স্তম্ভ এভাবে শিশু রূপে থাকার দরুন সৃষ্টিকাজ ব্যহত হতে থাকে ।
দেবী সরস্বতী, দেবী লক্ষ্মী ও দেবী পার্বতী বিচলিত হন । নারদ মুনির কাছে সব ঘটনা জানতে চাইলে দেবর্ষি ব্যক্ত করেন । এরপর তিন দেবী, অনুসুয়া দেবীর আশ্রমে এসে নিজ স্বামীদের এই রকম শিশু অবস্থা দেখে আশ্চর্য ও হতচকিত হলেন। দেবী অনুসূয়ার সতীত্বের প্রশংসা করে স্বামীদের ভিক্ষা চান । তখন দেবী অনুসুয়ার কৃপায় ত্রিদেব নিজেদের পূর্বাবস্থা প্রাপ্তি করলেন। কিন্তু মায়ের মন কিভাবে সন্তান দের বিদায় দেবেন। কিছুকালের জন্য হলেও ত্রিদেবের জননী হয়েছিলেন, আর ত্রিদেব হয়েছিলেন সন্তান । তখন ত্রিদেব একত্রে “দত্তাগুরু” বা “ত্রিনাথ” নামে প্রকটিত হলেন। মূলে এঁনাকে ভগবান বিষ্ণুর অবতার গণ্য করলেও সাথে ভগবান শিব ও প্রজাপতি ব্রহ্মাও যুক্ত হন । পূর্ববঙ্গে এঁনার পূজা প্রচলিত । গরুর নতুন বাছুর জন্ম নিলে ক্ষীরের নাড়ু দিয়ে ত্রিনাথের পূজা করতে দেখা যায় । ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে মাতা অনুসুয়ার নাম আজোও স্মরণীয় ।
2 Comments:
ত্রিনাথের এই কাহিনী সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে কি? এই তথ্য কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি
ধন্যবাদ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন