" যখন মানুষ নিজের উদ্দেশ্য ভুলে যায় , তখনই সব বাধা বিপত্তি আসে । আর সে যদি নিজের উদ্দেশ্যকে সব সময় মনে রাখে যে , যাই হয়ে যাক , আমাকে আমার পারমার্থিক উন্নতি করতেই হবে , তাহলে সে এই সব দুঃখকে গণনার মধ্যেই আনে না - ' মনস্বী কার্য্যার্থী ন গণয়তি দুঃখং ন চ সুখং ।
আর নিজের স্বার্থ এবং অভিমান ত্যাগ হলে ব্যবহারের মধ্যে বাধা বা বিঘ্ন আসে না । ব্যবহারের মধ্যে , পরস্পরের ভালবাসার মধ্যে বাধা তখনই আসে যখন মানুষ নিজের বক্তব্য বজায় রাখতে চায় , নিজের জিদ বজায় রাখতে চায় , নিজের স্বার্থ ও অহংকার বজায় রাখতে চায় ।
অপরের কি করে ভাল হবে , তাদের কল্যাণ কিসে হবে , তাদের আদর আপ্যায়ন কি করে হবে , তাদের সুখ সুবিধা কি করে হবে -- এই সব চিন্তা যখন নিজের আচরণের মধ্যে প্রতিফলিত হয় তখন সব পরিজন প্রসন্ন হয়ে যায় । কখনও কোনও পরিজন অপ্রসন্নও যদি হয় তাহলেও তার অপ্রসন্নতা থাকবে না , স্থায়ী হয় না ।
কারণ কখনও যখন সে নিজের মধ্যে ঠিক বিচার করবে তখন সে বুঝতে পারবে যে আমার মঙ্গল এই কথার মধ্যেই আছে । যেমন বালকদের যখন পড়ান হয় তখন তাদের খেলাধূলার মধ্যে মন মত্ত হয়ে থাকাতে পড়াশুনা ভাল লাগে না , তা সত্ত্বেও পরিণামে তার মঙ্গলই হয় ।
এই রকমের কোনও ব্যাপার ঠিক হওয়া সত্ত্বেও কারুর যদি সেটা ভালো না লাগে , তাহলে সেই সময়ে ব্যাপারটা সে বুঝতে না পারলেও , ভবিষ্যতে সে নিশ্চয়ই বুঝতে পারবে । ক্বচিৎ কদাচিৎ সে যদি বুঝতে নাও পারে , তবুও আমার উদ্দেশ্য এবং ব্যবহারে সন্তুষ্টি হবে যে আমি তার ভালই চাই এবং আমার মধ্যে একটা শক্তি সৃষ্টি হবে যে আমার কথা সত্য এবং ন্যায়সঙ্গত ।
নিজেদের মধ্যে প্রেম থাকলেই সংসারে সুখশান্তি থাকে । নিজের স্বার্থ আর অভিমানের ত্যাগ হলেই প্রেম হয় । যখন স্বার্থ আর অভিমান থাকবে না তখন প্রেম ছাড়া আর কি থাকবে ? অপর ব্যক্তি আপন স্বার্থের বশীভূত হয়ে কখনও যদি আমার সাথে তিক্ত ব্যবহার করে তবে কখনও মনে এরকম চিন্তার উদয় হতে পারে যে আমি তো এর সাথে ভাল ব্যবহার করে যাচ্ছি তবুও এ খুশী হচ্ছে না , এখন আমি কি করব !
এই রকম চিন্তা করার কারণ হচ্ছে আমার মনে সূক্ষ্মভাবে অবস্থিত এক সুখ - লোলুপতা , কারণ অন্য কোনও ব্যক্তিকে সুখী এবং প্রসন্ন দেখার মধ্যে একে রকম আত্মসুখ আছে ।
সুতরাং মনের মধ্যে এই রকম সুখ - লোলুপতার চিন্তা হলেই একে ত্যাগ করা উচিৎ । কারণ আমার কাজ হচ্ছে কেবল নিজের কর্তব্য করে যাওয়া , অপরের প্রাপ্য দেওয়া , তাদের ভালবাসা । আমার চিন্তা এবং আচরণের প্রভাব তার উপর পড়বেই ।
তবে হ্যাঁ , অন্তঃকরণের কঠোরতার দরুণ ওর উপরে যদি প্রভাব নাও পড়ে , তবু নিজের দিক থেকে ভালই করেছি -- এই মনে করে আমার সন্তুষ্টি হলে আমার ভালবাসা কমবে না আর সংসারেও সুখ শান্তি বজায় থাকবে । তাই কোন বিষয় সমস্যা হলে চিন্তা করা প্রয়োজন সমস্যার শুরু কোথায় । যেখানে সমস্যা সেখানেই সমাধান ।
আর নিজের স্বার্থ এবং অভিমান ত্যাগ হলে ব্যবহারের মধ্যে বাধা বা বিঘ্ন আসে না । ব্যবহারের মধ্যে , পরস্পরের ভালবাসার মধ্যে বাধা তখনই আসে যখন মানুষ নিজের বক্তব্য বজায় রাখতে চায় , নিজের জিদ বজায় রাখতে চায় , নিজের স্বার্থ ও অহংকার বজায় রাখতে চায় ।
অপরের কি করে ভাল হবে , তাদের কল্যাণ কিসে হবে , তাদের আদর আপ্যায়ন কি করে হবে , তাদের সুখ সুবিধা কি করে হবে -- এই সব চিন্তা যখন নিজের আচরণের মধ্যে প্রতিফলিত হয় তখন সব পরিজন প্রসন্ন হয়ে যায় । কখনও কোনও পরিজন অপ্রসন্নও যদি হয় তাহলেও তার অপ্রসন্নতা থাকবে না , স্থায়ী হয় না ।
কারণ কখনও যখন সে নিজের মধ্যে ঠিক বিচার করবে তখন সে বুঝতে পারবে যে আমার মঙ্গল এই কথার মধ্যেই আছে । যেমন বালকদের যখন পড়ান হয় তখন তাদের খেলাধূলার মধ্যে মন মত্ত হয়ে থাকাতে পড়াশুনা ভাল লাগে না , তা সত্ত্বেও পরিণামে তার মঙ্গলই হয় ।
এই রকমের কোনও ব্যাপার ঠিক হওয়া সত্ত্বেও কারুর যদি সেটা ভালো না লাগে , তাহলে সেই সময়ে ব্যাপারটা সে বুঝতে না পারলেও , ভবিষ্যতে সে নিশ্চয়ই বুঝতে পারবে । ক্বচিৎ কদাচিৎ সে যদি বুঝতে নাও পারে , তবুও আমার উদ্দেশ্য এবং ব্যবহারে সন্তুষ্টি হবে যে আমি তার ভালই চাই এবং আমার মধ্যে একটা শক্তি সৃষ্টি হবে যে আমার কথা সত্য এবং ন্যায়সঙ্গত ।
নিজেদের মধ্যে প্রেম থাকলেই সংসারে সুখশান্তি থাকে । নিজের স্বার্থ আর অভিমানের ত্যাগ হলেই প্রেম হয় । যখন স্বার্থ আর অভিমান থাকবে না তখন প্রেম ছাড়া আর কি থাকবে ? অপর ব্যক্তি আপন স্বার্থের বশীভূত হয়ে কখনও যদি আমার সাথে তিক্ত ব্যবহার করে তবে কখনও মনে এরকম চিন্তার উদয় হতে পারে যে আমি তো এর সাথে ভাল ব্যবহার করে যাচ্ছি তবুও এ খুশী হচ্ছে না , এখন আমি কি করব !
এই রকম চিন্তা করার কারণ হচ্ছে আমার মনে সূক্ষ্মভাবে অবস্থিত এক সুখ - লোলুপতা , কারণ অন্য কোনও ব্যক্তিকে সুখী এবং প্রসন্ন দেখার মধ্যে একে রকম আত্মসুখ আছে ।
সুতরাং মনের মধ্যে এই রকম সুখ - লোলুপতার চিন্তা হলেই একে ত্যাগ করা উচিৎ । কারণ আমার কাজ হচ্ছে কেবল নিজের কর্তব্য করে যাওয়া , অপরের প্রাপ্য দেওয়া , তাদের ভালবাসা । আমার চিন্তা এবং আচরণের প্রভাব তার উপর পড়বেই ।
তবে হ্যাঁ , অন্তঃকরণের কঠোরতার দরুণ ওর উপরে যদি প্রভাব নাও পড়ে , তবু নিজের দিক থেকে ভালই করেছি -- এই মনে করে আমার সন্তুষ্টি হলে আমার ভালবাসা কমবে না আর সংসারেও সুখ শান্তি বজায় থাকবে । তাই কোন বিষয় সমস্যা হলে চিন্তা করা প্রয়োজন সমস্যার শুরু কোথায় । যেখানে সমস্যা সেখানেই সমাধান ।
লেখকঃ Joy Shree Radha Madhav
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন