আচার্যদেব সঙ্ঘের বিভিন্ন আশ্রমে ও কর্মকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পার্বনোৎসব ও বার্ষিক মহোৎসব গুলিকে হিন্দু সম্মেলনের আকার প্রদান পূর্বক জাতি গঠনমূলক ভাব ও আদর্শ প্রচারের কেন্দ্রভূমী করিয়া তুলিতে লাগিলেন।
সমাজ-সঙ্গঠক সর্বদ্রষ্টা ঋষিগণ যেমন ব্যাক্তিগত ও আধ্যাত্মিক চরমোৎকর্ষ সাধনের জন্য দেশ কাল পাত্র ভেদে নানাবিধ যুগোপযোগী সাধনপন্থা প্রচার করিয়াছেন; সঙ্গে সঙ্গে পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় জীবনকে অখন্ড অটুট ও একতাবদ্ধা করিয়া তুলিবার জন্য বিধিব্যবস্থা করিয়াছিলেন; হিন্দুর বারো মাসে তের পার্বণগুলি এবং পূণ্যক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত ধর্ম-মেলা মহোৎসবগুলির সৃষ্টি করিয়া গিয়াছেন, তেমনি- সঙ্ঘনেতা আচার্যদেব হিন্দু জাতীয়তার পুনরুদ্ধার কল্পে কালপ্রভাবে হৃতগৌরব, অর্থ- ভাব-আদর্শহীন, গতানুগতিক সেই উৎসব সম্মেলন গুলিকে পুণরায় সামাজিক ও জাতীয় ভাব ও আদর্শ প্রচার,এবং সমাজ সংস্কার ও জাতিগঠনের উদ্দেশ্যে রূপান্তরিত করিবার সঙ্কল্প করিলেন ।
১৯৩৫ সাল হইতে খুলনা সেবাশ্রমে অনুষ্ঠিত রাসপূর্ণিমার বিরাট মহোৎসবকে হিন্দুজাতি গঠন্মূলক উৎসবে পরিণত করিলেন।
সার্বজনীন বৈদিক যজ্ঞ, সমবেত পূজা, সশস্ত্র আরতি, শ্রীকৃষ্ণ পূজা, শীবপূজা ও গুরুপূজা ইত্যাদির সহিত বিরাট জনসভায় ধর্ম ও সমাজ এবং হিন্দুজাতিগঠনের সঙ্গঠনের প্রয়োজনীয়তা, হিন্দুর মিলন মন্দিরের প্রয়োজনীয়তা ও রক্ষীদল গঠন প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা ও প্রস্তাবাদি চলিতে লাগিল। লাঠী, ছোরা, ঢাল শড়কী প্রভৃতি আত্ম্রক্ষামূলক ক্রীড়াকৌশল প্রদর্শণ প্রবর্তিত হইল। এই রূপে কলিকাতায় অনুষ্ঠিত শিব্রাত্রি, জন্মাষ্টমী ও কালীপূজা উৎসবকে, বাজিতপুরে অনুষ্ঠিত নীলপূজা উৎসবকে, পুরী সেবাশ্রমে রথযাত্রায় বার্ষিক উৎসব ও কাশী তীর্থাশ্রমে দুর্গাপূজা কে উপলক্ষ করিয়া জাতিগঠনমূলক সার্বজনীন হিন্দু সম্মেলনোৎসবেে রূপান্তরিত করিতে লাগিলেন ।
তিনি বলিলেন-..." আমি চাই ধর্মান্দোলন। ধর্মের ভিত্তিতে জাতি ও সমাজ গঠন। কিন্তু শুধু মুখে ধর্ম কর, ধর্ম কর বলে চেঁচালে কি হবে? আজ জাতি ও সমাজের সমনে যে সব সমস্যা তার সমাধান যদি ধর্মের মধ্যে না দেখিয়ে দেয়া যায়, তবে কে ধর্ম মানতে যাবে?.........।।"
Dhruba Chatterjee
সমাজ-সঙ্গঠক সর্বদ্রষ্টা ঋষিগণ যেমন ব্যাক্তিগত ও আধ্যাত্মিক চরমোৎকর্ষ সাধনের জন্য দেশ কাল পাত্র ভেদে নানাবিধ যুগোপযোগী সাধনপন্থা প্রচার করিয়াছেন; সঙ্গে সঙ্গে পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় জীবনকে অখন্ড অটুট ও একতাবদ্ধা করিয়া তুলিবার জন্য বিধিব্যবস্থা করিয়াছিলেন; হিন্দুর বারো মাসে তের পার্বণগুলি এবং পূণ্যক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত ধর্ম-মেলা মহোৎসবগুলির সৃষ্টি করিয়া গিয়াছেন, তেমনি- সঙ্ঘনেতা আচার্যদেব হিন্দু জাতীয়তার পুনরুদ্ধার কল্পে কালপ্রভাবে হৃতগৌরব, অর্থ- ভাব-আদর্শহীন, গতানুগতিক সেই উৎসব সম্মেলন গুলিকে পুণরায় সামাজিক ও জাতীয় ভাব ও আদর্শ প্রচার,এবং সমাজ সংস্কার ও জাতিগঠনের উদ্দেশ্যে রূপান্তরিত করিবার সঙ্কল্প করিলেন ।
১৯৩৫ সাল হইতে খুলনা সেবাশ্রমে অনুষ্ঠিত রাসপূর্ণিমার বিরাট মহোৎসবকে হিন্দুজাতি গঠন্মূলক উৎসবে পরিণত করিলেন।
সার্বজনীন বৈদিক যজ্ঞ, সমবেত পূজা, সশস্ত্র আরতি, শ্রীকৃষ্ণ পূজা, শীবপূজা ও গুরুপূজা ইত্যাদির সহিত বিরাট জনসভায় ধর্ম ও সমাজ এবং হিন্দুজাতিগঠনের সঙ্গঠনের প্রয়োজনীয়তা, হিন্দুর মিলন মন্দিরের প্রয়োজনীয়তা ও রক্ষীদল গঠন প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা ও প্রস্তাবাদি চলিতে লাগিল। লাঠী, ছোরা, ঢাল শড়কী প্রভৃতি আত্ম্রক্ষামূলক ক্রীড়াকৌশল প্রদর্শণ প্রবর্তিত হইল। এই রূপে কলিকাতায় অনুষ্ঠিত শিব্রাত্রি, জন্মাষ্টমী ও কালীপূজা উৎসবকে, বাজিতপুরে অনুষ্ঠিত নীলপূজা উৎসবকে, পুরী সেবাশ্রমে রথযাত্রায় বার্ষিক উৎসব ও কাশী তীর্থাশ্রমে দুর্গাপূজা কে উপলক্ষ করিয়া জাতিগঠনমূলক সার্বজনীন হিন্দু সম্মেলনোৎসবেে রূপান্তরিত করিতে লাগিলেন ।
তিনি বলিলেন-..." আমি চাই ধর্মান্দোলন। ধর্মের ভিত্তিতে জাতি ও সমাজ গঠন। কিন্তু শুধু মুখে ধর্ম কর, ধর্ম কর বলে চেঁচালে কি হবে? আজ জাতি ও সমাজের সমনে যে সব সমস্যা তার সমাধান যদি ধর্মের মধ্যে না দেখিয়ে দেয়া যায়, তবে কে ধর্ম মানতে যাবে?.........।।"
Dhruba Chatterjee
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন